অনলাইনে কীভাবে ড্রপশপিং ব্যবসা করবেন? আমরা অনেকেই আছি যারা অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাই। অনলাইন বিজনেসের প্রতি আমাদের অনেকেরই আগ্রহ আছে। কিন্তু সাধারনত বিজনেস করতে গেলে অনেক পুঁজির প্রয়োজন হয়। তবে ইন্টারনেটে কল্যাণে এমন এক ব্যবসা আমাদের কাছে আছে যেটা করতে কোনো পুঁজির প্রয়োজন পড়ে না। এর জন্য দরকার একটি ল্যাপটপ। ভালো ইন্টারনেট সংযোগ। দক্ষতা, সময় ও ধৈর্য্য। এটার নাম ড্রপশিপিং ব্যবসা।এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে ড্রপশিপিং ব্যবসা কীভাবে করে তার ধারণা দিচ্ছি।
ড্রপশিপিং ব্যবসা কী?
জনপ্রিয় কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা বিশ্বস্ত ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পণ্য আপনি আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে প্রচার করলেন। তারপর সেখান থেকে তা বিক্রয় করলেন। এটাকেই ড্রপশিপিং ব্যবসা বলা হয়। কিন্তু এখানে আপনার লাভ কোথায়?আপনি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেমন- আলী এক্সপ্রেসের কোনো একটি পণ্য আপনার ওয়েবসাইটে একটু মূল্য বৃদ্ধি করে বিজ্ঞাপন দিলেন। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কেউ সেটা কিনতে অর্ডার দিলো। আপনি খরিদ্দারের সেই পণ্যটির অর্ডার কাস্টমারের ঠিকানা সহকারে আলী এক্সপ্রেসে দিয়ে দিলেন। আলি এক্সপ্রেস পণ্যটি কুরিয়ারের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিলো।
ড্রপশিপিং ব্যবসার সুবিধা
*সহজে স্টার্ট করা যায়।
*ড্রপশিপিং ব্যবসা অন্যান্য ব্যবসার চেয়ে সহজে শুরু করা যায়। একটি ওয়েবসাইট ও ব্যাংক একাউন্ট এবং পেপাল একাউন্ট খুলেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
*কম পুঁজিতে।
*কম পুঁজিতেই ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। প্রথম অবস্থায় ওয়েবসাইট ডোমেইন ও ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য অর্থ খরচ করতে হবে।
*ভার্চুয়াল স্টোর।
*ড্রপশিপিং ব্যবসায় কোনো জায়গার প্রয়োজন নেই। দোকান ভাড়া করতে হয় না। প্রয়োজন একটি ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ।
ঝুঁকিহীন বিজনেস।
*ড্রপশিপিং ব্যবসায় ঝুঁকি অনেক কম। কেননা কোনো পণ্য স্টক করতে হয় না। বিক্রি না হলে পণ্য নষ্ট হবার ভয় নেই।
*ডেলিভারি নিয়ে ঝামেলা নেই।
*এই ব্যবসায় পণ্য ডেলিভারির চিন্তা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের হয়ে থাকে। *তারাই প্যাকেটিং করে কুরিয়ারের মাধ্যমে কাস্টমারের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেবে।
*বাড়তি ইনকাম।
ড্রপশিপিং ব্যবসার কিছু টিপস।
ওয়েবসাইট ডিজাইন
ওয়েবসাইটটিকে খুব সুন্দর করে ডিজাইন করুন। যাতে গ্রাহক সহজেই অর্ডার করতে পারে। দেশের জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোর ডিজাইন দেখে নিতে পারেন। এছাড়া Shopify এর মাধ্যমে এই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।
পপুলার পণ্য-সামগ্রী
যে পণ্যগুলো এখন সবচেয়ে বেশি পপুলার সেগুলো অবশ্যই আপনার সাইটে রাখবেন। সেই সাথে কিছু আনকমন পণ্যও রাখতে পারেন। নারীরা কমদামে বিদেশি কসমেটিক্স কেনার জন্য অনলাইনে ভিজিট করে থাকে। কসমেটিকসের একটি শাল স্টক রাখতে পারেন সাইটে।
পণ্যের মূল্য নির্ধারণ
পণ্যের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডেলিভারি চার্জ ও ব্যাংক খরচ ইত্যাদি মাথায় রেখে মূল্য ধার্য করবেন।
প্রাথমিকভাবে দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কিছুটা কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করবেন।
প্রচুর ধৈর্যের কাজ এটা
এই ব্যবসায় রাতারাতি উন্নতি করা সম্ভব নয়। এর পেছনে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে। ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে। যদি আপনার ধৈর্য ও সময় না থাকে তাহলে এই ব্যবসায় না নামাটাই ভালো।
বিশেষ সুবিধা
আপনি হয়তো ওয়েবসাইট বানাতে জানেন না। এছাড়া ওয়েবসাইট বানানো ও রক্ষণাবেক্ষণের মতো টাকা আপনার কাছে নেই। এর জন্য আপনি ‘Chip Chip’ বা ‘Shopify’ এর সাহায্য নিতে পারেন।
সোসাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচার
ব্যবসার জন্য বিজ্ঞাপন প্রচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচার না করেন তাহলে ব্যবসা এগোবে না। তাই আপনাকে বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। এর জন্য অবশ্য কিছু টাকা খরচ হবে।
ফেসবুক বিজ্ঞাপন প্রচার করার খুব ভালো একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে স্বল্প খরচে অনেক মানুষের কাছে বিজ্ঞাপন প্রচার করা সম্ভব।
0 মন্তব্যসমূহ