ভয়েস চেঞ্জ কেন করা হয়ে থাকে ?
আপনি যদি কাউকে কল করেন এবং তার সাথে কথা বলেন তাহলে কিন্তু সেখানে আপনার কণ্ঠস্বর তার কাছে পৌঁছাবে এবং তার কণ্ঠস্বর আবার আপনার কাছে পৌঁছাবে, এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এমনটা করলে কেমন হয় যে আপনি যার সাথে কথা বলছেন তার কাছে আপনার কণ্ঠস্বরটি পরিবর্তন করতে পারলে। এখন আপনাদের মনে কিন্তু একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আর সেটি হচ্ছে এটা কি আসলেই করা যায়? হ্যাঁ আপনি চাইলে সেটা করতে পারবেন। আপনার কণ্ঠস্বরটি মেয়ে কন্ঠের সাথে মিল রেখে তার কাছে পৌঁছাতে পারবেন এতে করে সে কিন্তু আপনাকে চিনতে পারবে না। আর এমন করে আপনারা আপনাদের ফ্রেন্ড বা বন্ধুদের সাথে মজা করতে পারবেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই কিন্তু আবার ইতিমধ্যে এই মজাটি অনেকের সাথেই নিয়েছেন। কৃত্রিম উপায়ে আপনার ভয়েস নকল করে আপনি যে কারো সাথে ভয়েস পাল্টিয়ে
কথা বলতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে সে কিন্তু আপনাকে চিনতেই পারবে না। এটা
কিন্তু মূলত চমকে যাওয়ার মত একটি ঘটনা। এক্ষেত্রে আপনি অনেকটা চমকে যাবেন এবং যার সাথে এই মজাটি নিবেন সেও কিন্তু অনেকটা চমকে যাবে। ( ছেলে হয়ে মেয়ের কন্ঠে কথা বলার apps )
ভয়েস চেঞ্জ করার প্রভাব কেমন হতে পারে ?
কিছু কিছু টেকনিক রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনারা লাভবান হতে পারবেন আবার এর সাথে সাথে মজাও নিতে পারবেন। কিন্তু এর মধ্যে বেশ কিছু টেকনিক রয়েছে যেগুলোর অসৎ ব্যবহারের কারণে আপনারা বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আমরা বিভিন্ন সময় পত্রিকায় বা কোন নিউজ এর হেডলাইনে দেখতে পেয়ে যাই কেউ কোন মেয়ের সাথে পাঁচ মাস , সাত মাস বা আরো বেশি কথা বলার পর পরবর্তীতে দেখতে পেয়ে যায় সে আসলে একজন ছেলে। এমন ঘটনা কিন্তু আমরা প্রায় সময় দেখে থাকি। ভয়েস চেঞ্জ করে অর্থাৎ বিভিন্ন ছেলেরা রয়েছে যারা মেয়ে ভয়েস তৈরি করে বিভিন্ন ছেলেদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে নেয় এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকদেরকে হ্যারেজমেন্ট এর শিকার হতে হয়ে থাকে এই ভয়েস চেঞ্জের মাধ্যমে। আর ঠিক তখনই কিন্তু যে এই অন্যায়টি করে থাকে তাকে কিন্তু আইনানোক সাজা দেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে দেখা যায় আপনি যদি ভয়েস চেঞ্জ করে অসৎ কার্যকলাপের সাথে
যুক্ত হন তাহলে কিন্তু একটা সময় আপনাকেও বিভিন্ন ধরনের সাজা গ্রহণ করতে
হতে পারে এবং আপনি যার সাথে এই কাজটি করেছেন তাকেও কিন্তু অনেকটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তো এই কাজটি করার জন্য অবশ্যই আপনারা আগে একটু ভেবেচিন্তে নিবেন। কাউকে কোনরুপ হয়রানি এবং মিথ্যার ফাঁদে ফেলে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করা রাষ্ট্রবিরোধী একটি কর্মকাণ্ড। আর যদি আপনি সেটা মজার মধ্যে রাখেন যেমন আপনার ফ্রেন্ডদের সাথে মজা করলেন তাহলে সেটা আলাদা বিষয় কিন্তু অযৌক্তিক কাজ করে সকলকে হয়রানি করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ( ভয়েস চেঞ্জ করে কথা বলার নেগেটিভ প্রভাব )
ভয়েস চেঞ্জ করার উপায় ও কৌশল
আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটির মাধ্যমে আপনারা যে টেকনিকটি ব্যবহার করে ভয়েস চেঞ্জ করে অন্যের সাথে মজা করতে পারবেন সে টেকনিকটি কিভাবে আপনার স্মার্টফোনে কাজে লাগাবেন সেটা নিচে আলোচনা করা হলো। এখানে খুবই মনোযোগ সহকারে কাজগুলো করবেন তা না হলে কিন্তু কাজটিতে সফলতা লাভ করতে পারবেন না। আর আপনাদের বুঝানোর সুবিধার্থে টেকনিক গুলোকে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো। ( কল ভয়েস চেঞ্জ অ্যাপস )
১/ প্রথমেই একটি অ্যাপ্লিকেশনের প্রয়োজন হবে আর এটিকে প্লে স্টোরে খুঁজে পাওয়া যাবে না, এজন্য সিলেক্ট করতে হবে Chrome ব্রাউজার।
২/ Chrome ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ বারে টাইপ করতে হবে Magic Call আর এটা টাইপ করার পর অ্যাপ্লিকেশনটিকে পাওয়া যাবে সেখান থেকে সিম্পলি এপ্লিকেশনটিকে ইন্সটল করে নিতে হবে।
৩/ এজন্য একটু সচেতন থাকতে হবে তার কারণ হলো এপ্লিকেশনটিকে ডাউনলোড করার পর অ্যাপ্লিকেশন টিকে কিন্তু খুঁজে নাও যেতে পারে এজন্য যে ব্রাউজার থেকে অ্যাপ্লিকেশনটিকে ডাউনলোড দেওয়া হয়েছিল সেখানে ডাউনলোড অপশনে গিয়ে এপ্লিকেশনটিকে পাওয়া যাবে ।
৪/ অ্যাপ্লিকেশনটিকে ইন্সটল করার পর এটিকে ওপেন করে নিতে হবে। ওপেন করার পর পারমিশন চাইবে সেখানে জাস্ট এলাও অপশনে ক্লিক করে পারমিশন দিয়ে দিতে হবে।
৫/ পারমিশন দেওয়ার পর একটি নাম্বার দিতে হবে আর এখানে অবশ্যই মনে রাখতে হবে এখানে কিন্তু বাংলাদেশের নাম্বার দিয়ে অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করা যাবে না। এজন্য ইউনাইটেড স্টেট বা একটি বিদেশি নাম্বার এর সহযোগিতা নিতে হবে আর এজন্য আবার মনে করা হতে পারে ইউনাইটেড স্টেট বা বিদেশি নাম্বার আবার কিভাবে পাব ? নো টেনশন সেটাও প্লেস্টোর থেকে খুব সহজেই নেওয়া যাবে।
৬/ এজন্য প্লে স্টোরে গিয়ে রিসিভ এসএমএস নাম্বার লিখে সার্চ করতে হবে। তাহলে কিন্তু অ্যাপ্লিকেশনটি পাওয়া যাবে এবং সেটিকে ইন্সটল করে ওপেন করে নিতে হবে। এপ্লিকেশনটি ওপেন করার পর এখানে অনেকগুলো নাম্বার দেখতে পাওয়া যাবে সেখান থেকে যার যার পছন্দমত একটি নাম্বার কপি করে নিতে হবে।
৭ / এখান থেকে কপি করে যে নাম্বারটি নেওয়া হবে সেটা Magic Call এপ্লিকেশনে দিতে হবে এবং সেখানে কান্ট্রি Select করতে হবে ইউনাইটেড স্টেট। বাস এবার একটি ভেরিফিকেশন কোড দেবে আর সেটি সংগ্রহ করার জন্য যেখান থেকে নাম্বারটি কপি করা হয়েছিলো সেখানে চলে যেতে হবে এবং সেখানেই ভেরিফিকেশন কোড দেওয়া হবে। সেখান থেকে সংগ্রহ করে ম্যাজিক কল অ্যাপ্লিকেশনে পেস্ট করে দিতে হবে।( ইমুতে কন্ঠ চেঞ্জ করার সফটওয়্যার )
৮ / এবার অ্যাপ্লিকেশনটির ভেতরে ঢুকে যার যার পছন্দমত ভয়েসটি সিলেক্ট করতে হবে। আর একটি কথা মনে রাখা প্রয়োজন এখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে ভয়েস গুলোকে বেছে নিতে হবে আর সেখানে রিচার্জ করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ডেবিড কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন হবে।
আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন এবং এখানে আপনারা আপনাদের ব্যক্তিগত মতামত অনুযায়ী টাকা খরচ করে ভয়েস এক্সচেঞ্জ করে নিতে পারবেন। এখানে আবেগপ্রবণ হয়ে কিছু করা যাবে না। যাইহোক বিষয়টি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে আমাদেরকে জানাতে কিন্তু ভুলবেন না, আর সেজন্য কমেন্ট বক্সে আমাদেরকে একটি কমেন্ট করতে পারেন। আর্টিকেলটি মূলত আপনাদেরকে সচেতন করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। যাতে করে অন্য কেউ আপনাদেরকে ভয়েস চেঞ্জ করে বোকা না বানাতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ