Join Our Telegram channel! name='keywords'/> ঘরে বসে ফ্রিতে মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট দিয়ে টাকা ইনকাম করুন | How to earn money with internet

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

ঘরে বসে ফ্রিতে মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট দিয়ে টাকা ইনকাম করুন | How to earn money with internet

প্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার বিষয়টা সর্বদা সাধারণ মানুষের কাছে একটি ট্রেন্ডিং নিউজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণেই ইন্টারনেট থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এই বিষয়ে জানার কৌতুহল কম-বেশি প্রায় সকলের মধ্যেই তৈরি হয়েছে।তাছাড়া চাকরির অভাবে যুব সমাজের মাঝে বেকারত্বের হার ক্রমন্বয়ে বাড়তে থাকায় অনলাইন ইনকামের প্রতিই সবাই ঝুঁকছে। এটা অবশ্যই একটি ভালো দিক। ইন্টারনেটে অনেক বেশি চাকরি অপর্চুনিটি রয়েছে যা সাধারণ চাকরিগুলোর ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই না।ইন্টারনেট থেকে আয় করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো নিজের ঘরে বসেই আয় করা যায়। আবার বেশিরভাগ চাকরির ক্ষেত্রেই কোনো ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগবিশিষ্ট একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ হলেই চলে। পাশাপাশি যে কোনো বিষয়ের একটি স্কিল প্রয়োজন হয়।ইন্টারনেট থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এই ব্লগে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে একন কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলো করার মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।


ঘরে বসে ফ্রিতে মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট দিয়ে টাকা ইনকাম করুন | How to earn money with internet


ইন্টারনেট থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়?

ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা সম্ভব। এখানে ১০ টি স্কিল বা পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেট থেকে আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং করে টাকা আয়

ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় একটি উপায় হলো ব্লগিং। ব্লগিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। ব্লগিং মানে নিজস্ব একটি ওয়েবসাইটে আপনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করলেন এবং যেই লেখাগুলো আপনার পাঠকেরা পড়ার উদ্দেশ্যে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে।ব্লগিং করে আয় করার একটি প্রধান উপায় হলো এডসেন্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে। এডসেন্স হলো গুগলের একটি প্রোগ্রাম যা ওয়েবসাইট পাবলিশারদের কাছে বিজ্ঞাপন দেয়। যখন কেউ আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এবং বিজ্ঞাপন ক্লিক করে, তখন আপনি কিছু টাকা উপার্জন করতে পারেন।আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে অন্য কোম্পানির কোন পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করতে পারেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পদ্ধতি অনুসরণ করে। যেখানে কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট পণ্যের বিজ্ঞাপন বা লিঙ্ক শেয়ার করতে হবে এবং আপনার পাঠকের মধ্য থেকে কেউ যদি লিংকে ক্লিক করে উক্ত পণ্য বা সেবা ক্রয় করে, তাহলে আপনি কোম্পানির পক্ষ থেকে একটি কমিশন পাবেন।স্পন্সরশিপ: আপনি আপনার ব্লগে কোনো কোম্পানির একটি পণ্য বা পরিষেবার বিজ্ঞাপন করতে পারেন এবং তার বিনিময়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন।পেইড রিভিউ: পেইড রিভিউ মানে হলো কোন প্রতিষ্ঠান বা প্রডাক্টের বিষয়ে আপনার মতামত লেখা। আপনি আপনার ব্লগে কোন প্রতিষ্ঠান বা প্রডাক্ট বিষয়ক একটি রিভিউ লিখে প্রতিষ্ঠানটি থেকে টাকা উপার্জন করতে পারেন।একটি পেইড রিভিউ লেখার জন্য আপনাকে প্রথমে কোন একটি প্রতিষ্ঠান বা প্রডাক্ট বেছে নেওয়া লাগবে। তারপর আপনাকে সেই প্রতিষ্ঠান বা প্রডাক্ট নিয়ে কিছু লিখতে হবে। লিখার সময় আপনি বিষয়টি ভালোভাবে পর্যালোচনা করে লিখতে পারেন যাতে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা প্রডাক্টের সম্পর্কে আপনার পাঠকেরা জানতে পারে এবং তাদের কাছে যেনো গ্রহণযোগ্যতা পায়। এর বিনিময়ে প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।

ইউটিউবিং করে টাকা আয়

ইউটিউব প্লাটফর্মে ভিডিও তৈরি করেও আপনি ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউব এবং ব্লগিং থেকে আয় এর পদ্ধতি প্রায় একই। তবে ইউটিউব ব্লগিং অপেক্ষা সহজ হওয়ায় এটা হতে পারে আপনার জন্যও একটি সুবিধাজনক অনলাইন ইনকাম সোর্স।কিন্তু ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে ইন্টারনেট থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এই বিষয়ে অনেকেরই ক্লিয়ার ধারণা নেই। তাদের বুঝার সুবিধার্থে ইউটিউব থেকে আয় করার বিভিন্ন পদ্ধতি উল্লেখ করা হলোঃ –ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামঃ এটি মূলত ইউটিউব ভিডিও মনিটাইজ করার খুবই জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে আপনি ইউটিউব ভিডিওগুলোর সাথে এডসেন্স বিজ্ঞাপন যুক্ত করতে পারেন।এজন্য আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং ১২ মাসের মধ্যে কমপক্ষে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। অথবা ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৯০ দিনের মধ্যে ১০ মিলিয়ন শর্ট ভিডিও ভিউ প্রয়োজন হবে। এরই মধ্যদিয়ে আপনি ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারেন।স্পন্সরশিপ প্রোগ্রামঃ স্পন্সরশিপ প্রোগ্রাম বলতে কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তির প্রোডাক্ট, সেবা বা সার্ভিস আপনি আপনার চ্যানেলের ভিডিওর মাধ্যমে প্রমোট করে দিলেন, এবং এর বিনিময়ে আপনাকে অর্থ প্রদান করবে।পেইড রিভিউ: এই বিষয়টাও স্পন্সরশিপ প্রোগ্রাম এর মতই কাজ করে। অর্থাৎ, আপনি কোনো কোম্পানি বা তার প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়াদি আপনার ভিডিওতে তুলে ধরবেন, যেনো সেই কোম্পানি বা তার প্রোডাক্ট সম্পর্কে আপনার দর্শকেরা দেখতে পারে এবং তারাও যেনো উক্ত কোম্পানি বা প্রোডাক্টের গ্রাহক হতে ইচ্ছেপোষণ করে।

ই-কমার্স এর মাধ্যমে টাকা আয়

ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ই-কমার্স ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় একটি কাজ। অ্যামাজন, আলিবাবা ইত্যাদির মতো বড় বড় ওয়েবসাইট গুলো মূলত ই-কমার্স ব্যবসার মাধ্যমেই বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছেন। তারা ই-কমার্স ব্যবসার মাধ্যমে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইন্টারনেট থেকে আয় করছেন।
ই-কমার্স মূলত আপনার একটি অনলাইন ব্যবসা। যেখানে ফিজিক্যাল প্রোডাক্টের পাশাপাশি ডিজিটাল প্রোডাক্টও বিক্রি করতে পারবেন। আপনি যদি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স ওয়েবসাইট ”দারাজ” -এ প্রবেশ করেন, তবে ই-কমার্স ব্যবসা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয়

এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম করার এমন একটি উপায় যেখানে আপনি কোনো কোম্পানির পণ্যের বিজ্ঞাপন করবেন এবং সেই পণ্যটি বিক্রি হলে আপনি কমিশন পাবেন। এটা একটি প্যাসিভ ইনকাম প্রক্রিয়া।
কমিশন মূলত বিক্রিত পণ্যের দামের উপর নির্ভর করে। এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত প্রোডাক্টের লিংকের উপর ভিত্তি করে কার্যকর। প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপনের প্রদত্ত লিঙ্ক এর মাধ্যমে একটি স্পেশাল ট্র্যাকিং কোড থাকে যাতে পণ্যটি ক্রয়ের জন্য কেউ আপনার বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করলে সেই ইভেন্ট ট্র্যাক করা যায়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে আয় করার জন্য একটি নিজস্ব ব্লগ ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকলে সুবিধা হয়। আবার যে কোনো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন করে টাকা আয়

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়েব ডিজাইন একটি প্রফেশনাল ক্যারিয়ার হিসাবে উপলব্ধ এবং এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারেন।ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোম্পানির সাথে কাজ করা যায় ।আপনি ফাইভার, আপওয়ার্ক, গুরুওয়া ইত্যাদি প্লাটফর্মে নিজের পেশাদারি প্রতিভার উপর ভিত্তি করে কাজ করতে পারবেন এবং প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য পরিমাণগত খরচ নির্ধারণ করতে পারেন।আবার চাইলে নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়েব ডিজাইন সার্ভিস প্রদান করে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

স্টক ফটোগ্রাফি করে টাকা আয়

স্টক ফটোগ্রাফি হলো বিভিন্ন ছবির কোনো একটি সংগ্রহশালা, যা একটি ওয়েবসাইট বা একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বিক্রি করা যাবে। আপনি আপনার ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি তুলে একটি স্টক ফটোগ্রাফি সাইটে আপলোড করতে পারেন, এবং সেই ছবিটি যখন কেউ ডাউনলোড করবে তখন আপনি কমিশন পাবেন।কিন্তু ছবি বিক্রি করে ইন্টারনেট থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়, এই বিষয়টা অনেকেই বুঝেনা। আবার কেউ কেউ এটা বিশ্বাসও করতে চায় না। অথচ এটা একটি জনপ্রিয় প্যাসিভ ইনকাম পদ্ধতি।কিছু জনপ্রিয় স্টক ফটোগ্রাফি সাইট হলো Shutterstock, iStock, Fotolia, Dreamstime ইত্যাদি। আপনি এই সাইট গুলোতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন এবং আপনার ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবিগুলো আপলোড করতে পারেন।
স্টক ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি অনলাইনে একটি প্যাভিষ ইনকাম সোর্স তৈরি করতে পারেন। স্টক ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট গুলোর স্বাভাবিক নিয়ম হলো যে, আপনি যতগুলো ছবি আপলোড করবেন এবং সেই ছবিগুলোর প্রতিটি বিক্রয় থেকে আপনি কিছু কমিশন পাবেন।কমিশন কত % হবে তা আপনার স্টক ফটোগ্রাফি সাইটের নীতিমালা বা শর্তাদি দ্বারা নির্ধারিত হতে পারে। সাধারণত স্টক ফটোগ্রাফি সাইটের কমিশন হলো ৩০% থেকে ৮৫% এর মধ্যে।

অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট টাকা আয়

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট একটি উচ্চমানের পেশা যা আপনাকে একটি সফল ব্যবসা স্থাপনের সম্ভাবনা দেয়। এটি নিজেকে স্বাধীন ব্যবসা হিসাবে অভিনব সম্ভাবনা দেয় এবং আপনাকে প্রযুক্তিগত ভাবে অনেক এগিয়ে রাখবে।অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করে আপনি ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারেন। তারমেধ্য যেমনঃ –অ্যাপস বিক্রিঃ মনে করুন আপনি এন্ড্রোয়েড মোবাইলের জন্য অ্যাপস তৈরি করতে পারেন। আপনি যখন কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তির জন্য অ্যাপস তৈরি করবেন, তখন আপনাকে টাকা প্রদান করা হবে।
অ্যাপস মনিটাইজঃ আপনি চাইলে নিজের জন্য অ্যাপস তৈরি করতে পারেন। যেখানে আয় করার জন্য আপনি গুগল এড মোভ ব্যবহার করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা আয়

গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি সুন্দর ও স্মার্ট পেশা যা আপনাকে আপনার সৃজনশীলতা এবং ক্রিয়েটিভিটি প্রদর্শন করতে দেয়। এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি ইন্টারনেটের অনেক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে টাকা উপার্জন করতে পারেন।আপনার যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন স্কিল থাকে, তবে চাইলেই আপনি ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ও গুরু ইত্যাদির মতো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বায়ারদের কাজ করে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
আবার চাইলে নিজস্ব স্টার্টআপ চালু করেও অনেক ভালো আয় করতে পারেন। বাংলাদেশে অগণিত মানুষ আছে এমন, যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করছে। ইভেন আমিও গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর কাজ করি।

অনলাইন কোর্স তৈরি করে টাকা আয়

অনলাইন কোর্স তৈরি করে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করা খুবই সাধারণ এবং জনপ্রিয় একটি উপায়। এজন্য আপনার যে কোনো বিষয়ে ভালো স্কিল থাকতে হবে এবং সেই স্কিলের উপর কোর্স তৈরি করতে হবে।শুরুতেই আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি কোর্স তৈরির জন্য একটি শিক্ষামূলক বিষয় নির্বাচন করেছেন যা লোকদের কাজে আসতে পারে। যেমন, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, এসইও, অ্যানিমেশন তৈরি ইত্যাদির উপর কোর্স তৈরি করে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ