Join Our Telegram channel! name='keywords'/> রাইড শেয়ারিং কি?রাইড শেয়ারিং সংক্রান্ত বিশেষ সকল প্রয়োজনীয় তথ্য | What is ride sharing? All necessary information related to ride sharing

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

রাইড শেয়ারিং কি?রাইড শেয়ারিং সংক্রান্ত বিশেষ সকল প্রয়োজনীয় তথ্য | What is ride sharing? All necessary information related to ride sharing

আসসালামু আলাইকুম পাঠক বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানাবো—রাইড শেয়ারিং সম্পর্কে সমস্ত বিত্তান্ত। তাই যারা জানেন না রাইড শেয়ারিং কি? রাইড শেয়ারিং কিভাবে কাজ করে? রাইড শেয়ারিং করে আয় করার নিয়ম কি?সেই সাথে রাইড শেয়ারিং এর নীতিমালা সংক্রান্ত তথ্য এবং বাংলাদেশের সেরা রাইডার শেয়ারিং অ্যাপ এর বিস্তারিত তথ্য- তাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেল টি একদম উপযুক্ত। তাহলে চলুন, কথা না বাড়িয়ে সরাসরি আমাদের মূল আলোচনা পর্বে চলে যাই।আর জেনে নেই, রাইড শেয়ারিং থেকে আয় করার উপায় এবং একটি দক্ষ রাইড শেয়ারিং অ্যাপ তৈরি করার সঠিক নিয়ম। 


রাইড শেয়ারিং কি?রাইড শেয়ারিং সংক্রান্ত বিশেষ সকল প্রয়োজনীয়  তথ্য | What is ride sharing? All necessary information related to ride sharing


রাইড শেয়ারিং কি?

রাইড শেয়ারিং একটি পরিষেবা, যা লোকেদের একটি গাড়ি শেয়ার করতে দেয় এবং এর মাধ্যমে অর্থ সাশ্রয় করে, দূষণ কমায়, সেই সাথে নতুন লোকদের সাথে দেখা করার সুযোগ করে দেয়। বলতে পারেন, একটি সরল ধারণা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে রাইড শেয়ারিং।ধরুন, আপনি আপনার প্রাইভেট কার নিয়ে ধানমন্ডি থেকে নিউমার্কেট যাবেন। আপনার সেই প্রাইভেট কারে আপনি শুধুমাত্র একা। কিন্তু এই পথ দিয়ে আরও অনেক মানুষ চলাচল করে যারা কিনা আপনার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে চায়।তাছাড়াও আপনার প্রাইভেট কারের বাকি সিটগুলো কিন্তু আপনি ছাড়া ফাঁকাই পড়ে আছে। ঠিক এই সময় আপনি চাইলেই সহজেই আরো তিনজন মানুষকে আপনার গাড়িতে করে নিউমারকে নিয়ে যেতে পারে। আর এটাকেই বলা হয় রাইড শেয়ারিং।মানে হলো, আপনি আপনার যানবাহন অন্যের সাথে শেয়ার করলেন। এর ফলে আপনার প্রাইভেট কারে থাকা তিনজন ব্যক্তি অনেক আরামে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারল– সেই সাথে আপনাকে কিছু টাকাও দিল। এতে করে আপনার আয় হলো, আবার কাউকে শান্তিতে কোন একটা জায়গায় পৌঁছেও দেওয়া হলো। রাইড শেয়ারিং ধারণাটি মূলত এরকম একটি সাধারন ধারণা থেকে শুরু হয়েছিল।কিন্তু হ্যাঁ আপনি কিন্তু ভাড়া দেওয়া আর রাইট শেয়ারিং এক করে ফেলবেন না। কারণ এটা অনেকটাই আলাদা। রাইড শেয়ারিং কার্যক্রমটি সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক। এর জন্য স্মার্ট ফোন থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে তার মাধ্যমে ড্রাইভার হায়ার রিকোয়েস্ট পাঠানো হয় এবং রাইডার উক্ত রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলে তবেই রাইড শেয়ারিং প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। 

রাইড শেয়ারিং সংক্রান্ত বিশেষ তথ্য

রাইড শেয়ারিং কি সেটা আমরা জানলাম। কিন্তু এর আবার রয়েছে বেশ কিছু রুলস। যে সকল রুলস ফলো না করার কারণে, উক্ত ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে গণ্য হতে পারে। সেই সাথে এই অপরাধের জন্য পেতে হতে পারে শাস্তি। তাই অবশ্যই রাইড শেয়ারিং সংক্রান্ত সকল কিছু জানার পূর্বে জেনে নেওয়াটা প্রয়োজন এর নীতিমালা সম্পর্কে। তাই এ পর্যায়ে আমরা জেনে নেব, রাইট সার্ভিস পরিচালনার শর্তাবলী সম্পর্কে।।

১. রাইডশেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর নিকট হতে রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে “রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট” এবং মোটরযানের মালিককে “রাইডশেয়ারিং মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট" গ্রহণ করতে হবে।

২. রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে পূর্ণ টিআইএন (TIN) ও ভ্যাট পূর্ণ নম্বরধারী পাবলিক বা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হতে হবে এবং পাবলিক বা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সকল শর্তাদি মেনে চলতে হবে।

৩. যাত্রী চাহিদা, সড়ক নেটওয়ার্কের ক্যাপাসিটি, রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, সার্ভিস প্রদানে নিয়োজিত মোটরযানের সংখ্যা ইত্যাদির ভিত্তিতে রাইডশেয়ারিং সার্ভিস অধিক্ষেত্র বিআারটিএ কর্তৃক নির্ধারিত হবে। রাইডশেয়ারিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস এলাকায় অফিস থাকতে হবে।

৪.রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান 'এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট' প্রাপ্তির পর রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, মোটরযানের মালিক ও চালকের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি করতে হবে, যেখানে সকল পক্ষের অধিকার এবং দায়-দায়িত্বের বিষয় উল্লেখ থাকবে। মোটরযান মালিক বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ১ (এক) মাস পূর্বে লিখিত নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে চুক্তির সমাপ্তি ঘোষণা করতে পারবে;

৫. নির্ধারিত স্ট্যান্ড/অনুমোদিত পার্কিং স্থান ব্যতীত কোনো রাইডশেয়ারিং মোটরযান যাত্রী সংগ্রহের উদ্দেশ্যে রাস্তায় যেখানে-সেখানে অপেক্ষমান থাকতে পারবে না অর্থাৎ যাত্রী ওঠা নামা ব্যতীত এরূপ মোটরযানকে সর্বদা চলাচলরত অবস্থায় থাকতে হবে।

৬. এ নীতিমালার অধীন একজন মোটরযান মালিক মাত্র ১ টি মোটরযান রাইডশেয়ারিং সার্ভিস এর আওতায় পরিচালনার অনুমতি পাবেন । 

৭. ব্যক্তিগত মোটরযান রেজিস্ট্রেশন গ্রহণের পর ন্যূনতম একবছর অতিক্রান্ত না হলে রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের আওতায় সেবা প্রদানে নিয়োজিত হতে পারবে না।

৮. বিআরটিএ'র ওয়েব পোর্টালে রাইডশেয়ারিং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহের আওতাধীন সকল মোটরযানের তালিকা শ্রেণিবন্ধভাবে একটি মেন্যুতে রাখতে হবে। যাত্রীর অভিযোগ জানানোর সুযোগ রাখতে হবে।

৯.রাইডশেয়ারিং সার্ভিসে ব্যবহৃত মোটরযানের দৃশ্যমান স্থানে ১৯৯ ব্যবহারের নির্দেশিকা সম্বলিত স্টিকার প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

এর বাইরে রয়েছে আরো কিছু শর্তাবলী। তবে আপনারা যারা রাইড শেভিং করে আয় করার কথা চিন্তা করছেন তারা অবশ্যই এই নয়টি শর্ত মাথায় রেখে কাজ করবেন। এবার চলুন ধীরে ধীরে জেনে নেই রাইড শেয়ারিং কিভাবে কাজ করে? এবং রাইট শেয়ারিং থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে। 

রাইড শেয়ারিং থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় 

রাইড শেয়ারিং এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে মোট তিনটি চালিকাশক্তি কাজ করে। প্রথমত এক্ষেত্রে আসে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানি। যারা রাইডার এবং কাস্টমারদের জন্য প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করেছেন। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এখানে রাইডার হলেন তিনি–যে গাড়ি চালিয়ে থাকেন। আর কাস্টোমার হচ্ছে তারা যারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সেই গাড়ি ব্যবহার করে এবং বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেয়।আর এরকম শুনে বুঝতেই পারছেন রাইড শেয়ারিং থেকে টাকা আসার মাধ্যমটা আসলে কি! তবে হ্যাঁ, এটাকে অবশ্যই গাড়ি ভাড়া দেওয়া অর্থাৎ ভাড়া খাটা মানুষদের সাথে তুলনা করবেন না। কারণ এটি সম্পূর্ণই আলাদা একটা প্রক্রিয়া। এবার চলুন জেনে নেই রাইড শেয়ারিং কিভাবে কাজ করে?---এর বিস্তারিত।রাইড শেয়ারিং এর কার্যক্রমটি পরিচালিত হয় একটি অ্যাপস এর মাধ্যমে। এক্ষেত্রে প্রথমত এই অ্যাপস টি ব্যবহার করে একজন গ্রাহক/কাস্টমার নিকটস্থ কোন রাইডারকে রিকোয়েস্ট পাঠায়। পরবর্তীতে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ সেই ব্যক্তির কাছে রিকোয়েস্ট টি স্থানান্তর করে, যে খুব শীঘ্রই কাস্টমারের গন্তব্যস্থলে নিজেও যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। আর উক্ত রিকোয়েস্ট রাইডার একসেপ্ট করলে কাস্টমার কে পরবর্তীতে পাঠানো হয় একটি স্থানের ঠিকানা।যেখান থেকে রাইডার এবং কাস্টমার তাদের যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে গন্তব্যে পৌঁছানোর পর কাস্টমার ক্যাশ, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বা অনলাইন পেমেন্ট করে থাকেন রাইডারকে। আর এভাবেই পরিচালিত হয় রাইড শেয়ারিং। আর এখানে কাস্টমার এবং রাইডার উভয়ের ফোনের gps সেবার ওপর নির্ভর করে এই রাইডিং শেয়ারিং অ্যাপস গুলো কাজ করে। আশা করি এটুকু জেনে বুঝতেই পারছেন রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কার্যক্রমটি কিভাবে পরিচালিত হয়।

রাইড শেয়ারিং অ্যাপের বর্তমান বাজার কেমন?

বর্তমান সময়ে রাইড শেয়ারিং অ্যাপের কদর এতটাই বেড়েছে যে– তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যাই হোক ইতমধ্যে বেশ কয়েকটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ প্রবৃদ্ধির বাজারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ তারা বাজারে রাইডার এবং কাস্টমার উভয়ের জন্যই সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চ মানের পরিষেবা প্রদান করার ক্ষমতা রাখছে। আর আজকের বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সাশ্রয়ী অ্যাপ উবাররাইড শেয়ারিং। যেটি কিনা কাস্টমার দের উচ্চমানের পরিষেবা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে।কিন্তু হ্যাঁ, যারা রাইড শেয়ারিং অ্যাপের বর্তমান বাজার কেমন? এই সম্পর্কে অনেক বেশি জানার আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাদেরকে বলছি--বর্তমান বাজারে রাইড শেয়ারিং এর কদর অনেক বেশি। আর শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতেও এর ডিমান্ড আরো বাড়বে। তাই আপনি খুব সহজেই নিজের একটা ভালো ইনকাম সোর্স হিসেবে রাইড শেয়ারিং কে কাজে লাগাতে পারেন।

কিভাবে প্রফেশনাল রাইড শেয়ারিং অ্যাপ তৈরি করা যায়?

একটি প্রফেশনাল রাইড শেয়ারিং অ্যাপ তৈরি করতে চাইলে অবশ্যই অ্যাপ তৈরির সঠিক ইনস্ট্রাকশন জানতে হবে। তবে এর পাশাপাশি মোবাইল রাইড শেয়ারিং অ্যাপ এর ডিজাইন করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন।

গ্রাহক কোন কোন বৈশিষ্ট্য গুলো সবচেয়ে বেশি চান? মানে আপনার তৈরীকৃত রাইড শেয়ারিং অ্যাপে কোন কোন বিষয়বস্তু অবশ্যই রাখতে হবে।
কিভাবে মোবাইল রাইড শেয়ার অ্যাপটিকে বানালে ড্রাইভার এবং কাস্টমার দের কাছে দক্ষ ও আকর্ষণীয় অ্যাপ হয়ে উঠবে।রাইট শেয়ারিং অ্যাপে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত? আর সেই সকল বৈশিষ্ট্য আপনার পরিচিত অ্যাপের রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।অবশ্যই আপনার পরিচিত অ্যাপ টি থেকে যাতে ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারে, যে এই অ্যাপ নিরাপদ। কারণ অ্যাপের বৈশিষ্ট্য বলে দেবে সেটা ব্যবহারের জন্য কতটা উপযুক্ত। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ