মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় নিয়ে আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। এমন কিছু উপায় নিয়ে কথা বলব যেগুলো করে মেয়েরা ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারবে বাড়ির কাজের পাশাপাশি। মেয়েরা ঘরের কাজ শেষ করার পরেও তাদের অনেকটা সময় হাতে থাকে। যে সময়টা কাজে লাগিয়ে তারা বাড়তি কিছু ইনকাম করতে পারবে। এতে পরিবারের সচ্ছলতা বাড়বে এবং সামাজিক মর্যাদা ও বাড়বে।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
হোম টিউশন
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সবচেয়ে ভাল উপায় হতে পারে হোম টিউশন। যুগ যুগ ধরে চলে আসা হোম টিউশন বাংলাদেশের নারীদের এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অন্যতম একটি জনপ্রিয় পেশা। এবং এই পেশার কথা আমরা সবাই জানি। মেয়েরা ঘরে বসে চাইলে সহজেই এ কাজটি করতে পারেন। আমার মনে হয় মেয়েদের জন্য এটি অন্যতম একটি সম্মানের কাজ ও বটে। অনেকেই ঘরে ঘরে বসে এই সেবা প্রদান করে থাকেন এবং অনেকেই শিক্ষার্থীদের বাড়ি যেয়েও টিউশন প্রদান করে থাকেন।
সেলাইয়ের কাজ এবং বুটিক হাউস
সেলাইয়ের কাজ মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার আরেকটি ভাল উপায়। আজকাল সেলাইয়ের কাজ অন্যতম একটি জনপ্রিয় কাজ মেয়েদের জন্য। কারণ এই কাজটি মানুষ চাইলেই ঘরে বসে এবং কেউ তার প্যাশন সোকেশ করার জন্য ঘরের বাহিরে যেয়েও করে থাকেন। আজকাল বেশিরভাগ মহিলারা তাদের পছন্দসই বুটিক হাউস বা ফ্যাশন হাউজ দিচ্ছেন যেখানে তারা নিজেদের পছন্দের কাপড় বা নিজের হাতের কারুকাজ শোকেস করে থাকেন।সেলাইয়ের এই কাজ শুধুমাত্র কাপড়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে তা আজ ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাগ, জুতা, দেয়াল পেইন্টিং এবং নানা শিল্পকর্ম তৈরিতে। এবং অত্যন্ত আনন্দের বিষয় এই যে প্রতিটি নারী ঘরে বসেই এসব শিল্পকর্মের তাদের যোগদান দিতে পারছেন।
বিউটি পার্লার
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মেকআপ করতে পছন্দ করেন বা যাদের নারীদের স্কিন কেয়ার এবং বিভিন্ন প্রোগ্রাম এর জন্য কিভাবে নিজেকে তৈরি করবেন এবং কিভাবে নিজেকে সবচেয়ে সুন্দর ভাবে প্রদর্শন করবেন তার ওপর জ্ঞান রয়েছে। এই দক্ষতাকেই কাজে লাগিয়ে তারা অনেকেই বিউটি সালন দিচ্ছেন। নারীদের এই পেশায় দক্ষতার জুড়ি নেই।প্রকৃতপক্ষে বিউটি পার্লার অন্যতম একটি জনপ্রিয় কাজ বেশ কয়েক বছর ধরেই। আর বিউটি পার্লার এ কাজ করে অনেক নারীদের যেমন কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা হচ্ছে তেমনি অনেকে খুজে পাচ্ছেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার এর নতুন এক দিগন্ত।
নকশি কাঁথা
নকশিকাঁথা আমাদের দেশের ঐতিহ্য। আমাদের মধ্যে অনেকেই সেলাইয়ের কাজ খুব পছন্দ করেন। তাদের জন্য আয় করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো তারা ঘরে বসেই নকশী কাঁথা সেলাই করতে পারেন এবং এগুলো বিক্রি করে রোজগার এর একটি রাস্তা উন্মোচন করতে পারেন নিজের জন্য। বেশিরভাগ মানুষ এই কাজটি করেন তাদের শখের বশে আর আপনার শখ যদি হয় আপনার রোজগারের একটি মাধ্যম তাহলে নকশিকাঁথাও এতে অনন্য এক ভূমিকা পালন করতে পারে।
পিঠা তৈরি
ঠিক নকশী কাথার মত পিঠা তৈরী ও মানুষের অনেক শখ এর একটি কাজ। শীতকাল আসলেই দেখা যায় ব্যস্ত নগরীর কর্মব্যস্ত মানুষ সময়ের জন্য তাদের বাসায় পিঠা বানানোর সময় টুকু বের করতে পারেন না। আর ঠিক তখনই গরম পিঠার স্বাদ আহরনে ব্যস্ত মানুষ ভরসা করেন পিঠা বিক্রেতাদের ওপর। শহরের রাস্তার গলিতে গলিতে অনেক মহিলা এবং পুরুষ পিঠা তৈরিতে নিজের যোগদান দিয়ে উপার্জনের একটি নতুন দরজা উন্মোচন করেছেন নিজেদের জন্য।তাছাড়া আপনি পিঠা তৈরি করে বিভিন্ন পিঠার দোকানে এবং ফাস্ট ফুদের দোকানে পিঠা বিক্রি করতে পারেন। এজন্য আপনাকে দোকানের লোকের সাথে কথা বলে নিতে হবে। যদি এরকম কয়েকটি দোকান ঠিক করে নিতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ভাল মানের ইনকাম করতে পারবেন।
রান্নার প্রশিক্ষণ
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার আরেকটি ভাল উপায় হতে পারে রান্না প্রশিক্ষণ দেয়া। গ্রামবাংলা থেকে শুরু করে শহরের গৃহবধূরা পর্যন্ত এবং আজকাল আধুনিক মেয়েদের অনেকেরই রান্নার প্রতি অনেক বেশি আকর্ষণ দেখা যায়। আকর্ষণ থেকে তারা করে থাকেন নানা এক্সপেরিমেন্ট এবং তাদের ক্রিয়েটিভ মন মানসিকতা থেকে তারা নানা নতুন নতুন রান্নার ইনভেনশন করে থাকেন। এবং একসময় হয়ে ওঠেন সবার সেরা রাঁধুনি।যারা বিশ্বাস করেন যে নিজেদের মধ্যে এরকম প্রতিভা আছে এবং যাদের হাতের রান্নার যশ অনেক ভালো তারা রান্নায় আগ্রহী মানুষদের মজাদার রান্নার প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলতে পারেন নিজের জন্য আয়ের নতুন এক উৎস। যাদের আমরা ইংলিশে সেফ (Shef) বলে থাকি । এবং অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষেরাও এই পেশায় তাদের সমান যোগদান দিচ্ছেন। তাই বলাই বাহুল্য যে আজকাল বেশিরভাগ কাজেই মহিলা এবং পুরুষ উভয়ই করতে পারেন।
পেপার ক্রাফটিং
আজকালকার মেয়েদের অন্যতম একটি শখের কাজ। বাচ্চাদের ছোট আসবাবপত্র থেকে শুরু করে কাগজ দিয়ে ছোটখাটো কাস্টমাইজড গিফট বানানো পর্যন্ত নানা কাজ করা হয় যাদের আমরা ক্রাফটিং বলে থাকি। আজকাল এই ক্রাফটিং ও অনেকের কাছে আয়ের এক নতুন উৎস যেখানে কেউবা ঝটপট ক্রাফটিং করে ছোটখাটো গিফট বক্স বানাচ্ছে এবং তা দোকান বা অনলাইনে বিক্রি করছে কেউবা তা তৈরি করছেন নিজের ঘরকে আরও সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলার জন্য।অনলাইনে ইনকামের বিস্তারিত গাইডলাইন আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। তাছাড়া আপনি এগুলোর ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন। এমনকি আপনি মোবাইল দিয়েও অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। তাই এইগুলো অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিবেন।
ইভেন্ট প্ল্যানার
শহরের কর্মব্যস্ত জীবনে ছোটখাট নানা আয়োজনের জন্য আমরা ভরসা করে থাকি আজকালকার বিভিন্ন ইভেন্ট প্ল্যানার দের ওপর। ঝটপট কারো জন্মদিন বা ঘরোয়া বিয়ের অনুষ্ঠান অথবা এরকম ছোট থেকে বড় যে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন নানা ইভেন্ট প্ল্যানাররা।কর্মব্যস্ত মানুষ দিন শেষে যখন তাদের আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়া দেখে তখন তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। আর আজকাল এই ইভেন্ট প্ল্যানারদের মধ্যে নারীদের যোগদান দেখা যায় ঠিক পুরুষের সমপরিমাণ। নারীরা তাদের শৈল্পিক মন মানসিকতা থেকে সৃষ্টি করেন নতুন নতুন শিল্পকর্মের আরএসব শিল্পকর্মগুলো প্রতিটি আয়োজনে নতুন এক মাত্রা যোগ করে। তাই ইভেন্ট প্ল্যানিংও হতে পারে নারীদের জন্য অন্যতম একটি আয়ের উৎস।এগুলো দিয়ে আপনি ব্লগিং করেও অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ব্লগার থেকে টাকা আয় করার উপায় এখনই আমাদের ওয়েবসাইটে দেখে নিন। তাছাড়া মোবাইলে গেম খেলে টাকা ইনকাম করবেন কিভাবে তাও দেখে নিন।
গহনা তৈরি
গহনা নারীর ভূষণ। প্রতিটি নারী কমবেশি গহনা পছন্দ করেন।আগে শুনেছিলাম রং তুলি দিয়ে শুধুমাত্র ক্যানভাসে নানা চিত্রকর্ম তুলে ধরা যায় কিন্তু এই ধারণা পরিবর্তন করে নারীরা নতুন এক শিল্পকর্ম তৈরি করেছেন যার নাম হলো কাঠের গহনা। এতে রংতুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন ফুল পাতা এবং ছোটখাটো নানা জীবজন্তুর ছবি। এবং সেগুলোকে বিভিন্ন আকৃতি প্রদান করে আরো আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলেন।
গৃহপালিত পশু পালন
গ্রাম বা শহর নয়,খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এমন নারীদের উদাহরণ রয়েছে অসংখ্য। আজকাল নারীরা হাস, মুরগী, গাভী আর নানা গৃহপালিত পশু পালন করছেন বাড়ির পাশেই ছোট্ট খামার গড়ে তুলে। গৃহপালিত প্রাণীর দুধ ডিম বিক্রি করে উপার্জন করছেন অনেকেই। এছাড়াও কুরবানির সময় সুলভ মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন এইসব গৃহপালিত পশু।
বাগান করা
বাড়ির ছাদে, বারান্দায় বা বাড়ির পাশে বেশ কিছু জায়গা নিয়ে অনেকেই গড়ে তোলেন তাদের শখের বাগান।আর এই শখটি হয়ে উঠতে পারে আপনার আয়ের নতুন এক মাধ্যম।নিজের জমির টাটকা শাক সবজি বিক্রি করেও আয় করা সম্ভব। ক্ষুদ্র কিংবা বৃহৎ আমরা প্রতিটি আয়ের উৎস কেই অনেক বড় মনে করি। কারণ ক্ষুদ্র কিংবা বৃহৎ যেকোনো আয়ের উৎস থেকেই সৃষ্টি হয় নতুন এক সম্ভাবনার।আর আমরা নারীরা প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী।
ফাস্টফুড বিক্রয় করা
আমি সময় টিভিতে একটি গল্প দেখলাম একটি মেয়ে অর্নাস শেষ করে মাস্টার্স পড়ছে। কিন্তু কোভিডের কারনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার করনে বাসায় বসে আছে। এই অবস্থায় সে প্রথমে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাপড় বিক্রয় করতে শুরু করে। পরর্বতীতে তেমন একটা সারা না পেয়ে ফাস্টফুড বিক্রয় শুরু করে ফেসবুক পেজ খুলে। আবাক করার বিষয় হল সেই ফাস্টফুড বিক্রয় হচ্ছে গ্রাম এলাকায়।
ঘরে বসে মোবাইলে আয় করা
আপনার কাছে একটি Android Mobile থাকলেই আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। যদিও মোবাইল ফোনে কাজ করার ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তবে এমন অনেক ধরনের কাজ আছে যা মোবাইল ফোন দিয়ে করা সম্ভব।মোবাইল ফোন দিয়ে ঘরে বসে রোজগার করার জন্য ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম সব থেকে ভালো মাধ্যম হতে পারে। কিভাবে এই সকল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ইনকাম করা যায় তা তুলে ধরলাম।ফেসবুক: ফেসবুকে একটি বিজনেজ পেজ তৈরি করুন। অথবা ফেসবুক পেজ তৈরি করুন এই ফেসবুক পেজে আপনি যে কোন পণ্য বিক্রয় করতে পারেন। হতে পারেন আপনার হাতের তৈরি মোয়া, মিষ্টি, দই, পোষাক, অথবা অন্য যে কোন ধরনের পণ্য।ফেসবুকে লেখালেখি করে বাড়িতে বসে আয় করা সম্ভব যা Facebook instant article নামে পরিচিত। অবশ্য এর জন্য আপনাকে খুব ভালো ভাবে বিষয়টি জানতে হবে।ইউটিউব: বিশ্বে সব থেকে বড় ভিডিও প্লাটফর্ম। আপনার কাছে মোবাইল ফোন থাকলে আপনি শুরু করে দিতে পারেন একটি ইউটিউব চ্যানেল। আপনি ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয়, জানা না থাকলে ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করলে হাজার হাজার ভিডিও পাবেন।টুইটার: আপনার প্রতিদিনের জীবন বা অন্য যে কোন কিছু শেয়ার করতে পারেন টুইটারে। ছবি, ভিডিও, লেখা, ইত্যাদি বিষয় গুলো টুইটারে শেয়ার করা যায়। যত বেশি টুইটারে আপনি একটিভ থাকবেন তত বেশি আপনার ফলোয়ার বৃদ্ধি পাবে। আপনার ফলোয়ার সংখ্যার উপর বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে বিজ্ঞাপন অফার করবে। অথবা বিভিন্ন প্লাটফর্ম আছে যেখান থেকে বিজ্ঞাপন পাবেন।আপনি আপনার টুইটার পেজে তাদের পোষ্ট, ভিডিও, ছবি শেয়ার করলে অর্থ পাবেন।ইন্সটাগ্রাম: ইন্সটাগ্রাম এবং টুইটার একই বিষয়। ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ার সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিজ্ঞাপন পাবেন। গুগলে গিয়ে Instagram or Twitter sponsorship লিখে সার্চ করে অনেক ওয়েবসাইট পাবেন যারা sponsorship প্রভাইড করে।
তবে আপনি যদি মনে করেন বিষয়টা খুবেই সহজ তা কিন্তু নয়। কারন টুইটার বা ইন্সটাগ্রামের স্পন্সার পাওয়ার জন্য আপনার প্রফাইলে কয়েক হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে।আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি ঘরে বা বাড়িতে বসে থেকে মোবাইল দিয়ে আয় করার জন্য এর জন্য ভালো কোন মাধ্যম হতে পারে না। অবশ্য একটি বিষয় আছে টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব যেটা থেকে আয় করতে চান, সময় লাগবে। কিন্তু ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করলে আয় করাটা সহজ হবে।ফেসবুকে যে ব্যবসা করবেন সেটা যেন ইউনিক হয়। ইউনিক বলতে যেটা আগে কেউ করেনি অথবা করা হচ্ছে কিন্তু তত বেশি নয়।
শেষ কথা,
এই পোস্টে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সবচেয়ে ভাল এবং কার্যকরী উপায়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আপনারা যারা ঘরে বসে অবসর সময়টা কাজে লাগিয়ে বাড়তি কিছু আয় করতে চাইছেন তারা অবশ্যই এই কাজগুলো করতে পারেন। তাছাড়া আপনার ঘরে কাজ করার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনলাইনেও বাড়তি ইনকাম করতে পারেন। আপনাদের জন্য পরবর্তী পোস্টে মেয়েদের ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার উপায় নিয়ে কমপ্লিট গাইডলাইন দিব। এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ