রসুন এবং দুধ আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ?
সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থতা হলো সৃষ্টিকর্তার দেওয়া সবচেয়ে বড় একটি নিয়ামত। আমরা জানি সুস্বাস্থ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু পবিত্র কোরআন শরীফ এর মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে সবচেয়ে বরকতময় খাদ্য হচ্ছে দুধ। আর এই বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তোমাদেরকে যখন দেওয়া হবে তখন তোমরা সেটাকে পান করবে এবং পান করার সময় বলবে , হে আল্লাহ তুমি আমাদের এই দুধের মাধ্যমে বরকত দান করো এবং আমাদেরকে আরো বেশি বেশি দুধ দান করো কারণ দুধের চেয়ে উত্তম কোন খাদ্য নেই। আর এই বিষয়ে আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদেরকে যখন তিনটি জিনিস দেওয়া হবে তখন তোমরা সেই তিনটি জিনিসকে কখনোই ফিরিয়ে দিবে না আর তিনটি জিনিস হলো বালিশ, সুগন্ধিযুক্ত কোন কিছু এবং দুধ। তাহলে আমরা বুঝতে পারছি দুধ কতটা বরকতময় খাদ্য। সবচেয়ে বেশি প্রোটিনযুক্ত এবং সুস্বাদু খাবার হচ্ছে দুধ। গৃহপালিত পশুর রক্ত এবং গোশত থেকে আলাদা করে সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য বিশুদ্ধ দুধ পান করার সুযোগ করে দিয়েছে সুবহানাল্লাহ। খাদ্যের যে ছয়টি উপাদান রয়েছে সে ছয়টি উপাদান আমরা দুধের মধ্যেই পেয়ে যাই আর এটা কিন্তু বিজ্ঞান কর্তৃক প্রমাণিত। রসুন এবং দুধ আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন সে বিষয়টি আপনাদের মাঝে আলোচনা করা যাক। রসুন এবং দুধ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের জন্য যে উপকারিতা সেটা জানলে আপনারা অনেকটাই অবাক হয়ে যেতে পারেন। রসুন এবং দুধ একসাথে খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায় এবং আমাদের শরীরে যে ব্যাকটেরিয়া গুলো থাকে সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়াও আমাদের মধ্যে অনেকেরই কিন্তু অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য রসুন এবং দুধ খাদ্যগুলো অনেকটা কার্যকরী ফলাফল এনে দিবে ইনশাআল্লাহ। রসুন এবং দুধ একসাথে খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের ভিতরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আবার অনেকেই রয়েছে যারা অনিদ্রায় ভোগে অর্থাৎ সময়মতো ঘুম আসে না , তাদের জন্য এই খাবারগুলো অনেকটা কার্যকারী পদক্ষেপ আনতে পারবে এবং আপনারা ঠিক সময়মতো ঘুম আসতে পারবেন ইনশাল্লাহ। এছাড়া ও ঠান্ডা কাশি উপসমের পাশাপাশি আমাদের প্রজনন ক্ষমতা কিন্তু অনেকটাই বেড়ে যাবে। এছাড়াও রসুন এবং দুধ সময়মতো খাওয়ার ফলে আপনাদের মুখের ব্রণ কমে যাবে। আর এই সমস্যাগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে যেগুলো আমরা এই খাবারগুলোর মাধ্যমে সমাধান করতে পারব ইনশাআল্লাহ। ( দুধ ও রসুন মিশিয়ে খেলে কি হয় ? )
রসুন এবং দুধ কিভাবে পান করবো ?
এবার আমাদের অনেকেরই মনে একটু প্রশ্ন আসতে পারে রসুন এবং দুধ আমরা কিভাবে খাব বিশেষ করে এই সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য। স্বাভাবিকভাবে আমরা যেভাবে দুধ জাল দেই ঠিক একই ভাবে আমরা এখানেও দুধ জাল দিব কিন্তু এক্ষেত্রে আপনারা নির্দিষ্ট পরিমাণ রসুন ব্লেন্ডারের মাধ্যমে ছোট ছোট করে দুধের মধ্যে দিয়ে দুধ জাল দিতে হবে। আর আপনারা যদি এভাবে সপ্তাহে তিন দিন রসুন এবং দুধ একসাথে জাল দিয়ে পান করেন তাহলে আপনারা উল্লেখিত সমস্যা গুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে পাবেন। আর যদি আপনারা সপ্তাহে প্রতিদিন খেতে পারেন তাহলে কিন্তু আরো ভালো হয়। সপ্তাহে যদি তিন দিন নিয়মিতভাবে রসুন এবং দুধ একসাথে পান করতে পারেন তাহলে আপনারা নিউমোনিয়া থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পারবেন সুবহানাল্লাহ। সঠিকভাবে আপনারা যদি রসুন এবং দুধ একসাথে পান করতে পারেন তাহলে আপনাদেরকে সৃষ্টিকর্তা অনেক ধরনের রোগ থেকে হেফাজত করবে ইনশাআল্লাহ। ( রসুন এবং দুধ পান করার নিয়ম )
সুস্বাস্থ্যের জন্য রসুন এবং দুধ
আমরা সকলেই চাই সুস্বাস্থ্যের সাথে জীবন যাপন করতে। সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের জীবনে দুধের কোন বিকল্প নেই। আমাদের ব্রেইন এবং শরীরকে চাঙ্গা করার জন্য নিয়মিতভাবে দুধ পান করতে হবে। এছাড়াও আমরা অনেকেই জানি রসুন একটি ঔষধি খাদ্য। আমাদের দেহের রক্ত পরিষ্কার করার জন্য অনেকেই নিয়মিতভাবে রসুন খেয়ে থাকে। তো সুস্বাস্থ্য অর্জনের জন্য রসুন এবং দুধের গুরুত্ব আমাদের জীবনে অপরিসীম। এছাড়াও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এরশাদ করেছেন যে ব্যক্তি সকালে মধু পান করে তাকে সারাদিন রোগ সম্পর্কে ভাবতে হয় না। সৃষ্টিকর্তা আমাদের নিয়ামত হিসেবে বেশ কিছু খাদ্য আমাদেরকে হালাল করে দিয়েছে যেগুলোর মধ্যে রসুন এবং দুধ অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন। আর এক্ষেত্রে রসুন ও দুধ পান করার পর অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করতে হবে আমাদেরকে। আর এই খাদ্যগুলো পান করার ফলে আমরা কিন্তু বড় বড় ধরনের রোগ বালাই থেকে রক্ষা পাবো ইনশাল্লাহ। সুস্বাস্থ্য অর্জনের জন্য আপনাদের কি কি প্রশ্ন রয়েছে সেটা কমেন্ট বক্সে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং পরবর্তীতে আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা হবে ইনশাআল্লাহ। ( মধু ও রসুন এর উপকারিতা )
0 মন্তব্যসমূহ