মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম, ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার উপায় ইত্যাদি সকল বিষয়ে আজকে এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে 2023 সালে করতে চান তারা এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার সম্ভাব্য সকল উপায়ে আমরা এই পোস্টে উল্লেখ করেছি।
মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার উপায়গুলো কি?
মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জন করার একাধিক উপায় রয়েছে। এর জন্য শুধুমাত্র একটি স্মার্ট ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তবেই এখনি আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন। মোবাইল দিয়ে টাকা আর্নিং করার উপায় সমূহ নিম্নরূপঃ-
*ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
*ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
*ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
*ফটো বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
*অনলাইন টিউশন করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
*ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
*ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
*Webtalk থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
*রিসেলিং ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
*পুরাতন পণ্য বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
*ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
*PTC সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
*ফেসবুক বুস্টিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
*মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
*ইনভেস্টমেন্ট বা ট্রেডিং সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে ইনকাম
*বিভিন্ন অ্যাপস থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
*ডেলিভারি সার্ভিস এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
*ক্রিপটোকারেন্সি ট্রেডিং এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
*ড্রাইভিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
*মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস
*মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কৌশল
ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
আপনার হাতের স্মার্টফোনটি কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী। ভিডিও রেকর্ড থেকে শুরু করে ভিডিও এডিট ও আপলোড পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া মোবাইল ফোনেই করা যায়। মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরী করে ইউটিউবে আপলোড করে গুগল এডসেন্স প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে আয় করা সম্ভব। এছাড়া যথেষ্ট বেশি সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার পেলে স্পন্সরড ভিডিও করেও টাকা ইনকাম সম্ভব।কী নিয়ে ইউটিউব ভিডিও বানাবেন, সেটা নিয়ে ভাবছেন? বর্তমানে ইউটিউবে সকল ধরণের ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা ও ভিউয়ার রয়েছে। নির্দিষ্ট টপিক সিলেক্ট করে সেই বিষয়ক ভিডিও মোবাইলে তৈরী করে ইউটিউব দ্বারা মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারে যেকেউ।ইউটিউব চ্যানেলে গুগল এডসেন্স যুক্ত হওয়ার এই প্রক্রিয়াটি ইউটিউব মনিটাইজেশন নামে পরিচিত। একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ হতে গেলে প্রয়োজন হয়ঃ
*বিগত ৩৬৫ দিনে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম
*মোট ১০০০ সাবস্ক্রাইবার
উল্লেখিত দুইটি শর্ত পুরণ হয়ে গেলেই ইউটিউব থেকে আয় শুরু হয়। একটু আগেই যেমন বললাম, আপনার চ্যানেল কিছুটা বড় হতে শুরু করলে ইউটিউব মনেটাইজেশন এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্পন্সারশিপ থেকেও আয় সম্ভব। এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম এর আরো পথ তো থাকছেই।
ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ব্লগিং অনলাইনে টাকা আয়ের এর কতটা জনপ্রিয় উৎস একথা এখন অনেকেরি জানা। ব্লগিং একটি মুক্ত পেশা। চাকরিজীবী, শ্রমিক, শিক্ষার্থী আপনি যেই হোন না কেন দিনের নির্দিষ্ট সময়ে 2 থেকে 3 ঘন্টা সময় বের করতে পারলে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন।আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং একজন ব্লগার।মোবাইল দিয়ে আমি আমার ব্লগিং শুরু করি, বর্তমানে আমি ব্লগিং থেকে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করেছি এবং একটি কম্পিউটার নিয়েছি।আপনি ও আপনার জীবনের প্রথম ব্লগ টি মোবাইল দিয়ে তৈরি করতে পারেন। গুগলের ফ্রি প্লাটফর্ম ব্লগস্পট ব্যবহার করে একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করতে হবে।একটি ফ্রি ব্লগ তৈরী করার পর আপনি ব্লগের জন্য একটি ভালো থিম নির্বাচন করে থেকে সুন্দরভাবে কাস্টমাইজেশন করে নিবেন। ব্লগ টি তৈরি করার পর আপনি রেগুলার ( দিনে ১ টি, ২ দিন পর পর ১ টি অথাবা সপ্তাহে ২ টি) নতুন এবং ইউনিক কন্টেন্ট পাবলিস্ট করবেন আপবার ব্লগে।আপনার লেখা ব্লগ পোষ্ট গুলো যদি কপি-পেস্ট না হয় তাহলে আপনার ব্লগ টি গুগলে রেঙ্ক হবে এবং আপনি পর্যাপ্ত পরিমান ভিজিটর পাবেন। একটি ব্লগে আশা ভিজিটরকে আপনি নানা উপায়ে মনিটাইজ করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় মনিটাইজেশন পদ্ধতি গুগল এডসেন্স।গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে গুগলের কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে, তবেই আপনি গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং মানে শুধু নির্দিষ্ট কোনো কাজ নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে কাজ করে অর্থ উপার্জনকেই বলা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ফ্রিল্যান্সারগণ মোবাইলের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করে থাকেন।আপনিও যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার কোনো একটি স্কিল অর্থাৎ দক্ষতা থাকার প্রয়োজন পড়বে। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি এক বা একাধিক কাজ করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো হলোঃ
*কনটেন্ট রাইটিং
*ট্রান্সলেশন
*কপিরাইটিং
*ব্লগ কমেন্টিং
*ফোরাম পোস্টিং
*ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
*প্রুফরিডিং
*প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং
*ট্রান্সক্রিপশন, ইত্যাদি
ফটো বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় সবাই বিভিন্ন সময় নানা প্রয়োজনে কিংবা শখের বশে ছবি তুলে থাকে। আপনি যদি হয়ে থাকেন একজন শখের মোবাইল ফটোগ্রাফার, তাহলে আপনার সামান্য একটু পরিশ্রম আপনার শখ কে টাকা ইনকাম এর মাধ্যমে পরিণত করতে পারে।এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আমি ছবিগুলা কোথায় বিক্রি করব? আমার মোবাইল ফটোগ্রাফি কে বা কিনবে? আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে মোবাইল ফটোগ্রাফ বিক্রির জন্য বেশকিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে। ওয়েবসাইটগুলো নিয়ে একটু পর আলোচনা করব।আর আপনার মোবাইল ফোন ফটোগ্রাফির ক্রেতা হবে তারা যাদের কম বাজেটের ছবি দরকার। ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে সেখানে বেশকিছু ফটোগ্রাফ দরকার। কিন্তু আপনি ফটোগ্রাফি তেমন ভাল বোঝেন না অথবা ফটোগ্রাফার ভাড়া করে ছবি তুলতে গেলে বাড়তি টাকা এবং পরিশ্রম দরকার। আপনি আপনার টাকা আর সময় বাঁচাতে কোন একটা ওয়েবসাইট থেকে ছবি কিনে ফেললেন। এভাবেই ওয়েবসাইটগুলোর ছবিগুলো বিক্রি হয়।এবার ছবি বিক্রির ওয়েবসাইটগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক। মোবাইল ফটোগ্রাফি বিক্রির জন্য বেশকিছু সাইট রয়েছে। যেমন:
*AGORA Images
*Clashot
* শাটারস্টক
*ফোপ
*আইএম
*স্ন্যাপওয়্যার
*ড্রিমসটাইম ইত্যাদি
উপরোক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে ছবি বিক্রি এবং টাকা উত্তোলনের জন্য কিছু শর্ত মেনে চলতে হয়।
অনলাইন টিউশন করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে অনলাইনে শেখার গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। আপনি যদি কোনো বিষয়ে পারদর্শী হন, সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়ে অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে অন্যদের পড়ানোর মাধ্যমেও আয় করতে পারেন।অনলাইন টিউশান এর পাশাপাশি বিভিন্ন কোর্স বানাতে পারেন, যা বিক্রি করেও আয় করা সম্ভব। এছাড়াও আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয় নিয়ে কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেও আয় করতে পারেন।ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ভালো বুঝেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাছে একাধিক আয়ের পথ খোলা রয়েছে, তাও মোবাইল দিয়েই। প্রথমত আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে আয় করতে পারেন। এরপর অন্যদের ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইনে শিখিয়েও আয় করতে পারেন।বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইন টিউশন দিনে দিনে আরও বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বাংলাদেশ অনলাইন টিউশন নিয়ে কাজ করছে এমন কিছু ওয়েবসাইট হলো:
*bdtutors.com
*Deshtutor.com
*Tutorsheba.com
*Bdhometutor.com
ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
পূর্বে ব্যবসা শুরু করা একটি লম্বা প্রসেস ছিলো। তবে ফেসবুক ব্যবহার করেই বর্তমানে যেকোনো ধরনের অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স শুরু করা সম্ভব ঘরে বসেই। দেশে ফেসবুক এর অসংখ্য ইউজার রয়েছে। ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যবহারকারীই হয়ে উঠতে পারে আপনার কাস্টমার।ফেসবুক ব্যবহার করে ই-কমার্স বিজনেস করতে আপনার ইনভেস্ট করতে হবে কিছু প্রোডাক্ট কেনার জন্য। এরপর উক্ত প্রোডাক্ট আপনার ফেসবুক ই-কমার্স পেজের ক্যাটালগে এড করে দিয়ে যেসব জায়গা থেকে সেল আসা সম্ভব, সেসব জায়গায় শেয়ার করুন। ব্যবহারকারীগণ ইচ্ছুক হলে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হতে বেশি সময় লাগবেনা।বর্তমানে অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তার বৃদ্ধির বদৌলতে ফেসবুক অনলাইন শপ পেজগুলো থেকে পণ্য ক্রয়ের হার অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সাপ্লাই ডিমান্ডের কথা মাথায় রেখে মোবাইল দিয়ে অনলাইন বিজনেস শুরু করে টাকা আয় করতে পারেন আপনিও।
Webtalk থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
Webtalk বেশ কিছু দিন আগে অপরিচিত থাকলেও বর্তমানে খুব জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি হলো facebook এর মতোই আরেকটি সোসিয়াল মিডিয়া. কিন্তু এটি ফেইসবুকের চেয়ে একটু ভিন্ন। আমরা প্রতিদিন আমাদের অনেক সময় ফেইসবুকে ব্যয় করে থাকি। এবং আমরা যতক্ষণ ফেইসবুকে থাকি যত বেশি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করি ফেইসবুক একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা আয় করে থাকে। ঠিক তেমনি আয় করে থাকে Webtalkকিন্তু Webtalk তাদের আয় করা টাকার ৫০% আপনাকে দিবে। আপনি যতক্ষণ Webtalk এ থাকবেন যত বেশি লাইক কমেন্ট শেয়ার করবেন আপনার একাউন্টে কিছু পয়েন্ট যুক্ত হবে তারপর আপনি এই পয়েন্টকে ডলারে কনভার্ট করতে পরবেন। আমরা যেই সময় Facebook এ ব্যয় করি সেই সময়টা যদি webtalk ব্যবহার করি তাহলে তা হতে আমাদের আয়ের একটি উৎস। এবং এটির মাধ্যমে আপনি মোবাইল দিয়েই আয় করতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়া। তাদের বর্তমান ওয়েবসাইট webtalk.co এবং ২০২২ সালের মধ্যে তাদের মোবাইল এপ বের হবে ফেইসবুকের মতো। এখানে আপনি আপনার আয় করা অর্থ সহজেই payoneer দিয়ে ব্যাংক একাউন্টে নিতে পারবেন।
রিসেলিং ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
রিসেলিং ব্যবসাকে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। ধরুন, আপনি ৫০টাকা দরে এক ডজন কলম কিনলেন এবং ৬৫টাকা দরে বিক্রি করলেন। বাড়তি যে দামে বিক্রি করবেন, সেটাই আপনার লাভ। এটাই হচ্ছে মূলত রিসেলিং ব্যবসার মডেল।আপনি অনলাইনে শপ খুলে প্রোডাক্ট লিস্ট করতে পারেন। এরপর যখনই অর্ডার পাবেন, তখন কমদামে ওই পণ্য কিনে গ্রাহকের কাছে পৌছে দিবেন। রিসেলিং ব্যবসার সুবিধা হলো, আপনাকে প্রোডাক্ট স্টোর করে রাখার পেছনে কোনো টাকা খরচ করতে হবেনা। শুধুমাত্র ফোন ব্যবহার করেই আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন ঘরে বসেই।
পুরাতন পণ্য বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
আমাদের এমন অনেক জিনিস থাকে যেগুলো অনেক পুরানো অথবা আমাদের কাজে লাগে না। এসব জিনিস নিজের কাছে রেখে না দেওয়ার চেয়েও বিক্রি করে দেওয়াই উত্তম।তার জন্য রয়েছে কিছু ওয়েবসাইট যেমন :- Bikroy.com সব থেকে বিখ্যাত পুরাতন পণ্য বিক্রির জন্য। খুব সহজেই আপনার পন্যের ছবি তুলে আপলোড করুন তাদের ওয়েবসাইটে তারপর সামনা সামনি দেখা করে বা কুরিয়ারের মাধ্যমে পণ্য পৌছে দিন ক্রেতার কাছে। এভাবেই খুব সহজেই পুরাতন পণ্য বিক্রি করে অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশী ডিজিটাল ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
এখানে ক্লিক করে দেখুন।
PTC সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
PTC এর পূর্ণরূপ হলো Pay to Click. এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা আপনাকে বিভিন্ন এড দেখার জন্য পেমেন্ট করবে। কাজটি খুব সহজ তাদের ওয়েবসাইটে একাউন্ট করবেন তারপর এড এ ক্লিক করবেন। এসব ওয়েবসাইটে কাজ করতে হলে আপনাকে প্রতিদিন কাজ করতে হবে এবং এই সম্পূর্ন কাজ গুলোই মোবাইল দিয়ে করতে পারেন।বর্তমানে এমন অনেক PTC সাইট আছে যারা অনেকের সাথে প্রতারণা করছে। তাই কোন সাইটে কাজ করার আগে তার রিভিউ দেখে নিবেন। বর্তমানে বহুল জনপ্রিয় PTC সাইট হলো Paidverts. যেখানে আপনি Invest করলে ভলো পরিমাণ আয়ের একটি সুযোগ রয়েছে।
ফেসবুক বুস্টিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ফেইসবুক বুষ্টিং বা ফেসবুক প্রমোশন বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। একটু আগে আলোচনা করেছি আমরা প্রতিদিনই ফেসবুকে অসংখ্য স্পনসর্ড পোস্ট বা অ্যাড দেখতে পাই। ফেসবুকের প্রতিটি বিজনেসের জন্যই ফেসবুক বুস্টিং বা প্রমোশনের প্রয়োজন হয়। তারা এগুলো কিভাবে করে? অবশ্যই প্রমোশনের জন্য অন্য কাউকে হায়ার করে। আপনি চাইলে ফেইসবুক বুষ্টিং এর কাজটি করতে পারেন। ফেসবুক বুস্টিং কিভাবে করতে হয় তা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে শিখে নিতে পারেন। এটি খুবই সহজ এবং মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। সর্বোচ্চ 30 মিনিটের মধ্যে আপনি কাজটি শিখে ফেলতে পারবেন।ফেসবুকে বুস্টিং এর জন্য আপনার একটি মাস্টার কার্ড লাগবে। ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড আপনি যে কোন ব্যাংক থেকে ম্যানেজ করতে পারবেন। তারপর ফেইসবুক বুষ্টিং এর কাজটি আপনি শুরু করে দিন। যারা ফেসবুকে বিজনেস করছে তারা প্রতিদিনই বুষ্টিয়ের কাজ করানোর জন্য লোক খুজছে। কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যাদেরকে দিয়ে এই বুষ্টিং এর কাজটি তারা করায়, তারা সঠিকভাবে করতে পারে না। ফলে তারা বুস্টিং এর জন্য যে পরিমাণ টাকা ব্যয় করে সে পরিমাণ টাকা তারা প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারে না।
*ফেসবুক বুস্টিং এবং কাস্টমার টার্গেটিং
*ডিজিটাল মার্কেটিং
তাই আপনি ফেসবুক বুস্টিং এ কাজটি করে বেশ ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারেন। তাছাড়া আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং ও করতে পারবেন।
0 মন্তব্যসমূহ