অবৈধ স্মার্টফোন
অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অবৈধ যে হ্যান্ডসেটগুলো রয়েছে সেগুলো বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়ার । কয়েক বছর কেটে গেলোও ভুলে যায়নি সরকার তাদের সিদ্ধান্তের কথা । সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সরকার সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র কিছুটা পরিবর্তন করে অর্থাৎ আগে বলছিলো সরকার অবৈধ যে হ্যান্ডসেটগুলো রয়েছে সব গুলা বন্ধ করে দিব কিন্তু সরকার এখন সেগুলো কে বৈধ করার সুযোগ দিচ্ছে জনগণকে । ( আনঅফিসিয়াল স্মার্টফোন চেক করার নিয়ম)
এখন চিন্তায় পড়ে গেছেন হয়তো অনেকে অবৈধ হ্যান্ডসেটগুলো কিভাবে বৈধ করবে সরকার ? নতুন এই ব্যবস্থাটি জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে হবে । যেহেতু সরকার সুযোগ রেখেছেন অবৈধ হ্যান্ডসেটগুলো কে বৈধ করে নেওয়ার । সহজ ভাষায় বলতে গেলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যেভাবে করে সরকার সিমকার্ড গুলোকে নিবন্ধন করতে বাধ্য করেছিলেন ঠিক ওইভাবেই এখন হ্যান্ডসেট গুলোকে নিবন্ধন করতে বাধ্য করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে । সোজা বাংলায় বলতে গেলে এখন থেকে কোন মোবাইল ফোন নিবন্ধন ছাড়া আর ব্যবহার করা যাবে না ।
মোবাইল ফোন অবৈধ কিভাবে বুঝব ?
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী 1 ই জুলাই 2021 সাল থেকে যতগুলো মোবাইল হ্যান্ডসেট দেশে চালু রয়েছে সবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা অটোমেটিকলি নিবন্ধিত হতে শুরু করবে । জুলাই থেকে নতুন ক্রয় করা মোবাইল হ্যান্ডসেট ও দেশে প্রবেশ করা যে কোন হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত কাজ শুরু হবে । মজার বিষয় হচ্ছে 1 ই জুলাই থেকে যে হ্যান্ডসেটগুলো নেটওয়ার্কে আসবে ওই হ্যান্ডসেটগুলোর ভিতরে যদি কোন অবৈধ মোবাইল ফোন থাকে তাহলে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে । এবং এটা জানিয়ে দেওয়া হবে যে এই হ্যান্ডসেটটি তিন মাসের ভিতরে যদি নিবন্ধন না করা হয় তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হবে । যদি মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে যায় তখন যেকোনো কোম্পানির সিম কার্ড কাজ করবেনা যদি একবার হ্যান্ডসটটি বন্ধ হয়ে যায় । তিন মাস সময় দেওয়ার ওই সময়ের ভিতরে যদি গ্রাহক তার মোবাইল ফোনটি নিবন্ধন করেন তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ড সেটটি বৈধ বলে বিবেচিত হয়ে থাকবে ।
বিদেশ থেকে মোবাইল হ্যান্ডসেট আনলে সেগুলোর কি হবে ?
বিদেশ থেকে আনা মোবাইল হ্যান্ডসেট ও উপহার হিসেবে পাওয়া কিংবা বিদেশ থেকে এনে চালু করা মোবাইল হ্যান্ডসেট গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাবে 10 দিনের মত চালু থাকবে ওই 10 দিনের ভিতরে গ্রাহককে অবশ্যই বৈধ কাগজপত্র পুরুপ দিয়ে মোবাইল ফোনটি নিবন্ধিত করে নিতে হবে তা না হলে দশ দিন পরে একটি এসএমএস পাঠানো হবে যদি হ্যান্ডসেটটি অবৈধ হয়ে থাকে । গাহক যদি পরবর্তী সময় হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধিত করে না নেন তাহলে পরবর্তী তিন মাস পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । বিদেশ থেকে আনা মোবাইল ফোন ও উপহার পাওয়া বিদেশি ফোন অনলাইনে সরকারি ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য
এখানে ক্লিক করুন তারপর নিয়ম মেনে ডকুমেন্টগুলো সাবমিট করলেই যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে মোবাইল হ্যান্ডসেট বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে । ডকুমেন্ট হিসেবে যেগুলো সাবমিট করতে হবে ইমিটেশনের সঠিক তথ্য, পাসপোর্ট এর ভিসার তথ্য, ও মোবাইল হ্যান্ড সেট কেনার রশিদ সহ নানা ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে । ফোনটি যদি বৈধ না হয় তাহলে কিছুদিন পরে একটি এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে । এবং পরবর্তী তিন মাসের ভিতরে যদি সেটাকে নিবন্ধন করা না হয় তাহলে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ বিটিআরসি । মোবাইল হ্যান্ডসেট সম্পর্কিত তথ্য কাস্টমার কেয়ার থেকে ফোন করে নেওয়া যাবে । বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী শুল্ক সারা সর্বোচ্চ দুটি ফোন আনা যায় বিদেশ থেকে এবং শুল্ক পরিশোধ করে সর্বোচ্চ ছয় আনা যায় ।
মোবাইল ফোন বৈধ কিনা যাচাই করনের উপায় কি ?
মোবাইল হ্যান্ড সেটটি বৈধ কিনা জানার জন্য একটি শর্ট কোড ডায়াল করতে হবে *16161# এটি ডায়াল করার পরে স্ট্যাটাস চেক নামে একটি অপশন চলে আসবে স্টাটাস চেক অপশনে ক্লিক করে দেওয়ার পরে একটি বক্স চলে আসবে যেখানে মোবাইলটির আইএমই 15 সংখ্যার নাম্বারটি প্রবেশ করাতে হবে । এরপর ক্লিক করার পরে হা এবং না দুটি অপশন আসবে ওখানে হা সিলেক্ট করে দিতে হবে কিছুক্ষণ পরে একটি ফিরতি এসএমএস এর মাধ্যমে মোবাইল ফোনটির অবস্থান জানিয়ে দেওয়া হবে ।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা অটোমেটিকলি মোবাইল ফোন কিভাবে নিবন্ধিত হবে ?
হ্যান্ডসেট এর ভিতর যে সিম কার্ডটি লাগানো থাকবে এবং ওই সিম যার নামে রেজিস্ট্রেশন করা থাকবে ওই অনুযায়ী হ্যান্ডসেটটি অটোমেটিকলি নিবন্ধিত হয়ে থাকবে ।
বর্তমান নিয়ম গুলো তুলে ধরা হয়েছে হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত সম্পর্কিত । তবে ভবিষ্যতে হয়তো এগুলো পরিবর্তন হতে পারে ।
0 মন্তব্যসমূহ