পাসওয়ার্ড ছাড়া ফ্রিতে ওয়াইফাই ব্যবহার করার সুবিধাগুলো
বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ভিত্তিক কাজকর্ম করার জন্য আমাদেরকে এমবি বা মেগাবাইটের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনি যদি একটি ৫০ জিবি বা এর কাছাকাছি কোন অফার পারচেজ করতে যান তাহলে কিন্তু আপনাদেরকে প্রায় ৫০০ টাকা বা আরো বেশি খরচ করতে হয়। কিন্তু আপনি যদি ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকেন সেটাতে কিন্তু আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হবেনা। এছাড়াও আরো একটু সুবিধা হল ধরুন আপনি কোথাও গেছেন কিন্তু আপনার স্মার্টফোনটিতে এমবি শেষ হয়ে গেছে আর এই সময়ে আপনাদেরকে একটি ফাইল বা যেকোনো মুভি নাটক ইত্যাদি নামানোর প্রয়োজন হলো সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনারা ওয়াইফাই ব্যবহার করে সে কাজগুলো করতে পারবেন। আবার দেখা গেল আপনার স্মার্টফোনটি ফোরজি বা ফাইভজি নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ নয় সে ক্ষেত্রে আপনারা বিভিন্ন মুভি, নাটক, সিনেমা ইত্যাদি নামানোর ক্ষেত্রে ভালো মানের স্পিড কিন্তু পাবেন না। কিন্তু আপনি যদি wi-fi ব্যবহার করে সেগুলো ডাউনলোড করেন তাহলে কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যে সেগুলোকে ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা ওয়াইফাই ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ফেসিলিটি গ্রহণ করতে পারবেন। ( ওয়াইফাই কানেকশন এর সুবিধা )
ফ্রিতে ওয়াইফাই ব্যবহারের অসুবিধা
পাবলিক ওয়াইফাই বা ফ্রিতে ওয়াইফাই ব্যবহারের ফলে আপনার স্মার্টফোনটির এক্সেস পয়েন্ট হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে। যেমন সেটা হতে পারে আপনার ইমেইল একাউন্ট, মোবাইল নাম্বার, ব্যাংক একাউন্ট ইত্যাদি ইত্যাদি হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে। পাবলিক ওয়াইফাই বলতে যে ওয়াইফাই গুলো ব্যবহারের সময় পাসওয়ার্ড এর প্রয়োজন হয় না এবং যে ওয়াইফাই রাউটারগুলোতে পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে সেগুলোতে হ্যাকারদের অনেকটা লক্ষ্য থাকে। তার কারণ হলো সেখানে পাসওয়ার্ড থাকে না এবং হ্যাকাররা খুব সহজেই প্রবেশ করে স্মার্টফোনগুলোর যাবতীয় তথ্য নিয়ে যেতে পারে আর এক্ষেত্রে আপনি কিন্তু বিপদের মুখে পড়তে পারেন। আর এমনটা কিন্তু আমরা বিভিন্ন সময় দেখতে পেয়েছি। ফ্রিতে ওয়াইফাই ব্যবহার করার ফলে আপনার যাবতীয় গোপনীয় তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যে সকল রাউটার গুলোতে কাস্টম ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড না দেওয়া থাকে সে ওয়াইফাই ব্যবহার করা খুবই বিপদজনক। আর সেজন্য ফ্রিতে ওয়াইফাই ব্যবহার করার আগে আপনাদেরকে যথেষ্ট পরিমাণ সচেতন থাকতে হবে। এছাড়াও আরও একটি বড় ধরনের সমস্যা হল আপনার স্মার্ট ফোনে ভাইরাসের আক্রমণও হতে পারে। তবে আপনাদের স্মার্টফোনে যদি পার্সোনাল বা ব্যবসায়ীক সংক্রান্ত কোনো ডাটা বা তথ্য না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনারা নিজ দায়িত্বে ফ্রিতে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারেন। ( ওয়াইফাই ব্যবহারের অসুবিধা গুলো কি কি ? )
ফ্রিতে ওয়াইফাই ব্যবহার করার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে ?
ধরুন আপনার বন্ধুর একটি ওয়াইফাই রয়েছে আর সে তার পাসওয়ার্ড আপনাকে দেয়নি কিন্তু কানেক্ট করে দিয়েছে। তো আপনি কিন্তু সেই পাসওয়ার্ডটি জানেন না কিন্তু তার ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের একটি স্মার্টফোন আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারবে ? আর সেটা কিভাবে পারবে সে টেকনিকটাই কিন্তু আজকের রিভিউ এর মাধ্যমে আপনাদেরকে শিখিয়ে দিব। পাসওয়ার্ড ছাড়া কারো ওয়াইফাই ব্যবহার করা যাবে এমনটা অনেকেই শোনেননি। আর আজকে আপনাদেরকে যে টেকনিকটা শিখিয়ে দিব সেটা জানার পরে অবশ্যই অন্য একটি কানেক্ট থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে আপনি কানেক্ট করে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারবেন এক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড এর কোন প্রয়োজন হবে না। টেকনিকটি জানার এক বিশাল আগ্রহ ইতিমধ্যেই আপনাদের মনে জেগেছে। তো দেরি না করে টেকনিকটি আপনাদের সকলের মাঝে শেয়ার করে ফেলা যাক। ( পাসওয়ার্ড ছাড়া ওয়াইফাই চালানোর কৌশল )
ধরুন আপনার বন্ধু আলাল তার একটি ওয়াইফাই রয়েছে, তার ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড আপনি জানেন না। কিন্তু আপনার বন্ধু আলাল আপনার স্মার্টফোনে সেই পাসওয়ার্ডটি দিয়ে ওয়াইফাই কানেক্ট করে দিয়েছে। এখন আপনার বন্ধু কামাল সেই ওয়াইফাইটি চালানোর জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছে কিন্তু আপনি তো ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড জানেন না তখন আপনি তাকে কিভাবে কানেক্ট করিয়ে দিবেন ? এক্ষেত্রে আপনাদেরকে যেটি অবলম্বন করতে হবে সেটি পয়েন্ট আকারে উপস্থাপন করা হলো এবং সেগুলোকে মনোযোগ সহকারে জেনে নিন তা না হলে কিন্তু ওয়াইফাই কানেক্ট করতে পারবেন না পাসওয়ার্ড ছাড়া। ( ব্লুটুথ এর মাধ্যমে কিভাবে ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড বের করা যায় )
১/ আপনার স্মার্টফোনে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড সেভ করা রয়েছে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার স্মার্টফোনটিকে সর্বপ্রথম কাজে লাগাবেন।
২ / আপনার স্মার্টফোনটির সেটিংস নামক অপশনে চলে যাবেন।
৩/ সেটিংস অপশনে যাওয়ার পর সেখানে দেখতে পেয়ে যাবেন কানেকশন এন্ড শেয়ারিং নামক অপশন। সেখানে একটা ক্লিক করলেই আমাদের সামনে চলে আসবে ব্লুটুথ টেথারিং নামক অপশন।
৪/ এখন সবার স্মার্টফোনের সেটিংস কিন্তু এক নয়। আপনারা যদি এই রুলস ব্যবহার করে ব্লুটুথ টেথারিং নামক অপশন খুঁজে না পান সেক্ষেত্রে সেটিংসে গিয়ে ব্লুটুথ টেথারিং নামটি লিখে সার্চ করলেও পেয়ে যাবেন।
৫/ ব্লুটুথ টেথারিং নামক অপশনটি খুঁজে পাওয়ার পর আপনার স্মার্টফোন থেকে আপনি সেটিকে অন করে দিবেন । বাস আপনার ফোনের সকল কাজ শেষ।
৬/ এবার আপনার বন্ধু কামাল যে ওয়াইফাই ব্যবহার করবে আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে তার স্মার্টফোন থেকে ব্লুটুথ চালু করে নরমালে যেভাবে ব্লুটুথ কানেক্ট করা হয়ে থাকে সেভাবে আপনার স্মার্টফোনের সাথে কানেক্ট করে নিবেন। ব্লুটুথ কানেক্ট করার পরে আপনার বন্ধু কামালের স্মার্টফোন থেকে ব্লুটুথ এর উপর চাপ দিলে সেখানে একটি সেটিংস নামক অপশন দেখতে পাওয়া যাবে। সেই সেটিংস এর উপর ক্লিক করলেই দুইটি অপশন চালু হবে একটি হচ্ছে ইন্টারনেট এক্সেস এবং অন্যটি হলো নেটওয়ার্ক কানেকশন। এই দুটি অপশন পেয়ে যাওয়ার পর রাইট চিহ্ন দিয়ে ওকে অপশনে ক্লিক করুন। এরপরে কিন্তু আপনারা ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারবেন আর এক্ষেত্রে আপনাদেরকে কোন পাসওয়ার্ড প্রয়োজন হবে না। আর ঠিক এইভাবে আপনি কিন্তু যেকোনো wi-fi ব্যবহার করতে পারবেন সম্পূর্ণ পাসওয়ার্ড ছাড়া ব্লুটুথ এর মাধ্যমে। ( ব্লুটুথ এর মাধ্যমে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড বের করার উপায় )
আশা করি বিষয়টি আপনাদের অনেকটা উপকারে আসবে এবং এই টেকনিকটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সে বিষয়ের উপর আপনাদের মতামত আমাদেরকে একটি কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এতে করে আমরা জানতে পারবো আমাদের এই টেকনিক কাজে লাগিয়ে কারা কারা লাভবান হয়েছেন। এছাড়াও ওয়াইফাই সংক্রান্ত আগামীতে আপনারা কি ধরনের তথ্য পেতে চান সেটাও কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন আমাদেরকে।
0 মন্তব্যসমূহ