How to satoshi app withdraw
2008 সালে পরীক্ষামুলকভাবে বিটকয়েন তার প্রোজেক্টের মাইনিং অপশনটি উন্মুক্ত করে দেন কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার কারীদের জন্য এরপর 2009 সালের দিকে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যক্রম শুরু করার যোগ্যতা অর্জন করে অর্থাৎ বিটকয়েন 2009 সাল থেকে মার্কেটিং শুরু করতে পেরেছিল এই খবরটি হয়তো অনেকেই জানেন। (Bitcoin launching country date)
শুধু তাই না 2010 সালের দিকে বিটকয়েনের এক কর্মকর্তা 10000 বিটকয়েন দিয়ে দুটি পিজ্জা কিনে খেয়েছিলেন বিষয়টি আশ্চর্যজনক হলেও এটি কিন্তু সত্য এরপর 2011 সালে একটি বিটকয়েন এর প্রাইস চলে আসে $0.30 করে এরপর 2011 সালের শেষের দিকে বিটকয়েনের দাম চলে আসে 31 ডলারের উপরে এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আস্তে আস্তে করে প্রতি বছরই বিটকয়েনের দাম বেড়েছে সর্বশেষ 2022 সালে বিটকয়েনের দাম ওঠে 50 হাজার ডলার পর্যন্ত একটি বিট কয়েনের দাম যেটি বাংলা টাকা কনভার্ট করলে চলে আসে প্রায় 46 থেকে 47 লক্ষ টাকা।
যারা ওই সময় বুঝে হোক কিংবা না বুঝে হোক বিটকয়েন কে ফ্রিতে মাইনিং করে রেখেছিলেন 2008 সালের দিকে বুঝতে পারতাছেন যাদের ধৈর্য শীল পরবর্তী সময়ে তারা কিন্তু কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছিলেন সম্পূর্ণ ফ্রিতে কথায় বলে সুযোগ বারবার আসেনা সময় ও নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না।
কে জানতো আবার সেই একই রকম অফার এখন আবার নতুন করে পৃথিবীর মাঝে আসবে কি সেই বিষয়টি হয়তোবা বুঝতে পারেননি তাইতো? সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন তাহলে ঠিকই বুঝতে পারবেন ইনশাআল্লাহ বিটকয়েন তাদের নতুন আরেকটি প্রজেক্ট লঞ্চ করতে যাচ্ছে যার নাম দেওয়া হয়েছে সাতোশি বিটকয়েন অর্থাৎ বিটিসিএস সংক্ষিপ্ত নাম।
আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব বিটকয়েনের নতুন প্রজেক্ট বিটিসিএস থেকে কিভাবে টাকা পেমেন্ট নিব অথবা নতুন বন্ধুরা এখানে কিভাবে একাউন্ট খুলবেন বা কাজ করবেন এ টু জেড বিষয়গুলো আজকের এই আর্টিকেলে তুলে ধরা হলো, তথ্যগুলো নেওয়া হয়েছে উকিপিডিয়া সহ গুগল থেকে।
বিটকয়েন সাতোশি অ্যাপ এ একাউন্ট খুলে ফ্রিতে মাইনিং করে নিন বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করণ।
বিটকয়েন কি?
নতুন বন্ধুরা এরকম প্রশ্ন করবেন এটা কিন্তু স্বাভাবিক একটা বিষয় ইতিপূর্বে বেশিরভাগ মানুষই জানেন বিটকয়েন কি তবে নতুন বন্ধুদের জন্য কিছু বিষয় জানিয়ে দেই বিটকয়েন হচ্ছে একটি ডিজিটাল কারেন্সি অথবা ক্রিপ্টোকারেন্সি যে নামেই ডাকা হোক না কেন পৃথিবীতে ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে সর্বপ্রথম এসেছে বিটকয়েন অর্থাৎ এটি একটি ভার্চুয়াল আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করা যায় কিন্তু বিটকয়েন হাতে ধরা ছোঁয়া যায় না এটি 2008 সালে জাপানের এক বিজ্ঞানী সাতোশি নাকামোতো নামে এক ব্যক্তি উৎপাদন করেছিলেন আল্লায় দিলে।
যদিও এটি তৈরি করার কয়েক বছর পর্যন্ত তেমন একটা কোনো মূল্য ছিল না পরবর্তী সময়ে 2011 সালের পর থেকে দাম বাড়তে শুরু করে বিটকয়েন এখন মাদার কয়েন হিসেবে অনলাইনে দুনিয়ায় রাজত্ব করতেছে এখন প্রতিটি বিটকয়েনের দাম সবসময়ই 40 হাজার ডলারের উপরে বা নিচে থাকে।
বিটকয়েন আবিষ্কারের বিষয়টি উঠে আসে মূলত ধনী-গরিবের ব্যবধান কে কমিয়ে আনার উদ্দেশ্যে অর্থাৎ আমরা যদি পেপাল কিংবা বিকাশ অথবা পেটিএম এর মাধ্যমে যদি 100 টাকা রাখি তাহলে সেখানে ওই পরিমাণ টাকা সারা জীবন থাকে কিংবা থাকবে কিন্তু বিটকয়েনের বেলায় অথবা ডিজিটাল কারেন্সির ক্ষেত্রে এমনটা হয় না এই ডিজিটাল কারেন্সি গুলো প্রতি মুহূর্তে মুহূর্তে দাম উঠানামা করে যদি একবার কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি দাম উপরের দিকে উঠে যায় আর যদি সেই ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলো কারো কাছে থাকে তাহলে বুঝতে পারতাছেন সেই লোক কিন্তু সোনায় সোহাগা।
যদিও এই ক্রিপ্টোকারেন্সি এগুলোর জনপ্রিয়তা দেখে এখন পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে সরকারিভাবে ডিজিটাল কারেন্সি গুলোকে লাইসেন্স প্রদান করেছে।
ডিজিটাল ওয়ালেট এর মাধ্যমে মোবাইল কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাবে অনলাইন ব্যবহার করে এই ডিজিটাল কারেন্সিগুলো লেনদেন করা যায়।
সাতোশি বিটিসিএস কি?
অপরদিকে যেমনটা পড়ে এসেছেন অর্থাৎ বিটকয়েন যেভাবে ব্যবহার করা হয় ঠিক ওভাবে করে কিন্তু সাতোশি বিটিসিএস এই কয়েন গুলো ব্যবহার করা হবে তবে বিট কয়েনের মতো সাতোশি বিটিসিএস কয়েন গুলোর ভ্যালু কিংবা দাম এতটা হবে না কারণ এই কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই কয়েন গুলোকে ইথিরিয়াম দামের সমান তারা দাম ভ্যালু step-by-step কাজ করে এটি কে বানাবে এবং এই কয়েন গুলোর কার্যক্রম ইথিরিয়ম এর মত লেনদেনের সিস্টেম হবে।
এখন অনেকে বলতে পারেন ইথিরিয়াম কয়েনের একটির দাম কত? বর্তমানে একটি ইথেরিয়াম কয়েনের মূল্য দুই থেকে তিন হাজার কিংবা তিন থেকে চার হাজার ডলারের ভিতর সব সময় আপডাউন করে থাকে তাহলে বুঝতে পেরেছেন এতক্ষণে হয়তো বা এই নতুন বিটকয়েনের নিজস্ব প্রজেক্ট বিটিসিএস এর কয়েন গুলোর কেমন বেলু হতে পারে?।
এই কোম্পানিটির যাত্রা শুরু হয়েছিল বিটিসিএস এর ফ্রিতে মাইনিং করার অপশনটি আজ থেকে আরও দুই থেকে তিন বছর আগে তবে তখন মাইনিং করা যেত শুধু ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে এখন কোম্পানি মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে 2022 সালের 12 ডিসেম্বর পর্যন্ত এটিকে ফ্রিতে মাইনিং করা যাবে।
তবে আপনারা জেনে খুশি হবেন যে এই কয়েনটি 2022 সালের মাঝামাঝি সময় থেকে লেনদেন করা যাবে অর্থাৎ জুন মাসের 9 তারিখে এটি লঞ্চ করার কথা রয়েছে অর্থাৎ এটির টেস্ট নেট শুরু হয়ে গেছে অর্থাৎ পরীক্ষামুলকভাবে এটির কার্যক্রম অলরেডি চলছে তবে এটির মূল কার্যক্রম জুন মাস থেকে মেন নেট চালু হবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
যখনই সাতোশি বিটিসিএস কয়েন গুলোর মেন নেট চালু হয়ে যাবে তখন থেকেই কিন্তু এটি লেনদেন করতে পারবো আমরা সবাই এবং এটির দাম তখন যত হবে ওই হিসাব করে কিন্তু আমাদের কেনাবেচা করতে হবে তবে এই কয়েনটির এখন $1000 ডলারের উপরে আপডাউন করতেছে টেস্ট নেটে, হয়তোবা মেন নেটে এটির মূল্য আস্তে আস্তে করে ৩-৪ হাজার ডলারের উপরে চলে যেতে পারে তখন একবার ভাবুন আপনার কাছে যদি দশটি কয়েন থাকে ফ্রিতে ইনকাম করা তাহলে আপনার কি পরিমান লাভ হতে পারে?
যেহেতু এটা বিটকয়েনের নিজস্ব প্রজেক্ট সেহেতু এখান থেকে পেমেন্ট পেতে আমাদের কোনো রকমের সমস্যা হবেনা আমরা বলতে পারি আল্লায় দিলে এখান থেকে 100% গ্যারান্টি রয়েছে পেমেন্ট পাওয়ার কারণ বিটকয়েন আজ পর্যন্ত কারো সাথে প্রতারণা করেনি তো বুঝতেই পারতেছেন বিটিসিএস এটিও কিন্তু কারো সাথে প্রতারণা করবে না এমনটা কিন্তু আশা রাখা যেতে পারে।
যখনই এই কয়েনটি পেমেন্ট অপশন চালু করে দেওয়া হবে তখন কিন্তু আমরা চাইলে বাইনাচ কয়েনবেস সহ পৃথিবীর বড় বড় এক্সচেঞ্জ ওয়ালেট গুলোর মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবো এ বিষয়ে যদি আপনাদের কোন মতামত থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
0 মন্তব্যসমূহ