কিন্তু কোন গণ্যমান্য লোক কিংবা বড়লোক যদি কোন কিছু করে তাহলে সেটা কিন্তু সাধারণ মানুষ খুব সহজেই কিংবা গণ্যমান্য লোকরাও কিন্তু খুব সহজে গ্রহণ করে নেয় অনেকেই হয়তো বা অনেকটা অনুমান করতে পেরেছেন আমি কি বুঝাতে চেয়েছি?।
এইতো ২০০৮ সালের কথা যখন বিশ্ববাজারে ক্রিপ্টো কারেন্সী নামক নতুন ডিজিটাল মুদ্রার আবিষ্কার হয় তখন থেকেই মানুষের কাছে ছিল এগুলো অবহেলার জিনিস ভুল করেও বেশিরভাগ মানুষ এগুলোকে গ্রহণ করেননি আস্তে আস্তে করে যখন জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকলো তখন আবার বেশিরভাগ দেশগুলোর সরকার এই ডিজিটাল মুদ্রা গুলোকে নিষিদ্ধ করল এর কিছুদিন পর আবার আস্তে আস্তে করে জনপ্রিয়তা বেশি পাওয়ার কারণে আবার বেশিরভাগ দেশগুলো আস্তে আস্তে করে অনুমোদনও দিল তাহলে এখন প্রশ্নটা রয়ে গেল ক্রিপ্টো কারেন্সী তাহলে আগে দোষ করেছিল কি?।
যাইহোক জানি এই প্রশ্নের উত্তর হয়তোবা মিলবে না তারপরও তো পৃথিবীর নিয়ম অনুযায়ী আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে তারই ধারাবাহিকতায় নতুন একটি সংবাদ বিশ্ববাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করলো আর সেটি হচ্ছে ক্রিপ্টো কারেন্সিকে নিয়ে একের পর এক আলোচিত ও সমালোচিত সংবাদ যখন বিশ্ব বাজারে রয়েছে ঠিক তখনই আরেকটি সুসংবাদের খবর নিয়ে এল বিশ্বসেরা বহুজাতিক কোম্পানি গুগল।
অনেকদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল ডিজিটাল ক্রিপ্টো কারেন্সির জগতে পা রাখতে চলেছে অতি শীগ্রই বিশ্বের সেরা কোম্পানি গুগল অবশেষে সেই খবরটি যেন আরো অনেকটা শক্ত হিসাবে গণ্য হতে চলল অর্থাৎ গুগল নিজেও কিন্তু এই ডিজিটাল ক্রিপ্টো কারেন্সির পক্ষে চলে এলো এটা কিন্তু এখন ক্লিয়ার ভাবে বলাই যায় যদিও গুগল নিজে ক্রিপ্টো কারেন্সি তৈরি করেনি তারপরও কিন্তু তাদের সাপোর্টটা কিন্তু এখন চলে এসেছে ডিজিটাল ক্রিপ্টো কারেন্সির দিকে কিভাবে আসুন বিস্তারিত জেনে নেই।
আপনারা তো ডমিন ও হোস্টিং এই দুটি নাম হয়তোবা অনলাইন জগতে অনেকবারই শুনেছেন আপনারা কি জানেন এই ব্যবসাতেও কিন্তু পিছিয়ে নেই গুগল অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে কিন্তু প্রয়োজন হয় ডমিন ও হোস্টিংয়ের আর এই ব্যবসাও কিন্তু গুগলের রয়েছে বহু পরিমানে পারদর্শিতা যদিও এই খবরটি কিন্তু আগে বেশিরভাগ মানুষ হয়তো বা জানতেন না কারন আমরা কিন্তু গুগলের প্রোডাক্ট হিসাবে ইউটিউব ব্যবহার করে বেশি অভ্যস্ত কিন্তু গুগলের রয়েছে আড়াইশোর বেশি পণ্য সবই অনলাইন ভিত্তিক সেগুলোর ভিতরে google cloud এটি হলো আরেকটি অন্যতম বিজনেস।
কয়েনবেস অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এখানে ক্লিক করলে ইউটিউব এ নিয়ে যাবে ওখান থেকে ভিডিওটি দেখে অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন।
আরেকটু সহজ করে বলতে গেলে নেম চিপের কথা তো আপনারা অনেকেই জানেন কারণ এই কোম্পানিটি হচ্ছে ডোমেন-হোস্টিং প্রোপাইটার অর্থাৎ এখান থেকে মানুষ যেকোনো সময় কিন্তু ডোমিন কিংবা হোস্টিং কিনতে পারেন অর্থাৎ তার ওয়েবসাইটটির প্রয়োজনে যদিও এরকম সেম সার্ভিসই কিন্তু google অনেকদিন ধরে দিয়ে আসতাছিল কিন্তু এগুলো বেশিরভাগ দেশগুলোতে সার্ভিস দেওয়া হচ্ছিল না কারণ এখানে পেমেন্ট করতে গেলে প্রয়োজন হয়ে থাকতো এতদিন মাস্টার কার্ড ভিসা কার্ড তাও আবার ইন্টারন্যাশনাল যেগুলো সবার কাছে থাকে না
এই কারণে আপনারা লক্ষ্য করে দেখতে পাবেন এশিয়ার বেশিরভাগ দেশগুলোতে কিন্তু google ক্লাউড ব্যবহার তেমন একটা সুপ্রসারিত হয়নি শুধুমাত্র উন্নতশীল দেশগুলোতেই গুগলের এই ব্যবসা এতদিন চলে আসছিল কারণ সহজে পেমেন্ট করতে পারত না যে কেউ এই কারণেই গুগল থেকে ডমিন হোস্টিং কেনার আগ্রহ থাকলেও কিনতে পারত না বেশিরভাগ দেশের মানুষগুলো।
যাই হোক এখন আপনারা জেনে সবাই খুশি হবেন google এর পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে তারা কয়েনবেস এর সাথে একটি চুক্তি করেছেন আর আপনারা জানেন কয়েন বেসের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে যদিও কয়েনবেস কিন্তু ব্যাপকভাবে একটি বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে আমেরিকান এই কোম্পানিটি বহু আগে থেকেই।
অর্থাৎ আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট তৈরির কথা ভেবে থাকেন তাহলে যদি এটাও ভেবে থাকেন গুগল থেকে সরাসরি কিনবেন ডমিন ও হোস্টিং তাহলে এখন পেমেন্টের জন্য আর কষ্ট করতে হবে না কারণ কয়েনবেস কোম্পানির সাথে কিন্তু গুগলের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এই চুক্তির ফলে ২০২৩ সালের মধ্যে কার্যকর করা হবে অর্থাৎ গুগল থেকে ডোমিন হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে পেমেন্ট করা যাবে অর্থাৎ গুগলের থেকে আপনি ডোমেন-হোস্টিং কিনতে পারবেন কয়েন বেসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্রিপ্টো কারেন্সি দিয়ে পেমেন্ট করে যেটা এখন ন্যাম চিপ এর মাধ্যমে করা যাচ্ছে তাহলে বুঝতেই পারতেছেন কতটা সহজ হয়ে যাচ্ছে গুগলের সাথে কাজ করার সব মানুষের জন্য কারণ গুগলের আরেক নাম হচ্ছে বিশ্বস্ততা।
যখনই খবর এসেছে গুগলের ক্লাউড পেমেন্ট এ ব্যবহার করা যাবে কয়েনবেস এ থাকা ক্রিপ্টো কারেন্সি গুলোর মাধ্যমে তখন থেকেই কিন্তু হঠাৎ করে হু হু করে কয়েন বেচের শেয়ার বাড়তে থাকে যেটা এখন পাওয়া খবর পর্যন্ত ৮ শতাংশের উপরে কয়েন বেচের শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনেকে আবার মনে করে থাকেন google নিজেই ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে এসেছেন এখান থেকে আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা ফ্রিতে ইনকাম করে নিতে পারব এটা একটা ভুল ধারণা অর্থাৎ গুগল এখন পর্যন্ত কোন ধরনের ক্রিপ্টো কারেন্সি নিজেরা তৈরি করেনি তবে তাদের সার্ভিসগুলো ব্যবহার করার জন্য পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে কয়েন বেচের সাথে চুক্তি করেছে আশা করি বিষয়টা আপনারা এতক্ষণ কিলিয়ার হয়ে গিয়েছেন।
যাই হোক এই সুবিধার ফলে আপনাদের কতটুকু লাভ হবে বা কতটুকু অসুবিধা হতে পারে যা নিয়ে কমেন্ট করতে ভুলবেন না আর এই খবরগুলো এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে।
আরো আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের কমিউনিটিতে যোগ দিন এখানে ক্লিক করে টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন করুন।
0 মন্তব্যসমূহ