Join Our Telegram channel! name='keywords'/> কিভাবে ভালো আর্টিকেল লিখতে হয় জেনে নিন সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা | Learn how to write good articles full experience

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

কিভাবে ভালো আর্টিকেল লিখতে হয় জেনে নিন সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা | Learn how to write good articles full experience

 যদি আপনি ব্লগিং করে “ব্লগ থেকে টাকা আয়” করার কথা ভাবছেন, তাহলে সঠিক ভাবে আর্টিকেল লেখার কৌশল আপনার জানা থাকতে হবে।এছাড়া, “ফ্রিল্যান্সিং” এর মাধ্যমে সরা সরি আর্টিকেল লিখে অনলাইনে টাকা আয় করার ক্ষেত্রেও, perfect ও professional ভাবে কনটেন্ট লেখার নিয়ম জানা থাকতে হবে।কেননা, ইন্টারনেটে বর্তমান সময়ে যেকোনো বিষয়ে প্রচুর আর্টিকেল রয়েছে।আর তাই অনেক প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ার ফলে, কেবল স্পষ্ট, আকর্ষণীয়, নিপুন ও প্রফেশনাল ভাবে লেখা আর্টিকেল গুলোই লোকেরা পছন্দ করেন।তাই, একজন কনটেন্ট রাইটার (content writer) হিসেবে, আপনার মধ্যেও কনটেন্ট রাইটিং এর প্রত্যেকটি কৌশল থাকাটা জরুরি।এক্ষেত্রে, আপনিও কি “সেরা আর্টিকেল রাইটিং টিপস” গুলো জেনে নিতে চাচ্ছেন ?যদি হে, তাহলে আজকের এই কনটেন্ট রাইটিং টিপস গুলোর বিষয়ে জেনে, আপনি নিজেকে একজন সেরা কনটেন্ট রাইটার হিসেবে রূপান্তর করতে পারবেন।একটি প্রফেশনাল ও সেরা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ও কৌশল কেবল এক দিনেই আপনি শিখতে পারবেননা।এই ক্ষেত্রে, কিছু সময় অবশই লাগবে।একটি লক্ষবস্তু (targeted), স্পষ্ট এবং আকর্ষণীয় কনটেন্ট যেটা প্রত্যেকেই পছন্দ করবেন, লেখার মূলত ৬ টি নিয়ম রয়েছে।এবং, এই আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো জেনে রাখলে, আপনার লেখা কনটেন্ট ও আর্টিকেল গুলো, লোকেরা কিন্তু অবশই পছন্দ করবেন।তাহলে চলুন, নিচে আমরা সেই “কনটেন্ট রাইটিং টিপস” গুলো জেনেনেই, যেগুলোর মাধ্যমে একটি “সেরা আর্টিকেল লেখার কৌশল” গুলো শিখতে পারবেন।


কিভাবে ভালো আর্টিকেল লিখতে হয় জেনে নিন সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা | Learn how to write good articles full experience


কিভাবে একটি সেরা আর্টিকেল লিখতে হয় 

হতে পারে, আপনি ইংরেজি অথবা বাংলা আর্টিকেল লিখছেন, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আর্টিকেল লেখার এই নিয়ম গুলো এক থাকবে।তাছাড়া, একটি সেরা ও আকর্ষণীয় কনটেন্ট লেখার নিয়ম গুলো প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা হতে পারে।এই আর্টিকেলে আমি আমার নিজের ব্যক্তিগত অনুভব ও অভিজ্ঞতার হিসেবে আপনাদের, “কনটেন্ট রাইটিং টিপস” গুলোর বিষয়ে বলছি।যখন কথা আসছে, নিজের লেখা আর্টিকেলের কোয়ালিটি উন্নত করার, তখন “reading” আপনার অনেক সাহায্য করবে।৭৫% লোকেদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, যারা খুব “বই পড়েন“, তাদের লেখা কনটেন্ট অনেক আকর্ষণীয় এবং উন্নত মানের হয়ে থাকে।আর তাই, blogging, freelancing বা যেকোনো ক্ষেত্রে, সেরা আর্টিকেল লেখার আইডিয়া আপনি অধিক বই পড়ে নিতে পারবেন।ইন্টারনেটে অনেক ধরণের “পিডিএফ বই ডাউনলোড” করার ওয়েবসাইট রয়েছে।এই ওয়েবসাইট গুলোর থেকে e-book ডাউনলোড করে নিজের মোবাইলেই বই পড়তে পারবেন।চলুন নিচে আমরা, “কিভাবে আর্টিকেল লিখতে হয়” তার সঠিক নিয়ম ও কৌশল গুলো এক এক করে জেনেনেই।

১. Pick your article topic

হে, আমি অবশই জানি যে, আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে একটি টপিক বা বিষয় বেছে নেওয়াটা স্বাভাবিক।তবে, নিজের আর্টিকেলের বিষয়টি (topic) সব সময় এমন রাখবেন, যেটার বিষয়ে আপনার প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে।কারণ, আর্টিকেলের ক্ষেত্রে আপনার সেই সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে অনেক তথ্য দিতে হয়।
তাই, যদি topic এর সাথে জড়িত জ্ঞান আপনার না থাকে, তাহলে একটি সেরা আর্টিকেল লেখার ব্যাপারটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।তবে, আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে যেই “topic” বা “subject” বেছে নিচ্ছেন, সেটা যাতে আপনার জানার মধ্যেই থাকে।এতে, বিষয়টি আপনি নিজের মতো করে সহজ সরল এবং আত্মবিশ্বাসী (confident) হয়ে লিখতে পারবেন।আর, “self-confident” থাকলে আপনার আর্টিকেল এমনিতে ভালো হওয়ার সুযোগ থাকছে।

২. Address your audience needs 

একটি ভালো আর্টিকেল লিখার জন্য, আপনার প্রথমে নিজের শ্রোতাদের বিষয়ে ভাবতে হবে।কারণ, আপনি কেবল তাদের জন্য আর্টিকেলটি লিখছেন।আর তাই, আপনার শ্রোতা (audience) আপনার আর্টিকেলের মাধ্যমে কি জেনেনিতে চাচ্ছেন, সেটার ধ্যান আপনার রাখতেই হবে।আপনার শ্রোতারা যেই বিষয়ে তথ্য জেনে নিতে চাচ্ছেন, সরা সরি ভাবে কেবল সেই বিষয়ে লিখুন।
এনাহলে, আর্টিকেল পড়ার সময় লোকেদের রুচি থাকবেনা।তাই, যেই বিষয়টিকে লক্ষ্য করে আর্টিকেল লিখছেন, সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি কেবল সেই বিষয়ের সাথেই সংযুক্ত (connect) করে রাখবেন।মনে রাখবেন, শ্রোতারা (audience) অধিক বেশি তথ্য অবশই জেনে নিতে চান, তবে প্রয়োজনের বাইরের তথ্য তাদের কোনো কাজে আসেনা।তাই, আপনার লিখা আর্টিকেল ৫০০ ওয়ার্ড এর হোক কি ৫০০০ ওয়ার্ড এর, সেটা ম্যাটার (matter) করছেনা।
কিন্তু হে, আপনি কতটা ভালো করে শ্রোতাদের প্রশ্নের উত্তর ও সমাধান আর্টিকেলের মাধ্যমে দিতে পারছেন, সেটাই কিন্তু আসল ব্যাপার।

৩. Research (গবেষণা করাটা জরুরি)

হতে পারে আপনি একজন professional blogger বা professional freelancer, কিন্তু এর মানে এটা নয় যে “আপনি সব কিছুই জানেন”.অনেক সময় অনেক বিষয়ে আমাদের কেবল কিছু সাধারণ জ্ঞান অবশই থাকে, তবে কিন্তু বিস্তারিত তথ্য থাকেনা।আর, কেবল কিছু সাধারণ জ্ঞান এর সাহায্যে আপনি লোকেদের পছন্দের একটি সেরা আর্টিকেল লিখতে পারবেননা।
এই ক্ষেত্রে, আপনার করতে হবে “research“.হে, যেকোনো বিষয়ে আর্টিকেল লিখার আগেই অল্প রিসার্চ বা গবেষণা করে নেওয়াটা অনেক জরুরি।এতে, টপিক বা বিষয়টি নিয়ে আপনি নতুন তথ্যের খোঁজ করতে পারবেন।এবং, গবেষণার (research) মাধ্যমে খুঁজে বের করা নতুন তথ্য গুলো নিজের আর্টিকেলে প্রকাশ করতে পারবেন।এতে, আপনার আর্টিকেলের ওপরে শ্রোতাদের প্রচুর রুচি থাকবে।কারণ, তারা আর্টিকেলের বিষয়ের সাথে জড়িত সম্পূর্ণ কাজের ও লাভজনক তথ্য একসাথেই পেয়ে যাচ্ছেন।বর্তমানে ইন্টারনেটে অনেক ভালো ভালো ও বিস্বাসী ওয়েবসাইট কিছু রয়েছে, যেগুলোর থেকে যেকোনো বিষয়ে সঠিক ও সম্পূর্ণ তথ্য পেতে পারবেন।এবং, এই বিস্বাসী ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে “Wikipedia” সেরা।

৪. Make points to cover

সেরা আর্টিকেল রাইটিং টিপস গুলোর মধ্যে সব থেকে জরুরি টিপস (tips) হলো, “সম্পূর্ণ আর্টিকেলে কোন কোন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন” সেই পয়েন্টস (points) গুলো বানিয়ে নেওয়া।এতে, আপনি পয়েন্ট গুলোর হিসেবে research এবং তথ্য গ্রহণ করে রাখতে পারবেন।আর, আর্টিকেলটি লিখতেও আপনার প্রচুর সুবিধে হবে।কারণ, আপনি আগের থেকেই নিশ্চিত থাকছেন যে কোন কোন বিষয়ে আপনি তথ্য গুলি বিস্তারিত ভাবে প্রকাশ করবেন।এর ফলে, আপনি ভালো মানের কন্টেন লিখতে পারবেন।তাছাড়া, যেকোনো টপিকে বিভিন্ন পয়েন্ট ও আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে কথা বললে, শ্রোতারা অধিক ভালো ও সুবিধাজনক ভাবে তথ্য গ্রহণ করতে পারবেন।

উদাহরণ স্বরূপে,

যদি আপনি “SEO bangla tutorial” বিষয়টি নিয়ে আর্টিকেল লেখার কথা ভাবছেন, তাহলে আপনি আগের থেকেই কি কি পয়েন্ট এর ওপরে তথ্য প্রকাশ করবেন সেটা ভেবে রাখতে হবে।যেমন, আমার ক্ষেত্রে আমি কোন কোন পয়েন্ট এ কথা বলতে পারি –

*এসইও মানে কি ?
*কেন করবেন এসইও ?
*SEO র কয়টি প্রকার ও কি কি ?
*অন পেজ এসইও অপটিমাইজেশন কি ?
*অফ পেজ এসইও কি ?

এভাবে, আর্টিকেলের টপিক এর সাথে জড়িত বিভিন্ন বিষয় গুলো নিয়ে ভেঙে বিস্তারিত ভাবে পয়েন্ট হিসেবে লিখলে, একটি উচ্চমানের আর্টিকেলের প্রকাশ প্রায়।কারণ, এতে আপনার রিডাররা (reader) সহজে এবং সুবিধাজনক ভাবে আর্টিকেলের তথ্য ও বিষয় গুলো সম্পূর্ণটা বুঝতে পারেন।

৫. Use Article Introduction

অবশই মনে রাখবেন, প্রত্যেকটি আর্টিকেলের একটি “intro” লেখাটা অনেক জরুরি।Intro বা introduction, একটি আর্টিকেলে প্রথম ২০০-৩০০ টি শব্দের ভেতরে লেখা হয়।এবং, সেই ২০০-৩০০ শব্দের ভেতরে আপনার শ্রোতাদের (audience) আর্টিকেলের বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে হবে।মনে রাখবেন, আর্টিকেলের আকর্ষণীয় “introduction” এর মাধ্যমে, আপনি আপনার শ্রোতাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আগ্রহী করে তুলতে পারবেন।কারণ, আপনার আর্টিকেলের সেই প্রথম ২০০ থেকে ৩০০ টি শব্দ শ্রোতারা প্রথমেই পড়বেন।এবং, যদি আপনার article intro আকর্ষণীয় (interesting) হয়ে থাকে, তাহলে শ্রোতারা অবশই সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার রুচি রাখবেন।তাই, নিজের আর্টিকেলের introduction ভাগে, আর্টিকেলের বিষয়ের সাথে জড়িত আপনার পিভিজ্ঞতা, গল্প, জরুরি তথ্য, শ্রোতারা কি শিখতে পারবেন, আর্টিকেলটি পড়ে তাদের কি লাভ হবে, এই ধরণের জিনিস গুলোর লিখতে হবে।

৬. Write Compelling Headlines

Headline বা headings, প্রত্যেক আর্টিকেলে কম বেশি পরিমানে ব্যবহার করা হয়।তবে, অনেকেই headline ব্যবহার করার লাভ গুলো জানেননা।
একটি স্পষ্ট, সুন্দর ও আকর্ষণীয় আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন H tags যেমন “H1, H2, H3, H4, H5” ব্যবহার করাটা অনেক বেশি জরুরি।Headline, সাধারণ লেখার থেকে আকারে বড় হয় এবং এর মাধ্যমে, শ্রোতারাদের আকর্ষণ নিয়ে আশা হয়।শ্রোতারা বুঝতে পারেন যে, আপনি আর্টিকেলের বিভিন্ন ভাগে কোন বিষয়গুলো লক্ষ্য করে কনটেন্ট লিখছেন।
তাছাড়া, “headline” এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি ছোট ছোট ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।এতে, রিডাররা সম্পূর্ণ কনটেন্টটি খুব সহজে এবং স্পষ্ট ভাবে পড়তে পারেন।আর তাই, আর্টিকেলের বিভিন্ন ভাগে আকর্ষণীয় heading (H1, H2, H3, H4…….) ব্যবহার অবশই করবেন।এছাড়া, হেডিং গুলো এভাবে লিখবেন,আপনি আমার ব্লগের আর্টিকেল গুলো পড়লেই দেখতে পারবেন, কিভাবে আমি কিছু কনটেন্ট লিখার পর একটি করে heading ব্যবহার করি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ