Join Our Telegram channel! name='keywords'/> হুন্ডি ব্যবসা কি?-হুন্ডি ব্যবসা কেন অবৈধ?-হুন্ডি ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

হুন্ডি ব্যবসা কি?-হুন্ডি ব্যবসা কেন অবৈধ?-হুন্ডি ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা

ধনি,গরিব সহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষদের আর্থিক জীবন যাপন বা জীবিকা নির্বাহের জন্য টাকার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আমাদের জীবন যাপন পরিচালনা করার জন্য টাকার প্রয়োজন হয়ে থাকে এবং এটার পরিমাণ যত বেশি হয় মানুষের জীবন যাপন তত বেশি শান্তিময় হয়ে ওঠে , আশা করি এই বিষয়গুলো আপনারা এমনিতেও জেনে থাকবেন। তো যাই হোক এই টাকা কেউ সৎ পথে উপার্জন করে আবার কেউবা অসৎ পথে উপার্জন করে  থাকে। এখন কোনটা সৎ পথ এবং কোনটা অসৎ পথ সেটা আপনারা আমার থেকে ভালই জানেন। তো যাই হোক কেবলমাত্র উপার্জনের ক্ষেত্রে সৎ পথ এবং অসৎ পথ রয়েছে এমনটা কিন্তু নয় , ইনকাম করা টাকা গুলো লেনদেনের ক্ষেত্রেও বৈধ পথ এবং অবৈধ পথ রয়েছে। আমাদের দেশ থেকে অনেকেই কিন্তু বিদেশে রয়েছে এক কথায় তাদেরকে আমরা প্রবাসী বলে থাকি , আর এই প্রবাসীরা তাদের ইনকাম করা টাকাগুলো আত্মীয়-স্বজনের কাছে পাঠিয়ে থাকে। আর এটিকে মূলত রেমিটেন্স বলা হয়ে থাকে। আর এই রেমিটেন্স আয় থেকে সরকারের প্রচুর পরিমাণ আয় হয় এবং দেশের অর্থনীতির চাকা অনেকটা পোক্ত হয়। প্রবাসী যারা রয়েছে তারা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করলে সরকারের রেমিটেন্স আয় অনেকটা বেড়ে যায় এবং প্রবাসীরা এক্ষেত্রে নিরাপত্তার সাথে অর্থ লেনদেন করতে পারে। তবে বেশ আগে থেকেই প্রচলিত তবে বর্তমান সময়ে অনেকটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অবৈধ পথে লেনদেন সহজ কথায় যেটাকে হুন্দি ব্যবসা বলা হয়। হুন্দি ব্যবসা আসলে কি ? এখানে কিভাবে লেনদেন হয়ে থাকে ? এবং এটাকে কেন অবৈধ লেনদেন পথ বলা হয়? কেন এটা এতো লাভজনক? সে বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হলো। ( হুন্দি ব্যবসা বলতে কি বুঝায়? )



হুন্ডি ব্যবসা কি?-হুন্ডি ব্যবসা কেন অবৈধ?




হুন্দি ব্যবসা কি ?


এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ বা টাকা লেনদেন করার এক অপ্রতিষ্ঠানিক মাধ্যম হচ্ছে হুন্দি। যদিও পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে এই ব্যবসাটি সরকারের চোখে অবৈধ। অনেক প্রবাসীরা রয়েছে যারা বৈধ পথে যেমন মেইন ব্যাংক , মোবাইল ব্যাংক বা Western union তাদের ইনকাম করা টাকা পাঠায় আবার অনেকে অবৈধ পথে বা হুন্দি ব্যবসার মাধ্যমে প্রবাস থেকে দেশে টাকা পাঠায় বা টাকা পয়সা লেনদেন করে থাকে। এখানে মূলত প্রবাসীরা তাদের ইনকাম করা টাকা গুলো বিভিন্ন হুন্ডি ব্যবসায়ী এজেন্ট এর কাছে দিয়ে দেয় এবং সেখানে এড্রেসের মাধ্যমে হুন্দির টাকা যে পাঠিয়েছে তার  পরিবারের কাছে দেওয়া হয়। আর সেখান থেকে বিভিন্ন হুন্দি এজেন্ট নগদ টাকা গ্রহণ করে সমপরিমাণ টাকা পাঠিয়ে দেয়। হুন্দি ব্যবসার মাধ্যমে যারা টাকা-পয়সা  লেনদেন করে থাকেন তারা হয়তো এই বিষয়টি খুব ভালোভাবেই জানেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সীয়াল ব্যাংক এর মাধ্যমে হুন্দি ব্যবসা করা হয় না যার কারণে এখানে যত টাকাই লেনদেন করা হোক না কেন সেটার প্রভাব দেশের অর্থনীতির উপর পড়বে না। আর মূলত এজন্যই এই ব্যবসাটি অবৈধ ব্যবসা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে লিগ্যাল ওইয়ে বা বৈধ পথে প্রতি বছর যে পরিমাণ টাকা দেশে আসে এক্সচেঞ্জ রেট এর উপর নির্ভর করে তার সমপরিমাণ টাকা অবৈধ পথে আসে। এটার মূল কারণ হলো যারা প্রবাসী রয়েছে তারা হুন্দির মাধ্যমে যদি লেনদেন করে তাহলে কিছু টাকা বেশি পাওয়া যায় ডলারের রেট এর উপর নির্ভর করে। আর এখানে সরকারের বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোন কার্যক্রমের প্রয়োজন হয় না। আর এই অবৈধ সুবিধার কারণে  গেল বছরে 70 হাজার কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে আসেনি ব্যাংকের মাধ্যমে বা লিগাল পথে। এসেছে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ীদের হাত ধরে। এছাড়াও সরকার হুন্দি ব্যবসার মাধ্যমে লেনদেন বন্ধ করার জন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানোর বিনিময়ে 2.5% প্রণয়ন চালু করেছে। তার পরেও বেশি টাকা লাভের আশায় অনেক প্রবাসী অর্থ লেনদেন করার জন্য হুন্দি বা অবৈধ পথ বেছে নিয়ে থাকে। এখন আপনাদের মধ্যে অনেকেরই একটি প্রশ্ন জাগতে পারে আর সেটি হল হুন্ডি কি ? হুন্ডি বলতে বুঝায় অবৈধ পথ বা অসৎ উদ্দেশ্য। অবৈধ পথে টাকা পয়সা লেনদেন করার পদ্ধতিকে হুন্ডি ব্যবসা বলা হয়। আশা করি বিষয়টিকে আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। ( হুন্দি ব্যবসা কি ? )


হুন্দি ব্যবসার সুবিধাগুলো কি কি ?


কেবলমাত্র বর্তমান সময়ে নয় হুন্দি ব্যবসার আবির্ভাব প্রাচীন সময় থেকেই জনপ্রিয়। তাছাড়া একটি বিষয় মনে রাখবেন যে মাধ্যমগুলোতে বেশি টাকা লাভ হয় বা খুব সহজে লেনদেন করা যায় মানুষ সেদিকেই কিন্তু বেশি অগ্রসর হবে এমনটাই কিন্তু স্বাভাবিক। হুন্দি ব্যবসার বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে আর সেগুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা হলো নিচে সারিবদ্ধ আকারে। ( হুন্দি ব্যবসার সুবিধা কি কি ? )


1/  আমাদের দেশ থেকে অন্য দেশে যারা প্রবাসী রয়েছে তাদের মধ্যে ম্যাক্সিমাম মানুষ শিক্ষিত নয় আর যার কারণে ব্যাংকিং কার্যক্রমেগুলো তাদের কাছে অনেকটাই কঠিন বলে মনে হয় থাকে। আর এক্ষেত্রে হুন্দি ব্যবসার মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য প্রতিষ্ঠানিক কোন কার্যক্রম করার প্রয়োজন হয় না। যার কারণে খুব সহজেই লেনদেন সম্পূর্ণ করা যায়।

2/ প্রবাসী যারা রয়েছে তাদের কাছে পর্যাপ্ত সময় সব সময় থাকে না তার কারণ হলো বিভিন্ন সময় তারা বিভিন্ন কাজে কর্মরত অবস্থায় থাকে। আবার এছাড়াও ব্যাংকিং কার্যক্রম গুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। যার কারণে সময়ের ব্যবধান কাটিয়ে ওঠার জন্য তারা হুন্দির মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে থাকে।

3/ হুন্দির মাধ্যমে টাকা পয়সা লেনদেন করার জন্য বাড়তি কোন ব্যয় করতে হয় না যার কারণে প্রাচীনকাল থেকেই কিন্তু এর জনপ্রিয়তা অনেকটা বেশি।

4/ আর দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাহিরে এই কাজ খুব সহজেই করা যায় যার কারণে হুন্দির মাধ্যমে টাকা পয়সা লেনদেন করাটা অনেকটা সহজ।

5/ অনেকটা বেশি টাকা পাওয়া যায় বলে হুন্দি ব্যবসার মাধ্যমে টাকা পয়সা লেনদেন করা হয়ে থাকে। ব্যাংকের মাধ্যমে যদি টাকা পয়সা লেনদেন করা হয়ে থাকে তাহলে সেখানে ডলারের রেট কিছুটা কম থাকে আর হুন্দিতে টাকা পাঠালে ব্যাংকের থেকে বেশি টাকা পাওয়া যায়। এই সুবিধা গুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে যার কারণে হুন্দি ব্যবসার মাধ্যমে মানুষ লেনদেন করতে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। 


হুন্দি ব্যবসার অসুবিধা কি কি ?


হুন্দি ব্যবসা যেমন কিছু সুবিধা রয়েছে এর পাশাপাশি অনেক অসুবিধাও রয়েছে। আর এখানে কি কি অসুবিধা রয়েছে সে বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে নিচে আলোচনা করা হলো। ( হুন্দি ব্যবসার অসুবিধা কি কি ? )

1/ বেশিরভাগ দেশের সরকার প্রদত্ত যে বিষয়গুলো তার ভূখণ্ডে অবস্থিত সকল নাগরিকের করা বারণ সে বিষয়গুলোকে আমরা অবৈধ পথ বলে জানি। হুন্দি ব্যবসাকে বেশিরভাগ দেশের সরকার লেনদেনের একটি অবৈধ পথ বলে ঘোষণা করা হয়েছে আর সেখানে আরো বলা হয়েছে যারা হুন্দি ব্যবসার মাধ্যমে লেনদেন করে থাকে তাদেরকে আইনের ব্যবস্থার মধ্যে আনা হবে।

2/ হুন্দি ব্যবসার মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে অবৈধ পথে টাকা বা অর্থ পাচার হয়ে থাকে। আর এজন্যই মূলত সরকারীভাবে এই সব ব্যবসাটিকে অবৈধ লেনদেন পথ বলে ঘোষণা করেছে।

3/ হুন্দি ব্যবসার মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা হলে সেটা দেশের অর্থনীতির উপর কোন প্রভাব ফেলে না। যার কারণে দেশের অর্থনৈতিক কিন্তু অনেক পিছিয়ে পড়ে। ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার না করার কারণে হুন্দি ব্যবসার মাধ্যমে লেনদেন করার ফলে সরকার রেমিটেন্স আয় থেকে বঞ্চিত হয়।

4/ হুন্দি ব্যবসায় বাংলাদেশ সরকারের আইনানোক কোন বৈধতা বা নিরাপত্তা নেই যার কারণে এখান থেকে  টাকা আত্মসাৎ হয়ে গেলে সেটার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কোন রাস্তা থাকছে না।

5/ হুন্দি ব্যবসার মাধ্যমে লেনদেন হওয়ার ফলে দেশের সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়। আমরা সকলেই হয়তো জানি প্রতিটা সরকারের একটি রাষ্ট্রীয় কোষাগার রয়েছে সেখানে সরকারের যাবতিয় অর্থ অথবা টাকা থাকে আর এই টাকাগুলো সরকার বিভিন্ন রাজস্ব আয় থেকে গ্রহণ করে থাকে। আর এই রাজস্ব আয়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে রেমিটেন্স আয়। আর এখানে যদি সরকার রেমিটেন্স আয় থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে সরকারি কোষাগার অনেকটা হুমকির মুখে পড়বে এবং দেশের অর্থনীতিও। আর এই কারণগুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে যার কারণে হুন্ডি ব্যবসাকে সরকারিভাবে অবৈধ পথ বা অবৈধ উদ্দেশ্য বলে ঘোষণা করা হয়ে থাকে।


তবে সবার উদ্দেশ্যে বলছি সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে হুন্ডি ব্যবসা বন্ধের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাই এই হুন্ডি ব্যবসা করা থেকে বিরত থাকুন নিজেকে সৎ পথে রেখে টাকা উপার্জন করুন।


হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে যে ধরনের অর্থ লেনদেন হয় সেগুলো কি আপনারা সমর্থন করেন ? নাকি সরকারের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে হুন্ডি ব্যবসা বন্ধের জন্য সেটা সঠিক হয়েছে ? সে বিষয়ে আপনাদের মতামত জানাতে ভুলবেন না কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে।


হুন্ডি ব্যবসা কেন এত জনপ্রিয়? জানতে হলে এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত করুন




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ