ছোট্ট আর মিষ্টিতে ভরপুর এই ফলটির মধ্যে ঠাসা রয়েছে ফাইবার। সারা বছর মোটামুটি পাওয়া গেলেও এই শীতে এদের বাজারে আনাগোনা বেশি। এই ফল খেতে সবাই বেশ পছন্দও করেন। এছাড়াও এই ফলের রয়েছে হাজারো উপকারিতা। ঠিক এই কারণেই প্রাকৃতিক ফাইবারের উপযুক্ত উদাহরণ হল সবেদা। এই ফলে আছে ভিটামিন এ, ই, সি আর ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এ ছাড়াও সবেদায় আছে এমন কিছু উপাদান, যা চুল থেকে শুরু করে ত্বকের যত্নে এবং স্বাস্থ্যরক্ষাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে ওজন কমানো থেকে শুরু করে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ সবই হয় এই সবেদার গুণে।সবেদায় এই গুরুত্বপূর্ণ চারটি ভিটামিন ছাড়াও আছে ফ্রুকটোজ, সুক্রোজ। আর এই কারণেই একটা সবেদা থেকে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি পাওয়া যায়য়। এছাড়াও সবেদায় প্রচুর পরিমাণ খনিজ। আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সবেদায় যে ফাইবার রয়েছে তা কাজ করে প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ হিসেবে। যে কারণে সবেদা সহজপাচ্য এবং এতে প্রায় ১৫০ কিলো ক্যালোরি শক্তি রয়েছে। পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম , ফসফরাস শরীরকে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে।আর তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটা করে সফেদা রাখলে যে যে উপকারিতা পাওয়া যাবে।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
যেহেতু এতে প্রচুর ফাইবার আছে, সেহেতু এটি একটি প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভের ভূমিকা পালন করে। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই ফল খুব কাজে দেবে। প্রতিদিন ব্রেকফাস্টের সঙ্গে একটা করে সবেদা খেতেই পারেন।
পেটের নানা সমস্যা
প্রায় দিনই পেটজ্বালা, গ্যাস অম্বল? একটা সবেদাতেই আছে সমাধান। সবেদায় রয়েছে ট্যানিন নামের এক প্রাকৃতিক উপাদান। যা অ্যান্টি ইনফ্লেমটরি হিসেবেই পরিচিত। যাঁদের কিছু খেলেই পেটে জ্বালা করে এবং যাঁদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা আছে, তাঁরা যদি প্রতিদিন এই ফল খান, তা হলে অনেক উপকার পাবেন।
সর্দি-কাশির উপশম হয়
সবেদায় আছে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান, যার বিক্রিয়ার জন্য সর্দিকাশির নিরাময় হয়। বিশেষ করে, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ক্রনিক কাশি বা কফের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা ব্রেকফাস্টে একটা করে সবেদা খেতে পারেন। এই ফল খেলে দেখবেন কফ ও সর্দি নরম হয়ে বেরিয়ে আসছে।
হাড়ের গঠনে
সবেদায় প্রচুর পরিমাণে খনিজ আছে। তার মধ্যে হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন, সেই ক্যালসিয়ামও এখানে প্রচুর পরিমাণে মজুত আছে। এ ছাড়াও হাড় শক্ত করার জন্য অন্য যে-যে খনিজ আছে, যেমন আয়রন ও ফসফরাস, সেগুলোও যথেষ্ট উপকারী। হাড় ছাড়াও শরীরের পেশি ও টিসু মজবুত করার জন্য যে কপার প্রয়োজন, সেটাও এই ফলে মজবুত আছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমাদের শরীরে যাতে কোনওরকম জীবাণু বাসা না বাঁধে এবং যাতে আমরা চট করে সংক্রমণের কবলে না পড়ি, তার জন্য শরীরের চাই ভিটামিন ও খনিজ। আর ঠিক এগুলোই সঠিক পরিমাণে শরীরে যোগায় সবেদা বা চিকু। এই ফল শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। প্রচণ্ড গরমে যাতে হিট স্ট্রোক না হয়, তার জন্য শরীরকে তৈরি করে।
0 মন্তব্যসমূহ