এমন প্রশ্ন টা হয়তোবা করা যেতেই পারে কারন অতীতে এরকম কোন সিস্টেম ছিল না তেমন একটা মানুষ শখের বসে ফেসবুকে লেখালেখি করত কিংবা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের ভাব প্রকাশ করার জন্য লেখালেখি করে থাকতো এটি যেখানেই সীমাবদ্ধ ছিল আর যারা লেখক ছিলেন তারা বিভিন্ন বই লেখালেখি করে অর্থোপার্জন করেছেন সেটা কিন্তু অফলাইনে ছিল ।
তবে এবার সময় বদলেছে এখন যে কেউ চাইলে অনলাইনে লেখালেখি করে ইনকাম করতে পারে অনেক পারসন রয়েছে আমি নিজেও কিন্তু অনলাইনে লেখালেখি করে অনেক টাকা ইনকাম করে থাকি প্রতিমাসে যাইহোক এখন কথা হচ্ছে আপনার ভিতরে যদি কোন প্রতিভা থেকে থাকে সেটা যেকোন বিষয় হতে পারে তবে সমাজের ক্ষতি করে এরকম সকল বিষয়গুলো অবশ্যই বাদ দিতে হবে ।
সমাজের কল্যাণ আসে এরকম যেকোন বিষয় হতে পারে যে বিষয়ে আপনার দক্ষতা রয়েছে সেই বিষয় নিয়ে আপনি লেখালেখি করে অনলাইনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন এই কথাটি শুনে অনেকে হয়তো বা মনে করতেছেন যে নিশ্চয়ই আমাদেরকে ওয়েবসাইট বানানোর কথা বলবে ? জি না বন্ধুরা আপনাদের এখানে কোন ওয়েবসাইট বানানোর প্রয়োজন নেই ।
ব্লগিং ওয়েবসাইট বানিয়ে অনেকে টাকা ইনকাম করতে চান মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ দিয়ে সেটা অনেকেরই জানা তবে এবার তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে সেটির পরিবর্তন ঘটেছে অনেকটা এখন চাইলে ব্লগিং শুরু করতে কোন প্রকার ওয়েবসাইটের প্রয়োজন নেই, আমরা জানি যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে আমাদেরকে ডোমেইন-হোষ্টিং টেমপ্লেট কিনতে হয় তারপরে নিজের যদি নলেজ থাকে সেটাকে ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করার জন্য ব্যবহার করতে হয় আর যদি নিজের কোনো দক্ষতা না থাকে তাহলে যেকোনো ডেভলপারকে দিয়ে কাজটি করিয়ে নিতে হয় ।
ডেভলপাররা তো আর ফ্রি তে কাজ করবে না তাদের রয়েছে সার্ভিস চার্জ সেটি আবার বেশিরভাগ মানুষেরই দেওয়ার ক্ষমতা থাকেনা অর্থাৎ বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু অর্থ ব্যয় করে একটি প্রফেশনাল মানের ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে না যদিও গুগল ব্লগার এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট ফ্রিতে ক্রিয়েট করা যায় তবে সে ক্ষেত্রেও রয়েছে অনেক বাধ্যবাধকতা যেগুলো জেনে বুঝে কাজ করে এগিয়ে যাওয়া টা বেশিরভাগ মানুষের পক্ষেই সম্ভব হয় না ।
পৃথিবীজুড়ে অনেক মানুষ রয়েছেন যারা ওয়েবসাইট বানিয়ে নয় লেখালেখি করে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে তারা স্বাধীনভাবে কিছু টাকা উপার্জন করতে চায় এরকম মানুষের সংখ্যা অনেক রয়েছে হ্যাঁ বন্ধুরা শুধু অল্প কিছু টাকা নয় কোন প্রকার ডোমেইন-হোস্টিং টেমপ্লেট না কিনে কিংবা ওয়েবসাইট না বানিয়ে ব্লগিং করে প্রতি মাসে হাজার হাজার কিংবা লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে আছে অনেকে যেটা আপনাদের আজকের আর্টিকেলে আমি প্রমান সহ দেখাবো ।
যারা একেবারে নতুন রয়েছেন তারাও কিন্তু এই প্লাটফর্ম টি ব্যবহার করে হিউজ পরিমান টাকা উপার্জন করতে পারবেন এখানে কোন প্রকার ইনভেস্ট করতে হবে না এখানে সম্পূর্ণ ফ্রি একাউন্ট খুলে ফ্রী তে কাজ করার সুবিধা রয়েছে এই প্লাটফর্মে নতুন ব্লগারদের কথা মাথায় রেখে কিংবা প্রফেশনাল ব্লগার যারা রয়েছেন তাদের কথা মাথায় রেখে এই ব্লগ ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে যার নাম দেওয়া হয়েছে স্টিমিট ব্লগিং সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ।
আজকে আমরা এ বিষয়ে জানব স্টিমিট কি? স্টিমিট এ কিভাবে কাজ করতে হয়? স্টিমিটে কিভাবে ইনকামক হয়ে থাকে? স্টিমিট থেকে কিভাবে পেমেন্ট নিতে হয়? অর্থাৎ স্টিমিট ব্লগিং প্লাটফর্ম নিয়ে এটুজেড আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে যেটি আপনারা আর্টিকেল এর সামনের দিকে বাড়লেই দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ ।
স্টিমিট ব্লগিং কি?
স্টিমিট প্লাটফরমটি হচ্ছে মূলত একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তবে এটি ফেসবুক সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া গুলো থেকে একেবারে আলাদা স্টিমেদ চালু হয় 24 শে মার্চ 2016 সালে এটি পরিচালিত হয়ে আসছে ইউকে থেকে অর্থাৎ লন্ডন শহর থেকে ।
স্টিমেট সোশ্যাল মিডিয়া হলেও এখানে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মত কাজ হয় না এখানে সাধারণ কোনো পোস্ট করলে কোন প্রকার ইনকাম হয় না এখানে শুধুমাত্র যারা ইউনিক আর্টিকেল লিখতে পারবে তাদেরকেই ইনকাম দিয়ে থাকে এই কোম্পানি সহজ বাংলায় বলতে গেলে এখানে কোন কপিরাইট করে কাজ করলে কোন প্রকার সফলতা পাওয়ার সুযোগ নেই ।
আমরা যদি কোন ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে যদি কোন ব্লগিং আর্টিকেল লিখি আর সেগুলো যদি ইউনিক না হয় তাহলে কিন্তু কখনই গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করা হয় না অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি সবসময় গুগলে ডাউন করে রাখা হয় আর যাদের আর্টিকেলগুলো ইউনিক হয়ে থাকে তারা একটা না একটা সময় তাদের আর্টিকেলগুলো ঠিকই গুগোল রেঙ্ক চলে আসে এবং ইনকাম হয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ।
যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ফেসবুক কিন্তু একটি সোশ্যাল মিডিয়া সেটা অনেকেই জানেন আবার টুইটার একটি সোশ্যাল মিডিয়া সেটি অনেকে জানেন ফেসবুকে একটি পোস্ট করতে গেলে হিউজ পরিমান এর ক্যারেক্টার দিয়ে আর্টিকেল লেখা যায় কিংবা ডেসক্রিপশন লেখা যায় ব্লগিং করার ক্ষেত্রে কিংবা পোস্ট করার ক্ষেত্রে তবে টুইটারে 140 ক্যারেক্টারের বেশি কিন্তু লেখা যায় না এই জন্য টুইটারকে মাইক্রোব্লগ সোশ্যাল মিডিয়া বলা হয়ে থাকে ।
ঠিক ওরকমই এস্টিমেট সোশ্যাল মিডিয়া হলেও এখানে পোস্টগুলো করতে হবে ঠিক ব্লগিং এর মত অর্থাৎ ব্লগিং ওয়েবসাইট এ যেভাবে করে পোস্ট করা হয় ঠিক ওভাবে করে এখানে পোস্ট করতে হবে অর্থাৎ আপনাকে একটি ইউনিক টাইটেল দিতে হবে ইউনিক দেস্ক্রিপশন দিতে হবে যেটা ব্লগিং বলে থাকি আমরা অর্থাৎ যে বিষয় আপনার দক্ষতা রয়েছে সে বিষয়গুলো বিস্তারিত তুলে ধরে পোস্টগুলোকে লেখতে হবে এরপর একটি ইউনিক ইমেজ বা ছবি দিতে হবে এখন অনেকে বলতে পারেন ছবি কিভাবে পাব গুগোল থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে ডাউনলোড করার পরে সেটি কে এডিট করে দিতে হবে সরাসরি আপলোড করা যাবেনা এইভাবে করে আমাদেরকে এস্টিমেট প্লাটফর্মে কাজ করতে হবে যেমনটা আমরা গুগোল ব্লগারে কিংবা ওয়াডপ্রেস ব্লগার ওয়েবসাইট খুলে করে থাকি ঠিক ওই কাজটি করে অর্থ উপার্জন করা যাবে এই স্টিমেট ব্লগিং প্লাটফর্মে ।
স্টিমিটে বাড়তি সুবিধা হচ্ছে এখানে কোন প্রকার ইনভেস্ট করার প্রয়োজন নেই এখানে কোনো রকম ডোমেইন-হোষ্টিং টেমপ্লেট কিনার কোনো প্রয়োজন নেই সম্পূর্ণ ফ্রীতে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নেওয়া যায় সেই ফ্রী একাউন্টিকে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যদি ভ্যালুয়েবল করা যায় তাহলে এখান থেকে ইনকাম করা যায় হিউজ পরিমাণে টাকা ।
স্টিমিটে যদি আপনি কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে আপনাকে যে বিষয়টি সবার আগে গুরুত্ব সহকারে জানতে হবে সেটি হলো ইস্টিমেট একাউন্ট খোলার পরে 25 পয়েন্ট অর্থাৎ 25 রেপুটেশন পাওয়ার দেওয়া হবে এই রেপুটেশন পাওয়ার যত বেশি অফ হবে ততই কিন্তু ইনকাম বাড়বে অর্থাৎ আপনি প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি ইউনিক পোস্ট করতে পারবেন সেই পোস্টগুলোতে যত বেশি পাবলিক লাইক দিবে কমেন্ট করবে শেয়ার করবে তত বেশি আপনার ইনকাম হবে এবং আপনার রেপুটেশন পয়েন্ট বাড়তে থাকবে ।
আর যদি আপনি একাউন্ট খোলার পরে কপি পেস্ট করে পোস্ট করেন j25 রেপুটেশন পাওয়ার পাবেন সেটি কমে যাবে যখন আপনি কপি পেস্ট করে কোন আর্টিকেল পোস্ট করবেন তখন আপনার রেপুটেশন পাওয়া অটোমেটিক আস্তে আস্তে করে ডাউন হয়ে যাবে এবং আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় চার পাঁচটার বেশি প্রতিদিন যদি পোস্ট করেন তাহলেও কিন্তু আপনার রেপুটেশন পয়েন্ট কমে যাবে প্রতিটা পোস্ট এক ঘন্টা পর পর কিংবা দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর প্রতিদিন সর্বোচ্চ 5টা ইউনিক পোস্ট করাটাই হলো সবচাইতে উত্তম অন্যথায় কিন্তু হিতে বিপরীত হবে ।
এই কারণেই ইস্টিমেট এ এ্সে অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যান কারন অনেকেই মনে করেন এটা ফেসবুক কিংবা টুইটারে মতনই একটি প্লাটফরম যেকোনোভাবে এখানে পোস্ট করলেই হবে ইনকাম এই ধারণাটি যারা করেন তারা কিন্তু এই প্ল্যাটফর্মে সফল হতে পারেন না স্টিমিট প্লাটফর্মে সফল হতে হলে অবশ্যই এস্টিমেট এর গাইডলাইন গুলো সম্পূর্ণরূপে ফলো করতে হবে অন্যথায় এখানে সফল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই ।
অর্থাৎ সহজ ভাবে যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিলে এস্টিমেট এ সফল হওয়া সম্ভব সেটি হল অবশ্যই ইউনিক পোস্ট করতে হবে কিংবা ইউনিক আর্টিকেল লিখে পোস্ট করতে হবে তাহলেই স্টিমিট থেকে ইনকাম পাওয়া সম্ভব হবে অন্যথায় কিন্তু এখানে কাজ করে কোন লাভ হবে না শুধু শুধু সময় নষ্ট হবে ।
স্টিমেট থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে হয়?
স্টিমেট থেকে কিভাবে অর্থ উপার্জন হয় সেটার অনেকটা ধারণা উপরের দিকে দেওয়া হয়েছে তারপরও এখন আপনাদেরকে বিস্তারিত স্ক্রিনশট আকারে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে । প্রথমে নিচের স্ক্রিনশটটি লক্ষ করুন ।
উপরের দিকে দেওয়া স্ক্রিনশট টিতে আপনারা দেখতে পারতেছেন 4 ঘণ্টা আগে একটি বাংলা পোস্ট করেছেন একজন পারসন সেটি থেকে 305 ডলার অলরেডি ইনকাম হয়ে গিয়েছে এখানে যার যার দেশ অনুযায়ী মাতৃভাষা অনুযায়ী পোস্ট করা যায় তবে বেশি ইনকাম পাওয়া যায় ইংলিশ ভার্সনে লেখালেখি করলে ।
একবার ভেবে দেখুন একটি মানুষ যদি চার থেকে পাঁচ ঘন্টা সময় অতিক্রম করেসে সেই পোস্টে যদি 300 ডলারের উপরে ইনকাম হয় তাহলে সেটি এক সপ্তাহ পর কত ডলার ইনকাম হতে পারে? এটা আপনাদের হিসাবের উপরে ছেড়ে দেওয়া হলো ।
এভাবে করে মূলত ইস্টিমেট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে হয় এখানে বাড়তি কোনো কাজ করার প্রয়োজন নেই শুধু বুঝেশুনে একটি সময়োপযোগী ইউনিক আর্টিকেল তৈরি করতে পারলেই হয়ে থাকে এখান থেকে অর্থ উপার্জন ।
তবে হ্যাঁ ফেসবুকের মত এখানে বেশি বেশি লাইক কমেন্ট শেয়ার করতে যাবেন না প্রতিদিন 4 থেকে 5 টার বেশি লাইক কমেন্ট শেয়ার করা যাবে না বেশি বেশি এই কাজগুলো করলে আপনার একাউন্টে যে রেপেটিশন পাওয়ার রয়েছে সেটিকে এই প্লাটফর্মের কপক্ষ অটোমেটিকলি কমিয়ে দিবে এজন্য বেশি মাত্রায় লাইক কমেন্ট শেয়ার অন্যকে বেশি মাত্রায় করতে যাবেন না ।
শুরুর দিকে আমি যে কথাটি বলেছিলাম যে যত বেশি রেপেটিশন পাওয়ার বাড়বে তত বেশি ইনকাম হবে এই যে স্ক্রিনশটটি আপনাদেরকে দিয়েছি এই লোকটি এক থেকে দেড় বছর হবে তার প্রোফাইল এর বয়স তার রেপুটেশন পাওয়ার 78 তো বুঝতেই পারতেছেন তার রেপুটেশন পাওয়ারের কারণে কিন্তু সে ইনকাম টা অনেক বেশি পেয়েছে এভাবেই করে আমাদেরকে কৌশল খাটিয়ে এখান থেকে উপার্জন করতে হবে ।
আপনারা যদি steemit . com লিখে গুগলে সার্চ করে ওয়েবসাইট এর ভিতরে প্রবেশ করেন তাহলে প্রথমে আপনারা দেখতে পাবেন হোমপেজে হাজার হাজার মানুষ পোস্ট করে রেখেছেন এবং সেই পোষ্টের নিচে আপনারা দেখতে পাবেন ডলার আইকন রয়েছে সেখানে তাদের ইনকাম গুলো জমে রয়েছে যার যার রেপুটেশন পাওয়ার অনুযায়ী ।
যখন স্টিমিট প্লাটফর্মে সঠিক নিয়মে গাইডলাইন মেনে ইউনিক পোস্টগুলো করা হয় আর সেই পোস্ট গুলোতে যখন লাইক কমেন্ট শেয়ার চলে আসে তখন অটোমেটিকলি ডলার ইনকাম হতে থাকে তবে যদি ইউনিক পোস্ট না করা হয় কোন রকমের কপি পেস্ট করা পোস্ট করা হয় তাহলে পাথমিক দিকে ইনকাম দেখা গেলেও পরবর্তীতে ইস্টিমেট কতৃপক্ষ ডলারগুলো কেটে নিয়ে যায় যেটা আপনাদের প্রথমেই বলেছি এখানে দুই নাম্বারি করে কাজ করলে কোন রকমের ইনকাম করার সুযোগ নেই ।
আর হ্যাঁ আরেকটি কথা না বললেই নয় আপনারা স্ক্রিনশটে দেখতে পেয়েছেন 305 ডলার কিন্তু এটা অর্জিনাল ডলার হিসেবে হবে 610 ডলার এখন হয়তো অনেকে হয়তোবা চিন্তায় পড়ে গেছেন ? এর সহজ মানেটা হচ্ছে স্টিমিট এর এক ডলার সমান সমান ইউএসএ'র 2 ডলার সমান আর যদি আপনি এক ডলার সমান সমান বাংলাদেশি টাকায় যদি 85 টাকা রেট অনুযায়ী ধরেন তাহলে এই 610 ডলার কত টাকা চলে আসে সেটা একবার ক্যালকুলেট করে দেখুন ।
কি এখনো দেখেন নাই তো তাহলে হিসাবটি আমি বলে দিচ্ছি এখানে 40 হাজার টাকার উপরে চলে আসে তো বুঝতেই পারতেছেন মাত্র চার ঘণ্টা সময় দিয়ে যদি স্টিম স্টিমিটের থেকে 40 হাজার টাকার বেশি ইনকাম করা যায় তাহলে এখানে কাজ করাটা কতটা প্রয়োজন সেটা হয়তো বা আপনারা বিবেক খাটালেই বুঝতে পারবেন তবে এখানে কাজ করা আর না করা সম্পূর্ণ যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার ।
এখন হয়তোবা অনেকেই আল্লাহ দিলে বুঝতে পেরেছেন স্টিমিট কি স্টিমিট এ কিভাবে কাজ করতে হয় কিভাবে টাকা ইনকাম হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো ।
স্টিমিট থেকে কিভাবে পেমেন্ট নিব?
স্টিমিট এ কাজ করে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য কোনো রকমের টেনশন করার কিছু নেই কারণ এটি একটি রিয়েল অনলাইন ইনকাম প্লাটফর্ম যেমনটা রয়েছে-গুগল কিংবা ফেসবুক ইত্যাদি প্রথম সারির অনলাইন ইনকাম প্লাটফর্ম গুলো ঠিক ওরকমই স্টিমিট সততা রেখে তারা তাদের গ্রাহকদের পেমেন্ট সঠিক সময় করে থাকে ।
তবে একটি বিষয় সবার জানা জরুরি যদি আপনি এখানে কাজ করতে চান এস্টিমেট প্লাটফর্ম থেকে সরাসরি কোনো রকম ভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়া যায় না কিংবা মাস্টার কার্ড অথবা ভিসা কার্ড এই ধরনের কোন কারেন্সির মাধ্যমে এই প্লাটফর্ম থেকে পেমেন্ট নেওয়ার কোন অসুবিধা নেই তবে তাদের নিজস্ব ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে এই কোম্পানি পেমেন্ট করে থাকে ।
স্টিমিটের রয়েছে নিজস্ব কয়েন যার নাম হচ্ছে এস্টিমেট ডলার ক্রিপ্টোকারেন্সি এর মাধ্যমেই তারা পেমেন্ট গুলো করে থাকে তবে সম্প্রতি তারা আরেকটি ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাড করেছে যেটার নাম হচ্ছে Trx এইটা কিন্তু বেস্ট পপুলার অর্জন করেছে এই ডিজিটাল কয়েন এর মাধ্যমে তারা পেমেন্ট করে থাকে এই দুই ধরনের কয়েন এর মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়ার পরে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সহযোগিতা নিয়ে সে গুলোকে ভাঙ্গিয়ে পরবর্তীতে লোকাল কারেন্সি অনুযায়ী টাকা তে কনভার্ট করে নিয়ে নেওয়া যায় ।
স্টিমিট প্লাটফর্ম এ কিভাবে একাউন্ট খুলবো?
এই প্লাটফর্মে একাউন্ট খুলতে হলে তেমন একটা কষ্ট করার প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলেই খোলা যাবে একাউন্ট যেমন প্রথমে একটি একটিভ ইমেইল আইডি লাগবে দ্বিতীয়তঃ একটি একটিভ মোবাইল নাম্বার লাগবে তৃতীয়তঃ একটি ইউনিক ইউজার নাম লাগবে এই তিনটা মাধ্যম থাকলে স্টিমিট একাউন্ট খোলা যায় ।
এখন হয়তো বা অনেকে আবার ভাবতেছেন তাহলে পাসওয়ার্ড কে দিবে আসলে স্টিমিট প্লাটফর্মে একাউন্ট খুলতে গেলে নিজে নিজে পাসওয়ার্ড দেওয়ার কোন অপশন নেই একাউন্ট খোলার পরে ইমেইলে তারা পাসওয়ার্ডটি শঙ্কিত ভাবে পাঠিয়ে দিয়ে থাকে যদিও পরবর্তী সময়ে ইউজারনেম, ই-মেইল, ফোন নাম্বার এগুলো আর পরিবর্তন করা যায় না ।
তবে যে পাসওয়ার্ডটি এই প্লাটফর্ম কর্তৃপক্ষ থেকে দেওয়া হবে একাউন্ট খোলার সময় সেটি পরবর্তী সময় বদলানো যাবে এতে কোন সমস্যা নেই তবে আপনি যদি এই প্লাটফর্মে কাজ করতে চান অবশ্যই আপনাকে এই প্ল্যাটফর্মের ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষিত রাখতে হবে সবসময় অন্যথায় পরবর্তী সময় স্টিমিট প্লাটফর্মে আর প্রবেশ করতে পারবেন না ।
আর একটি কথা অবশ্যই কখনই এড়িয়ে যাবেন না সেটা হল একই মোবাইল দিয়ে কিংবা একই ল্যাপটপ দিয়ে একাধিক অ্যাকাউন্ট কখোনই চালাবেন না যদি আপনি একই ডিভাইস দিয়ে মাল্টিপল অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেন সেক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্টের সমস্যা হতে পারে ।
কিভাবে Steemit প্লাটফর্মে একাউন্ট খুলতে হয়? কিভাবে Steemit তে কাজ করতে হয়? কিভাবে Steemit প্লাটফর্মে ইনকাম করতে হয়? কিভাবে Steemit থেকে পেমেন্ট নিতে হয়? এ বিষয়ে সুন্দর একটি ভিডিও ইউটিউব চ্যানেলে রয়েছে আপনারা চাইলে এখানে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন এবং পরবর্তী আর্টিকেলে আমরা জানাবো কিভাবে এখানে একাউন্ট খুলতে হয় ।
সম্মানিত বন্ধুরা আপনারা যদি Steemit প্লাটফর্মে আমার ফ্রেন্ড হতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করে ইস্টিমেট প্লাটফর্মে আমার বন্ধু হিসেবে জয়েন করতে পারেন ।
আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন সে অনুযায়ী আমরা রিচার্জ করে পরবর্তী আর্টিকেলটি লেখার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ ।
সর্বশেষ কিছু কথা আপনারা জেনে খুশি হবেন ডিজিটাল বাংলা 360 ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক চ্যানেলে steemit নিয়ে এটুজেড ভিডিওগুলো step-by-step দেওয়া হবে এজন্য আমাদের সাথে সবসময় আপনারা চাইলে থাকতে পারেন আমরা চাই সবসময় সবাই যে কোন দেশ থেকে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করুন ।
0 মন্তব্যসমূহ