বর্তমান সময়ে Internet থেকে অনলাইন টাকা ইনকাম (earn money online from internet) করার জন্য, অনেক উপায় বা মাধ্যম আমাদের হাথে রয়েছে। আমি নিজেই, আমার মাসিক ইনকামের অনেক বেশি পরিমান, ইন্টারনেট থেকে আয় করছি। এমনিতে, অনলাইনে ইনকাম (online income) করার রাস্তা প্রত্যেকের জন্য অবশই খোলা রয়েছে। কেবল প্রয়োজন হবে, আপনার মধ্যে কিছু সাধারণ কৌশল ও দক্ষতা (skills) থাকার।Internet থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য, আজ বেশিরভাগ ছাত্ররা (students) বিভিন্ন উপায় খুজেঁন থাকেন।তাছাড়া, কিছু সংখক লোকেরা বা মহিলারা ঘরে বসেই অনলাইন ইনকাম করার উপায় জানার জন্য অনেক উৎসুক।কিন্তু মনে রাখবেন, অনলাইন ইনকামের যেভাবে অনেক লাভজনক উপায় রয়েছে,ঠিক সেভাবেই, অনেক মিথ্যা (false) বা জাল (fake) মাধ্যমও রয়েছে।এই ধরণের মাধ্যমে, আপনার কেবল সময় নষ্ট হবে। এবং, টাকা দেয়ার নামে আপনাকে কিছুই দেয়া হয়না।তাই, আজ অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলির মধ্যে সব গুলোই কিন্তু আসল (real) বা জেনুইন (genuine) নয়।তবে, ইন্টারনেটে টাকা উপার্জনের যেসব নিশ্চিত বা জেনুইন উপায় রয়েছে, সেগুলি যদি আপনারা সঠিক ভাবে ব্যবহার করে লাভ নিতে পারেন,তাহলে বিশ্বাস করুন, আপনি কিছু দিনের মধ্যেই অনলাইনে এতো টাকা আয় করতে পারবেন যে অন্য কোনো কাজ করার প্রয়োজন হবেনা।তাই, এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের, ইন্টারনেটের মাধ্যমে টাকা আয় করার এমন ১০ টি উপায়ের ব্যাপারে বলবো,যেগুলি সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে আপনারা কিছু দিনের মধ্যেই ভালো পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন।এই মাধ্যম গুলি জেকেও ব্যবহার করে কাজ করতে পারবেন।যেমন, স্কুল বা কলেজে পড়া ছাত্ররা (students), retired মানুষেরা বা housewives এবং আপনি বা আমি জেকেও part-time বা full-time online income এর উদ্দেশ্যে এই নিশ্চিত উপায় গুলি ব্যবহার করতে পারি।আজ অনেকেই রয়েছেন যারা, online earning কোরে যেকোনো চাকরির থেকে দুগুণ টাকা আয় করছেন।যত বেশি দিন যাচ্ছে, বিভিন্ন নতুন নতুন অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো ইনকামের দারুন সুযোগ তৈরি করছে।নিচে, আমি ১০ টি এমন উপায় বলবো যেগুলির মাধ্যমে আজ বিভিন্ন দেশের লোকেরা ঘরে বসে অনলাইন কাজ করে, ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করছেন।কিছু ক্ষেত্রে, লোকেরা ইন্টারনেট থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকাও আয় করছেন জেবেপারে আজ আমরা প্রত্যেকেই জানি।
অনলাইনে ইনকাম করার জন্য কি কি লাগবে ?
এমনিতে, অনলাইনে আয় বা উপার্জন করার জন্য আপনাদের কি কি লাগবে, সেটা কেবল আপনি কোন কাজটি করছেন সেটার ওপরেই নির্ভর করবে।তবে, সাধারণ ভাবে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকতে হবে এবং তাতে ইন্টারনেট কানেক্শন (internet connection) থাকাটা জরুরি।তারপর, আপনারা যেকোনো জায়গার থেকে নিজের কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে পারবেন।একি জায়গায় বসে থাকার কোনো দরকার হবেনা।তাই, এক্ষেত্রে একটি ল্যাপটপ (laptop) থাকাটা আপনার জন্য অধিক লাভজনক প্রমাণিত হবে।কিন্তু, আপনারা যদি এই অনলাইন কাজ গুলো করার জন্য মোবাইল ব্যবহার করার কথা ভাবছেন, তাহলে আগেই বলে দি, “এভাবে যেকোনো অনলাইন কাজ করাটা সম্ভব না” .দেখুন, ইন্টারনেট থেকে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার প্রফেশনালি (professionally) কাজ করতে হবে।এবং, তার জন্য একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের প্রয়োজন।
ইন্টারনেটে আয় করার ১০ টি নিশ্চিত উপায়
নিচে, ইন্টারনেট থেকে আয় করার যেগুলি নিশ্চিত উপায় গুলির ব্যাপারে বলবো,সেগুলির ব্যাপারে জেকেও YouTube এ ভিডিও দেখে বা গুগলে সার্চ করে জেনেনিতে পারবেন।এবং, তারপর এই মাধ্যম গুলি ব্যবহার কোরে online income করতে পারবেন।নিচে দেয়া এই ৭ উপায় আজ, ২০২১ সালে, অনলাইন ইনকামের সব থেকে লাভজনক উপায় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।তাহলে চলুন, কিভাবে অনলাইন টাকা ইনকাম করবো তার কিছু লাভজনক উপায় গুলো নিচে জেনেনেই।
১. পিটিসি (PTC) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম
PTC বা pay to click ওয়েবসাইট গুলির মাধ্যমে আজ অনেকেই ঘরে বসেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে বা বিজ্ঞাপন দেখে অনলাইনে টাকা আয় করছেন।পিটিসি (ptc) ওয়েবসাইট গুলি আসলে আপনাদের বিভিন্ন রকমের কাজ দেয়।যেমন, কিছু paid survey র কাজ, বিজ্ঞাপন (advertisements) দেখার কাজ, বিভিন্ন অন্য অফার (offer) ও কাজ করার বদলে, এই পিটিসি ওয়েবসাইট গুলি আমাদের অনলাইন আয়ের সুযোগ দেয়।সাধারণ, পিটিসি সাইট থেকে টাকা আয় করার সব থেকে সহজ উপায় হলো, “বিজ্ঞাপন দেখা” এবং “পেইড সার্ভে” পুরো করা।এমনিতে, সব ধরণের পিটিসি সাইট ভরসার যোগ্য নাও হতে পারে।তবে, “YSENSE.COM” এবং “NEOBUX.COM” পিটিসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনেকেই ভিভিন্ন জায়গার থেকে আয় করছেন।এগুলিতে, যত বেশি পরিমানে আপনাকে কাজ দেয়া হবে এবং যত বেশি সময় লাগিয়ে আপনারা কাজ করবেন, ততটাই বেশি আয়ের সুযোগ রয়েছে।তাছাড়া, আপনারা গুগলে বিভিন্ন ভালো ভালো পিটিসি ওয়েবসাইটের (PTC websites) ব্যাপারে জেনে তারপর সেগুলি ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন।
২. Earn money online through Facebook videos
এখন, ফেসবুক থেকে unlimited টাকা আয় করার সুযোগ আপনার কাছে রয়েছে।Facebook, এখন একটি নতুন function বেড় করেছে যার নাম হলো “Ad breaks”.Ad Breaks এর মাধ্যমে, আপনারা নিজের ফেসবুক পেজ গুলিতে আপলোড করা ভিডিও গুলিতে বিজ্ঞাপন (advertisements) দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।এমনিতে, ফেসবুকের এই function কিছু দিন আগেই বের হয়েছে। তাই, এই মাধ্যমে কত টাকা আপনি আয় করতে পারবেন, তার সঠিক সংখ্যা বলাটা বর্তমান সম্ভন না।তবে, YouTube এর পরে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করার এই মাধ্যম অনেক বেশি চর্চাতে রয়েছে।কিন্তু, মনে রাখবেন, Facebook ad breaks এর মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য, আপনাদের কিছু নিয়ম ও রুল (rules) মেনে চলতে হবে।তাছাড়া, এই মাধ্যমে টাকা আয় করার কিছু সাধারণ প্রয়োজনীয়তা (requirements) রয়েছে।
৩. Affiliate marketing করে আয়
Affiliate marketing, আজ এমন এক মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে,
যেখানে আপনারা যেকোনো অন্য কোম্পানির পণ্য, প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের অনলাইন প্রমোশন (promotion) বা প্রচার করিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।আপনারা, অন্য কোম্পানির পণ্য (product) বা সার্ভিস (service) বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম যেমন,নিজের ওয়েবসাইট, ব্লগ, YouTube channel বা Social media পেজের দ্বারা অন্যদের কাছে মার্কেটিং বা প্রমোশন করতে পারবেন।এবং, যদি আপনার প্রচার করা “affiliate link” এর মাধ্যমে কেও যেকোনো product বা service অনলাইন কিনে নেয়, তখন সেই পণ্যের কোম্পানির তরফ থেকে আপনাকে commission হিসেবে টাকা দেয়া হয়।
Note : affiliate link মানে হলো সেই URL link address যেটা আপনাকে সেই কোম্পানির থেকে দেয়া হয় যেই কোম্পানির products আপনি মার্কেটিং বা প্রচার করবেন।এবং, affiliate link এর মাধ্যমে, আপনার প্রচার করা পণ্য লোকেরা ডাইরেক্ট অনলাইন কিনতে পারবেন।আজ, একটি ব্লগ বা ইউটিউবের চ্যানেলে আশা ট্রাফিক ও ভিসিটর্স দেড় এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে লোকেরা বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা কমিশন হিসেবে আয় করে নিচ্ছেন।এবং, আপনিও একটি ব্লগ, ইউটিউবের চ্যানেল বা অধিক ফলোয়ার / লাইক থাকা পেজ তৈরি করে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইন টাকা কামাতে পারবেন।Amazon, Flipkart, Snapdeal এর মতো অনেক e-commerce ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলির পণ্য আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে প্রচার করতে পারবেন।তাছাড়া, আপনার দেশের local e-commerce এর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখুন।সেগুলিতেও একটি affiliate program অবশই থাকবে।E – commerce ওয়েবসাইট ছাড়াও ইন্টারনেটে অনেক ধরণের কোম্পানি রয়েছে।
যেমন, Domain & hosting, Website themes, Paid plugins, books এবং ইন্টারনেটের প্রায় ৯০% কোম্পানিরা এফিলিয়াতে প্রোগ্রাম অবশই ব্যবহার করেন।তাই, আপনি আপনার ব্লগ, ওয়েবসাইট বা ইউটিউবের চ্যানেলের টপিক বা বিষয়ের সাথে জড়িত প্রোডাক্ট (product) খুঁজে তারপর, সেগুলি প্রচার করতে পারবেন ভিডিও বা আর্টিকেলের মাধ্যমে।
৪. Blogging করে আয়
ব্লগিং, internet থেকে টাকা আয় করার আমার সব থেকে প্রিয় উপায় বা নিয়ম।কারণ, আজ থেকে ৬ বছর আগে আমি ব্লগিং শুরু করেছি। এবং, তার ১ বছর পর থেকেই আমি এর মাধ্যমে ভালো পরিমানে ইনকাম করে চলেছি।
আজ আমার অনেক ভালো পরিমানে ইনকাম ব্লগিং ও গুগল এডসেন্স থেকে হচ্ছে।প্রায় এতো টাকা যে প্রত্যেক মাসে আমি একটি নতুন iPhone মোবাইল কিনে নিতে পারবো।তবে জেকেও, অনেক সহজেই একটি ব্লগ তৈরি করে তারপর নিজের ব্লগে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।যেমন, affiliate marketing এর মাধ্যমে, AdSense এর মাধ্যমে, অন্য advertisement company থেকে এবং আরো অনেক লাভজনক উপায় রয়েছে একটি ব্লগ থেকে অনলাইন আয় করার।আজ, বিভিন্ন দেশের লোকেরা, ব্লগিং কে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছেন।এবং, একটি part-time বা full-time ব্যবসা হিসেবে নিয়ে ব্লগিং করছেন।আপনি যদি, দিনে কেবল ২ থেকে ৩ ঘন্টা ব্লগিং কে দিয়ে কাজ করতে পারেন, তাহলে সহজেই ১০ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে প্রত্যেক মাসে ইনকাম করতে পারবেন।আমিও, বর্তমানে part-time হিসেবে নিয়ে ব্লগিং করছি। দিনে প্রায়, ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় দিয়ে কাজ করছি।এবং, কেবল এতটুকু সময়ের কাজেই, full-time job করে যতটুকু আয় হচ্ছে, তার সমান ইনকাম করে নিচ্ছি।আজ ২০২৩ সালে ব্লগিং (blogging) Internet থেকে টাকা আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় এবং লাভজনক উপায় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
৫. YouTube channel এর মাধ্যমে
আপনার মধ্যে যদি ভিডিও বানানোর কৌশল বা দক্ষতা আছে, তাহলে একটি YouTube channel বানিয়েও ভালো পরিমানে টাকা আয় করা যেতে পারে।ব্লগিং এর পরে, YouTube দ্বিতীয় সব থেকে জনপ্রিয় ও লাভজনক উপায়, ঘরে বসে online income এর জন্য।আপনারা, যেকোনো ধরণের ভিডিও বানিয়ে নিজের YouTube চ্যানেলে আপলোড দিতে পারবেন।যেমন, টিউটোরিয়াল ভিডিও, educational videos, story, informational এবং লোকেরা যেসব বিষয়ে ভিডিও দেখে ভালো পাবেন, আপনি সেই বিষয় গুলিতে ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে পারবেন।এমনিতে, ইউটিউবের থেকে টাকা কমানোর উপায় মূলত ৩ টি।
*Google এডসেন্সের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে।
*Affiliate marketing এর মাধ্যমে পণ্য প্রচার কোরে।
*Sponsorship করে।
এই সব ধরণের মাধ্যম ব্যবহার করে, আজ হাজার হাজার লোকেরা নিজের বানানো ভিডিওর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রত্যেক মাসেই কমিয়ে নিচ্ছেন।
তবে, প্রথম ১২ মাসের ভেতরে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টার watch time এর লিমিট পুরো করতে পারলে,এডসেন্স বিজ্ঞাপনের দ্বারা ইউটিউবের থেকে ইনকামের সুযোগ আপনার জন্য তৈরি হয়ে যাবে।আপনারা যদি, বেশি কষ্ট না করেই, ঘরে বসে সহজে নিশ্চিত অনলাইন ইনকামের উপায় খুঁজছেন,
তাহলে যতটা জলদি পারেন, একটি ভালো চ্যানেল আইডিয়া নিয়ে, YouTube channel তৈরি করুন।এবং, ভালো ভালো ভিডিও বানিয়ে তাতে আপলোড করুন।এতে, আপনার চ্যানেলে subscriber এবং views এর সংখ্যা বাড়বে আর তারপর ভালো পরিমানে ইনকাম আপনি করতে পারবেন।
৬. নিজের বানানো ভিডিও কোর্স বিক্রি করে
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং জনপ্রিয়তা প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে।এতে, এখনের সময়ে ছাত্র-ছাত্রীরা যেকোনো বিষয়ে তথ্য বা জ্ঞান অর্জন করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে থাকেন।কারণ, অনলাইনে যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার ক্ষেত্রে আপনি ঘরে বসেই সবটা করতে পারবেন।তাই, ইন্টারনেটের জনপ্রিয়তা, ব্যবহার এবং সুবিধের ওপরে লক্ষ করে আজকাল প্রচুর লোকেরা বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও কোর্স বানিয়ে সেগুলোকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিক্রি করছেন।যেমন, digital marketing course, SEO course, web development, HTML course, Graphic designing ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ ইন্টারনেটে কোর্স বিক্রি হচ্ছে।তাই, আপনার মধ্যেও যদি কোনো বিশেষ দক্ষতা (skills) এবং জ্ঞান (knowledge) রয়েছে, তাহলে আপনিও নিজের মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও কোর্স গুলো বানিয়ে অনলাইন বিক্রি করতে পারবেন।মনে রাখবেন, একবার বানানো ভিডিও কোর্স গুলোকে আপনারা বার বার হাজার হাজার লোকেদের কাছে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন।তাছাড়া, online course গুলোর দাম অনেক কম হওয়ার কারণে প্রায় অনেকেই কোর্স গুলো কিনে নেন।বানানো ভিডিও আপনি বিভিন্ন online platform গুলোর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন।যেমন, social media platform (Facebook, Twitter, Instagram), YouTube channel এর মাধ্যমে,
৭. Freelancing করে অনলাইন ইনকাম করুন
ফ্রিল্যান্সিং হলো ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সব থেকে জনপ্রিয় এবং লাভজনক উপায়।এখানে আপনি কোনো চাকরির সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকছেনা বা আপনার কোনো মালিক (boss) থাকছেনা।এক্ষেত্রে, আপনি নিজে নিজের মালিক হয়ে একজন স্বনির্ভর (self-employed) হিসেবে কাজ করবেন।এই কাজ part-time বা full-time দুভাবেই করা সম্ভব।তবে, freelancer হিসেবে কাজ করার জন্য আপনার মধ্যে কিছু বিশেষ দক্ষতা (skills) অবশই থাকতে হবে।কারণ, freelancing এর কাজের ক্ষেত্রে আপনি অন্যান্য company, person বা clients দের জন্যে চুক্তি হিসেবে কাজ করবেন।এবং, কাজ পাওয়ার জন্য আপনার মধ্যে কিছু বিশেষ বিষয়ে skills, knowledge বা experience থাকাটা অবশই জরুরি।শুরুতে কাজ পেতে কষ্ট অবশই হয় যদিও একবার freelancer হিসেবে নিজেকে জনপ্রিয় করতে পারলে কাজের বৃষ্টি (rain) হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এই freelancing এর কাজ করে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার লোকেরা লক্ষ লক্ষ টাকা প্রত্যেক মাসে আয় করছেন।Freelancer হিসেবে কাজ খুজার জন্য আপনি বিভিন্ন online freelancing marketplace গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।যেমন, Guru.com, freelancer.com, fiverr.com, upwork.com ইত্যাদি।ওপরে বলা ওয়েবসাইট গুলোতে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে আপনি বিভিন্ন freelancing কাজ (jobs) গুলো খুঁজতে ও পেতে পারবেন।আপনারা প্রত্যেক freelancing project / work সফলতা পূর্বক শেষ করে জমা দিতে পারলে প্রায় $5 থেকে $15 বা তার থেকেও অধিক ইনকাম করতে পারবেন।
৮. E-Commerce Business
আপনি যদি ইন্টারনেটে নিজের একটি brand / business তৈরি করে full-time income করতে চাইছেন, তাহলে e-commerce business করতে পারেন।আজ বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার লোকেরা বিভিন্ন ধরণের products গুলোকে নিজের online e-commerce website-এর মাধ্যমে বিক্রি করছেন।
তবে এই ধরণের online store চালু করার আগে আপনাকে নিজের targeted product কি হবে সেটা নিশ্চিত করাটা সবথেকে আগেই জরুরি।সর্বপ্রথমে এমন একটি product খুজুন যেটার চাহিদা অনলাইন বাজারে প্রচুর রয়েছে।
যেমন, অনেকেই আজকাল নিজের online e-commerce website এর মাধ্যমে কেবল customized t-shirt বিক্রি করছেন।আবার, কেও কেও আছেন যারা computer, laptop বা computer accessories বিক্রি করছেন।তাই, market research করুন, নিজের product নিশ্চিত করুন, একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন, অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করুন।
একটি e-commerce store তৈরি করার জন্যে আপনি নিচে দেওয়া প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
৯. Become An Influencer
বর্তমান সময়ে একজন Influencer অনলাইনে যত পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারছেন, সেটা জানতে পারে আপনি অবাক হবেন।ছোট ছোট influencers যাদের বলা হয় micro-influencers, এদের প্রায় 10,000 to 50,000 followers থেকে থাকে।এই ধরণের ছোট ইনফ্লুয়েন্সার হতে পারলেও আপনি অনলাইনে মাসে হাজার হাজার ইনকাম ঘরে বসেই করতে পারবেন।
যদি আপনি social media platform গুলোতে active থাকতে ও সেগুলোতে নিয়মিত content publish করতে পছন্দ করেন,তাহলে আপনি নিজের social profile গুলোকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।উদাহরণ স্বরূপ, আপনার Instagram বা TikTok একাউন্ট হলেই হবে।যদি আপনি একটি বিশেষ বিষয় (niche) টার্গেট করেই content publish করে থাকেন, যেমন education, fashion বা health,তাহলে, এই niche-এর সাথে জড়িত products এবং services গুলোর sponsorship বা affiliate মার্কেটিং করে প্রচুর ইনকাম করা যাবে।এছাড়া, brand promotion-এর জন্যেও বিভিন্ন company গুলো আপনাদের প্রচুর টাকা দিবে।তবে, কোম্পানি আপনাকে কত টাকা দিবে সেটা নির্ভর করছে আপনার followers এর সংখ্যা এবং niche এর ওপর।
১০. Content writing work
বর্তমান সময়ে online blogs, company website বা brand social media pages গুলো তাদের পেজে প্রচুর এবং নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করেন।এক্ষেত্রে, তাদের প্রয়োজন হয়ে থাকে প্রচুর কনটেন্ট রাইটার দের।তাই, আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করে থাকেন, তাহলে অনলাইনে কনটেন্ট রাইটিং কাজ করে ভালো উপার্জন করা যাবে।আপনি ইংলিশ, বাংলা, হিন্দি যেকোনো ভাষাতেই কনটেন্ট লিখার কাজ পেয়ে যাবেন।একবার কাজের অল্প অভিজ্ঞতা হয়ে যাওয়ার পর, নিয়মিত content writing এর কাজ পেতে থাকবেন।Article writing-এর কাজ খুজার জন্যে আপনি LinkedIn platform ব্যবহার করতে পারেন।এখানে, খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি কাজ পাওয়ার সুযোগ থাকে।এছাড়া, আপনারা বিভিন্ন জনপ্রিয় online blogs গুলোর মালিক দের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেও কাজ চাইতে পারেন।
0 মন্তব্যসমূহ