হ্যাকিং আসলে কি? ও হ্যাকিং কিভাবে করা হয়?
হ্যাকিং এমন প্রক্রিয়া যেখানে কেউ কোন বৈধ অনুমতি ছাড়া কোন মোবাইল বা কম্পিউটারের নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে। যারা এ হ্যাকিং করে তারা হচ্ছে হ্যাকার। এসব কথা তোমরা প্রায় সবাই জান। আমরা প্রায় সবাই জানি হ্যাকিং বলতে শুধু কোন ওয়েব সাইট হ্যাকিং আবার অনেকের ধারনা হ্যাকিং মানে শুধু কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হ্যাক করা, আসলে কি তাই? না আসলে তা না। হ্যাকিং অনেক ধরনের হতে পারে। তোমার মোবাইল ফোন, ল্যান্ড ফোন, গাড়ি ট্র্যাকিং, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও ডিজিটাল যন্ত্র বৈধ অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে তা ও হ্যাকিং এর আওতায় পড়ে। হ্যাকাররা সাধারনত এসব ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের ত্রুটি থাকলে সেই ত্রুটি গুলোকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্নভাবে হ্যাকারর তা হ্যাক করে।
*Social Engineer ING হ্যাকিং
*CracKing password হ্যাকিং
*Gary হ্যাকিং
<<<CracKing password হ্যাকিং কি?
<<<Social EngineerING হ্যাকিং কি?
**সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কে আর্ট অফ হিউম্যান হ্যাকিং হিসেবেও ডাকা হয়। কারণ প্রচলিত হ্যাকিং ইলেকট্রনিক সিস্টেমের দুর্বলতার উপর নির্ভর করে। কিন্তু সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সরাসরি মানুষের মস্তিষ্ককে হ্যাক করে তার থেকে ডাটা সংগ্রহ করে। সে ডাটা গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড, কোম্পানি ইমেইল, অ্যাড্রেস, ক্রেডিট কার্ড ডিটেইলস ইত্যাদি।
**বিখ্যাত ইথিক্যাল হ্যাকার এবং সিকিউরিটি এক্সপার্ট কেভিন মিটনিক বলেছেন “সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে হ্যাকিং করা কোন সিস্টেম ক্র্যাক করার থেকে বেশি সহজ (মডিফাই)”। তার মতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে হ্যাকিং করলে সময় বেশি লাগলেও হ্যাকিং প্রক্রিয়া কখনো ব্যর্থ হয়না। এই পদ্ধতি ইউজ করে সিস্টেমের একদম কাছাকাছি যাওয়া যায়। যা অন্য যে কোন পদ্ধতিতে অনেক অনেক কষ্টকর।
**হ্যাকিং এর ভাষায় মানুষের সাথে ছলচাতুরি করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়াকে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়। বর্তমানে এই হ্যাকিং পদ্ধতির অনেকগুলো উপায় প্রচলিত আছে। যেমন ফিশিং, স্পেয়ার ফিশিং, স্পামিং, ভিশিং, স্মিশিং, ওয়াটার হোলিং, বেটিং ইত্যাদি। ফিশিং সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারণা থাকলেও বাকি গুলো সম্পর্কে আমাদের তেমন ধারণা নেই। ফিশিং অতি প্রচলিত একটি পদ্ধতি যা বর্তমানে সব মানুষ ধরে ফেলতে পারে। যার ফলে তা আজকাল তেমন ভালো কাজ করে না। তবে হ্যাকাররা বসে না থেকে স্পেয়ার ফিশিং নামক আরেকটি উপায় তৈরি করেছে। যা ফিশিং এর থেকে ভালো কাজ করে।
**সর্বোপরি ভিক্টিমের ট্রাস্ট অর্জন করে তার সেনসিটিভ ডাটা হাতিয়ে নেওয়াই সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। নিজেকে অনলাইনে সেফ রাখার জন্য আমাদের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। হ্যাকার থেকে না এগিয়ে থাকলে তাদের ফাঁদে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এজন্য অজানা কোন attractive বা আকর্ষণীয় লিংকগুলোতে না জেনে বুঝে ক্লিক করবেন না।
<<<Gray হ্যাকিং কি?
**এধরনের হ্যাকাররা বৈধ (legal) ও অবৈধ (illegal) দুই ধরনের কাজ করতে পারে। আপনার সিস্টেমকে হাক করে ডাটা চুরি বা ধ্বংস করতে পারে , চাইলে এই ধরনের হ্যাকাররা হাই সিকিউরিটি provide করতে পারে । এরা মূলত অনুমতি না নিয়ে সিস্টেমের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য হ্যাক করে থাকে কিন্তু এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনরকম ক্ষতি করে না বা ডেটা চুরি করে না । এরা অবৈধ কারণ পারমিশন না নিয়েই গুলো করে । আশা করি করি গ্রে হ্যাকার কি বিষয়টা বুঝতে পারলেন। গ্রে হ্যাকিং সম্পর্কে যদি আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। পরবর্তীতে সে বিষয়ের উপর আর্টিকেল দেওয়ার চেষ্টা করব।
হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় গুলো
মূলত সিকিউরিটি অনেকটা সচেতনতার উপর নির্ভর করে। আপনি আপনার ডাটার সিকিউরিটি নিয়ে যদি সতর্ক থাকেন তাহলে আপনার সিকিউরিটি নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না। তবে আপনার মনে যদি সিকিউরিটি নিয়ে একটুও চিন্তা থাকে তাহলে এই আর্টিকেল আপনাকে অনেক সহায়তা করবে। আশাকরি লেখাটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আপনার মতামত অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।
1 মন্তব্যসমূহ
পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ. আমি এই বিষয় সম্পর্কে অনেক শিখেছি| আমি এই পোস্টটি খুব দরকারী এবং উত্তেজনাপূর্ণ খুঁজে পেয়েছি| আবার দেখা হবে! Digital Dinkal
উত্তরমুছুন