শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদানের আবেদনের পদ্ধতি
*আমাদের দেশ হলো মধ্যম আয়ের দেশ হলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত যেতে পারে না। এজন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষার পরেই ঝরে পড়ে। শিক্ষার্থীদের কে পড়াশুনায় আরও বেশি আগ্রহী করতে এবং আর্থিক সমস্যাকে দূরীকরণ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুদান পদ্ধতি চালু করেছে। আর্থিক অনুদান সকলের জন্য প্রযোজ্য থাকে না শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য হয়ে থাকে । মূলত যারা অর্থের অভাবে পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যায় তাদের জন্যই এই মহোতউদ্যোগ টি । সবচেয়ে মজার ব্যাপার এবং সুবিধার জনক হচ্ছে যে এই আবেদনটি করার জন্য কোন ধরনের অর্থের বিনিময়ে করা লাগবে না । যেকোনো শিক্ষার্থী সরকারি আর্থিক অনুদান ২০২৩ আবেদন করতে পারবে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ সরকার থেকে ৬৫ হাজার টাকা করে ফ্রিতে সারা জীবন নেওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত দেখুন
সরকারি আর্থিক অনুদান জন্য ২০২৩ এর আবেদনের ফরমের নিয়ম গুলো
১. আবেদন ফরমের যে সকল অপশনে লাল তারকা চিহ্ন রয়েছে সে সকল অপশন অবশ্যই পূরণ করতে হবে। বাকিগুলো হচ্ছে ঐচ্ছিক বিষয়। ওই সকল বিষয় দিলেও হবে এবং না দিলেও চলবে।
২. আবেদন করার সময় কোন ধরনের সমস্যা হলে তার সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন পরবর্তীতে ড্রাফ্ট অপশন থেকে আবার পুনরায় সেখান থেকে আবেদন শুরু করতে পারবেন।
৩. সরকারি আর্থিক অনুদান ২০২৩ আবেদন করার পর প্রত্যেকটি আবেদনকে আলাদা আলাদা ট্রাকিং নাম্বার দিয়ে ট্রাক করা হয়।
*যদি নিজে নিজে সরকারি অনুদান সহায়তা ২০২৩ আবেদন করতে না পারেন তাহলে যে কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করতে পারবেন। যে সকল শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে অসচ্ছল তাদের কেউ এ বিষয়ে আবেদন করার পরামর্শ দিবেন। হয়তোবা তার শিক্ষা জীবনটাও বেঁচে যাবে আপনার মাধ্যমে।
সরকারি আর্থিক অনুদান পাওয়ার জন্য যা যা বাধ্যতামূলক প্রয়োজনীয় সমূহ জমা দিতে হবে
অনেকেই আছেন যারা নিজে নিজে আবেদন করতে ইচ্ছুক কিন্তু প্রয়োজনীয় পদ্ধতি না জানার কারণে করতে পারছেন না তারা নিচের স্টেপগুলো ফলো করুন। খুব সহজেই নিজে নিজেই আবেদন করে নিতে পারবেন। অনেকের ধারণা কম্পিউটার ব্যতীত আবেদন করা যায় না। মোটেও কথাটি সঠিক নয়, হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারবেন সে পদ্ধতি এখনো তুলে ধরা হলো।
***
প্রথমেই আপনার স্মার্টফোনে ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে নিন তারপর গুগল ক্রোম ব্রাউজারটি সিলেক্ট করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি গুগল ক্রোমটি ডেস্কটপ মুডে করে নিতে পারেন।
***
তারপর এই সরকারি ওয়েবসাইট এড্রেসে গিয়ে https://www.mygov.bd/ এই লিংকটি বসান এবং ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করুন।
***
সাইটে প্রবেশ করার পর ডান দিকে আবেদন করুন নামের একটি লেখা দেখতে পারবেন এবং সেই লেখাটির উপর ক্লিক করতে হবে।
***
আবেদন বাটনে ক্লিক করার পর সেখানে লগইন করার জন্য বলা হবে। ইতিপূর্বে কোন একাউন্ট না খুলে থাকেন তাহলে মেনু অপশনে ক্লিক করে রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করে নিন। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড বসিয়ে রেজিস্টেশন করুন এই অপশনটিতে আবার ক্লিক করুন।
***
ক্লিক করার পর মোবাইলে একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে সেটি বসিয়ে একটি পাসওয়ার্ড সেট আপ করে দিতে হবে। পাসওয়ার্ড হয়ে গেলে পরবর্তী ধাপে হবে এবং সেখানে একটি প্রোফাইল দেখাবে।
***
প্রোফাইলে গিয়ে আপনার সকল তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। পিতার নাম, মাতার নাম, বয়স, ধর্ম, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা জন্ম নিবন্ধন নম্বর বসিয়ে প্রোফাইল কমপ্লিট করতে হবে।
***
প্রোফাইল কমপ্লিট করা বিষয়টি বাধ্যতামূলক , এখানে সার্চ বক্সে গিয়ে লিখুন “শিক্ষার আর্থিক অনুদান” এবং সার্চ করলে দেখতে পারবেন প্রথমেই সরকারি আর্থিক অনুদান ২০২৩ ( মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক) । এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
***
অপশনটিতে ক্লিক করার পর শিক্ষার্থীদের আবারো কিছু তথ্য দিতে হবে। যেমন ইংরেজিতে নাম, ঠিকানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, পিতা মাতার নাম এবং তাদের পেশা, পরিচয় পত্রের নম্বর, মোবাইল নম্বর, পরিবারের সদস্য সংখ্যা দিতে হবে। এমনকি আপনার শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, অসচ্ছলতা, শাড়ির সমস্যা সমস্যা থাকলে বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া আপনার আবেদনের কারণ উল্লেখ করতে হবে এবং আবেদন করার যৌক্তিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন করার সময় এমন একটি একটি মোবাইল নাম্বার দিতে হবে যেটা মোবাইল নম্বরে নগদ মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট রয়েছে। তবে একাউন্ট খোলার সময় যে নম্বরটি আপনারা ব্যবহার করবেন ওই নাম্বারটিতেই নগদের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে থাকবে । এ নাম্বার দেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
***
সর্বশেষ স্কুল অথবা কলেজ থেকে প্রাপ্ত প্রত্যয়ন পত্র সাবমিট করতে হবে। এ প্রত্যয়ন পত্র যেন এক এমবির বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
**
তবে এখানে আরেকটি বিষয় হলো যে সকল ছাত্র-ছাত্রী (Student) রয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ে তাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫,০০০ টাকা। এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে যারা রয়েছে তাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮,০০০ টাকা। এছাড়া স্নআতপ যে সকল ছাত্র-ছাত্রী (Student) রয়েছে তাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০,০০০ টাকা। তবে এখানে একটি বিষয় হলো একজন ছাত্র-ছাত্রী (Student) শুধু একবারই এই উপবৃত্তির টাকা গ্রহণ করতে পারবে। তাছাড়া এ বিষয়ে আরো প্রশ্ন যদি মনে থেকে থাকে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। পরবর্তীতে সে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল দেওয়ার চেষ্টা করব। এ আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে তারা উপকৃত হতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ