Green Card details in Bangla
ইউএসএ ( ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকা ) অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করার ইচ্ছা প্রায় প্রতিটা মানুষের ভিতরেই লক্ষ্য করা যায় । অনেকের কাছেই এই দেশটি স্বপ্নের দেশ বলে অভিহিত । উন্নত এবং স্বচ্ছল জীবনযাপন কাটানোর জন্য প্রায় প্রতিটা দেশ থেকে মানুষ এই দেশটিতে পাড়ি জমাতে চায় ।
( স্বপ্নের দেশ আমেরিকা )
গোটা পৃথিবীর মধ্যে উন্নত এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা একটি অন্যতম রাষ্ট্র । দেশটির নাগরিকদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্য রয়েছে উন্নত পদক্ষেপ । দেশটির ভেতরে থাকা নাগরিকদের জীবন যাত্রার মান , কর্মসংস্থান এবং ভরণপোষণের জন্য অন্যান্য দেশগুলো থেকে আমেরিকা কয়েকগুণ এগিয়ে । ( আমেরিকা যাওয়ার উপায় ২০২২ )
দেশটির আর্থিক এবং ভৌগোলিক অবস্থা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক উন্নত । পৃথিবীর ধনী দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা একটি অন্যতম বৃহত্তম দেশ । ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবী থেকে কোটি কোটি মানুষ আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার স্বপ্নে হাবুডুবু খাচ্ছে । (how to dv lottery bangla)
আরো পড়ুন: ফরসেজ থেকে ৯৯ লক্ষ টাকা প্লাস ইনকাম করার উপায়-Forsage এ কিভাবে কাজ শুরু করব?-Forsage Income Plan A to Z
আর্থিকভাবে সচ্ছলতা লাভ করার জন্য বিশ্বের প্রতিটা দেশের মানুষ এই দেশ টিকে একটি আলাদা মর্যাদায় চিনে থাকে । অপরদিকে আমেরিকার সরকারও চায় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের দেশে মানুষ আসুক ।উন্নত দেশগুলোর কথা উঠলেই তালিকার শীর্ষে আমরা আমেরিকাকে দেখতে পেয়ে যাবো । দুর্ভিক্ষ সহ প্রতিকূল অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা আমেরিকা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশকে সাহায্য করে থাকে । ( গরিব দেশগুলোর আমেরিকা কিভাবে সাহায্য করে থাকে )
এর থেকে আমরা বুঝতে পারি দেশটির আর্থিক অবস্থা অনেক সচল । কেবলমাত্র আর্থিক ব্যবস্থা নয় দেশটিতে রয়েছে একটি শিক্ষিত জনগোষ্ঠী । পৃথিবীতে বড় যে কোম্পানি গুলোর সাথে আমরা পরিচিত সেগুলোর মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ কোম্পানির উদ্ভাবক আমেরিকা । যেমন টেকনোলজির ক্ষেত্রে ধরা যাক ফেসবুক , টুইটার , গুগোল , মাইক্রোসফট , ইউটিউব , অ্যামাজন , পেপাল ইত্যাদি ইত্যাদি এছাড়াও আরো অনেক জনপ্রিয় সাইট রয়েছে । ( most popular social media platforms )
আমরা অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন প্লাটফর্ম দেখতে পারবো যেগুলোর চালিকাশক্তি আমেরিকার জনগোষ্ঠী । এখানে আপনি আর আমি যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কানেক্টেড হতে পেরেছি এটার পেছনে অবদান রয়েছে ইউএসএ অথবা আমেরিকার । সর্বপ্রথম ওয়েবসাইটের আবির্ভাব হয় আমেরিকার নাগরিক বিল গেটস এর হাত ধরে । বিল গেটসকে হয়তো অনেকেই চিনেন , না চিনলেও নাম শুনে থাকবেন অবশ্যই । এক সময় পৃথিবীর সেরা ধনী ছিলেন । ( আমেরিকার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির নাম )
বর্তমানে পৃথিবীর সেরা ধনীর তালিকায় যার নাম রয়েছে তিনি ও আমেরিকার নাগরিক । একটি মানুষের ভালোভাবে জীবন যাপনের জন্য মৌলিক অধিকারের প্রয়োজন যেমন । (Green Card USA)
১/ বাসস্থান
২ / শিক্ষা
৩ / খাদ্য
৪ / চিকিৎসা
৫ / বস্ত্র বা পোশাক
উপরে উল্লেখিত মৌলিক মানবাধিকার গুলো আমেরিকার নাগরিকগণ সবগুলো একসাথে খুব সহজেই পেয়ে যায় ।অন্যান্য দরিদ্র দেশগুলোর বেশিরভাগ নাগরিকরা একসাথে 5 টি মানব অধিকার পায় না । এখন আপনার কাছে আমেরিকা কিরকম দেশ বলে মনে হচ্ছে ? আর্টিকেল এর সামনের দিকে এগুলে আরো ভালোভাবে বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন । (DV lottery us)
আপনি যদি স্থায়ীভাবে আমেরিকার অধিবাসী হয়ে থাকতে পারেন তাহলে বিষয়টি কিন্তু আপনার কাছে অনেকটাই স্বপ্নের মতো লাগবে । যদিও স্বপ্নের দেশে বসবাস করার ইচ্ছা অনেকটা স্বপ্নের মতোই লাগে । যাইহোক এই কথাগুলোকে মাথায় রেখে আমেরিকার সরকার প্রতি বছর পৃথিবীজুড়ে লটারির আয়োজন করে থাকে । ( ডিভি লটারি ২০২৩ )
যা ডিবি লটারি নামে সকলের কাছে পরিচিত । লটারি বলতে আমরা ভাগ্যের পরীক্ষা বুঝে থাকি । ডিভি লটারির ক্ষেত্রে বিষয়টি ঠিক পরীক্ষার মতোই । আমেরিকার সরকারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ভিসার ব্যবস্থা চালু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের দেশে লোক নেওয়ার জন্য । ( আমেরিকা নাগরিকত্ব প্রদান )
আমেরিকা যাওয়ার অন্যান্য উপায়গুলোর মধ্যে ডিভি লটারি একটি অন্যতম ভিসা । প্রতিবছর আমরা দেখতে পাই ডিভি লটারির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মানুষ আমেরিকায় পাড়ি দেয় । (How to DV lottery apply)
আরো দেখুন: সকল অনলাইন ইনকাম সর্বশেষ খবর জানতে এখানে ক্লিক করে এই ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত চোখ রাখুন
ডিবি লটারি কি ?
আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈধভাবে আমেরিকা যাতায়াতের জন্য 185 ধরনের ভিসা চালু করে রেখেছে । 185 টি ভিসার মধ্য থেকে ডিবি লটারি ভিসাটি বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে । প্রতিবছর ডিবি ভিসার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে 55 হাজারেরও বেশি লোককে স্থায়ীভাবে নাগরিকত্ব প্রদান করে থাকে আমেরিকা দেশটি । ( what is dv lottery )
পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশের মানুষকে এই ভিসাটির মাধ্যমে আমেরিকা থাকার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমেরিকান সরকার এই ভিসাটি বাস্তবায়ন করেছে । যেহেতু আমেরিকা একটি উন্নয়নশীল যেহেতু এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করার কোন সুযোগ থাকছে না । অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে এই দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার আগ্রহ প্রতিটি দেশের প্রতিটি নাগরিকের মধ্যেই লক্ষ্য করা যায় । আর সেজন্যই আমেরিকান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিবি ভিসা চালু করেছে । ( american visa )
বহিরাগত দেশগুলোর ভিতরে আমেরিকায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সম্মেলন দেখা যায় । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা আমেরিকায় পাড়ি দিয়ে জাতিগত এক মহা সন্মেলনের সৃষ্টি করেছে । সচ্ছল জীবনযাপন এবং উন্নত কর্মসংস্থানের তাগিদে মানুষ আমেরিকার দিকেই ছুটে চলে । ( মানুষ আমেরিকায় কেন পাড়ি দিয়ে থাকে )
এখন এই পথ চলা অনেকটাই সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিবি লটারির মাধ্যমে । প্রতিবছরই আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিভি লটারির আয়োজন করে থাকে আর সেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে কোটি কোটি মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকে । এই কোটি কোটি মানুষ থেকে সবাই কিন্তু চাইলে আমেরিকা যেতে পারে না । ( কারা আমেরিকায় যেতে পারবে )
কেবলমাত্র ডিবি লটারির মাধ্যমে যারা বিজয়ী হবে তারাই আমেরিকা যেতে পারবে । ডিবি লটারিতে বিজয়ীদের ভিসা নেওয়ার সময় নির্ধারিত একটি ফি জমা দিতে হয় স্বপ্নের দেশ আমেরিকা যাওয়ার জন্য । (আমেরিকা যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগবে )
গ্রীন কার্ড কি ?
ইউএসএ অথবা আমেরিকা সিটিজেনশিপ এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস এর পক্ষ থেকে ইস্যু করা যায় গ্রীন কার্ড বা সবুজ কার্ড । আমরা অনেকেই গ্রীন কার্ড বা সবুজ কার্ডকে ফ্যামিলি ভিসা বলে থাকি । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবার সহকারে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য এই ভিসা প্রদান করা হয়েছে । ( আমেরিকার গ্রীন কার্ড )
শরণার্থী , আসাইল পরিবার , কর্মস্থান কিংবা স্থিতির জন্য গ্রিন কার্ড পাওয়ার বেশ কিছু উপায় রয়েছে । আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে 1987 সালে সর্বপ্রথম গ্রিনকার্ডের ভিসা চালু করে । প্রথমদিকে গ্রীন কার্ড বা সবুজ কার্ড ভিসাটির নাম ছিল এনপি 5 লটারি প্রোগ্রাম । ( গ্রীন কার্ড এর পূর্ব নাম কি )
প্রথম দিকে যখন গ্রীন কার্ড বা সবুজ কার্ড ভিসাটি চালু করেছিল আমেরিকান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন দুই বছরের জন্য বিশ্বের 36 টি দেশ থেকে পাঁচ হাজারের মত মানুষকে ভিসা দেওয়া হয়েছিল । এই ভিসাটি চালু করার কয়েক বছর পরেই ডিবি ভিসা চালু করার কারণে ভিসার সংখ্যা বাড়িয়ে 15 হাজারে নেওয়া হয়েছিল পরবর্তী বছরে এবং এরপর থেকে প্রতিবছরে এর সংখ্যা আস্তে আস্তে বেড়েই চলেছে । ( বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় )
ডিবি লটারি কেন চালু করা হয়েছিল ?
পৃথিবীর দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা হলো অধিবাসীর দেশ । কারণ এখানে রয়েছে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বসবাস । বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের মানুষ এখানে পাওয়া যাবে । পৃথিবীর বুকে আমেরিকার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরার জন্য ডিবি ভিসা চালু করা হয়েছে ।1987 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি রোনাল্ড ব্লেগন অবৈধভাবে বসবাস করা 2 মিলিয়ন মেক্সিকো বাসিকে স্থায়ীভাবে জায়গা দেওয়ার জন্য কার্ড পাশ করিয়ে ছিলেন । ( ডিভি লটারি কেন চালু করা হয়েছিল )
জাতিবর্ণ অথবা যুক্তরাষ্ট্রের বৈচিত্র্য নষ্ট হওয়ার কথা ভেবে মেক্সিকো বাসিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য গ্রিন কার্ড প্রদান করেছিলেন । 1987 সাল থেকেই গ্রীনলাইট কার্ডের পথযাত্রা শুরু হয়েছিল এখন পর্যন্ত তা বিদ্যমান । তৎকালীন সময়ের রাষ্ট্রপতি রোনাল ব্লেগন ডিবি ভিসার এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম 2 মিলিয়ন মেক্সিকো বাসিকে তাদের দেশে নাগরিকত্ব হিসেবে পরিচিতি প্রদান করেছিলেন । ( আমেরিকার নাগরিক হওয়ার উপায় )
ডিবি ভিসা দেওয়া আরো একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে নিজেদেরকে পৃথিবীর বুকে বৈচিত্র্যময় দেশ বলে পরিচিতি লাভ করা । আমরা সকলেই জানি আমেরিকা একটি বৈচিত্র সম্পন্ন দেশ । তাদের বৈচিত্রে আকর্ষণ হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ সেখানে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে নেয় । ( বৈচিত্র্যময় দেশ আমেরিকা )
অপরদিকে দেশটির আয়তন অনুসারে জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম । আর ঠিক সেই জনসংখ্যার ঘাটতি মেটানোর জন্য অন্য দেশ থেকে লোক নিয়ে নাগরিকত্ব প্রদান করে দেশের জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য ডিবি ভিসা চালু করা হয়েছে । (ভিসা কবে চালু করা হয়েছে)
প্রতিবছর ডিভি লটারির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ নিয়ে তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়ে নেয় দেশের সরকার কর্তৃপক্ষ । ডিবি ভিসার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোকজন আমেরিকা যাওয়ার মাধ্যমে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারে । ( ডিভি লটারির মাধ্যমে কিভাবে আমেরিকা যাওয়া যাবে )
ডিভি লটারি আবেদন
ডিভি লটারিতে আবেদন করার জন্য আপনাকে একটি যোগ্য দেশে জন্মগ্রহণ করতে হবে এবং তাদের দেওয়া নিয়মাবলী ও শর্ত সাপেক্ষে আবেদন করতে হবে । আবেদন অবশ্যই অনলাইনে করতে হবে তাদের ঠিকানায় । ( ডিভি লটারি আবেদন করার নিয়ম )
আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে অনলাইন ব্যবহার করতে হবে অনলাইন ব্যতীত অফলাইনে আবেদন করার কোন নিয়ম নেই । ডিভি লটারিতে আবেদন করার জন্য ইংরেজি সহ বাংলা ভাষাও দেওয়া থাকে । ( ডিভি লটারির ফরম পূরণ )
তবে যে বিষয়টি আমাদেরকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আবেদনের কার্যদিবস শুরু হতেই ফরম পূরণের কাজগুলো অনলাইনে সেরে ফেলা । অনলাইন থেকে আবেদন করার জন্য অনেকেই ভিড় জমাবে সেজন্য অনেক ক্ষেত্রে অনলাইনে মাঝেমধ্যে হোস্টিং এর সমস্যা দেখা দিতে পারে । ( DV lottery online form fill up system )
সেজন্য ফরম পূরণের কাজগুলো যতদ্রুত সম্ভব করে নেওয়া ভালো । ফরম ফিলাপের কাজটি পরবর্তী সময়ে আপডেট হতে পারে অথবা ফরম পূরণ করার ধরন বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । কিন্তু লটারির ফরম গুলোকে সব সময় অনলাইন থেকে পূরণ করা যাবে এই বিষয়টি চেঞ্জ হওয়ার সম্ভাবনা নেই । ( ডিভি লটারির জন্য ফরম পূরণ )
ডিভি লটারি আবেদন করার নিয়ম
ডিভি লটারিতে আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট খুঁজে বের করে নিতে হবে । ফরম পূরণের ক্ষেত্রে অবশ্যই আবেদনকারীর সঠিক তথ্য দিতে হবে । আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফরম পূরণের জন্য যখন যেভাবে রিকমেন্ট করবে সেই রিকমেন্ট অনুযায়ী ফরম পূরণ করতে হবে । অতঃপর সেখানে নিম্নলিখিত তথ্যসূত্র অনুযায়ী ফরম পূরণ করতে হবে । ( ডিভি লটারিতে কি কি পূরণ করতে হবে )
১/ আবেদনকারীর সম্পূর্ণ নাম
২/ জন্ম ডেট বা বার্থডে ডেট
৩ / জাতীয়তা
৪/ বর্তমান ঠিকানা
৫ / আবেদনকারীর ছবি
৬/ মোবাইল নাম্বার
৭ / ইমেইল ঠিকানা
৮ / আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা
৯ / বিবাহিত অথবা অবিবাহিত
১০/ সন্তানসন্ততির সংখ্যা
এছাড়াও বিভিন্ন সময় আপডেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যতিক্রমী তথ্য দিতে হতে পারে । যেগুলোকে ফরম পূরণ করতে হবে । এগুলো ছাড়াও আরো অন্যান্য সত্য থাকতে পারে সেগুলো আপনার সঠিক তথ্য অনুসারে পূরণ করতে হবে । ( ডিবি লটারি ২০২৩ আবেদন ফরম )
ডিভি লটারির ফরম পূরণ করার জন্য কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে । একজন আবেদনকারী সর্বোচ্চ একবারই আবেদন করার সুযোগ পাবে । আবেদন করার নিয়ম সম্পূর্ণ হলে একটি কনফারমেশন নাম্বারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে আবেদনকারীর পুরো নাম এবং জন্ম সাল । সেটা হতে পারে ফোন নাম্বার অথবা ইমেইল ঠিকানায় । ( Bangladesh DV lottery )
ডিভি লটারি পেলে কি হয় ?
ডিভি লটারিতে অংশগ্রহণ করার মূল কারণ হলো আমেরিকায় স্থায়ীভবে বসবাস করা । ডিভি লটারির মাধ্যমে আপনি যখন আমেরিকায় চলে যাবেন তখন আপনাকে ঐ দেশ থেকে নাগরিকতা প্রদান করা হবে । নাগরিকতা অর্জন করার পর আপনি গ্রীন কার্ড বানিয়ে আপনার পরিবারকেও আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা বানাতে পারবেন । ( ডিভি লটারি পাওয়ার পর কি করতে হয় )
পৃথিবীতে আরও উন্নয়নশীল অনেক দেশ রয়েছে কিন্তু মানুষ আমেরিকাকে কেন স্বপ্নের দেশ মনে করে ? তার মূল কারণ হলো পৃথিবীর ধনী দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকার অবস্থান সবার প্রথমে । অনলাইন থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য আমরা যখন পেমেন্ট মেথড গুলো খুঁজে বেড়াই তখন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আমরা ইউএসডি মেথড দেখতে পেয়ে যাই । ( USD method for withdrawing money )
আরো পড়ুন: ফ্রিতে গুগল ওয়েবসাইট বানিয়ে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত দেখুন
অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলো পেমেন্ট দেওয়ার জন্য ইউএসডি মেথড সাপোর্ট করে । এর থেকে আমরা বুঝতে পারি কেবল অফলাইন নয় অনলাইন
জগতেও আমেরিকার অবস্থান অনেক উপরে । আর এই জন্য আর্থিক সচ্ছলতা এবং আধুনিক জীবনযাপনের জন্য মানুষ ডিভি লটারিতে অংশগ্রহণ করে আমেরিকা যাওয়ার জন্য । ডিভি লটারিতে আপনি যখন বিজয়ী হবেন আপনি কিন্তু ঠিক সেইম সুযোগগুলো পেয়ে যাবেন । ( অনলাইন থেকে ডিভি লটারির ফরম পূরণ )
যেকোন দেশ থেকে কি গ্রীন কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে ?
কোন কোন দেশ থেকে গ্রীন কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে এটা মূলত আমেরিকার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে । তারা যখন যে দেশ নির্বাচন করে থাকে ডিভি লটারিতে অংশগ্রহণ করানোর জন্য সে দেশের নাগরিকগণ গ্রীন কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারে ।
( গ্রীন কার্ড আবেদন )
তবে এই সিদ্ধান্ত সারা জীবনের জন্য নয় প্রতিবছর আমেরিকার সরকার তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে থাকে । পূর্বে যে দেশ গুলোকে ডিভি লটারির সুযোগ দেওয়া হয়েছিল পরবর্তী সময় আমেরিকার সরকার সেই দেশটিকে ডিবি লটারির সুযোগ নাও দিতে পারে । তবে এটা জোর দিয়ে বলার সুযোগ নেই । আবার পূর্বে যে দেশগুলোকে ডিভি লটারি দেওয়া হয়নি আগামী বছরগুলোতে তাদেরকে আমেরিকার সরকার ডিভির লটারীর আওতায় রাখতেও পারে । ( বাংলাদেশ ডিভি লটারি 2023 )
যেমনটা বাংলাদেশের কথা বলতে গেলে পূর্বের ডিভি লটারির আওতায় বাংলাদেশকে রাখলেও এখন বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ রেখেছে আমেরিকান সরকার । বাংলাদেশের মতো আরো অনেক দেশ রয়েছে এই তালিকায় । তবে এটি স্থায়ী ভাবে বন্ধ করা হয়নি আগামীতে যে কোন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার চাইলেই চালু করতে পারে । ( ডিভি লটারি 2023 যোগ্য দেশ )
আরো পড়ুন ই পাসপোর্ট সম্পর্কে এ টু জে
তবে কখন চালু করবে এটা শুধু তাদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে । অতীতে আমেরিকার সরকার যে দেশগুলোকে ডিভি লটারির এপ্লাই করার জন্য সুযোগ দেয়নি এখনকার সময় দেশগুলোকে বেশি সুযোগ দিতেছে । অর্থাৎ তারা চায় কম হোক বেশি হোক পৃথিবীর প্রায় সব দেশ থেকেই লোক নিতে । ( নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য আমেরিকার অবদান )
এজন্য কখন কোন দেশ তারা ডিভি লটারি জন্য নির্বাচন করবে এটা তাদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে । আপনার দেশটি কখন ডিবি লটারি এর জন্য নির্বাচিত হবে এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয় শুধু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা ছাড়া । ( বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে লটারির মাধ্যমে যাওয়া যায় )
ডিভি লটারি কি? ডিভি লটারি কিভাবে পাওয়া যায়? বিস্তারিত জানতে হলে এখানে ক্লিক করে দেখে নিন ।
1 মন্তব্যসমূহ
সুন্দর ও দরকারি একটি পোস্ট
উত্তরমুছুন