আমলকিতে ভিটামিন ‘সি’ সর্বাধিক। এই ছোট ফলটিকে আয়ুর্বেদে 'অমৃত ফল' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমলকিতে এমন বৈশিষ্ট্য ও উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। Benefits of Amloki
আমলকি কিভাবে খেতে হয়?
আমলকিতে ভিটামিন ‘সি’ সর্বাধিক। এছাড়াও এতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং মূত্রবর্ধক অ্যাসিড পাওয়া যায়। আমলকিকে আয়ুর্বেদে 'অমৃত ফল' হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর ওষুধ। আমলকিতে এমন বৈশিষ্ট্য ও উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমলকি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও ওষুধ হিসেবে কাজ করে। শুধু তাই নয়, এটি অনেক রোগের মূল থেকে নিরাময় করে।
আমলকির ব্যবহার
আমলকি শরীরের ক্লান্তি দূর করে। শুকনো ভারতীয় আমলকি বিষের প্রভাব দূর করে। এর ব্যবহারে বীর্যের দুর্বলতা দূর হয়। দাঁত চকচক করে। মস্তিষ্কের তন্তুতে টান আসে। হৃৎপিণ্ডের অস্থিরতা, ধড়ফড়, স্থূলতা, প্লীহা, রক্তচাপ, দাদ ইত্যাদিতে উপকারী। আমলকি শরীরে স্বাস্থ্য শক্তি বাড়ায়।
আমলকির ১৫টি অলৌকিক উপকারিতা
*আমলকির রসে মধু মিশিয়ে খেলে পিত্তজ্বর ভালো হয়।
*এক চামচ আমলকীর গুঁড়ো জলের সাথে খেলে গলা দিয়ে শব্দ বের হয় অর্থাৎ গলা ধরা বা গলা ব্যথায় কার্যকরী।
*প্রতিদিন সকালে ঘি ও মিছরি মিশিয়ে আমলকির গুঁড়ো খেলে মাথাব্যথা ভালো হয়।
*আমলকির রস, মধু ও ছোট গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়।
*দই ক্রিমের সঙ্গে আমলকি পাউডার খেলে মাসিকের রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
*স্মৃতিশক্তি বাড়াতে প্রতিদিন সকালে আমলকির মোরব্বা খান।
*রাতে এক চামচ আমলকির গুঁড়া জল বা দুধের সঙ্গে খেলে ডায়রিয়া সেরে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে না, অন্ত্র ও পেট পরিষ্কার হয়ে যায়।
*তাজা আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিরাময় হয়।
*মুলার সাথে আমলকির গুঁড়া খেলে মূত্রাশয়ের পাথরে উপকার পাওয়া যায়।
*আমলকি ভাঙ্গা হাড়ের সাথে যোগ দিতে সক্ষম, তাই হাড় ভেঙে গেলে এটি খাওয়া ভাল।
*আমলকির রসে চিনি মিশিয়ে পান করলে তাপজনিত হেঁচকি, বমি বমি ভাব, তৃষ্ণা ইত্যাদি দ্রুত শান্ত হয়।
*ভারতীয় আমলকির ৩ গ্রাম বীজ জলে পিষে ছেঁকে নিয়ে মধু বা চিনি মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা কয়েকদিন খেলে লিউকোরিয়ায় উপশম হয়।
*ভারতীয় আমলকী পুড়িয়ে, নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলকানি ও পিম্পলে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
*যদি তাজা রক্তপাত হয় তবে এর উপর আমলকীর রস লাগালে রক্তপাত বন্ধ হবে।
*আমলকি পাউডারে শুকনো আদার গুঁড়া মিশিয়ে গরম জলে খেলে ম্যালেরিয়া হয় না।
*আমলকি এবং নিম পাতা সমপরিমাণ নিয়ে মিহি গুঁড়ো তৈরি করুন। সকালে ২ থেকে ৪ গ্রাম মধু সহ খেলে কুষ্ঠ রোগে উপশম হয়।
আমাদের এই প্রতিবেদনটি পাঠকের তথ্য ও সচেতনতার জন্য। আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আপনাকে তথ্য প্রদান করা। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। প্রতিদন এরকম নানা বিষয়ের পোস্টের আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল।
0 মন্তব্যসমূহ