ইন্টারনেট হলো বর্তমান সময়ে যোগাযোগের একটি আধুনিক, দ্রুত এবং সহজ মাধ্যম যার দ্বারা আমরা একে আরেকজনের সাথে সংযুক্ত হতে পারি।আজকের সময়ে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে, দপ্তরে এবং মোবাইলে ইন্টারনেট এর সুবিধা থেকে থাকে।তাই, ইন্টারনেট এর মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করার ক্ষেত্রে আমরা সহজেই লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের সাথে সংযুক্ত হতে পারি।সাধারণ ভাবে ব্যবসা করাটা একটি আলাদা বিষয় এবং স্মার্ট ভাবে অনলাইন ব্যবসা করাটা একটি আলাদা বিষয়।এটা ভাবলেই কতটা অদ্ভুত লেগে থাকে যে, আপনি একটি পণ্য (product) বিক্রি করতে চাইছেন এবং কোনো ভালো জায়গাতে অধিক টাকা খরচ করে একটি দোকান নেওয়ার প্রয়োজন আপনার হচ্ছেনা।এছাড়া, পণ্য বিক্রি করানোর জন্য কোনো ধরণের দৌড়া-দৌড়ি আপনার করতে হবেনা এবং একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার বা স্মার্টফোন এর মাধ্যমেই যেকোনো জায়গাতে বসে বসে অনলাইনে গ্রাহক খুঁজতে পারছেন।ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি পণ্যের অর্ডার গুলো পাবেন যেগুলোকে নিজের কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমে ট্র্যাক করতে পারবেন।এবং শেষে, অর্ডার গুলোকে ডেলিভারি বয় (delivery boy) বা কুরিয়ার (courier) এর মাধ্যমে গ্রাহকের দিয়ে দেওয়া ঠিকানাতে পাঠিয়ে দিতে হবে।এই ধরণের ডিজিটাল মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাহায্যে করা ব্যবসাকে বলা হয় “অনলাইন ব্যবসা“.আর যখন আপনি অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করার কথা বলছেন তখন আপনি সরাসরি অনলাইন ব্যবসা করার কথাই বলছেন। যদি আপনিও নিজের products বা services গুলোকে অনলাইনে বিক্রি করার কথা ভাবছেন, তাহলে নিচে দেওয়া উপায় গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
অনলাইনে পণ্য বিক্রি করার লাভ গুলো কি কি ?
নিচে আমি আপনাদের সেই প্রত্যেক উপায় গুলোর বিষয়ে বলবো যেগুলোর মাধ্যমে সহজেই নিজের পণ্যের জন্য অনলাইনে গ্রাহক খুঁজে পেতে পারবেন।
মানে, সোজা ভাবে বললে নিজের পণ্য গুলোকে অনলাইনে বিক্রি করাতে পারবেন।তবে, আগে আমরা এটা স্পষ্ট করে জেনেনি যে অনলাইনে প্রডাক্ট বিক্রি করার ক্ষেত্রে কি কি লাভ আমাদের হয়ে থাকে।
অনলাইন সেলিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে অধিক টাকা খরচ করে দোকান ভাড়া নিতে হয়না।
***
নিজের দেশ, শহর, বিশেষ এরিয়া যেকোনো জায়গার থেকে গ্রাহক পাবেন। মানে, ফিজিক্যাল দোকানের মতো জায়গা নিয়ে সীমাবদ্ধতা থাকছেনা। জেকেও যেকোনো জায়গার থেকে পণ্যের অর্ডার (order) করতে পারবেন।অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসার বা পণ্যের মার্কেটিং অনেক সহজে এবং তাড়াতাড়ি করা সম্ভব। এছাড়া, বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া গুলো রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে ফ্রীতে প্রচুর গ্রাহক পেতে পারবেন।User review এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা অনেক সহজেই আপনার পণ্যের কোয়ালিটি কিরকম সেটা বুঝতে পারবেন।আপনি নিজের ঘর থেকে বা আপনার পছন্দের যেকোনো জায়গার থেকে ব্যবসাটি অপারেট করতে পারবেন।অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার গ্রাহকেরা সম্পূর্ণ ২৪ ঘন্টার মধ্যে যেকোনো সময় আপনার product গুলো order করতে পারবেন। কারণ, একটি অনলাইন ব্যবসা পুরোপুরি ২৪ ঘন্টা সক্রিয় থাকে।একটি দোকান নিয়ে ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে আপনাকে শুরুতেই প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন। তবে, অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি সীমিত পরিমানের ইনভেস্টমেন্ট এর সাথে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
কি কি মাধ্যমে নিজের পণ্য অনলাইনে বিক্রি হবে
চলুন, এবার আমরা জেনেনি কি কি মাধ্যমে আপনারা অনলাইনে নিজের পণ্য গুলো বিক্রি করতে পারবেন এবং প্রচুর লাভ আয় করতে পারবেন।
১. আমাজন মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে
আমাজন (amazon) বিশ্বজুড়ে একটি অনেক জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত অনলাইন ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেখানে প্রায় প্রত্যেকটি জিনিস অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায়।তবে, আমাজন হলো একটি e-commerce marketplace যেখানে আমার এবং আপনার মতোই লোকেরা seller হিসেবে নিজেকে register করিয়ে তাদের products গুলোকে online বিক্রি করে থাকেন।আমাজন আজ সব থেকে অধিক ব্যবহার হওয়া e-commerce website যেখানে প্রত্যেক দিন কোটি কোটি গ্রাহকেরা আলাদা আলাদা রকমের পণ্য কেনার উদ্দেশ্যে চলে আসেন।এখানে আপনারা আগের থেকে তৈরি থাকা একটি customer base পেয়ে যাচ্ছেন, আর তাই আলাদা ভাবে মার্কেটিং না করলেও প্রচুর গ্রাহক পাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।আপনাকে amazon seller central এর মধ্যে গিয়ে নিজের একটি seller account বানাতে হবে।সম্পূর্ণ ফ্রীতে কেবল কিছু মিনিটের মধ্যে নিজের সেলার একাউন্ট বানিয়ে নিতে পারবেন।
একাউন্ট তৈরি করার পর আপনার পণ্যের ছবি এবং পণ্যের সাথে জড়িত তথ্য গুলো আপলোড করতে হবে।এবার, ধীরে ধীরে গ্রাহকেরা আপনার upload করা পণ্য গুলো আমাজন এর ওয়েবসাইটে দেখতে শুরু করবেন এবং তাদের চাহিদা হিসাবে অর্ডার করবেন।যখন আপনি amazon থেকে order গ্রহণ করবেন, তখন আপনাকে সরাসরি product টিকে প্যাক করে গ্রাহকের ঠিকানাতে কুরিয়ার করতে হবে।
২. ফ্লিপকার্ট মার্কেটপ্লেস দ্বারা অনলাইন বিক্রি
আমাজন এর মতোই ভারতে ফ্লিপকার্ট (Flipkart) অনেক জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত একটি অনলাইন ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস যেখানে প্রত্যেক দিন লক্ষ লক্ষ গ্রাহকেরা ভিসিট করে থাকেন।আমাজন এর মতোই Flipkart এর মধ্যেও আমি বা আপনি জেকেও ফ্রীতে নিজের একটি seller account তৈরি করে যেকোনো product এখানে বিক্রি করতে পারবো।আপনার কাছে একটি product থাকতে হবে এবং কিছু জরুরি documents.এখানেও আপনারা আগের থেকে তৈরি একটি দারুন এবং বড় customer base পাবেন, আর তাই আলাদা করে মার্কেটিং এসব এর প্রয়োজন হবেনা।সরাসরি নিজের Flipkart seller account তৈরি করুন, products এর ছবি এবং details আপলোড করুন এবং অনলাইনে বিক্রি করা শুরু করুন।এই ধরণের মার্কেটপ্লেস এর লাভ এটাই যে আপনাকে আলাদা করে নিজের একটি e-commerce website বানাতে হয়না, যার ফলে আপনি প্রচুর টাকা সেভ করতে পারছেন।এছাড়া, নিজের e-commerce website বানালেও সেটাকে ভালো করে marketing না করতে পারলে গ্রাহক পাবেননা।কিন্তু, Flipkart এর মধ্যে লক্ষ লক্ষ গ্রাহক প্রত্যেক দিন চলে আসছেন, আর তাই আপনার পণ্যের জন্য আপনি নিজে নিজেই গ্রাহক পেতে থাকবেন।
শেষ কথা,
তাহলে বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা এমন কিছু উপায় গুলোর বিষয়ে জানলাম যেগুলোর মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করা সম্ভব। আশা করছি how to sell products online নিয়ে লিখা আমাদের আর্টিকেল আপনাদের পছন্দ হয়েছে।যদি আমাদের আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার অবশই করবেন।এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে আমাকে নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।
0 মন্তব্যসমূহ