Join Our Telegram channel! name='keywords'/> প্রাইজ বন্ড সম্পর্কে এটুজের সঠিক বিস্তারিত জেনে নিন | Know the exact details of Etouge about prize bonds

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

প্রাইজ বন্ড সম্পর্কে এটুজের সঠিক বিস্তারিত জেনে নিন | Know the exact details of Etouge about prize bonds

প্রাইজবন্ড কি?


বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর কর্তৃক প্রবর্তিত এক প্রকার কাগুজের মুদ্রা। প্রাইজবন্ড লটারির মতো হলেও কিন্তু লটারি না। লটারির ক্ষেত্রে একবার ”ড্র” হয়ে গেলে ঐটার মেয়াদ চলে যায় এবং টিকেটের মূল্যও থাকেনা। লটারিতে জয়ী না হলে পুরো টাকাটাই লস। এদিকে প্রাইজবন্ড এর ”ড্র” হয়ে যাওয়ার পরও এর মেয়াদ শেষ হয়না। পরবর্তী ”ড্র” এর সময়ও এর মেয়াদ থাকে। অর্থাৎ প্রাইজবন্ডের মেয়াদ শেষ হয়না। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হল প্রাইজবন্ড এর কয়েকবার ”ড্র” হওয়ার পরও, চাইলে সেগুলো ভাঙ্গিয়ে আবার টাকা নিয়ে আসা যায়। তবে প্রাইজবন্ডের গ্রাহক কোন লভাংশ পাবেন না। আসলে প্রাইজবন্ড বিক্রি করে সরকার সরাসরি জনগণের কাছ থেকে ঋণ নেয় এবং তা দিয়ে সরকার তাদের প্রয়োজনীয় অনুযায়ী কাজ করে।


প্রাইজ বন্ড সম্পর্কে এটুজের সঠিক বিস্তারিত জেনে নিন | Know the exact details of Etouge about prize bonds



প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হয় যে মাসে

প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হবার তারিখ সমুহ

প্রাইজবন্ডের ”ড্র” অনুষ্ঠিত হয় বছরে চারবার যথাক্রমে ৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর। তবে উক্ত তারিখ গুলোর কোনটিতে কোন সাপ্তাহিক ছুটি (বর্তমানে শুক্র ও শনিবার) বা সরকারি ছুটি (সাধারণ/নির্বাহী আদেশে/ঐচ্ছিক), অথবা অন্য কোন কারনে প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হতে না পারলে পরবর্তী কার্যদিবসে তা সম্পন্ন করা হয়। একক সাধারণ পদ্ধতিতে (প্রতিটি সিরিজের জন্য একই নম্বর) ”ড্র” পরিচালিত হয়। বর্তমানে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ”ড্র” অনুষ্ঠিত হয়।

২০২৪ সালে প্রাইজবন্ড ড্র কবে হবে সেই তারিখ সমুহ নিচে দেয়া হলো

১১১ তম প্রাইজবন্ডের ড্র' অনুষ্ঠিত হবে ৩১শে জানুয়ারী ২০২৪ সালে

প্রাইজবন্ড জেতার উপায় সমুহঃ

প্রাইজবন্ড বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রনসহ ক্যাশ প্রবাহ বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভুমিকা রাখে। নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সরকার বাজার থেকে ৭০০ কোটি টাকা উত্তোলোন করেছে। প্রাইজবন্ড জেতার উপায় নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন ধরনের মতামত দিয়েছেন।

Probability Method:

প্রতি ১০ লাখ প্রাইজবন্ডের মধ্যে বিজয়ী হয় মাত্র ৪৬টি নাম্বার, অন্যভাবে বলতে গেলে প্রতি ২১,৭৩৯টি'র মধ্যে ১টি নাম্বার বা ০.০০৪৬% । প্রমানীত সত্য যে প্রাইজবন্ড যত বেশী সংখ্যক থাকবে তার বিজয়ী হবার সম্ভবনা তত বেড়ে যাবে।

পুরাতন প্রাইজবন্ড ক্রয় করাঃ

পুরাতন প্রাইজবন্ড কেনা নিয়ে কোন মতভেদ নাই। পুরাতন প্রাইজবন্ডের কিছু উপকারীতা আছে, যেমন-

পুরাতন প্রাইজবন্ড কেনার পর থেকেই ড্র'র আওতায় থাকে, কিন্তু নতুন প্রাইজবন্ড ড্র'র আওতায় আসতে কেনার পর দুই মাস অপেক্ষা করতে হয়।পুরানো সিরিজের প্রাইজবন্ডের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী দুই বছরের মোট ৮টি ড্র’র সাথে মিলিয়ে দেখার সুযোগ আছে (যদি পূর্ববর্তী বিক্রেতা নাম্বারগুলি না মিলিয়েই বিক্রয় করে থাকে), কিন্তু নতুন সিরিজের ক্ষেত্রে কেবল মাত্র পরবর্তী ড্র’র সাথে মিলিয়ে দেখা যাবে পূর্ববর্তী ড্র’র সাথে মিলিয়ে দেখার সুযোগ নাই।

এক সিরিয়ালে প্রাইজবন্ড কেনাঃ

এক সিরিয়ালে নূন্যতম ১০০টি প্রাইজবন্ড ক্রয় করা। ১০০টির অধিক প্রাইজবন্ড ক্রয় করতে চাইলে এক সিরিয়ালে ১০০টি ক্রয় করার পর কিছু গ্যাপ দিয়ে আবার এক সিরিয়ালে ১০০টি কিনতে হবে এইভাবে চলতে থাকবে।

প্রাইজবন্ড পুরস্কারের টাকার পরিমান

প্রাইজবন্ড পুরস্কারের মূল্যমান কত?

১৯৯৫ সালে ১০০ টাকা মূল্যের প্রাইজবন্ড চালু হবার পর থেকে এর পুরস্কারের মূল্যমান অপরিবর্তিত রয়েছে। সিরিজ প্রতি পুরস্কারের মূল্যমান সমান অর্থাৎ প্রতি সিরিজের জন্য ৪৬টি পুরস্কার রয়েছে, যার মূল্যমান ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

প্রথম পুরস্কার একটি ৬ লাখ টাকা

দ্বিতীয় পুরস্কার একটি ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা

তৃতীয় পুরস্কার দুইটি ১ লাখ টাকা প্রতিটি

চতুর্থ পুরস্কার দুইটি ৫০ হাজার টাকা প্রতিটি এবং

পঞ্চম পুরস্কার ৪০টি ১০ হাজার টাকা প্রতিটি

নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত দেশে ৭০ টি সিরিজ চালু আছে । প্রতিবার ”ড্র” জন্য ৭০ টি সিরিজের জন্য সরকার মোট (১৬,২৫,০০০ x ৭০)=১১ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের জন্য বরাদ্ধ রাখে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ