প্রতিদিন তিন কোয়া রসুন
প্রতিদিন সকালে উঠেই খালি পেটে ২/৩ কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে নিন, এর ঠিক পর পরই পান করুন লেবুর রস। এটি আপনার পেটের চর্বি কমাতে দ্বিগুণ দ্রুতগতিতে কাজ করবে। তাছাড়া দেহের রক্ত চলাচলকে আরো বেশি সহজ করবে এটি।
লেবুর রস
এক গ্লাস গরম জলে অর্ধেকটা লেবু চিপে নিন, এতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। চিনি দেবেন না। এবার পান করুন প্রতিদিন সকালে। এটি আপনার দেহের বাড়তি মেদ ও চর্বি কমাতে সব চেয়ে ভালো উপায়।
চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না
মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার, কোল্ড ড্রিংকস এবং তেলে ভাজা স্ন্যাক্স থেকে দূরে থাকুন। কেননা এ জাতীয় খাবারগুলো আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষত পেট ও উরুতে খুব দ্রুত চর্বি জমিয়ে ফেলে। তাই এগুলো খাওয়ার পরিবর্তে ফল খান।
মশলা খান
রান্নায় অতিরিক্ত মশলা ব্যবহার করা ঠিক নয়। তবে কিছু মশলা ওজন কমাতে সাহায্য করে ম্যাজিকের মতো। রান্নায় ব্যবহার করুন দারুচিনি, আদা ও গোলমরিচ। এগুলো আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাবে ও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
মাংস থেকে দূরে থাকুন
অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এর বদলে বেছে নিতে পারেন কম তেলে রান্না করা চিকেন।
পর্যাপ্ত ঘুমান
ঘুম ভালো হলে শরীরে মেদ কম জমে এবং জমা মেদও ঝরতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপের বোঝা বইবেন না
মানসিক চাপ যতটা পারবেন কম নেওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ মানসিক চাপের ফলে আপনার শরীরে নানারকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। ফলে শরীরের পাচন ক্ষমতা কমে যায় এবং শরীরে মেদ জমতে শুরু করে।
প্রচুর জল পান করুন
প্রতিদিন প্রচুর জল পান করার ফলে এটা আপনার দেহের মেটাবলিজম বাড়ায় ও রক্তের ক্ষতিকর উপাদান প্রস্রাবের সঙ্গে বের করে দেয়। মেটাবলিজম বাড়ার ফলে দেহে চর্বি জমতে পারে না ও বাড়তি চর্বি ঝরে যায়।
কাজে সক্রিয় হন
অফিসের কাজ আজকাল বসে বসে হয়, সেখানে শরীরের সচল হওয়ার খুব একটা সুযোগ নেই। তাই চেষ্টা করুন একটি আগের বাসস্টপে নেমে হেঁটে বাকি রাস্তা যান, সিঁড়ি দিয়ে উঠুন। এর ফলে শরীর অনেকটা সক্রিয় হয়। মেদ জমার সুযোগই পাবে না।
প্রতিদিন ফল ও সব্জি খান
প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এক বাটি ভর্তি ফল ও সব্জি খাবার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর পাবে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, মিনারেল ও ভিটামিন। আর এগুলো আপনার রক্তের মেটাবলিজম বাড়িয়ে পেটের চর্বি কমিয়ে আনবে সহজেই।
১ সপ্তাহেই কমিয়ে ফেলুন পেটের মেদ-
১. দিন শুরু হোক পাতিলেবু ও জল দিয়ে। প্রতিদিন সকালবেলা নিয়ম করে ১ গ্লাস লেবু গরম জল খান। লেবুর রসের পরিমান বেশি রাখার চেষ্টা করুন। সকালের ব্রেকফাস্টের আগে কোনও একটা ফল বা অনেকটা জল খান৷ দিনে প্রচুর পরিমাণ জল খান।
২. সাদা ভাত কম খান। সাদা চালের ভাতের বদলে বিভিন্ন গম জাতীয় শস্য যুক্ত করে নিন আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে। তাছাড়া গমের রুটি, ওটস, অন্যান্য শস্য যুক্ত করে নিতে পারেন।
প্রচুর পরিমানে শাকসবজি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান।
৪. কাঁচা রসুনের কয়েক কোয়া সকাল বেলা চুষে খান। তারপরে লেবুর সরবত খান। এই চিকিৎসাটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে এবং রক্তচাপও স্বাভাবিক রাকবে।
৫. তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর জন্য আদা থেতো করে পানিতে ভালো করে ফোটান। তার মধ্যে অল্প করে জিরা গুঁড়া দিন। দুপুরে বা রাতে খান। তারপর পার্থক্যটা দেখুন।
৬. মেদহীন সুস্থ শরীরের মূল শর্ত পরিমিত আহার ও নিয়মিত ব্যায়াম।
৭. খাওয়ার সময় পেট পুরে না খাওয়াই ভালো। খাবার ভালো হজম হবে। অতিরিক্ত ক্যালরির সমস্যাও হবে না।
৮. সারা দিনের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি রাখুন। ছোট মাছ খান। পাতে রাখুন প্রচুর শাকসবজি ও ফল।
৯. বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত তেল-মসলা, ঘি-মাখন এড়িয়ে চলুন। রেড মিট খাবেন না। ফাস্টফুড, ডিপ-ফ্রাই করা খাবার, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস, অ্যালকোহল না খাওয়াই ভালো। বদলে স্ন্যাক্স হিসেবে খান ফল, স্যালাড, আমন্ড, টক দই ইত্যাদি।
১০. ভাত, ময়দা ও চিনি কম খান। পারলে ঢেঁকি-ছাঁটা চালের ভাত খান। আটার রুটি খান। চা-কফিতে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন।
১১. বাড়িতেই শরীরচর্চা করুন। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে আধাঘণ্টা রাখুন নিজের জন্য। স্কিপিং, বুক ডাউন, পুল-আপের মতো খালি হাতে ব্যায়াম করুন। তবে ব্যায়াম শুরুর আগে শরীরচর্চা বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে সঠিক ফর্ম জেনে নেবেন।
১২. মেদ কমাতে না খেয়ে খালি পেটে থাকেন অনেকে। সেটি খুবই ভুল ধারণা। অল্প পরিমাণে বারবার খান।
0 মন্তব্যসমূহ