আপনি বিশ্বাস করতে পারেন বা না পারেন। এটাই সত্য আপনি ই-বুক ( Kindle eBook ) বিক্রি করে আয় করতে পারবেন মাসে ৪৫,০০০ টাকা। আপনি হয়তো ভাবছেন আমি আপনার সাথে মজা করছি৷ তবে আপনি বিশ্বাস করতে বাধ্য হবেন লেখাটি মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ পড়ার পর।শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যে ই-বুক বিক্রি করে আয় করা সম্ভব মাসে ৪৫,০০০ টাকা। এখানে আমি দু’টি পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। একটা হচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে কিভাবে আপনি ব্যবসা করে ৪৫ হাজার টাকা আয় করতে পারেন তা নিয়ে। দ্বিতীয় হচ্ছে Kindle eBook বিক্রি করে কিভাবে আয় করা যাবে তা নিয়ে।চলুন একটু হিসাব করে নিই। বাংলাদেশের মধ্যে ই-বুক বিক্রি করে আয় করা সম্ভব কি-না তা জেনে নিন।বাংলাদেশের বর্তমান মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটির কাছাকাছি। আদমশুমারীর গণনা অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা নির্ধারন করা হয়। ইতিমধ্যে আদমশুমারীর নতুন গণনা শুরু হয়েছে। তবে আমরা ধরে নিতে পারি বর্তমান জনসংখ্যা ১৮ কোটি প্রায়।যাইহোক, আমরা ১৮ কোটি হিসাব না করে ব্যবসার জন্য ১৭ কোটি জনসংখ্যা ধরে নিচ্ছি। মনে করুন, বাংলাদেশে বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি প্রায়।১৭ কোটি মানুষের দেশে আপনার কি মাসে ১০০০ জন ক্রেতা থাকবেনা! অবশ্যই ১০০০ জন ই-বুক ক্রেতা পাওয়া সম্ভব। আপনি যদি অনলাইনের বেসিক মার্কেটিং জানেন। তাহলে আপনার দ্বারা সম্ভব প্রতি মাসে ১০০০ টি ই-বুক বিক্রি করা।
ই-বুক কি?
যে সকল বই হাতে স্পর্শ না করে পড়া যায় এককথায় তাকে ই-বুক বলে। সাধারণত আমরা মোবাইল বা কম্পিউটারে বিভিন্ন ফাইলের ডাটা পড়ে থাকি। যখন কোন তথ্য লিখিত আকারে অনলাইনে কোন ফাইলে সংরক্ষণ করা হয়, তখন তাকে ই-বুক বলা হয়। যেমন: ডক ফাইল, ওয়ার্ড ফাইল, পিডিএফ ফাইল ইত্যাদি।
কিভাবে ই-বুক ক্রেতা পাবেন?
আমাদের বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১৭ কোটি থেকে অর্ধেক মানুষ যদি অনলাইন কেনাকাটা করতে না জানে। তাহলে আরও ৮,৫০০,০০০ মানুষ আছে যারা অনলাইন সম্পর্কে জানেন। মনে করি, এর মধ্যে অর্ধেক মানুষ ই-বুক ক্রয় করতে আগ্রহী না। তাহলেও আরও ৪,২৫০,০০০ মানুষ থাকবে যারা অনলাইনে কেনাকাটা করতে ইচ্ছুক।এসবকিছু বাদ দিয়ে মনে করুন আপনার টার্গেট করা কাস্টমার হচ্ছে মাত্র ৫০,০০০ জন।৫০ হাজার ক্রেতার মধ্যে প্রতিমাসে আপনার একটিভ ক্রেতা হচ্ছে ১,০০০ জন। আপনি যদি প্রতি ই-বুক বিক্রি করে ৫০ টাকা প্রফিট করেন। তাহলে একটু হিসাব করে দেখুন। শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যে ই-বুক বিক্রি করে কত টাকা আয় করা সম্ভব। মনে রাখবেন, যে ক্রেতা একবার আপনার কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করবে। সে আপনার স্থায়ী কাস্টমার হিসেবে পরিণত হবে। যদি আপনার সার্ভিস চাহিদা অনুযায়ী হয়।ই-বুক বিক্রি করে আয় Kindle eBook Business১০০০ জন ক্রেতা থেকে ৫০ টাকা করে প্রফিট করলে আপনান ৫০,০০০ টাকা প্রফিট হবে। যদি এখান থেকে ৫০০০ টাকা মার্কেটিং খরচ হিসেবে বাদ দেন, তাহলেও আপনি ৪৫,০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।এখন আশাকরি, বুঝতে পেরেছেন যে, ই-বুক বিক্রি করে বাংলাদেশ থেকে মাসে ৪৫ হাজার টাকা উপার্জন করা সম্ভব। Kindle eBook Business সম্পর্কে একটু পরেই আলোচনা করবো। আগে আমরা দেশীয় এরিয়ার মধ্যে ব্যবসা করে কিভাবে আয় করা যায় তা জেনে নিলাম।
ই-বুক কোথা থেকে সংগ্রহ করবেন?
আপনার যদি লেখালেখি করার অভ্যাস থাকে, তাহলে আপনি নিজেই বিভিন্ন বিষয়ের উপর ই-বুক লিখতে পারেন। আপনার লেখা বই আপনি সহজে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।আপনার যদি নিজের লেখা প্রকাশ করার সামর্থ না থাকে। তাহলে আপনি অন্যদের লেখা বই বিক্রি করতে পারেন। তবে তার জন্য আপনি বিভিন্ন প্রকাশনীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা আপনাকে অনুমতি দিলে আপনি বইটি ই-বুকে পরিবর্তন করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। এর জন্য একটা চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেন। একটা বই যতবার বিক্রি হবে তার প্রফিটের কিছু অংশ লেখক ও প্রকাশনীর কাছে শেয়ার করবেন।
ই-বুক কিভাবে বিক্রি করবেন?
অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য অনেকগুলো প্লাটফর্ম থাকলেও নিজের প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি ও বিশ্বস্ততার জন্য অবশ্যই একটা নিজের ব্যবসার নামে ওয়েবসাইট প্রয়োজন হবে। এটা হবে আপনার অনলাইন দোকান যেখান থেকে পণ্য বিক্রি করবেন। ক্রেতার কাছ থেকে সহজে পেমেন্ট নিতে ও পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে নিজের ওয়েবসাইটের কোন বিকল্প নেই। এই ওয়েবসাইট কে অনলাইনের ভাষায় ই-কমার্স ওয়েবসাইট বলা হয়।যদি আপনি শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যে ই-বুক বিজনেস করতে চান, তাহলে আপনার ব্যক্তিগত ব্যবসায়ীক ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে। Kindle eBook নিয়ে কাজ করার জন্য আপনার নিজের ওয়েবসাইট তৈরি বাধ্যতামূলক নয়। আপনি সরাসরি আমাজনের সাথে চুক্তি করে এটি শুরু করতে পারেন।আমাজনের সাথে চুক্তি করা খুবই সহজ। আপনাকে একটা অনলাইন ফরম পূরণ করে নিজের তথ্য সাবমিট করে এটি করতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ