আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে ফলো করুন এই মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম এর এই লেখাটি। এটিতে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল ভাষায় কীভাবে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করবেন তা আলোচনা করা হয়েছে।আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি যথেষ্ট শক্তিশালী এবং বহু কিছু ব্যবহার করতে সক্ষম। ভিডিও রেকর্ডিং থেকে শুরু করে ভিডিও এডিট আপলোডসহ প্রায় কম্পিউটারের মত ব্যবহার উপযোগী। মোবাইল দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করে তা আপলোড অবধি পোছানো এখন মোবাইলেই সম্ভব। পরবর্তীতে এডসেন্স প্রোগ্রাম চালু করে প্রচুর পরিমাণের আয় করা সম্ভব। একই পদ্ধতি অনুসরণ করে ফেসবুকে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এক পর্যায়ে যদি আপনার ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার এবং ফেসবুকের পেইজের ফলোয়ার অনেক বেশি সংখ্যক হয়, তাহলে আপনি স্পন্সরড ভিডিও তৈরি করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে উল্লেখ্য যে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে এই পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করতে পারেন। আরে আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ডিজিটাল বাংলা ৩৬০ এর মাধ্যমে।
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়
মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জন করার একাধিক উপায় রয়েছে। এর জন্য শুধুমাত্র একটি স্মার্ট ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তবেই এখনি আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন। মোবাইল দিয়ে টাকা আর্নিং করার উপায় সমূহ নিম্নরূপঃ-
ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
প্রতিনিয়ত অনলাইনে ইনকামের চাহিদা বাড়ছে। তাছাড়া ইন্টারনেটে লেখার চাহিদাটা অনেক। সে ধারাবাহিকতায় আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে অনায়াসে চালু করতে পারেন একটি ব্লগ। ব্লগিং শুরু করে গুগল ইনকাম সার্ভিস এডসেন্স অনুমোদন হলেই শুরু হয়ে যাবে আপনার ইনকাম। আর্টিকেল লেখা শুরু করতে সর্বপ্রথম ওয়ার্ডপ্রেস অথবা ব্লগার বা ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। তারপর সেই সাইটকে সুন্দর করে সেপআপ করে নিতে হবে। এরপর ধীরস্থির ভাবে কপিরাইট মুক্ত অর্থাৎ ইউনিক পোস্ট করুন। প্রতিদিন মানসম্মত, তথ্যবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল লিখুন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন।গুগল এডসেন্স অনুমোদন বা এপ্রুভ হয়ে গেলে গুগল কর্তৃক আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হবে। এতে আপনাকে গুগল কিছু পরিমাণ অর্থ আপনাকে প্রদান করবে যার পরিমাণ গুগল মোট বিজ্ঞাপনের মূল্যের ৬৮% আপনাকে পেমেন্ট করবে। এছাড়াও ব্লগে স্পন্সরড এবং অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমেও উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে।বিঃদ্রঃ মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে আয় করতে হলে প্রথমে কিছু অর্থ খরচ করতে হবে। এই মুহুর্তে আপনি যদি এই অর্থ খরচ ব্যর্থ হন, তাহলে অন্যের ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা আয় করতে হলে প্রথমে জানতে ফেসবুক ই-কমার্স কি? ফেসবুক ই-কমার্স হলো- অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় এবং ব্যবসা পরিচালনা করাকে ফেসবুক ই-কমার্স বলা হয়। আরও একটু পরিষ্কার করি- কোন ব্যবসা শুরু করার পূর্বে অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। কিন্ত আপনি এই ফেসবুক ই-কমার্স এর মাধ্যমে খুব সহজে আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এই পণ্য বিক্রয়ের যে সুবিধাটি ফেসবুক এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয় সেটিই মুলত ফেসবুক ই-কমার্স। বর্তমানে অগণিত ফেসবুকের ব্যবহারকারী। প্রত্যেক ইউজার হয়ে যেতে পারে আপনার পণ্যের ক্রেতা।ফেসবুক ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনার প্রথমে কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে শুধুমাত্র প্রোডক্ট ক্রয়ের জন্য। তারপর উক্ত পণ্যগুলো ফেসবুক ই-কমার্স ক্যাটালগে যুক্ত করে দিতে। পরবর্তীতে আপনার কাজ হচ্ছে যে সকল স্থান হতে আপনার বিক্রয় হবে বলে আপনি মনে করেন সেই গ্রুপ/পেজ/প্রোফাইলে শেয়ার করুন। আপনার পণ্য মানসম্মত আর সবার পছন্দের জিনিস হলে বিক্রি হতে তেমন সময় লাগবে না।
ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা ইনকাম করতে হলে আপনাকে যে বিষয় জানতে হবে তা হচ্ছে ফেসবুক মনিটাইজেশন কি? ফেসবুকে নির্ধারিত কিছু শর্তাদি পূরণ করে টাকা ইনকামের যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে ফেসবুকের পার্টনারশিপের আওতাভুক্ত হওয়ার নামই হচ্ছে ফেসবুক মনিটাইজেশন।আপনার জানা যে কোন নিজের তৈরি করা ভিডিও সবার সাথে শেয়ারের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন পেতে আপনার যা যা প্রয়োজন হবে তা নিম্নরূপঃ
*সর্বশেষ ৬০ দিনের মধ্যে ৬০০,০০০ মিনিট (ওয়াচ টাইম)
*সর্বনিম্ন ৫টি সক্রিয়/একটিভ ফেসবুক ভিডিও
*পেজ ফলোয়ার থাকতে হবে ১০ হাজার।
তাছাড়াও আপনি আপনার ইউটিউব এর জন্য যে ভিডিও তৈরি করবেন সেই ভিডিও ফেসবুকে আপলোড দিতে পারবেন। এতে আপনার কষ্ট কম হলো আর দুটি প্লাটফর্মে ইনকাম শুরু হলো।ফেসবুক থেকে ইনকাম এর অনেক মডেল রয়েছে- যেমনঃ ইন-স্ট্রিম এড, ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল, ফ্যান সাবস্ক্রিপশন, ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট ও সাবস্ক্রিপশন গ্রুপ। বর্তমানে ইউটিউবের তাল মিলিয়ে ফেসবুকেও ভিডিও অনেক বেশি শেয়ার এবং ভাইরাল হচ্ছে, সুতরাং ফেসবুক তুলনামূলক সহজ হবে এখান থেকে আয় করা।
ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
ইন্সটাগ্রাম কেবলমাত্র ছবি অথবা ভিডিও শেয়ারি স্যোসাল মিডিয়া নয়। ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার এখন অনলাইন ইনকাম করাও সম্ভব। ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি সুন্দর, গোছানো, প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এছাড়াও আরো যা যা প্রয়োজন হবে তা নিচে তুলে ধরা হলো-একটি আকর্ষণীয় ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল তৈরী করুন।প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর সুন্দর আঙ্গিকে পোস্ট করুন।সবসময় আপনার পোস্ট এর কোয়ালিটি বজায় রাখুন।আপনার প্রোফাইল যে বিষয়ের উপর সাজিয়েছেন ঠিক সে রকম প্রোফাইলের সাথে সম্পর্ক অথবা ফলো করুন।ফলোয়ারদের সাথে এনগেজমেন্ট স্থাপন করুন (যেমন- কমেন্টের উত্তর দিন নিয়মিত)ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে আপনার প্রয়োজন হবে একটি মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ। ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয় করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় নিচে উপস্থাপন করা হলো-অর্থের বিনিময়ে অন্যের প্রোফাইল *প্রোমোট করে
*বিজ্ঞাপন করে
*অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
*নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে, ইত্যাদি
অন্য সকল প্ল্যাটফর্মের মতই ইন্সটাগ্রাম কনটেন্ট এর অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতিনিয়ত ইন্সটাগ্রামে একটিভ থাকলে কিছুদিনের মধ্যে ইন্সটাগ্রাম আইডি ভাইরাল বা জনপ্রিয় হতে থাকবে। তারই সাথে সাথে আপনার আয়ও বাড়বে।
0 মন্তব্যসমূহ