আপনারা অনেক সময় দেখবেন যদি কোন মানুষ সফলতা অর্জন করে সেখানে মানুষ গুণ কিন্তু ভিড় জমায় না যদি মানুষ ভালো কিছু করে তাহলে তাকে বাহবা দিতে খুব কম সংখ্যক মানুষই এগিয়ে আসে কিন্তু কখনো কোথাও যদি ঝগড়া লাগে দেখবেন মুহূর্তের ভিতর কয়েক হাজার মানুষ হয়ে যায় অর্থাৎ এতে আমরা বুঝতে পারলাম মানুষ ভালো দিক থেকে মন্দ দিকের প্রতি ইঙ্গিতটা একটু বেশি মনে হয় করে থাকে। যেমনটা আপনারা দেখতে পাবেন কোন সামাজিক ছবি আসলে সেটার দিকে মানুষ বেশি দেখতে যায় না কিন্তু অশ্লীল ছবি আসলে হলে জাগা হয় না।
লক্ষ্য করলে দেখবেন যদি আপনাকে কেউ বকাবাজও করে কিংবা অপমান করে তাহলে সেটিকে কিন্তু আপনি আমি কখনো বলতে চাই না বা ভুলাও অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না তবে যদি কেউ আপনার আমার উপকার করে সেটি কিন্তু অনায়াসে আমরা অনেক বেশিরভাগ সময় ভুলে যাই এগুলো কেন হয়?। (তবে এখানে বলে রাখা ভালো ক্ষমাই মহত্বের লক্ষণ তাই কারো প্রতি খুব মনে জমিয়ে রাখবে না সবাইকে ক্ষমা করে দাও।)
বিজ্ঞানীরা বলেন আমাদের ব্রেন কঠিন কাজগুলোকে কখনো নিতে চায় না শুধু সহজ কাজগুলোকে নিতে চায় আর ভালো জিনিসগুলোকে ভুলে যেতে চায় মন্দ জিনিসগুলোর প্রতি আকর্ষণ বেশি দেখাতে চায় যার কারণে এমনটা হয়ে থাকে এই কারণেই মানুষের ভিতরে দেখবেন এত বৈষম্য।
যারা সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেন তারা কিন্তু আমার কথার মানে ঠিকই বুঝতে পেরেছেন আর যারা কম বুঝতে পারছেন তারা সামনের দিকে এগুন তাহলে পুরোপুরি বুঝতে পারবেন।
উদাহরণস্বরূপ আরেকটি কথা বলা যাক কোন দেশের সরকার যখন ভাল কোন প্রজেক্ট ধার করায় তাকে বাহবা দেওয়ার জন্য খুব কম মানুষই এগিয়ে আসে কিন্তু কোন দেশের সরকার যদি কোন অন্যায় করে তাহলে সেটির বিরুদ্ধে বেশিরভাগ মানুষই দাঁড়িয়ে যায় তাহলে এখান থেকে আমরা কি বুঝতে পারলাম? অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
একটা সময় ছিল কোম্পানিগুলো মানুষের ইমোশন নিয়ে মার্কেটে আসতো এটা খুব পুরানো টেকনিক ছিল তবে এখন একটু ব্যতিক্রম হয়েছে আগে শুধু ভালো ভালো জিনিস নিয়ে কোম্পানিগুলো ভালো সেজে বিজনেস চালিয়ে যেত আর এখন অনেক কোম্পানি এসেছে বা আসবে হয়তো আগামীতে যে কোম্পানিগুলো নেগেটিভ মার্কেটিং করে এগিয়েছে বা এগিয়ে যেতে চায় বা এগিয়ে যাবে।
ওই যে বললাম মানুষ ভালো থেকে মন্দর দিকে একটু বেশি ঝুঁকে থাকে অর্থাৎ কেউ যদি আপনাকে কথা দিয়ে কথা অনুযায়ী কাজ করে সেটি আপনি বা আমরা যতটা বা আমাদের ব্রেন যতটা মনে রাখে তার চাইতে বেশি মনে রাখে যদি কোন মানুষ কথা দিয়ে কথা না রাখে।
এইরকম টেকনিকগুলোই কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে অর্থাৎ মানুষের মস্তিষ্ক কিন্তু খুব কঠিন কাজগুলো নিতে চায় না সহজ কাজগুলো নিতে চায় আর লক্ষ করলে দেখবেন মানুষ যখন হতাশ হয় বা দুঃখ পায় সেই কাজগুলোকে বা সে কথাগুলোকে তারা মনে রাখে এই কারণেই বিভিন্ন কোম্পানি এখন দেখবেন নেগেটিভ মার্কেটিং করে তাদের কোম্পানিকে উপরের দিকে উঠিয়ে নিয়ে থাকে।
Satoshi Core খুবই ভালো একটি কোম্পানি সেটা বলার আর অপেক্ষা রাখে না কারণ তারা প্রমোশনের জন্য কোটি কোটি ডলার প্রতি মাসে Giveaway দিয়েছে এতেই বুঝতে পারতাছি আমরা এই কোম্পানি অনেক টাকা পয়সা বা ডলার খরচ করেছে এই কোম্পানিটির পিছনে তবে প্রথম দিক দিয়ে এই কোম্পানি যা বলতো ঠিক ওই সময় ওই কাজটাই করত এখন করে না কিন্তু কেন?।
আপনারা যারা এই কোম্পানির সাথে লেগে আছেন তারা জানেন এই কোম্পানি যখন যেটা বলছে আগে তখন ঠিক ওই সময় সেটা করছে এখন করেনা তবে এখন করে না এটাও আবার বলা যাবেনা অর্থাৎ কোম্পানি ঠিকই করে কিন্তু পরে যদি বলে আজকে এই কাজটা আসবে সেটা হয়না সবাই আশায় থাকে পরে ওই কাজটা তারা আনে না বা ওই সার্ভিসটি আনে না কিছুদিন পরে নিয়ে আসে অর্থাৎ মানুষের আশাটা যেহেতু থাকে অর্থাৎ এই কোম্পানির প্রতি মানুষের একটা ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এই ধরনের টেকনিক্যাল কৌশল গুলো খাটিয়ে এই কোম্পানি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বা হতাশ হওয়ার কিছু নেই এই কোম্পানি যে রিয়েল সেটা কিন্তু আমরা জানি। তারপরও যত ভালই হোক না কেন এই কোম্পানি একটা কথা রয়ে যায় লেবু যদি বেশি টিপা হয় তাহলে তিতা হয়ে যায়।
আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনাদের মনে আর কোন সংশয় থাকবে না কেন এই কোম্পানি যেই তারিখে যেটা বলে সেটা আনে না অন্য আরেক তারিখে সেটা করে আশা করি সেটি আপনারা বুঝতে পেরেছেন আর হ্যাঁ আপনাদের মূল্যবান মতামত এ বিষয় থাকলে এই আর্টিকেলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন সম্মানিত বন্ধুরা আর্টিকেলটি অবশ্যই আপনার প্রিয় ফেসবুকে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
এই আর্টিকেলে বুঝানোর স্বার্থে অনেক কিছু বলতে হয়েছে তাই কেউ ভুল বুঝবেন না দয়া করে ক্ষমা করবেন।
0 মন্তব্যসমূহ