বন্ধুরা টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ২০২৩ পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। ঘরে বসে টাকা আয় করার জন্য বর্তমানে অনেকেই অনলাইনে টাকা আয় করার উপায় গুলি গুগল সার্চ করে থাকেন। মূলত নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই প্রবনতা বেশি কাজ করে, তারা কোনটি প্রথমে শুরু করবেন কোনটি পরে শুরু করবেন।নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য আমি আমার স্বল্প অভিজ্ঞতা থেকে (মাত্র দুই বছর হল আমি অনলাইন থেকে টাকা আয় করছি) সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সঠিক পথ দেখানোর।বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা কিভাবে ঘরে বসে অনলাইন থেকে টাকা আয় করে নিজের খরচ জোগাড় করতে পারেন এই বিষয়ে সঠিক গাইডলাইন পাবেন এই পোস্টে।বাংলাদেশে এমন অনেক সাইট রয়েছে যারা টাকার সম্পর্কে বলে কিন্তু সঠিক পথ প্রদর্শনের বেলায় তারা ভুল পথে প্রদর্শন করে ছাত্রদের। শুধু ছাত্র নয় বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর মানুষ বর্তমানে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারেন নিজের স্কিল ব্যবহার করে। চলুন আমরা দেখে নেই টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ২০২৩ লিস্টে থাকা সকল ক্যাটাগরিগুলো।এরপর চেষ্টা করব ক্যাটাগরি গুলি সম্পর্কে একে একে আমরা আলোচনা করার।
*এফিলিয়েট মার্কেটিং
*ড্রপ শিপিং
*অনলাইন টিউটর
*ওয়েব ডিজাইনিং
*ব্লগিং
1) এফিলিয়েট মার্কেটিং
বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং শব্দটি বেশি শুনে থাকেন।ডিজিটালি ইন্টারনেট ব্যবহার করে একটি পণ্যের প্রচার প্রচারণাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। এফিলিয়েট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ ইন্টারনেটে ডিজিটাল মার্কেটিং শব্দটি আসার অনেক আগে থেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আসছেন লোকেরা।এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি উপায় বা পদ্ধতি যার মাধ্যমে আমরা যেকোন অনলাইন কোম্পানির ডিজিটাল পণ্য নিজের ওয়েবসাইট ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউব চ্যানেলে এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে প্রমোট করে থাকি। আপনার প্রদান করা লিংকে ক্লিক করে যদি কেউ এই পণ্যটি ক্রয় করে তবে আপনাকে প্রতিটি সেলের ওপর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন দেয়া হয়ে থাকে।এই ক্ষেত্রে কখনোই ডিজিটাল পণ্য বিক্রেতা কোম্পানিগুলো তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কোন ধরনের চার্জ করে না।আপনার মাধ্যমে গ্রাহক এসেছে বা সেল হওয়ার কারণে আপনাকে একটি কমিশন দিচ্ছে কারণ আপনি তাদের পণ্য প্রমোট করছেন।যদিও এফিলিয়েট মার্কেটিং কে আপনি এককথায় কন্টাক্ট মার্কেটিংও বলতে পারেন কেননা আপনি যত বেশি কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন আপনার অডিয়েন্স সংখ্যা তত বেশি হবে এবং আপনার লিংকে ক্লিক করে আপনার এফিলিয়েট পণ্যটি ক্রয় লোকের সংখ্যাও অনেক হবে।তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনাকে কোনো না কোনোভাবে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। সেটা হতে পারে ভিডিও ফরম্যাটে সেটা হতে পারে অডিও ফরমেটে সেটা হতে পারে টেক্সট ফরম্যাটে সেটা হতে পারে ইমেজ ফরমেটে সেটা হতে পারে ইনফোগ্রাফিক ফরমেটে যেভাবেই করুন না কেন আপনাকে কোন না কোন ভাবে কনফিউজ করে আপনার ফান ফলোয়ার বৃদ্ধি করতে হবে।তবে বেশিরভাগ লোকেরা ফেসবুক পেইজ ইউটিউব চ্যানেল ও ব্লগ ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন। আপনার যেই উপায়টি পছন্দ হয় আপনি সেটি ব্যবহার করে এখন থেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন ইন্টারনেটে দ্রুত টাকা আয় করতে চাইলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।সঠিকভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করলে প্রথম মাস থেকেই আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
2) ড্রপ শিপিং
ড্রপশিপিং পদ্দতিতে আপনি আপনার গ্রাহকদের কাছে পণ্য বিক্রি করেন, তবে সরবরাহকারী স্টোর, প্যাকেজ এবং পণ্যটি গ্রাহকের কাছে পাঠায় এবং প্রতিটি বিক্রয়ের জন্য পরিমাণের শতাংশ রাখে। এটি অনলাইনে টাকা আয়ের একটি দুর্দান্ত উপায়, কারণ এটি প্রসারিত হচ্ছে এবং লোকেরা এই পদ্ধতি অনুসরণ করে ইন্টারনেট থেকে ঘরে বসে প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করছে।ড্রপ শিপিং নামক অনলাইন ব্যবসার প্রাথমিক সুবিধা হল যে আপনাকে পণ্যগুলি মজুদ করার জন্য বা তালিকা বজায় রাখার জন্য গুদাম নিতে হবে না, এটি পণ্য স্টক এবং ভাড়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।আপনাকে যা করতে হবে তা হল সঠিক পণ্যটি কম দামে ক্রয় করা এবং বেশি দামে বিক্রি করা। ড্রপ শিপিং থেকে টাকা আয় সর্বোত্তম উপায় হল Facebook বিজ্ঞাপনগুলি চালানো, আপনার পণ্যের প্রচারের জন্য প্রভাবশালীদের সাথে অংশীদারিত্ব করা, বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সম্ভাব্য গ্রাহকদের সরাসরি বার্তা পাঠানো।প্রাথমিক অবস্থায় ড্রপ শিপিং অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় তাই আপনি প্রথমে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। তবে সঠিক নিয়মের ড্রপসিপিং করতে না পারলে আপনার উচিত এই বিষয়ে যারা ইউটিউবে পরামর্শ দিচ্ছেন তাদের ভিডিও গুলো মনোযোগ সহকারে দেখা।
3) অনলাইন টিউটর
আপনার কাছে যদি শিক্ষকতা করার দক্ষতা এবং একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকে তবে অনলাইনে টিউটরিং হতে পারে আপনার জন্য একটি সেরা বিকল্প আয়ের এর উৎস।একজন টিউটর হিসেবে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন অথবা শিক্ষক হিসেবে অন্য কোন প্লাটফর্মে কাজ করতে পারেন। এছাড়াও, বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য অ্যাপ রয়েছে যেখানে আপনি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন, যেমন Byju’s, Udemy, WhiteHat Jr, Vedantu এবং আরও অনেক কিছু।আমাদের দেশও টেন মিনিট স্কুল নামে একটি শিক্ষা বিষয়ক একাডেমি রয়েছে। আপনি চাইলে সেখানে যোগ দিতে পারেন। আপনাকে শুধু উপরে উল্লিখিত যেকোনো ওয়েবসাইটে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে, আপনি যে বিষয়গুলি এবং ক্লাসগুলি শেখাতে চান তা তালিকাভুক্ত করতে হবে, আপনার অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতা উল্লেখ করতে হবে।তারপর, এই সমস্ত বিবরণের উপর ভিত্তি করে, তারা আপনাকে কাজ এবং বেতন নির্ধারণ করবে।উল্লেখযোগ্য সুবিধা হল আপনি আপনার প্রাপ্যতা অনুযায়ী সময় বেছে নিতে পারেন এবং আপনি যে বিষয়ে ভালো তা নির্বাচন করতে পারেন। বর্তমানে অনলাইন টিউটরদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান এর মতই আপনি এই প্লাটফর্মে বিশ্বব্যাপী সকল বয়সের লোকদের শিক্ষাদান করতে পারবেন। আপনার পড়ানোর মান এবং আপনার উপস্থাপনা যত ভালো হবে আপনারা এর সম্ভাবনা তত বেশি হবে তবে সেই সাথে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
4) ওয়েব ডিজাইনিং
আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ হন, তবে সেটিকে আপনি আপনার পেশা বানাতে পারবেন। কেননা বর্তমানে ইন্টারনেটের ব্যবসা পরিচালনা করছেন এমন সকল ব্যবসায়ী প্রযুক্তিসচেতন না। তাদের প্রযুক্তিপণ্যের মার্কেটিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন ডিজাইনের ক্ষেত্রে তারা ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে থাকে।তাদের ব্যবসার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা ওয়েবসাইটের অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয়গুলো মেনটেন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।আপনি ছোটখাটো ব্যবসায়ীদেরকে তাদের প্রয়োজন অনুসারে তাদের ওয়েবসাইট সেটআপ করতে এবং তাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজগুলো করার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন এবং তাদের সহায়তা করতে পারেন।শুরুতে আপনি হয়তো নিজের জন্য ওয়েব ডিজাইনিং কাজ শুরু করতে পারেন অথবা অন্যের জন্য ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারবেন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে।বর্তমানে সকলে তাদের নিজ নিজ ব্যবসাকে অনলাইনে স্থানান্তর করতে চায় এবং নিজেদের পরিচয় তৈরি করতে চায়। যে যাই বলুক না কেন ইতিমধ্যেই ওয়েব ডিজাইনিং বিষয়ে বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই ফ্রিল্যান্সিং। সামনের দিনগুলোতে আরো বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা একটি ব্যবসার জন্য তৈরিকৃত ওয়েবসাইট ব্যাপক রক্ষণাবেক্ষণ ও সিকিউরিটির প্রয়োজন হয়ে থাকে।
5) ব্লগিং
বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে লোকেরা প্রচুর গুগল সার্চ করে থাকে। মূলত গুগোল সার্চে প্রদর্শিত ওয়েব পেজ গুলো থেকে লোকেরা তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। ওয়েবসাইট ওয়েবসাইট পেজগুলো লোকেদের তথ্য প্রদান করে থাকে এবং গুগল লোকেদের অর্থ প্রদান করে থাকে।শুধু গুগল ওয়েবসাইট ব্লক মনিটাইজেশন করার আরো অনেক পদ্ধতি রয়েছে। ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় হলো আপনার ঘুমানোর সময় অর্থ উপার্জন করার সেরা একটি উপায়।বর্তমানে একটি ওয়েবসাইট চালু করতে মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে এবং খুব কম সময়ে সঠিক নিয়মে কাজ করলে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব।টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ব্লগিং দেশে জনপ্রিয় হচ্ছে।তবে ওয়েবসাইট তৈরী করে টাকা আয় করতে হলে প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন হয় কেননা আপনাকে ডোমেইন-হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। তবে ও একটি ওয়েবসাইটে প্রথম ভিজিটর নিয়ে আসতে আপনাকে কিছুটা প্রচেষ্টা করতে হবে এবং সময় ব্যয় করতে হবে।নতুন ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য প্রথমে আপনাকে নিয়মিত পোস্ট পাবলিস্ট করতে হবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা শেয়ার করতে হবে। মনে রাখবেন নতুন ব্লগের লেখা পোস্টগুলো তথ্যপূর্ণ এবং গুগলের মানদণ্ড অনুযায়ী লিখতে হবে।আপনি যদি ব্লগিং কে নিজের ক্যারিয়ারকে সফল করতে চান তবে আপনার উচিত আপনার প্রথম ব্লগটি আপনার পছন্দের বিষয়ে লিখুন। একবার আপনি আপনার ব্লগটিকে রেংক করাতে পারলে নিয়মিত ভিজিটর পেতে থাকবেন।এবং ভিজিটর পেলে আপনি একে বিভিন্ন উপায়ে মনিটাইজেশন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ ও বিশ্বে গুগল অ্যাডসেন্স খুবই জনপ্রিয় একটি ব্লক মনিটাইজেশন পদ্ধতি।
0 মন্তব্যসমূহ