ধনী হতে চায় না এমন মানুষ হয়তো পাওয়াই যাবে না বর্তমান পৃথিবীতে। আমরা সাধারণত জানি যে যাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকে তাকে বড়লোক বা ধনী ব্যক্তি বলা হয়। তবে ধনী যে আমরা এমনি এমনি হয়ে যাব বিষয়টা এরকম কিন্তু নয় । ধনী হওয়ার জন্য আমাদের সকলকে নানা ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে সফলের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া পৃথিবীতে যে বিশেষ বিশেষ ধনী ব্যক্তি রয়েছে তাদের পথ অনুসরন করতে হবে আমাদেরকে। তবে শুধু তাদের দিক অনুসরণ করলেই হবে না তাতে আমাদের থাকতে হবে কঠোর আগ্রহ। তবে আমাদের মধ্যে কিছু কিছু ব্যক্তি রয়েছে যারা মনে করে বড়লোক বা ধনী হতে হলে বড়লোক হয়ে জন্মাতে হয় কিংবা তার কপালে থাকতে হয়। তাদের জন্য আমি বলব কথার অনুসরণ ঠিক আছে তবে আমাদের চেষ্টাও চালিয়ে যেতে হবে ধনী হওয়ার দিকে । কারণ হলো একটি বিশেষজ্ঞদের প্রবাদ রয়েছে যে চেষ্টাই সফলদের চাবিকাঠি। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে ধনী হওয়ার দিকে। আর যদি আমরা চেষ্টাই না করি তাহলে সাফল্যের দেখা মিলবে কি করে । তবে আজকে আমি আপনাদের সকলের মাঝে এমন ৭ টি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি চলেছি যেগুলোর মাধ্যমে বা যেগুলো ফলো করলে আপনারা ধনী হওয়ার দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন এমনটা জানিয়েছে কিছু বিশেষ বিশেষ ধনী ব্যক্তিরা।তো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথা আর না বলে আমরা চলে যাই ঐ ৭ টি বিষয়দিকে যেগুলো দিকে লক্ষ্য করলে আমরা ধনী হতে পারব। ((ইনশাআল্লাহ )
নাম্বার ১ :সঞ্চয়করা
কম খেয়ে বেশি করে সঞ্চয় করতে হবে। থিয়েটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডালাস মারভিকের প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী মার্ক কিউবান, যাঁর বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার, তিনি মনে করেন, ধনী হওয়ার মূলমন্ত্র টাকা সংরক্ষণ। একটি পয়সাও অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করা যাবে না। কফির বদলে পানি খেতে হবে। দামি বার্গারের বদলে বাসায় রুটি খেয়ে অর্থ জমাতে হবে। ভুলে যেতে হবে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে করতে হবে টাকা সঞ্চয় বা সংরক্ষণ।
নাম্বার ২ : স্রোতের বিপরীতে যাওয়া
বাফেট বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন বাফেট, বর্তমানে যাঁর সম্পদের মূল্য ৭৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি, তাঁর মতে, ধনী হতে হলে স্রোতের বিপরীতে যাওয়ার সাহস থাকতে হবে। মূলত, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টির কথা বলেছেন তিনি। তাঁর মতে, পুঁজিবাজারে যখন সমস্যা ’ থাকবে, তখন বিনিয়োগ করা যাবে না। যখন বাজার বিধি বা ভালোর দিকে থাকবে, তখন বিনিয়োগ করতে হবে। এই মন্ত্র ব্যবহার করলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ধনী হওয়া যাবে। অর্থাৎ, সবাই যখন লাভ করছে, তখন বিনিয়োগ করা যাবে না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যখন বাজারে শেয়ারের মূল্য কম থাকবে, তখন ভালো কোম্পানিগুলোতে বৃহৎ আকারে বিনিয়োগ করতে হবে। তাহলে আমাদের ধনী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এখানে আমার মতামত হলো বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভেবেচিন্তে তারপরে বিনিয়োগ করুন কারণ যদি আপনি কোন কারণে লস খেয়ে যান তাহলে আপনার সবকিছু যেন শেষ না হয়ে যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
নাম্বার ৩ : ভয় পেলে চলবে না
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আবাসন প্রতিষ্ঠান কে বি হোমসের প্রতিষ্ঠাতা এলি বোর্ড এর মতে, ধনী হাওয়া মূলমন্ত্র ভয় করে পিছেয়ে না যাওয়া। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৭০০ কোটি ডলারের বেশি। কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে খুব বেশি সতর্ক থাকলে এবং ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে পিছপা হলে সফল হওয়া তা না। অনেক সময়অজানা কঠিন কাজেও সাহস করে এগিয়ে গেলে সফল হওয়া সম্ভব।
নাম্বার ৪. কাজের ধরন নিজেকে জানতে হবে
কোনো কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেই কোম্পানির কাজের ধারা সম্পর্কে পুরো পুরি জানতে হবে। নিজের কোম্পানিতে কীভাবে পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, এ ব্যাপারে ধারণা না থাকলে সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়। চকলেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মারস ইন করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফরেস্ট মার্স, যাঁর বর্তমান সম্পদের মূল্য ৪০০ কোটি ডলার, তাঁর মতে, নিজের সাফল্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করলে ব্যর্থতা নিশ্চিত।
নাম্বার ৫ : সুযোগ বুঝতে হবে
গুগলের সাবেক সিইও এবং বর্তমান আলফাবেটের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এরিক শ্যুমিৎ মনে করেন, সুযোগ বুঝতে হবে। ধনী হওয়ার বিষয়টি অনেক সময় ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে। তবে ভাগ্য যখন আসবে, তখন তা বুঝতে হবে
নাম্বার ৬.আত্মকেন্দ্রিকতা
নিজেকে জানতে হবে। সব পরিস্থিতিতে নিজেকে মানাতে হবে। জ্বালানি খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টেলসার প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্কের সাবেক স্ত্রী জাস্টিন মাস্কদিন ধনী না হলেও সম্পদ গড়ার বিষয়ে পরিকল্পনা দেওয়ার তাঁর খ্যাতি রয়েছে । জাস্টিন মনে করেন, যেমন অবস্থাই আসুক না কেন, নিজেকে মানাতে হবে। হয়তো আপনার সামনে সামান্য খাবার, তাই দিয়ে আপনাকে চলতে হবে। ঘুম হচ্ছে না, এরপরও নিজেকে সতেজ রাখতে হবে।
নাম্বার ৭: মন কী চায়
বিশ্বের প্রায় সব ধনী ব্যক্তি রা ই এই বিষয় টির ওপর জোর দিয়েছেন । মন কী চায়, সে কথা শুনতে হবে। যে কাজটি মন থেকে আসে, তাই নিষ্ঠার সঙ্গে করতে হবে। তাহলে সাফল্য আসবে।
0 মন্তব্যসমূহ