how to make money blogging for beginners
গুগোল ব্লগার কি
যার হাতে একটি স্মার্টফোন রয়েছে বা যে একটু কিছু অনলাইন সম্পর্কে বোঝে সেই কিন্তু অনলাইন থেকে মোবাইল দিয়ে কম্পিউটার দিয়ে কিংবা ল্যাপটপ দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চায় । এমনটা করতে চান বেশির ভাগ অনলাইনে থাকা মানুষগুলোই কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আদৌ কি তারা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারছেন ? ইউটিউব কিংবা গুগলে যদি সার্চ করা হয় অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে লক্ষ-লক্ষ টিটোরিয়াল কিংবা আর্টিকেল পাওয়া যাবে । (How to Google blogger make money details)
আসলে কি সেগুলো দেখে মানুষ কিছু শিখতে পারছে বা ওখান থেকে কি কোন টাকা উপার্জন করতে পারছে এরকম প্রশ্ন করা হলে বেশিরভাগ মানুষগুলোই উত্তর দেবে হয়তো বা না । ( How to blogger start)
প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ইনকাম ওয়েবসাইট আসছে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন নতুন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হচ্ছে অনলাইন ইনকাম রিলেটিভ কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে এগুলোর ভিতরে কত পার্সেন্ট রিয়েল সঠিকভাবে মানুষকে পেমেন্ট দিচ্ছে ? আর কত পারছেন মানুষকে ঠকাচ্ছে আমার তিন থেকে সাড়ে তিন বছর অভিজ্ঞতায় আমি যা দেখতে পেয়েছি আল্লায় দিলে সেটা হল সৎকারা 99.99 বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন মানুষকে ঠকাচ্ছে এই অ্যাপ্লিকেশন ও ওয়েবসাইটগুলো। (Online income Website)
মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটার ল্যাপটপ দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করার স্বপ্ন দেখাটা আসলে দোষের কিছু নয় । কিন্তু কথা হচ্ছে সঠিক লাইনে যদি না দাঁড়ানো হয় বা সঠিক রাস্তা দিয়ে যদি নাহাটা হয় তাহলে তো কখনো গন্তব্য স্থানে পৌঁছানো সম্ভব না । (মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়)
আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষগুলোই শিক্ষাগত যোগ্যতার অনেক নিচে বসবাস করে থাকে । আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু লোকজন অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ডেভলপারদের দিয়ে ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ বানিয়ে মানুষের সাথে অমানুষের মত প্রতারণা করে যাচ্ছে। (Online income app)
তবে কিছু ওয়েবসাইট কিংবা কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যারা কিনা ঠিকই মানুষকে কাজের বিনিময়ে পেমেন্ট দেয় তবে সেগুলো আসলে খুবই অল্প সেগুলো দিয়ে লাইফে কিছু করা সম্ভব নয় । (Best online income website)
এদের ভিতর অনেক মানুষই রয়েছেন যারা অন্যের উপরে নির্ভর করে নয় নিজেই কিছু করে দেখাতে চান বা নিজের লাইফটাকে নিজেই গড়ে নিতে চান এরকম মানুষের সংখ্যাও কিন্তু কম নয় । (How to make money online)
কিন্তু থাকলে কি হবে তারা তো সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ার কারণে পিছিয়ে পড়ছে বা বুঝতে পারতেছেনা যে কিভাবে কি করবে এই কারণেই মূলত কাজের দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও অনেকে কাজ পাচ্ছে না । (Web developer)
যারা রয়েছেন নিজেরা কিছু করার আশায় তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই উপকারে আসবে বলে আল্লায় দিলে আমি মনে করি ব্যক্তিগতভাবে । (How to blogger website create)
আপনারা যদি চান অনলাইন থেকে সারা জীবন সঠিক নিয়ম মেনে কাজ করে টাকা ইনকাম করবেন এটা সম্ভব তবে জানতে হবে কোন কোম্পানিতে কাজ করলে সারাজীবন অনলাইন থেকে ইনকাম করা যাবে । (Earn for beginners)
এমনই একটি নির্ভরযোগ্য কোম্পানি হচ্ছে গুগোল গুগোল মানি নির্ভরতার প্রতীক ছবি । কারণ গুগোল কখনো কারো সাথে প্রতারণা করে না । কাজের বিনিময়ে তারা সঠিক সময় ঠিকই অর্থ প্রদান করে থাকে মাসের নির্দিষ্ট সময়ে । (Online taka income)
এমনই একটি গুগোল এর প্রোডাক্ট রয়েছে যেটা আমরা হয়তো বা অনেকেই জানিনা । আবার কিছু লোক হয়তো বা জানি গুগোল থেকে ইউটিউব ছাড়াও আরো অন্যান্য মাধ্যম থেকে ইনকাম করা যায় । আমাদের কাজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে । কিন্তু প্রতি মাসে শত শত কিংবা হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে একটিমাত্র গুগোল ব্লগার ওয়েবসাইটই যথেষ্ট । (Website for make money)
গুগোল এর ওয়েবসাইট অর্থাৎ গুগোল ব্লগার ওয়েবসাইট সম্পূর্ণ ফ্রিতে তৈরি করা যায় যদিও সেখানে কিছু কন্ডিশন রয়েছে যদি প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট বানাতে হয় তাহলে কিছু টাকা খরচ করতে হয়় ।
গুগোল ব্লগার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমি নিজেই এ কাজটি সম্পন্ন করেছি অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে যেখান থেকে মাত্র 12 ঘন্টায় আমি ইনকাম করেছি 18 ডলারেরও বেশি যেটা মাসে হিসাব করলে চলে আসে প্রতিমাসে 556 ডলারেরও বেশি যেটা কিনা বাংলাদেশি টাকায় এক ডলার সমান সমান 85 টাকা রেট অনুযায়ী ধরলে চলে আসে 47 হাজার 260 টাকা তো বুঝতেই পারতেছেন একটা মানুষ কিন্তু লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বিদেশে গিয়েও এত টাকা ইনকাম করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না ।
এখন অনেকে আবার বলবেন আমি কি ওয়েবসাইট বানাতে পারব ? আমি কি ওয়েবসাইট ডেভলপারদের দিয়ে বানিয়ে নিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারব ? আমি যে কাজগুলো পারি সেগুলো কি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে পারব ? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ অবশ্যই আপনি বা আপনারা সেটি করতে পারবেন কারণ গুগল ব্লগার ওয়েবসাইট এমন একটি ইনকাম ওয়েবসাইট হিসেবে বিবেচিত বা গুগোল এতটাই সুযোগ করে দিয়েছে টাকা ইনকাম করার জন্য সারা পৃথিবীর মানুষদের জন্য যা আমাদের ভাবনাতেও নেই ।
যে যেরকম কাজ পারে সে ওরকম ভাবেই গুগোল ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে পারবে । যেমন আপনি আপনি চাইলে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে এখান থেকে ইউজ পরিমাণ টাকা বা ডলার ইনকাম করতে পারবেন যে বিষয়ে আপনার জ্ঞান রয়েছে ওই বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে ।
আরো পড়ুন: MTFe income অ্যাপ থেকে প্রতিদিন অটোমেটিক ভাবে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত দেখুন
গুগোল ব্লক ওয়েবসাইট কি সম্পূর্ণ ফ্রিতে বানানো যায় ?
এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে আপনি যদি একেবারে নরমাল গুগোল ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনি বানাতে পারবেন । ফ্রিতে গুগল থেকে আপনাকে তেম্প্লে দেওয়া হবে হোস্টিং দেওয়া হবে ডোমেন দেওয়া হবে তবে । আপনি যদি প্রফেশনাল মানের একটি গুগোল ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই ডোমেইন এবং টেমপ্লেট কিনে নিতে হবে । আর হোস্টিং তো গুগোল ব্লগার থেকে দেওয়া হচ্ছে ফ্রিতে । রমিন বলতে বুঝানো হয় ওয়েবসাইটের ঠিকানা যেমন facebook dot com google dot com digitalbangla360 dot com ঠিক এরকম । আর টেমপ্লেট বলতে বোঝানো হয় ওয়েবসাইটের ডিজাইন কে অর্থাৎ টেমপ্লেট অনুযায়ী ওয়েবসাইটের ডিজাইন হয়ে থাকে ।
আরো পড়ুন: Arabian Tradex থেকে ইসলামিক উপায়ে হালাল উপায়ে প্রতিদিন অটোমেটিক ভাবে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে চাইলে লাইফ টাইম এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত দেখুন
ডোমেন ও টেমপ্লেট কিনতে কত টাকা প্রয়োজন পড়ে ?
নির্ভর করে মূলত আপনি কোন ডোমেন হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি থেকে ক্রয় করতে চান সেটার উপরে । আন্তর্জাতিক অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে একটি ডোমেইন ক্রয় করার জন্য 15 থেকে 30 ডলার কিংবা তারও বেশি খরচ করতে হয়় । তবে এখন বাংলাদেশেও অনেক ডোমেইন হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি হয়েছে যাদের থেকে এগারোশো থেকে বারোশো টাকার ভিতর সব মিলে একটি ডমিন কিনা যায় তবে এ ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যারা ডোমেইন-হোষ্টিং কোম্পানি রয়েছেন তারা আসলে কতটুকু জনপ্রিয় এবং তাদের সার্ভিস আসলে কতটুকু ভালো সেটা আগে জেনে নিতে হবে । কারণ যদি তাদের মাঝে সমস্যা থাকে তাহলে আপনার ওয়েবসাইট স্লো হবে আর যদি ওয়েবসাইট স্লো ভাবে কাজ করে তাহলে কখনো ওয়েবসাইট রেঙ্ক করবে না । আন্তর্জাতিক মার্কেটগুলো থেকে ডোমেইন হোস্টিং কিনতে গেলে অবশ্যই মাস্টার কার্ড কিংবা ভিসা কার্ডের প্রয়োজন হয় এই জিনিসগুলো অনেকের কাছেই থাকে না তাই আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলোর থেকে অনেকেই ডোমেইন হোস্টিং কিনতে পারে না । এ কারণে অনেকেই ঢুকে যান কারণ দেশে তৈরি ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি গুলোর থেকে যেহেতু বিকাশ নগদ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায় এই কারণে সহজ মনে করে অনেকেই না জেনেবুঝে কিনে নেন তাই বলবো আপনি যদি একেবারে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে কোন বিশ্বস্ত ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে ওয়েবসাইট বানিয়ে নেবেন । এটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ । টেমপ্লেট কিনার জন্য অনেক আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেমন ইনভেট হচ্ছে বিশ্বের সবচাইতে টেম্পলেট বিক্রি করার সেরা মার্কেটপ্লেস । যেখান থেকে প্রায় সকলেই কোন না কোন সময় টেমপ্লেট কিনে থাকেন তবে আপনার কাছে যদি মাস্টার কার্ড ভিসা কার্ড না থাকে তাহলে আপনি কখনোই এই মার্কেটপ্লেস থেকে টেমপ্লেট কিনতে পারবেন না । সেজন্য বলব অবশ্যই কোন ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার বা ডেভলপারদের কে দিয়ে আপনারা কাজটি করিয়ে নিতে পারেন । যারা নতুন রয়েছেন তাদের জন্য অনেক বেশি ভালো হবে । এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত । তবে আপনি যদি মোটামুটি মানের কাজ পারেন তাহলে কোন ইউটিউবারদের মধ্যে থেকে যারা বিশ্বস্ত ইউটিউবার রয়েছেন তাদের থেকে আপনি চাইলে কম মূল্যে একটি ভালো এসইও ফ্রেন্ডলি টেমপ্লেট কিনে নিতে পারেন । টেমপ্লেট মূল্য হতে পারে 500 থেকে 1000 টাকার মধ্যে । এখন অবশ্য গুগোল নিজেও ডোমেইন বিক্রি করে থাকে তবে গুগল থেকে ডোমেইন কিনা তা সবার পক্ষে সম্ভব না কারণ ওখানে দামটা একটু বেশি ।
আমি কি ওয়েব ডেভলপার হতে পারব ?
সবাই যদি পারে আপনি কেন পারবেন না । ওয়েব ডেভলপার হয়ে ওঠা টা তেমন একটা কষ্টের বিষয় না যদি আপনার ভিতরে কাজ করার মন-মানসিকতা ও পরিশ্রম করার যোগ্যতা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি ডেভলপার হতে পারবেন । মোটামুটি মানের ওয়েব ডেভলপার হতে গেলে ইউটিউব এর ওয়েব ডেভলপ নিয়ে যে টিউটোরিয়াল গুলো রয়েছে সেগুলো ধারাবাহিকভাবে দেখলেই যথেষ্ট কিংবা গুগোল এ বিষয়ে যে আর্টিকেল গুলো রয়েছে সেগুলো রিচার্জ করলেই হবে । আর যদি আপনি হানডেট পারসেন আল্লায় দিলে প্রফেশনাল মানের ওয়েব ডেভলপার হতে চান তাহলে অবশ্যই কোনো ভালো ডেভলপারদের থেকে অথবা ভালো ট্রেনিং সেন্টার থেকে শিখে নিতে হবে । মনে রাখবেন যে কোন জিনিস না পারলে অনেক কঠিন আর পারলে অনেক সহজ ।
আমি কি প্রডাক্ট নিয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করতে পারব ?
গুগোল ব্লগার হচ্ছে এমন একটি ওয়েবসাইট এটি পানির সাথে তুলনা করা যায় অর্থাৎ আপনি পানি যে পাত্রে রাখবেন ওই পাত্রের আকার ধারন করে । ঠিক ওরকমই গুগোল ব্লগার ওয়েবসাইট বানিয়ে আপনি যেকোন বিষয়ে লেখালেখি করতে পারবেন তবে সেক্সুয়াল কোন কিছু নিয়ে লেখতে পারবেন না । বা যেগুলো গুগোল ব্লগারের গাইডলাইনের বাইরে রয়েছে সেগুলো নিয়ে কখনো লেখালেখি করা যাবে না । উদাহরণস্বরূপ কিছু ক্যাটাগরি তুলে ধরা হলো মোবাইল রিভিউ ল্যাপটপ রিভিউ কিংবা নিত্য নতুন নতুন যে প্রযুক্তি গুলো পৃথিবীতে প্রতিনিয়তই আসতাছে সেগুলো নিয়ে লেখালেখি করা যেতে পারে কিংবা আপনি যদি খাওয়া-দাওয়া নিয়ে অনেক বেশি অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন বিভিন্ন ফুট নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন । এরপরের রয়েছে জনপ্রিয় আরো একটি মাধ্যম সেটি হল অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় বা কোন সাইট থেকে ইনকাম করা যায় এই বিষয়গুলো নিয়ে লেখালেখি করে টাকা উপার্জন করা সম্ভব । বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় যে একটি মাধ্যম রয়েছে সেটা হল নিউজ আপনি নিউজ রিলেটিভ একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে কিন্তু বিভিন্ন সংবাদ লেখালেখির মাধ্যমে গুগোল ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জন করতে পারেন । এছাড়ও অসংখ্য ক্যাটাগরি রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন তবে এটা জেনে নেবেন কাজ শুরু করার আগে । কোনগুলো গুগোল ব্লগার গাইডলাইনে রয়েছে সেইগুলোই শুধু লেখার চেষ্টা করবেন যেগুলো গুগোল ব্লগার গাইডলাইনের বাইরে যায় এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন বা নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলো নিয়ে কখনো লেখালেখি করবেন না আর যদি নিষিদ্ধ জিনিস গুলো নিয়ে লেখালেখি করেন কখনোই গুগোল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পাবেন না । আর যদি গুগোল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রভাল না পান কখনেই টাকা ইনকাম হবে করতে পারবেন না ।
গুগোল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রভ পেতে হলে কি করতে হবে ?
গুগল এডসেন্স ওয়েবসাইটের জন্য অনুমোদন পেতে হলে বা অ্যাপ্রভাল পেতে হলে । সবার প্রথমে যেটা আসবে সেটা হল কপি-পেস্ট । অন্যের ওয়েবসাইট থেকে কপি করে এনে সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটে পেস্ট করে দিতে পারবেন না । এরকমটা করলে কখনো গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল হবে না । এছাড়াও বেশকিছু আরো বিষয় রয়েছে যেমন সাইটম্যাপ অ্যাড করতে হবে ওয়েবসাইটের সাথে । গুগলে ইনডেক্স করতে হবে আর্টিকেলগুলো । তারপরে কিছু সেটিং রয়েছে যেগুলো ঠিক না করলে ওয়েবসাইট প্রফেশনাল মানের হবে না । আপনি যদি একজন ডেভেলপার না হয়ে থাকেন তাহলে বলব যে কোন একজন বিশ্বস্ত ফ্রিল্যান্সারদেরকে দিয়ে অথবা একজন ডেভলপারকে দিয়ে ওয়েবসাইট বানিয়ে নিয়ে শুধুমাত্র লেখালেখির উপর দক্ষতা অর্জন করে ইনকাম করুন । এটি হবে সবচাইতে সহজ ও নতুনদের জন্য সেরা পরামর্শ ।
নতুন নতুন কন্টেন কিভাবে পাব ?
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে এই ধরনের প্রশ্ন করা অনেকটা বোকামির সমান । কারণ এখন অনেক পত্রিকায় অনলাইন ভিত্তিক অলরেডি হয়ে গিয়েছে এবং অনলাইন ভিত্তিক নিউজপেপারে তো অভাব নেই । যেমন ধরুন প্রথম আলোতে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়েছে আপনাদের বুঝানোর জন্য জিনিসটা আমি উদাহরণস্বরূপ দেখাচ্ছি । মোবাইল রিভিউ নিয়ে বাজারে নতুন ওয়ালটন মোবাইল ডিজিটাল বাংলা 360 মডেল আসতে চলেছে । এখন আমাদের এই জিনিসটাকে ঘুরিয়ে লেখতে হবে অর্থাৎ ধরুন আমরা এভাবে করেও লিখতে পারি ডিজিটাল বাংলা নামে নতুন মডেলের মোবাইল ফোন আনতে চলেছে ওয়ালটন । আশা করি বিষয়টা বুঝতে পারছেন অর্থাৎ মডিফাই করে লিখতে হবে তাহলে বিষয়টা ইউনিক হয়ে যাবে । কখনো হুবাহুব একইভাবে লেখা যাবে না কিংবা কপি পেস্টত একেবারেই কড়া যাবে না ।
একটি ওয়েবসাইট এর ভিতরে কি সব কিছু নিয়ে লেখালেখি করতে পারব ?
এটা কখনও করা যাবে না বা করা ঠিক হবে না । এটা ঠিক যে আপনার ওয়েবসাইট আপনি যা খুশি তা করতে পারবেন । কিন্তু আপনি যদি একই ওয়েবসাইট এর ভিতরে সবকিছু নিয়ে লেখালেখি করেন তাহলে কখন ওয়েবসাইট রেঙ্ক করবে না । এই কারণে যারা বড় বড় প্রফেশনাল মানের ডেভলপার রয়েছেন তারা পরামর্শ দিয়ে থাকেন নিস নিয়ে কাজ করতে অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করতে । যদি টেকনোলজি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে শুধুমাত্র টেকনোলজি নিয়ে লেখালেখি করুন । আপনার কাছে যদি অনলাইন ইনকাম রিলেটিভ বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে তাহলে ওই কাজটি করুন । তবে আপনার যদি দক্ষতা বেশি থাকে তাহলে একাধিক ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে কাজ করতে পারেন এটা সম্পূর্ণ যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার ।
গুগোল ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে টাকা কিভাবে উঠাবো ?
ওয়েবসাইট বানানোর আগে যদি টাকা ইনকামের চিন্তা করেন তাহলে কখনই আপনি সফলতা পাবেন না । ভালোবেসে আগে কাজটি শুরু করতে হবে টাকাত অটোমেটিকলি ইনকাম হবে । যখন আপনার ওয়েবসাইটে 15 থেকে 20 টি ইউনিক আর্টিকেল লেখা হয়ে যাবে এবং অন্য অন্য কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে তখন গুগলের কাছে এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে হবে । সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দুই থেকে তিন দিনের ভিতরে অ্যাপ্রভাল হয়ে যাবে । যখন গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভ হয়ে যাবে এবং গুগোল অ্যাডসেন্সে যখন 10 ডলার ইনকাম হয়ে যাবে তখন আপনার ঠিকানা অনুযায়ী একটি পিন ভেরিফিকেশন চিঠি গুগোল এর পক্ষ থেকে পাঠাবে । যখনই পিন ভেরিফিকেশন কিংবা অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন করে ফেলবেন এরপর যখনই অ্যাডসেন্সে 100 ডলার কিংবা তার বেশি ইনকাম হবে তখনই প্রতি মাসের একুশ থেকে 22 তারিখের ভিতরে গুগল সরাসরি ব্যাংকে পাঠিয়ে দিবে অর্থাৎ গুগল এডসেন্স এর সাথে পরবর্তীতে আপনার ব্যাংক একাউন্ট এড করে দিতে হবে । এখানে বলে রাখা ভাল আগে আপনি চাইলে এডসেন্স এর সাথে ব্যাংক একাউন্ট এড করতে পারবেন না । যখন এডসেন্সে এ 10 ডলার কিংবা তারও বেশি হয়ে যাবে ঠিক তখনই ব্যাংক একাউন্ট এড করা যাবে ।
মাসে 300 ডলার থেকে 500 ডলার কিভাবে ইনকাম করবো ?
শুরুতে আসলে ও রকম ইনকাম করার স্বপ্ন টা দেখাও হবে বোকামি । যখন ওয়েবসাইটটির নতুন থাকবে তখন হয়তোবা প্রতিদিন 10 সেন্ট 50 সেন্ট 1 ডলার বা 2 ডলার করে ইনকাম হবে এর বেশি হবে না । যখন আপনার ওয়েবসাইটটির বয়স তিন থেকে চার মাস হয়ে যাবে তখন দেখবেন প্রতিদিন 5 ডলার 10 ডলার 15 ডলার 20 ডলার এরকম ইনকাম হতে থাকবে । এখানে বিষয়টা ভেঙ্গে বলা ভালো যত বেশি ওয়েবসাইট এর ভিতরে আর্টিকেল দেওয়া হবে এবং ওয়েবসাইটের বয়স যত বেশি হবে তত বেশি ইনকাম আস্তে আস্তে করে বাড়তে থাকবে । যেটা আপনাদের আমি দেখিয়েছি আমার এক দিনে $18 ডলারের উপরে ইনকাম হয়েছে । যেটা আপনারা নিচে স্ক্রিনশট আকারে দেখতে পাচ্ছেন ।
ওয়েবসাইট বানানোর জন্য ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার কোথায় পাবো ?
নিজে ওয়েব ডেভলপার হিসাবে কাজ করার ও ওয়েব ডেভলপার হায়ার করার জন্য অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেরকম আমরা সাধারণত যেগুলোকে চিনে থাকি ফ্রিল্যান্সার ডটকম, ফাইবার, আপওয়ার্কক, ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক বড় বড় মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখান থেকে বড় বড় ওয়েব ডেভলপার অথবা ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে কাজ করানো যায় । এখন কথা হচ্ছে আপনি যদি নতুন একজন অনলাইন জগতের মানুষ হয়ে থাকেন আপনার যদি এ বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞতা না থাকে । তাহলে আপনি কখনো এই বড় বড় মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে কাজ করিয়ে নিতে পারবেন না । এখন তো অনেকে হতাশ হয়ে পড়ছেন হয়তোবা কারণ এখন আপনারা কি করবেন ? এজন্য অনেক হিসাব-নিকাশ করার পরে আপনারা যারা নতুন অনলাইন থেকে ইনকাম করার কথা ভাবছেন বা যারা একবারে অভিজ্ঞতা ছাড়া মানুষ রয়েছেন । তাদের জন্য একটি ইসপিসিয়াল ব্যবস্থা করা হয়েছে অর্থাৎ আপনারা চাইলে আমার থেকে প্রফেশনাল মানের গুগোল ব্লগার ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারেন । এবং আপনারা শুধুমাত্র লেখালেখির অভিজ্ঞতা অর্জন করেই শুধু বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন । এই জন্য আমার এই সুব্যবস্থা বহন করা হয়েছে । কিভাবে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে অনলাইন থেকে সারা জীবন টাকা ইনকাম করবেন এ বিষয়ে আমাদের দ্বিতীয় আরেকটি ফ্রিল্যান্সার টিভি প্র চ্যানেল রয়েছে এখানে ক্লিক করে চ্যানেলটির ভিডিওগুলো দেখে নিতে পারেন বা সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন । এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে বা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য বিভিন্ন প্রশ্ন করার জন্য ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে পেইজে জয়েন করতে পারেন । আমি কিভাবে গুগোল ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করেছি এ নিয়ে একটি চমৎকার ভিডিও রয়েছেন চাইলে এখানে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন ।
ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝানো হয় ?
ফ্রিল্যান্সিং বলতে বোঝানো হয় মুক্ত পেশা অর্থাৎ চাকরি করলে অন্যের কথা মত চলতে হয় । সময়মতো অফিসে যেতে হয় তা না হলে চাকরি থাকে না । এজন্য ফ্রিল্যান্সিংকে বোঝানো হয় নিজের বস নিজেই অর্থাৎ কেউ কোনো কথা বলার নেই নিজের কাজ নিজেই স্বাধীনভাবে করা যায় । ইউটিউবিং ওয়েব ডেভলপার অ্যাপ ডেভলপার এই ধরনের কাজ গুলোকেই ফিলান্সিং বলা হয়ে থাকে ।
বাংলাদেশ থেকে কি এই কাজগুলো করতে পারব ?
আমরা হয়তোবা জিনিসটা ভুলে গেছি বাংলাদেশ কিন্তু আগের সেই বাংলাদেশ নেই এখন যে বাংলাদেশ এটা হল ডিজিটাল বাংলাদেশ । তাই বলবো যেহেতু এই কাজগুলো মোবাইল কম্পিউটার ও ল্যাপটপ এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাহায্যে করতে হয় । আর বাংলাদেশ যেহেতু ডিজিটাল হয়ে গেছে তাই এই কাজগুলো বাংলাদেশ থেকে করতে কোনো বাধা নেই ।
ফ্রিল্যান্সিং কি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ?
এইতো কিছুদিন আগের কথা যখন বাংলাদেশে 5 থেকে 6 লক্ষ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা শুরু করেছে তখন থেকেই ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে একটি দাবি ছিল ফ্রিল্যান্সারদেরকে বৈধ করা হোক । সেই দাবিটি বাংলাদেশ সরকার মেনেও নিয়েছেন শুধু তাই নয় বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড দিচ্ছেন যারা ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন তাদেরকে । যারা এক বছরে ন্যূনতম 1000 ডলার ইনকাম করেন তাদেরকে স্পেশিয়াল আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে শর্তসাপেক্ষে । যেটা আমি নিজেও বাংলাদেশ সরকার থেকে ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড পেয়েছি ।
0 মন্তব্যসমূহ