এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশি জানি।এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করা হয় এই বিষয় যারা না জানেন তারা এই পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত ধারণা নিতে পারবেন।বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে অনেক পরিমাণের টাকা আয় করার যায়।আমাদের মধ্যে এমন অনেক লোক আছে যারা, সাধারণত ঘরে বসেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে হাজার হাজার ডলার উপার্জন করছে।বর্তমান সময়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সব থেকে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলো আমাজন। অনেক লোক চাই আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার।এছাড়া আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়।যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদের অনেক এর পছন্দের ওয়েবসাইট এর নাম হলো আমাজন।আমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করার মাধ্যমে অনেক ব্লগার টাকা উপার্জন করছে প্রতিনিয়ত।তাই আমাদের এই পোস্টে আপনাদের জানাব আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ডিজিটাল বাংলা ৩৬০ এর মাধ্যমে।এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে এফিলিয়েট থেকে কিভাবে আয় করবেন? আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো সহ জানতে পারবেন।
আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো কোন কোম্পনির পণ্য ও সেবা গুলো প্রচার এর মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া এবং লাভ থেকে কমিশন নেওয়া তাকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।অন্যদিকে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি কোম্পানি প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে পন্য বিক্রি করা হয়।এটি আমাজনের সরাসরি একটি এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম। যার মাধ্যমে যে কেউ এফিলিয়েট একাউন্ট তৈরি করে, আমাজন এর পণ্য গুলো প্রচার করার মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। এবং লাভ অংশ থেকে ভালো টাকা কমিশন হিসেবে নিতে পারবে।এই জন্য আপনাকে আমাজন থেকে তাদের পণ্য গুলো প্রচার করার জন্য বিশেষ একটি রেফারেল লিং দেওয়া হবে।আপনি যদি সেই রেফারেল লিংক এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করেন তাহলে অবশ্যই আপনি বিক্রি করার পণ্য এর উপর ভালো পরিমাণের টাকা কমিশন পেয়ে যাবেন।বর্তমান সময়ে আমাজন থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্যে কিংবা আমাজন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্যে অনেক লোক উক্ত পদ্ধতি গুলো বেছে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
কেন আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন?
বর্তমানে যারা, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদের জন্য আমাজন হলো সব চেয়ে লাভজন একটি ওয়েবসাইট বা কোম্পানি।আমাজনের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অনেক এফিলিয়েট মার্কেটারা অনলাইন থেকে অনেক টাকা আয় করে যাচ্ছে।এছাড়া আমাজন হলো পৃথিবীর সব থেকে জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট। উক্ত ওয়েবসাইটটি যে, সকল সুবিধা দিতে পারে তা অন্য কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো পারে না বা পারবেও না।এছাড়া আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করার আরো অনেক উপায় ও সুবিধা আছে। আমাজনের মাধ্যমে এফিলিয়েট করার ফলে আপন অনেক সহজে রেফারেল লিংক ব্যবহার করে পন্য বিক্রি মাধ্যমে ভালো পরিমাণের টাকা কমিশন নিতে পারবেন।যা বর্তমান সময়ে অন্যান্য রেফারেল কোম্পানি গুলো থেকে কমিশন অনেক বেশি। বেশির ভাগ মার্কেটার’রা আমাজন কে পছন্দ করে কারণ এই সাইট মানুষের কাছে অনেক বিশ্বস্ত।তার জন্য যারা অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান? তাদের জন্য প্রথম পছন্দ ওবেসাইট হলো আমাজন।এখনও এমন অনেক লোক আছে যারা, শুরু আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার ফলে তাদের লাইফ স্টাইল ও ক্যারিয়ার সৃষ্টি করে নিতে পারছে।
আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা
অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে অনেক ধরণের ই-কমার্স ওয়েবসাইট আছে। যে গুলো ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রচুর টাকা আয় করা যায়।
তবে যারা অনেক বছর থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে যাচ্ছে। তাদের এই ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ ছিল আমাজন। আর যারা নতুন ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার চিন্তা করে তাহলে আমাজনে শুরু করে।কি জন্য আমাজন তাদের প্রথম পছন্দ, এ বিষয়ে এখানে পরিষ্কার ধারণা নিতে পারবেন। নিচের অংশে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার কিছু সুবিধা সম্পর্কে দেখুন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন?
আপনি চাইলে অনলাইনে অনেক উপায় ব্যবহারকরে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।কিন্তু আপনি যে ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন না কেন? আপনাকে অবশ্যই সঠিক উপায় অবলম্বন করে কাজ শুরু করতে হবে।
তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেনঃ
ইউটিউবের মাধ্যমে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনি যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেন। সেই ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করেই আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।
আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করার যত উপায় আছে তার মধ্যে জনপ্রিয় হলো ইউটিউব এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে দ্রুত আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এই জন্য আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল এর সাথে আমাজন একাউন্ট কে যুক্ত করতে হবে। সেখান থেকে রেফারেল লিংক নিয়ে সরাসরি আপনার ইউটিউব ভিডিও গুলোর ডিসক্রিপশনে ব্যবহার করতে হবে।উক্ত উপায় অবলম্বন করে অনেকেই ইউটিউব থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করছে। আপনি চাইলে শুরু করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমাজন এফিলিয়েট মারকেটিং
আপনার যদি নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে সেখানে আপনি দ্রুত ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।আপনি উক্ত উপায় ব্যবহার করেও আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন।এই জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে আমাজন একাউন্ট এর সাথে যুক্ত করে নিতে হবে। এবং সেখানে পণ্য রেফারেল লিংক নিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনি চাইলে আপনার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে, ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে দিতে পারবেন।
ফেসবুক পেজ থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্যে আপনার অবশ্যই সেই পেজে অসংখ্য ফলোয়ার থাকতে হবে।কারণ আপনি যেহেতু পণ্য প্রচার ও বিক্রি করবেন সেক্ষেত্রে আপনার অনেক লোক দরকার। আপনি পেজে বেশি বেশি ফলোর তৈরি করতে পারলে অনেক ভালো পরিমাণের আয় করতে পারবেন। আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর পণ্য গুলো প্রচার ও বিক্রি করে।উক্ত মাধ্যম গুলো ছাড়া আরো অনেক উপায়ে আপনি আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা, এই পোস্টে আপনি জানতে পারলেন, আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করবেন।আপনি যদি উক্ত পোস্ট সম্পুন্ন পড়ে থাকেন। তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর জেনে গেছেন আশা করি।আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন। এবং এটি আপনার বন্ধুদের সাথে একটি শেয়ার করবেন ধন্যবদা।
0 মন্তব্যসমূহ