গোটা পৃথিবীতে গার্মেন্টস ব্যবসার দিক থেকে আমাদের বাংলাদেশ যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে, এটা নিয়ে তো কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।আর এই গার্মেন্টস শিল্পের সাথে সম্পর্কযুক্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশের নাম হলো, বাইং হাউস।আর এই Buying House এর মাধ্যমে একটি গার্মেন্টস এর সাথে বৈদেশিক বায়ারদের মধ্যে একটা সম্পর্ক স্থাপন হয়ে থাকে।মূলত, এই বাইং হাউস এর মূলত কাজ হলো একজন ক্রেতা এবং বিক্রেতার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে।কোনো একজন বিক্রেতার উৎপাদিত পন্যের গুনগত মান ঠিক আছে কিনা, তা যাচাই বাছাই করা এবং সেই পন্যেক ক্রেতার নিকট হস্তান্তর করাই হলো, Buying House এর মূল উদ্দেশ্য।তবে এই বাইং হাউস মূলত গার্মেন্টস সেকশনে বেশি কাজে আসে ৷ সে কারণে, বাইং হাউস কি (what is Buying House in bangla).তা অনেকের কাছেই অজানা রয়েছে। আর এই অজানা মানুষ গুলোকে জানিয়ে দেয়ার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।কেননা, আজকে আমি বাইং হাউস কি (Buying House ki) এবং Buying House এর সাথে জড়িত সমস্ত খুটিনাটি বিষয় নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।যেমন, Buying House কি বা বায়িং হাউজ কাকে বলে, বায়িং হাউস এর কাজ কি/বায়িং হাউজ এর কাজ কি ? চলুন বিস্তারিত জানা যাক।
বায়িং হাউজ (buying house) কি ?
What is Buying house in bengali? যখন দুটো পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য আরো একটি পক্ষের উদ্ভাবন করা হয়।তখন সেই পক্ষকে বলা হয়, থার্ড পার্টি। ঠিক তেমনি ভাবে Buying House হলো এক ধরনের থার্ড পার্টি।যা একজন গার্মেন্টস মালিকের সাথে বিদেশি বায়াদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে।এবং বিক্রেতাদের পন্য গুলোর মান যাচাই করে সেই পন্য গুলো কে ক্রেতার নিকট হস্তান্তর করে থাকে।Buying House কি বা what is Buying house meaning in bengali? উপরের আলোচনায় হয়তবা বিষয়টি আপনার কাছে ধোঁয়াশার মতো অসচ্ছ হয়ে আছে।তাই বিষয়টি আরেকটু উদাহরন সহকারে বর্ননা করা উচিত। যেন বাইং হাউস কি সে সম্পর্কে আপনার মধ্যে একটা ক্লিয়ার ধারনা চলে আসে।আমাদের দেশে বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পরিমানে গার্মেন্টস শিল্প আছে। আর এই গার্মেন্টস গুলো তে যেসব পন্য উৎপাদিত হয় সেগুলো কিন্তুু বাইরের দেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে ৷আর যারা বাইরের দেশ থেকে আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের পন্য কিনতে আসে, তাদেরকে বলা হয় বায়ার।তো এই বায়ার মূলত সরাসরি কোনো গার্মেন্টস থেকে পন্য কিনতে চান না।বরং তারা প্রথমে বাইং হাউসের সাথে কথা বলেন এবং তাদের কে কোনো একটি গার্মেন্টসে উৎপাদন হওয়া পন্য গুলোর মান যাচাই করতে বলেন।এবং এরপরে Buying House থেকে যখন একটি পন্যের গুনগত মান নির্ধারন করা হয়।তখন বায়ার সেই পন্য গুলো কে বাইং হাউস এর মাধ্যমে তাদের নিকট হস্তান্তর করতে বলেন ৷
মার্চেন্ডাইজিং কি ?
যেহুতু উপরের আলোচনা থেকে বাইং হাউস কি – সে সম্পর্কে জানলেন সেহুতু আপনার সামনে আরো একটি বিষয় চলে আসবে ৷সেটি হলো, মার্চেন্ডাইজিং কি বা মার্চেন্ডাইজিং কাকে বলে। আর Buying House এর পাশাপাশি আপনার এ বিষয়ে ধারনা রাখাটা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।দেখুন, যারা মাছ ধরে তাদেরকে বলা হয় জেলে, আর যারা নৌকা চালায় তাদের কে বলা হয় মাঝি। ঠিক তেমনিভাবে যারা মূলত বাইং হাউসের কাজ করে কিংবা বাইং হাউসের ব্যবসা করে, তাদেরকে বলা হয় মার্চেন্ডাইজার ৷আর এই পেশার সকল মানুষ কে বলা হয়, মার্চেন্ডাইজিং।আর এই ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বিশেষ একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে। সেটি হলো, “অভিজ্ঞতাই আপনার সবথেকে বড় সম্পদ”।আপনার বা আমার মতো সাধারন মানুষ চাইলেই কিন্তুু নিজেকে একজন মার্চেন্ডাইজার হিসেবে দাবি করতে পারবো না ৷কারণ এই ব্যবসায় নিজেকে যুক্ত করার আগে বিশেষ কিছু দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে ৷এর পাশাপাশি আপনার মধ্যে থাকতে হবে দৃঢ়তা, সততা, দক্ষতা এবং কর্মীদের যাবতীয় দিক বিবেচনা করার মতো অভিজ্ঞতা।যদি উপরের উল্লেখিত কোনো একটি গুন আপনার মধ্যে অনুপস্থিত থাকে ৷ তবে আপনি যতোই বাইং হাউসের ব্যবসায় শ্রম ব্যয় করুন না কেন ৷আপনাকে কোনো একটা সময়ে গিয়ে এই ব্যবসা থেকে দুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে পড়তে হবে ৷ কেননা, এখানে যদি আপনার দায়িত্ব কে অন্যের কাঁধে ফেলে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন ৷তবে সেটা আপনার নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতো। অর্থ্যাৎ, আপনি জেনে শুনে নিজেই নিজের ক্ষতি করবেন ৷
কিভাবে বায়িং হাউজ ব্যবসা শুরু করা যায় ?
আজকের দিনে অন্যান্য ব্যবসার মতো বাইং হাউস হলো লাভজনক একটি ব্যবসা ৷ যে ব্যবসা কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আপনার আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।যার দরুন বর্তমান সময়ের তরুন সমাজ বেশ আগ্রহের সাথে বাইং হাউস ব্যবসার প্রতি ঝুঁকে পড়ছে।তবে তরুন প্রজন্মের এই আগ্রহকে আমি সাধুবাদ জানাই কারণ, এই Buying House Business এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি তে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।কিন্তুু তরুন প্রজন্ম যতোই বাইং হাউজ ব্যবসা করার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করুক না কেন। এই ব্যবসায় নিজেকে সফল করতে হলে অনেক কাঠঘর পোড়াতে হবে ৷সেজন্য আপনাকে অনেক ত্যাগ, শ্রম দিতে হবে। কেননা, অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় বাইং হাউজ ব্যবসায় টিকে থাকা অনেক বড় চ্যালেন্জ এর ব্যাপার। তবে এই কথা গুলো আপনার ভয় পাবার কোনো দরকার নেই ৷ কারণ, এইব্যবসাতে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে সমস্ত ব্যাসিক বিষয় জানা দরকার।সেগুলো নিয়ে এবার আমি সহজ ও সাবলীল ভাবে তুলে ধরার চেস্টা করবো। তো চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
No.1: Learn Others Language
যেহুতু আমাদের গার্মেন্টস শিল্পে উৎপাদিত পন্য গুলো অন্যান্য দেশের মানুষ (Buyer) কিনবে। সেহুতু তাদের সাথে ভালো কমিউনিকেশন রাখার জন্য তাদের ভাষা কে আয়ত্ত করে নিতে হবে।যেমন, আমেরিকা থেকে আসা বায়ারদের সাথে কমিউনিকেট করার জন্য আপনাকে English জানতে হবে।
ঠিক তেমনি ভাবে জাপান কিংবা চিন থেকে আসা বায়ারদের সাথে কমিউনিকেট করার জন্য তাদের দেশিয় ভাষা কে আয়ত্ত করে নিতে হবে।
কারণ, তারা আপনার বাংলা ভাষায় আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারবে না।
No.2: Make A Trusted Team
বাইং হাউজ ব্যবসা করার জন্য আপনার নিজস্ব একটা টিম থাকা দরকার। কারণ এই ধরনের ব্যবসা তে বিভিন্ন বিষয় আছে ৷ যেগুলো আপনাকে প্রত্যেকটা বিষয় বেশ দক্ষতার সাথে পর্যালোচনা করতে হবে।কিন্তুু এই কাজটি যদি আপনি একাই করতে চান। সেক্ষেত্রে আপনার অনেক সময় লাগবে। এবং দেখা যাবে যে, আপনি একজন বায়ারের একটি কাজ করতে করতে প্রচুর সময় ব্যয় করে ফেলেছন।তবে আপনার নিকট যদি একটা টিম থাকে, তাহলে এই কাজ গুলো আপনি খুব কম সময়ের মধ্যে করতে পারবেন।তবে আপনার টিমে যেসব মেম্বার থাকবে, তারা অবশ্যই বিশ্বস্ত এবং প্রচুর শ্রম দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
No.3: Product Quality Checking Ability
যেহুতু বিদেশি বায়াররা আপনাকে দিয়ে কোনো পন্যের গুনগত মান নির্ধারন করার দায়িত্ব দিবে ৷ সেহুতু একটি কোয়ালিটি সম্পন্ন পন্যকে নির্বাচন করার পূর্নাঙ্গ দক্ষতা আপনার মধ্যে বিদ্যমান থাকতে হবে।মনে রাখবেন, এই যদি আপনি চুল পরিমান অবহেলা করেন। তাহলে কিন্তুু বাইং হাউজ ব্যবসা থেকে নিমিষেই ছিটকে পড়তে হবে।কারন, আপনি যদি আপনার অবহেলা কিংবা অদক্ষতার কারণে কোনো মানহীন পন্য নির্বাচন করেন ৷ সেক্ষেত্রে এর দায়ভার কোনো বায়ার নিতে চাইবে না।যার ফলে কোনো একটি গার্মেন্টস থেকে উৎপাদিত পন্য এবং বায়ার সেই পন্য কিনতে অনীহা এই দুইয়ের মাঝে পড়ে আপনি বেশ বিপাকে পড়ে যাবেন।
No.4: Work Hard & Harder
পরিশ্রম বিনা কোনো কাজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। আপনি যদি চুরি করতেও যান, সেখানেও কিন্তুু আপনাকে যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তা এবং শ্রম ব্যয় করতে হবে।ঠিক একইভাবে আপনি যখন বাইং হাউজ ব্যবসায় নিজেকে যুক্ত করবেন, তখন আপনার মধ্যেও প্রচুর পরিমানে পরিশ্রম করার মতো মানসিকতা থাকতে হবে।আর সেই পরিশ্রম কে অবশ্যই উপযুক্ত কাজে ব্যয় করতে হবে। তাহলেই আপনি Buying House Business এ সফলতা অর্জন করতে পারবেন ৷
আবেদনের নিয়ম বায়িং লাইসেন্স এর জন্য ?
এবার আসা যাক মূল টপিকে, সেটি হলো বায়িং হাউজ লাইসেন্স এর বিষয়ে। আপনার একটা বিষয় জেনে রাখা উচিত সেটি হলো, বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে প্রায় ৫ হাজারের বেশি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান আছে।আর সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে বায়িং হাউজ এবং বুটিক হাউজের সংখ্যাটা মোটেও কম নয়।
এবং এই ধরনের সেক্টর গুলো তে প্রতিযোগীতা অনেক কম থাকার কারনে ক্রমাগত ভাবে এই ধরনের নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে।কিন্তুু একটি নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে হলে সবার আগে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো, Buying House License.তো আপনি যদি বাইং হাউজ ব্যবসা করার জন্য লাইসেন্স নিতে চান। তবে আপনাকে নিচের ধাপ গুলো সঠিক ভাবে অনুসরন করতে হবে। যেমনঃ
প্রথমত আপনাকে আপনার Buying House Business এর জন্য ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। এবং এই ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আপনাকে BGMEA এর নিকট আবেদন করতে হবে।
তবে আপনি এই BGMEA এর করা আবেদন পত্র টি একেবারে বিনামূল্যে করতে পারবেন। আর আপনি যখন এই আবেদন পত্র জমা দিবেন, তখন আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত কিছু ডকুমেন্ট জমা দেয়ার প্রয়োজন হবে যেমন, ট্রেড লাইসেন্স এর কপি, ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, অংশীদারি দলিলের কপি, ক্রয় করার দলিল, ট্যাক্স সার্টিফিকেট এর কপি, বিনিয়োগ বোর্ড এর ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি। তো যখন আপনি এই সমস্ত ডকুমেন্টস গুলো জমা দেয়ার পর বিজিএমইএ এর তদন্ত কর্মকর্তা আপনার দেয়া ডকুমেন্টস গুলো পর্যালোচনা করবে এবং যাচাই বাছাই এর পরে আপনাকে একটি সনদপত্র প্রদান করবে ৷ কিন্তুু আপনাকে একটা বিষয় সম্পর্কে বলে রাখা উচিত, সেটি হলো এই কাজ গুলো করার জন্য আপনি কোনো প্রকার ঘুস দিবেন না।
কারণ যদি আপনি এই অনৈতিক কাজ করেন তাহলে আপনি নানা রকম হয়রানির সম্মুখীন হতে পারেন। তো যদি আপনি উপরের ধাপ গুলো সঠিকভাবে অনুসরন করতে পারেন ৷ তাহলে আপনার সনদপত্র পাওয়ার জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে।তার আগে আপনাকে আরো কিছু বিষয়ে জেনে নিতে হবে।যেমন, আপনি যদি বিজিএমইএ তে সনদপত্র পেতে চান। তাহলে আপনাকে ফি হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে।কিন্তুু এর পরবর্তী ধাপে আপনাকে আরো ৮ হাজার টাকা ব্যয় করার প্রয়োজন হবে।
মূলত এই বাড়তি টাকাটা পরবর্তী ১ বছরের সদস্যপদের জন্য প্রদান করতে হবে। আর এই ৮ হাজার টাকা আপনাকে প্রতি বছর সদস্য পদের জন্য দিতে হবে এবং এই টাকা আপনার রিনিউ হিসেবে গ্রহন করা হবে।
বায়িং হাউজে চাকরি পাওয়ার উপায় কি ?
যদি আপনি নিজে থেকে বায়িং হাউজ ব্যবসা করতে না পারেন। তাহলে এক্ষেত্রে আপনি নিজেকে এই ব্যবসায় চাকরিজীবী হিসেবে যুক্ত করতে পারেন ৷
কেননা, এই পদ্ধতিতে আপনি ঐ ব্যবসা সম্পর্কিত বিভিন্ন দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। তো সবাই চাইলেও কিন্তুু এই বায়িং হাউজে চাকরি করতে পারবে না।
কেননা, এখানেও আপনার যথেষ্ট দক্ষতা ও বিচক্ষনতার পরিচয় দিতে হবে।তো প্রতিটা বায়িং হাউজে বিভিন্ন প্রকার ডিপার্টমেন্ট থাকে৷ আর প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টে পর্যাপ্ত পরিমানে জনবল এর দরকার হয়। যেমন,
*সোর্সিং এবং মার্চেন্ডাইজিং
*কোয়ালিটি কন্ট্রোল
*কোয়ালিটি এস্যুরেন্স
*একাউন্টিং
*এডমিন
*এইচআর
*শিপিং
*ডিজাইনিং
*কম্পলায়েন্স
*ক্যাড
*মার্চেন্ডাইজার
তবে উপরে আপনি যতোগুলো ডিপার্টমেন্ট দেখতে পাচ্ছেন, সেই সব গুলো Buying House এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ Department হলো মার্চেন্ডাইজার।
কেননা, একটি বিদেশি বায়ার এর সাথে নিয়মিত কমিউনিকেশন করার দায়িত্ব এই মার্চেন্ডাইজার কে নিতে হবে।যেমন, অর্ডার কনফার্ম করা, পন্যের কোয়ালিটি নির্ধারন করা, বায়ার কে স্যাম্পল দেখানো সহো গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলো করে থাকে মার্চেন্ডাইজার।
বায়িং হাউজে চাকরি বেতন কত ?
আমি উপরে বায়িং হাউজের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এর কথা উল্লেখ করেছি । তো এই ভিন্ন ভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এ যুক্ত থাকা কর্মচারীদের বেতন আলাদা রেন্জের হয়ে থাকে।যেমন, আপনি যদি একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ মার্চেন্ডাইজার হতে পারেন। তাহলে আপনার মাসিক বেতন ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।তবে অন্যান্য যেসব ডিপার্টমেন্ট আছে। যেগুলোর মাসিক বেতন ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এবং যদিওবা পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে এই বেতন এর পরিমান বেড়ে যায়। সেটা মুলত কোম্পানি ও আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে।
বায়িং কিউসির কাজ কি?
একটি পণ্য গ্রাহকের দ্বারা নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে তা নিশ্চিত করতে মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়।QC পণ্যগুলির ত্রুটিগুলি সনাক্ত করতে এবং সংশোধন করতেও সহায়তা করে যাতে তারা গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরণ করে।
QC উত্পাদন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি পণ্যের নির্ভরযোগ্যতা উন্নত করতে এবং বর্জ্য কমাতে সাহায্য করতে পারে।আপনি যখন QC কিনবেন আপনি মূলত মানের গ্যারান্টি কিনছেন। QC-তে বিনিয়োগ করে আপনি নিশ্চিত করছেন যে আপনি যে পণ্য বা পরিষেবাটি পাবেন তা সর্বোচ্চ মানের।QC যে কোনো ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি গ্রাহকের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ