Join Our Telegram channel! name='keywords'/> পাঁচটি উপায়ে খুব সহজে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করুন | Earn lots of money online

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

পাঁচটি উপায়ে খুব সহজে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করুন | Earn lots of money online

ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে ইনকামের উপায় খোঁজেননা এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। শুধু ছাত্র জীবনে নয়, সারা জীবনই অনলাইন থেকে আয় করে জীবন কাটিয়ে দেওয়া সম্ভব। অনেকেই অনলাইনে ইনকাম করে কোটিপতি ও লাখপতি হচ্ছেন। কিন্তু কিভাবে?কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়? এই বিষয়টা আমরা অনেকেই জানিনা। কেউ কেউ তো আবার বিশ্বাসই করেনা যে অনলাইন থেকেও আয় করা যায়। অনলাইনে আবার কীভাবে আয় করে?হুম, আসলে এটা মনে প্রশ্ন জাগার মতো। আসলে কিভাবে আয় হয়? কে টাকা দেয়? কেন দেয়? এরকম বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর আমরা জানিনা। তাই আমাদের মাঝে এই বিষয়টা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা আছে।ইন্টারনেট বা অনলাইন আয়ের কথা বলতে গেলে অনেক বিষয় সামনে আসে। অনেক উপায়ে আয় করা যায়। আমাদের পক্ষে সব বিষয়গুলো একটি পোস্টে লেখা সম্ভব নয়। তাই সবচেয়ে কমন ৫ টি বিষয় নিয়ে লিখছি।


আরো পড়ুন: পিন্টারেস মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়


পাঁচটি উপায়ে খুব সহজে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করুন | Earn lots of money online


কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়?

অনলাইন বা ইন্টারনেটে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। কিন্তু আমরা শুধু সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো নিয়ে কথা বলবো।তার আগে বলে রাখি, ইন্টারনেটে আয় করা কিন্তু একদিনেই সম্ভব নয়। এর জন্য আপনার প্রচুর ধৈর্য থাকতে হবে। মেধা থাকতে হবে।একাত্বতার সাথে কাজ করে গেলে আপনি সফল হবেনই। আর এর মাধ্যমে মাসে লাখ টাকার বেশিও ইনকাম করা সম্ভব।হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। ১ লক্ষ টাকারও বেশি কামানো সম্ভব। তবে তা এক দিনে নয়। দীর্ঘ সময় ও শ্রমের বিনিময়েই আপনি সেই টাকা আয় করতে পারবেন। আর তা একটি স্থায়ী আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।আপনি কি অননাইনে আয় করতে চান? কিন্তু কীভাবে কাজ করবেন বুঝতে পারছেন না? বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে? নিছে কমেন্ট করে জানান। আমরা সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো।অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায় গুলো সম্পর্কে নিছে থেকে বিস্তারিত জানুন। প্রথমে এক নজরে দেখে নিন।

অনলাইনে ইনকাম করার ৫ টি উপায়

১. ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়

ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। অনেকেই হয়তো জানেন। কিন্তু আবার অনেকেই জানেন না।কেউ মনে করেন ভিজিটররা ওয়েবসাইটে ঢুকলে তাদের যে ডাটা বা এমবি (MB) কাটে সেটা ওয়েবসাইট মালিক পায়।
এটা সঠিক ধারণা নয়। আসলে আমি নিজেও প্রথমে এটাই মনে করতাম। কিন্তু না, আমার ধারণা ভুল ছিল। আসলে ওয়েবসাইটে কেউ ভিজিট করলে কোন ইন্টারনেট ডাটার খরচ ওয়েবসাইটের মালিক পায়না। উল্টো তার ওয়েবসাইটের ব্যান্ডউইথ খরচ হয়।একটি ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায়। নিচে সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়গুলো তুলে ধরা হলো।

*গুগল এডসেন্স এড
*অন্যান্য কোম্পানির এড বা বিজ্ঞাপন
*স্পনসরশীপ
*অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং

২.গুগল বা এডসেন্সের এড

আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে খুব সহজেই আয় করতে পারবেন। কেউ আপনার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই আপনার এডসেন্সে ডলার জমা হবে।এক্ষেত্রে প্রতি ক্লিকে ০.০১ থেকে ৪০ ডলারও পাওয়া যায়। কেউ আরো বেশিও পায়। আসলে ক্লিক প্রতি টাকার অংকটা আপনার টপিকের উপর নির্ভর করে।আপনি কোন কীওয়ার্ড বা বিষয়ের উপর লিখছেন সেটার উপরেই ক্লিক প্রতি বিজ্ঞাপনের মূল্য নির্ধারিত হবে।এক্ষেত্রে আরো কিছু বিষয়ও হিসেবে থাকে। যেমনঃ ভিজিটর কোন দেশের, তাদের ডিভাইস, অপারেটর, তাদের ইন্টারেস্ট বা আগ্রহ ইত্যাদি।প্রতি ক্লিকে ৪০ ডলারের কীওয়ার্ড ( অনলাইন ইনকাম )জনপ্রিয় কিছু কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস ব্যবহার করে খুব সহজেই দামি কীওয়ার্ডগুলো খুঁজে বের করতে পারবেন। এর মধ্যে কিছু ফ্রী ও পেইড কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলসের নাম জেনে নিন।

*ahrefs (পেইড)
*SEMrush (ফ্রী ও পেইড)
*Ubersuggest (ফ্রী ও পেইড)
*Moz (ফ্রী ও পেইড)
*Keyword tool (ফ্রী ও পেইড)

কিছু ভুলের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স সবাই পায়না। কিভাবে সহজেই গুগল এডসেন্স পাওয়া যায় সেই বিষয়ে আমাদের একটি পোস্ট আছে। নিছে সেই পোস্টের লিংক আছে। সেখান থেকে পড়ে নিবেন।

৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য একটা বিশেষ লিংকের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়াই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বিভিন্ন অনলাইন শপ ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আছে। যাদের পণ্য বিক্রি করে দিলে তারা কমিশন দেয়। যেমনঃ অ্যামাজন, বাগডুম, বিডি শপ ইত্যাদি।আপনি ওয়েবসাইট, ইউটিউব বা ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। আপনি ভালো কোম্পানিগুলো খুঁজে বের করুন। ২-৩ সাইটের বেশি ওয়েবসাইট না নেওয়াই ভালো।সেরা দুই-তিনটা কোম্পানি বেছে নিন। যাদের জনপ্রিয়তা ভাল, ভালো পেমেন্ট দেয়, যাদের পণ্য আপনার ওয়েবসাইট এরিয়ায় ভালো বিক্রি হয় ইত্যাদি।এক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব বা ওয়েবসাইট ইংরেজিতে হলে অ্যামাজন বেছে নিতে পারেন। বিশ্বের বর্তমানে তারা অনেক বড় কোম্পানি ও খুব ভালো পেমেন্ট দেয়।
আর বাংলা সাইট বা ইউটিউব হলে, অর্থাৎ আপনার ভিজিটর বা ভিউয়াররা বাংলাদেশি হলে এটা না বেছে নেওয়াই ভালো। কারণ, এই পোস্ট লেখা পর্যন্ত অ্যামাজন বাংলাদেশে পণ্য ডেলিভারি দেয়না।কিন্তু, তারা ইতিমধ্যেই সরকারের সাথে ব্যবসা করার জন্য আলোচনা করেছেন। সরকার তাদেরকে কিছু শর্ত বেঁঁধে দিয়েছে। হয়তো ভবিষ্যতে তারা বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে পারে। তখন আপনি অ্যামাজন বেছে নিতে পারবেন।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় ( অনলাইন ইনকাম )আপনার ইউটিউব ভিডিও, ওয়েবসাইট বা ফেসবুকে কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্টের রিভিউ করুন। আর সাথে অ্যাফিলিয়েট লিংকটি দিয়ে দিন। এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো পণ্যগুলোই বেছে নিন।তাহলে রিভিউ দেখে মানুষ পণ্যটি কিনতে চাইবে। আর এই লিংকের মাধ্যমে কেউ পণ্য বা সেবাটি কিনলে আপনি নির্দিষ্ট একটি কমিশন পাবেন। সাধারণত, ৩-৩০% কমিশন হয়ে থাকে।অ্যাফিলিয়েট লিংক সাধারণত অনেক বড় হয়। এটিকে ছোট করতে লিংক শর্টনার ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে বিটলি (bit.ly) ব্যবহার করতে পারেন।

৪. ফ্রীল্যান্সিং করে অনলাইনে ইনকাম

ফ্রীল্যান্সিং কী? আপনি ঘরে বসে ইন্টারনেটে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। একে ফ্রীল্যান্সিং বলে। যারা এই কাজটি করেন তাদেরকে ফ্রীল্যান্সার বলে।আউটসোর্সিং বা ফ্রীল্যান্সিং মোটামুটি একই রকম। আপনি ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইটে ফ্রীল্যান্সার হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন করে কাজ করতে পারেন।
কোনো ক্লায়েন্ট আপনাকে আপিনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ দিবে। আপনি তার বা তাদের কাজটি করে দিলে তারা আপনাকে পেমেন্ট দিবে। এক্ষেত্রে পেমেন্টটি ফ্রীল্যান্সার ওয়েবসাইট কর্তীক নিয়ন্ত্রিত হয়।ফ্রীল্যান্সিংয়ে কাজের ক্ষেত্র অনেক বিশাল। এখানে সবগুলো উল্লেখ করা সম্ভব নয়। তবে কিছু কমন কাজের কথা বলা যেতে পারে। সেগুলো হলোঃ

*ভিডিও এডিটিং
*ওয়েব ডিজাইন
*এসইও ও ব্যাকলিংক তৈরি
*গ্রাফিক ডিজাইন
*কন্টেন্ট রাইটিং
*ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।
বিশ্বে অনেকগুলো ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইট আছে। এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছি ওয়েবসাইটের নাম দেওয়া হলো।

*ফ্রীল্যান্সার
*আপওয়ার্ক
*ফাইভার (বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়)
*কাজ কী (বাংলাদেশি ওয়েবসাইট)

আউটসোর্সিং বা ফ্রীল্যান্সিং এর সুবিধা হলো আপনার স্বাধীনতা। এখানে কোনো ধরাবাঁধা নেই। আপনি যখন চাইবেন কাজ করবেন। যখন মনে চাইবেনা, করবেন না।এর দ্বারা আপনি দেশের র‍্যামিটেন্স বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। 

৫. ডোমেইন ব্যবসা করে

অনেকের কাছেই এই বিষয়টি নতুন মনে হতে পারে। আসলে ডোমেইন ব্যবসা সম্পর্কে আমিও কিছুদিন আগে জানতাম না। এটিও মোবাইলে অনলাইনে আয় করার বড় একটি মাধ্যম।এক্ষেত্রে যারা এই কাজটি করেন তাদেরকে ডোমেইনার বলে। ডোমেইনাররা বিভিন্ন ডোমেইন নিজেদের নামে রেজিষ্ট্রেশন করে রাখেন। পরবর্তীতে সেটি ভালো মূল্যে বিক্রি করেন।শুনলে অবাক হবেন। একটি ডোমেইন কয়েক কোটি টাকায়ও বিক্রি হয়। কিন্তু ডোমেইনাররা যখন রেজিষ্ট্রেশন করেন তখন রেজিষ্ট্রেশন ফি ৭০-৩০০০ টাকা এর মধ্যে হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই ব্যবসাটি একটি ইনভেস্টমেন্ট ব্যবসা।আমাদের ওয়েবসাইটে ডোমেইন ব্যবসা নিয়ে আলাদা ক্যাটাগরি আছে। সেখান থেকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমাদের সেই ক্যাটাগরির নাম Domain learning

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ