Join Our Telegram channel! name='keywords'/> ভিডিও আপলোড করুন আর আপনার ভবিষ্যৎ খুলুন দেখে নিন সম্পূর্ণ গাইডলাইন | Upload video and open your future see complete guide

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

ভিডিও আপলোড করুন আর আপনার ভবিষ্যৎ খুলুন দেখে নিন সম্পূর্ণ গাইডলাইন | Upload video and open your future see complete guide

বর্তমানে সুধুমাত্র ভিডিও আপলোড করে কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।হ্যা এটা ১০০% সত্য ও প্রমানিত।বর্তমানে হাজারো মানুষ অনলাইন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।আমদের দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান না থাকায়, হাজার হাজার মেধাবি যুবক বেকার বসে আছে।তারা প্রতিনিয়ত চাকরির খোজে হয়রান হচ্ছে, কিন্তু চাকরি পাচ্ছে না।এই সমস্যা দূর করতে পারে ফ্রিন্যান্স।আপনি চাইলে যেকোন কাজের পাশাপাশি পার্ট টাইম ফ্রিল্যান্সিং করেও টাকা আয় করতে পারেন।কেননা বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ।ভবিষ্যতে পুরো পৃথিবী টাই তথ্য প্রযুক্তি নির্ভরশীল হয়ে যাবে।তাই আমাদের কেউ তথ্য প্রযুক্তি নিয়েই চলতে হবে।আপনি আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগি অনেক কিছুই করতে পারেন।তাই এই ডিজিটাল যুগে এসে বসে থাকলে চলবে না।আপনি ইচ্ছা করলে খুব সহজেই নিজের জীবনকে সুন্দর করে সাজাতে পারবেন।আর এ জন্য চেস্টার কোন বিকল্প নেই।এবার আসি আসল কথায়।আপনি যদি ভিডিও তৈরি করায় দক্ষ হয়ে থাকেন বা ভিডিও তৈরি করার সখ থেকে থাকে তাহলে আজকেই সুরু করে দেন অনলাইন ইনকাম।আপনার যদি ভিডিও তৈরিতে দক্ষতা না থাকে তাহলে ইউটিউবে সার্চ করে দেখে আসতে পারেন কিভাবে ভিডিও তৈরি করতে হয়।বর্তমানে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করার অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।সেগুলোতে ভিডিও আপলোড করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আজকে আমি বলবো ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে।আর কথা না বারিয়ে চলুন যেনে নেই কোন কোন উপায়ে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করা যায়।


ভিডিও আপলোড করুন আর আপনার ভবিষ্যৎ খুলুন দেখে নিন সম্পূর্ণ গাইডলাইন | Upload video and open your future see complete guide


১। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে আয়

ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করার সবচেয় বড় প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব।ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায় এটা কারো অজানা না। এখান থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইনকাম করছে।এমনকি ইউটিউব কে কেউ কেউ পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।তারা সারা জিবন ধরে ইনকাম করে যাচ্ছে।কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করবেন।ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে।তারপর চ্যানেলটির সব কাজ এসিও ফ্রেন্ডলি ভাবে সম্পূর্ন করতে হবে।এবং ভিডিও আপলোড করতে হবে।তারপর ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম বা মনিটাইজেশন করতে হবে।ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিতে কিছু সর্তপূরন হতে হবে।ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম এর আরেক নাম হলো মনিটাইজেশন।ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে এডসেন্স নিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।এবং এর পাশাপাশি আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে যে সুবিধা গুলো পাবেন তা হলো: ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন ফিস, সুপার চ্যাট, চ্যানেল মেম্বারশিপ প্রোগ্রাম ইত্যাদি।আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকলেই ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হতে পারবেন।ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে গত ১২ মাসে কমপক্ষে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার লাগবে।এবং আপনার আপলোডকৃত ভিডিওতে কমপক্ষে সর্বমোট ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম থাকতে হবে।এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কোনো প্রকার কপিরাইট স্ট্রাইক থাকলে হবে না। আপনার ইউটিউব চ্যানেল যদি ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চালনা করা হয়, তাহলে খুব সহজেই মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন।

২। ওয়েবসাইটে ভিডিও আপলোড করে আয়

ওয়েবসাইটে ভিডিও আপলোড করে আয় করার সাধারনত দুইটি উপায় রয়েছে।

১। নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা আয়

আপনি নিজেই একটি ভিডিও সম্পর্কিত ওয়েবসাইট তৈরি করুন।এবং সেখানে ভিডিও আপলোড করুন।তারপর ওয়েবসাইটের ভিডিও গুলো বিক্রি করে করেও ইনকাম করতে পারেন।মানে স্টক সাইট বানিয়ে ফুটেজ ও ফটো বিক্রি করতে পারবেন।আবার ভিডিও গুলো ফ্রিতে দেখা ও ডাউনলোড করার সুযোগ দিয়ে গুগল এডসেন্স এপ্রোভ করি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।তাছাড়া বিভিন্ন কম্পানির এড দেখিয়ে বা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারেন।

২। অন্যের ওয়েবসাইটে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়

কিছু কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ভিডিও আপলোড করার সুযোগ দেয়।এবং ভিডিওর উপর নির্ভর করে কিছু নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ দিয়ে থাকে।এই ধরনের ওয়েবসাইটকে pay per download বা (PPD) প্রোগ্রাম বলা হয়।আপনি অনলাইনে ঘাটাঘাটি করলেই এধরনের ওয়েবসাইটের দেখা পাবেন।বাংলাদেশেরও এরকম কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন: bdupload, UsersCloud , Indishare অন্যতম।

৩। ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয়

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেসবুক। শুধু তাই না! এর বাইরে ফেসবুকে বিভিন্ন মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে অনেকেই কর্মসংস্থান করে নিচ্ছে।ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা রা তাদের ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য অনেক লোক নিয়োগ দিয়েছে।এমনকি বর্তমানে ইউটিউবের মতো এড দেখিয়ে টাকা আয়ের সুযোগ দিচ্ছে ফেসবুক।অথবা বিভিন্ন মার্কেটিং ও ব্যাবসাও করা যায় ফেসবুকে।এছাড়াও ফেসবুক পেইজে ভিডিও আপলোড করে ইউটিউবের মতো করে টাকা আয় করা যায়। বর্তমানে সারা বিশ্বের প্রায় ৩২টি দেশের মানুষ ফেসবুকের এই সুবিধা পাচ্ছে।‘অ্যাড ব্রেকস’ নামে ফেসবুকের নতুন সুবিধার তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে। তাই ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয় করতে পারবেন আপনিও।

অ্যাড ব্রেকস কী?

আমার মনে হয় এবিষয়ে প্রায় সবাই জানেন।তবুও বলে দেই "অ্যাড ব্রেকস" এর অর্থ হচ্ছে বিজ্ঞাপন বিরতি। আপনি যদি ইউটিউবে ভিডিও দেখে থাকেন।তাহলে অবস্যই দেখতে পান ভিডিও প্লে করলে ৫-১৫ সেকেন্ডের একটি বিজ্ঞাপন চলে আসে।এই বিজ্ঞাপন কেই অ্যাড ব্রেকস বলা হয়।ফেসবুকে এই বিজ্ঞাপন প্রকাশ কারিকে বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ৫৫ ভাগ দেওয়া হয়।

ফেসবুক থেকে কিভাবে আয় করা যায়?

ফেসবুক থেকে আয় করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি ফেসবুক পেইজ তৈরি করতে হবে।তারপর সেখানে নিয়মিত ইউনিক এবং নিজের ভিডিও আপলোড করতে হবে।এবং আপনার প্রতিটি ভিডিও কমপক্ষে তিন মিনিটের হতে হবে।এবং ৬০০,০০০ মিনিট ওয়াচটাইম এবং গড়ে প্রতিটি ভিডিও ১ মিনিট করে ভিউ ও ১০ হাজারের বেশি ফলোয়ার হতে হবে। এই সব সর্ত পুরনের জন্য দুই মাস সময় পাবেন। তাহলে আপনি আপনার ফেসবুক পেজের ভিডিও গুলো মনিটাইজ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।এবং মনিটাইজ হয়ে গেলে এড দেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুক পেজ থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবো? 

এটা নির্ভর করে আপনার পেজে কতটি এড ক্লিক পরেছে তার উপর।তবুও আমি একটু ধারনা দিয়ে দেই।আপনার পেইজে যদি মিডিয়াম এড ক্লিক পরে তবে আপনি মাসে ৮,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন

৪। বিভিন্ন অ্যাপে ভিডিও আপলোড করে আয়

কিছু কিছু অ্যাপ রয়েছে যারা ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে টাকা দিয়ে থাকে।এখানে কিছু অ্যাপ রয়েছে যারা কপি করা ভিডিও নিয়ে থাকে।আবার কিছু অ্যাপ রয়েছে যারা কপি ভিডিও নেয় না।তবে এগুলো থেকে টাকা ইনকাম করাটা অনেকটা কঠিন হয়ে পরে।এবং টাকার পরিমানটাও অনেক কম দিয়ে থাকে।তবে আপনি যদি পপোলার হতে পারেন তাহলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করার জনপ্রিয় কয়েকটি অ্যাপ হলো:

১। Tiktok (টিকটক) 

বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি অ্যাপ হলো টিকটক।হয় তো বুজতেই পারছেন কি করতে হবে।হ্যা ঠিকই ধরেছেন, এখানে আপনাকে টিকটক ভিডিও আপলোড করতে হবে।আপনি যদি টিকটক ভিডিও তৈরি করতে পারেন।তাহলে এই অ্যাপটিতে সেগুলো আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আপনি যদি "টিকটক থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে হয় সম্পূর্ন" জানতে ইচ্ছুক হন তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন।তাহলে আমি এবিষয়ে একটি পোষ্ট করবো।

২। Likee (লাইকি)

এখানেও আপনি ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৩। Snack video (স্নেক ভিডিও)

Snack video থেকেও আপনি ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এছারাও অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ রয়েছে।যেগুলো থেকেও ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

শেষ কথা

পোস্টটি কেমন হয়েছে সেটা অবস্যই জানাবেন।এবং এই আরটিকেলে যদি কোন ভুল বা ক্রটি থাকে তাহলে অবস্যই কমেন্টে জানাবেন।আর আপনার যদি কোন বিষয়ে জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে সেইটা কমেন্টে প্রশ্ন করতে পারেন।আমি অবস্যই চেস্টা করবো সেই প্রশ্নটার উত্তর দিতে।আপনার যদি আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়ে কোন মতামত থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ