Join Our Telegram channel! name='keywords'/> যে ৫টি কারণে আপনি ধনী হতে পারছেন না-This is way you are poor

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

যে ৫টি কারণে আপনি ধনী হতে পারছেন না-This is way you are poor

আমরা প্রায় বলতে শুনি যে কপাল গরীব, আল্লাহ গরীব বানাইছে তার কি করার আছে ? কিন্তু আমেরিকার আকদম গবেসক দীর্ঘদিন গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন যে মানুষ আসলে নিজের দোষেই প্রায় ৯০% সময় গরীব হয়ে থাকেন । এই লেখা পরার পরে আমি নিজেও দীর্ঘদিন অনেক গরীব মানুষের আয় বায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের চিন্তা ভাবনা আচার আচরন খেয়াল করার চেষ্টা করেছি এবং আমি নিজের চখেই দেখতে পাচ্চি যে হা মানুষ আসলেই নিজের কারনেই গরীব হয় বেশিরভাগ সময়়় এরকমটা দেখা যায় । বেশিরভাগ সময়ই মানুষ  বলবেন আমি গরীব ঘরে জন্মেছি সেক্ষেত্রে আমি বলব গরীব ঘরে জন্মের খেত্রে আপনার অনেক সময় কিছুই হয়ত করার থাকে না কিন্তু আপনার অবস্থার পরিবরতনের জন্য আপনার করার মত অনেক কিছুই করার রয়েছে  । আজকের এই আর্টিকেলটি পুরা লেখাতা পরলে নিজেও আরও পরিস্কার ভাবে বুঝতে পারবেন । আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি যে মানুষ গরীব হয় তার নিজের চিন্তা ভাবনা ও ভুল কাজ করমের কারনে , এর পক্ষে সফল ব্যক্তিরা   গরীব মানুষদের কিছু বাস্তব কিছু চিন্তা ধারা, ও কাজ করম তুলে ধরছি, যার কারনে তারা গরীব হয়ে যায় বা গরীব থেকে যায় । সেগুলো নিচে স্টেপ বাই স্টেপ তালিকা দেওয়া হলো।


যে ৫টি কারণে আপনি ধনী হতে পারছেন না-This is way you are poor



{1} ইনভেস্টমেন্ট এবং সেভিংস এর পার্থক্য বুঝতে হবে

মানুষের আয় উপার্জনের ক্ষমতা সব সময় একই রকম থাকে না। সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মধ্যে মূল পার্থক্যগুলি নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলিতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে-

* বর্তমান আয়ের পুরোটা বর্তমান ভোগে ব্যয় না করে কিছু অংশ ভবিষ্যত ভোগে ব্যয় করার জন্য জমা রাখে। আয়ের যে অংশ
ভবিষ্যত ভোগের জন্য জমা রাখে তাকে বলা হয় সঞ্চয়। অন্যদিকে বিনিয়োগ হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সময়ে মোট জাতীয় উৎপাদনের বাজার মূল্যের সেই অংশ যা একটি অর্থনীতিতে নতুন কাঠামো নির্মাণ সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ব্যয় হয়।

*সঞ্চয় শুরু করা সহজ। অন্যদিকে বিনিয়োগ করা তুলনাভাবে অনেক কঠিন কাজ।

* অনেক লোকেরা তাদের অপ্রত্যাশিত ব্যয় বা জরুরি অর্থের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য অর্থ সঞ্চয় করে। অন্যদিকে বিনিয়োগগুলি মূলধন গঠনে সহায়তা করতে পারে যাতে  এই কারণেই তারা বিনিয়োগ করে থাকে।
*তবে মনে রাখতে হবে ,একটি বিনিয়োগের সাথে সর্বদা অর্থ হারানোর ঝুঁকি থাকে। 

* নিঃসন্দেহে, বিনিয়োগের চেয়ে সঞ্চয়পত্রের তুলনায় উচ্চতর রিটার্ন সরবরাহ করা হয়, কারণ সেখানে সঞ্চয়পত্রের উপর সুদের একমাত্র হার রয়েছে। অন্যদিকে বিনিয়োগগুলি বিনিয়োগের পরিমাণের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে, যদি সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা হয়।

{২} সময়ের মূল্য দিতে হবে 

*আপনার ১ ঘন্টার ভ্যালু আসলে কতটুকু এটা আপনাকে বুঝতে হবে। কারণ আপনি যদি এক ঘন্টার ভ্যালু বুঝতে পারেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কোন কাজ গুলি আপনার নিজের করা জরুরী এবং কোন কাজগুলো আপনি অন্য মানুষকে দিয়ে করাবেন। উদাহরণস্বরূপ_...........

*মনে করেন আপনি ইউনিভার্সিটিতে পড়েন বা ইউনিভার্সিটিতে পড়া হয়ে গেছে 2 বছর আগে । আমি ধরে নিলাম আপনার প্রতি এক ঘণ্টা সময়ের মূল্য ১ ডলার । যদি আপনার সময়ের মূল্য প্রতি ঘন্টায় এক ডলার হয় সে ক্ষেত্রে আপনার এমন কোন কাজ করা উচিত নয় যে কাজ আপনি অন্য আরেকজনকে দিয়ে ঘন্টায় এক ডলারের চেয়ে কমে করাতে পারেন। এমনটাই ধরেন যে আপনার কাপড় পরিষ্কার করতেই এক ঘন্টা লাগে তাহলে আপনি এক ডলার খরচ হলো। এই কাজটি আপনি নিজেই করলেন এখানে আপনার এক ডলার ও খরচ হল কারণ অপরচুনিটি কষ্টে ওই এক ঘণ্টা আপনি অন্য কোন জায়গায় দিতে পারতেন যে জায়গায় কাজ করলে আপনি এক ডলার কামাতে পারতেন। তবে এটা আপনার বুঝতে হবে এটা কি সম্ভব প্রতি ঘন্টায় এক ডলারের কমে অন্য কাউকে কাপড় পরিষ্কার করতে দেওয়া আর সেটা প্রতিবার আর এই প্রশ্নটা আপনার মনে জাগতে হবে । যে আমি যে কাজটি করতেছি যে কাজগুলো করার কোন আনন্দ নেই । উদাহরণস্বরূপ বলা যাযক এখন আপনার কাছে যদি বাগান করতে মজা লাগে তাহলে আপনি কিন্তু ওইটা টাকা দিয়ে ভ্যালু বাড়াতে পারবেন না। যে আমার বাগান করতে প্রতিদিন দুই ঘন্টা লাগে  কিন্তু আমার এক ঘন্টার ভ্যালু তো ৫০০ টাকা দুই ঘন্টার ভ্যালু আসলে এক হাজার টাকা  । এখানে অনেকে প্রশ্ন থাকতে পারে আমি বাগানে গিয়ে ২ ঘণ্টা সময় কাটাতে সে দুই ঘণ্টা কি আমার লস হচ্ছে নাকি। ওই ভাবে আপনি এটা হিসাব করতে পারবেন না কারণ এটা যদি আপনার শখ হয় তাহলে করতে পারবেন কিন্তু যে কাজে আপনার শখ নয় সে প্রত্যেকটি কাজে আপনাকে খুব বি কেয়ারফুল ভাবে করতে হবে। যেখান থেকে আপনার প্রতি ঘন্টার মূল্য এক ডলার সেখান থেকে আপনার তার থেকেও কিছু কম আসতেছে সেই কাজ টি আপনাকে অন্য কাউকে দিয়ে করাতে হবে আর যে কাজটি এক ডলারের উপরে প্রতি ঘন্টায় আসে ওই কাজটি আসলে আপনাকে নিজের করতে হবে।

{3} আপনার ধারনাকে পরিবর্তন করতে হবে 

*আপনার মাঝে যদি এই মানসিকতা থাকে যে ধনী হতে হলে ভাগ্য থাকতে লাগে, তবে আপনি জীবনে আর যাই হোন না কেন কিনতে ধনী হতে পারবেন না। এটা আসলে পরিশ্রম না করার একটা অজুহাত। আমরা এক্ষেত্রে অনেকাংশেই সরকারের দোষ দেই পরিবারের দোষ দেই সমাজের দোষ দেই যে তারা কিছু করতে পারতেছে না বলে আজ আমি কিছু করতে পারতেছি না। তবে এই কথার অনেকাংশই সত্য কিন্তু সম্পূর্ণ নয়।

*অনেকে  বলেন, ধনী হতে হলে ধনী হয়ে জন্মাতে হয়, অথবা কারও সাহায্য পেতে হয়। কিন্তু সত্যি কথা হল, আপনি যতক্ষণ না নিজে কিছু সৎ পথে থেকে করে দেখাতে পারছেন – ততক্ষণ আপনাকে কেউ সাহায্য করবে না। 

*অনেক সময় আমরা নিজেদের মনকে নিজেরা বুঝিয়ে ফেলি যে আমি এই কাজটি করতে ভাবতেছি, আমি কাজটি করতে পারতেছি না কারণ রাস্তায় অনেক জাম ছিল তাই আসতে অনেক দেরি হয়েছে । কিন্তু আমরা এই জিনিসটা এই মানসিকতা ভাবি না যে এর থেকে আরও কষ্ট করে তাদের জীবনকে এগিয়ে নিয়েছে। আমরা ছোটবেলা থেকে আসলে এটি দেখতে পেয়েছি যে বেশিরভাগ মানুষ ই আসলে কমপ্লিন করে তবে এক্ষেত্রে কোন সময় নিজের উপরে দোষ চাপায় না সবসময় অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়। তবে বেশিরভাগ মানুষ  ভাবে না যে আমি যদি আর একটু কম ঘুমিয়ে বেশি কাজ করতাম  এবং প্রবলেমটা মনে হয় আমার নিজের এটা বেশিরভাগ মানুষই  সময় 
আর  ্মানে না কারণ তারা ওই যে তাদের ধারণা যে পর্যায়ে রয়েছে তাদের মস্তিষ্ক ওই পর্যায়ে কাজ করবে । এই দিক থেকে আমাদের সম্পূর্ণ সরে থাকতে হবে।

{4} ফাইনান্সিয়াল নোলেজের অভাব 

সফল ব্যক্তিরা  মনে করে ফাইন্যান্সিয়াল নলেজ এর অভাবের কারণে বেশিরভাগ মানুষ মধ্যবিত্ত পর্যায়ে কিংবা ন্যূনতম পর্যায়ে রয়ে যায়। এটা আসলে আমাদের পুরোপুরি নিজেদের দোষ না কারণ ফাইন্যান্সিয়াল এডুকেশন যে পরিমান আপনার দরকার আর আমাদের জীবনের একটি একটি বড় অংশ বা আমাদের জীবন যায় টাকা-পয়সার ম্যানেজের মাধ্যমে । আপনি এই জিনিসটা চিন্তা করেন যে পিথাগোরাসের? উপপাদ্য আমাদের কতটা উপকারে আসে আর শাখারী স্কিন টা কতটা উপকারে আসে? আমার মনে হয় ১০০ জনকে এ প্রশ্নটি করলে? ৯৯ জনই টাকার স্কিল এর উত্তর দিবে। কিন্তু আমরা মানি ম্যানেজ মেন্টের কথা চিন্তাও করি না কারণ মানি ম্যানেজ ম্যান্টের কোন বই পড়িনি তাই । তাই আমাদের সকলকে আজ থেকে জানতে হবে মানি ম্যানেজমেন্টের সম্পর্কে তাই আপনারা সকলেই মানি ম্যানেজমেন্ট এর সম্পর্কে যে বইগুলো রয়েছে বা বর্তমান অনলাইনে মানি ম্যানেজমেন্টের প্রসঙ্গগুলি আমরা পেয়ে যাব সেখান থেকে ধারণা নিতে পারেন। আর ধারণার পর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে টাকা আপনি ব্যাংকে রাখবেন কিনা এবং কত বছরের জন্য রাখবেন সব ডিটেলস আপনি এখান থেকে পেয়ে যাবেন আর আস্তে আস্তে গরিব থেকে তার বিপরীতমুখী ধনী হতে সক্ষম হতে থাকবেন ।

{5} ট্রেডিং  টাইম  কখনই আপনাকে ধনী করতে পারবে না যদি না আপনি কোম্পানির একটি অংশ না পান

*আমরা বেশিরভাগ মানুষ চাকরি করি এবং যখন আমরা চাকরি করি তখন আসলে আমরা ওই চাকরির ওইখানে সময় দেই তার পরিবর্তে আমরা  মাস শেষে একটা বেতন পাই। এখানে কোম্পানির বলে না যে প্রত্যেক ঘন্টার জন্য এত টাকা দিচ্ছি। সবাই বলে যে তুমি সপ্তাহে পাঁচ দিন আসবা আমাদের সপ্তাহে দুই দিন ছুটি। বছরে ৩৬ দিন বন্ধ। সবাই এই ভাবেই আসলেই স্ট্রাকচার করে কিন্তু বিদেশে দেখবেন এই থেকে আরও বেশি হাই কোয়ালিটি ভাবে স্ট্রাকচার করে যেমন ওরা প্রতি মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন কি হবে এইসব বলে না ওরা টোটালি এক বছরের ধারণা দেয় তাদের কোম্পানির কর্মকর্তাদের। কোম্পানি আসলে যত বড় করে দেখাতে পারে আসলে তত সৌন্দর্যময় লাগে উদাহরণস্বরূপ বলা যাক চাকরিটি যেমন প্রতিবছরে 80 লাখ টাকা তোমাকে দেয়া হবে এই কোম্পানিতে চাকরি করার ফলে কিন্তু আমরা চিন্তা করি না আমরা প্রতি মাসে যে টাকা পাচ্ছি ওই হারে কিন্তু বছরে টাকাটা আসছে। উদাহরণস্বরূপ

*আপনাকে আমি ৫০০ টাকা দেব যে কোন কাজটি করার ফলে যেখানে আপনার ২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে । আপনার একটা চান্স থাকবে যে আপনি এই কাজটি করতে চাবেন না। আর যদি আমি এটাকে আপনাকে পুরো ইকোয়ালিটি করে বলি যে এক বছরে এই পরিমাণ কাজ করার ফলে আপনাকে ১৬ থেকে ১৭ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এইভাবে সুন্দর মত আমি যদি আপনাকে সাজিয়ে বলি। এখানে কিন্তু সেফ ভেলু কিন্তু আপনার এভাবে বলার কারনে এ কাজটি করার আরো একটি চান্স বেশি থাকছে। কারণ বছরে 16 থেকে 17 লাখ টাকা প্রতিদিন ২ ঘন্টা ব্যয়ের মাধ্যমে খুব সোজা একটি বা সহ একটি কাজ।


*তবে আমরা এই পাঁচটি বিষয় কতটা গুরুত্বপূর্ণ কি তার থেকেও বেশি কিছু সম্পূর্ণ বিষয়গুলো বুঝতে পারি আমাদের জীবনের শেষ সময়ে গিয়ে। তখন মনে মনে আফসোস করি যে তখন মনে হয় এটা না করে ঐটা করলে আরো ভালো হতো আর ওইটা না করলে এটা আরো ভালো হতো এরকম ধারণা আমাদের মাঝে চলে আসে। আর তাই আমি আপনাদের কে বলব আজ থেকে এই পাঁচটি কাজ সম্পূর্ণভাবে মেনে চলুন তাহলে দেখতে পাবেন খুব সহজভাবে আপনি দরিদ্র থেকে ধনী হওয়ার চান্সে এগিয়ে যেতে পারবে।

সর্বশেষ যে বিষয়টি হলো মানুষ জন্মের আগেই মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতিটা মানুষের ভাগু নির্ধারণ করে দেন। তাই বলবো ধনী হওয়ার চেষ্টার পাশাপাশি
আমাদের মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে হবে। কারণ দোয়ার কারণে ভাগ্য পরিবর্তন হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ