গুগল সার্চ ট্রেন্ডে এখন অন্যতম একটি জনপ্রিয় একটি কি-ওয়ার্ড হলো – অনলাইন ইনকাম ২০২১ মোবাইল দিয়ে। হ্যাঁ, অনলাইন ইনকামের (online income) কথাই বলছি। বর্তমানে এটা অনেক জনপ্রিয় মানুষ যেন খোঁজ পেলেই এই অনলাইন ইনকামের পিছনে ছুটতে থাকে।তবে বিশ্বাসযোগ্য কিছু না পেয়ে হয়ে যায় হতাশ। আর আপনি হয়তো তাদেরই একজন।আর মোবাইলে ইনকাম করতে কে না চায় বলুন? তাই আপনার এই সমস্যার সমাধান এবং একটি বিরাট সুযোগ নিয়ে আজকে হাজির হলাম। এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন আমাদের আজকের আলোচনা কি কেন্দ্রিক হতে যাচ্ছে।হ্যাঁ, আজকে আমরা আলোচনা করব অনলাইন ইনকাম সমন্ধে। আর এই কথাটি শুনে আরো চমৎকৃত হবেন যে আপনি এই অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন আপনার মোবাইল বা স্মার্টফোনটির মাধ্যমে।আপনি খুব কৌতূহলী হচ্ছেন কি? চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের আলোচনা- কীভাবে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করা যায়। (earn and make money online per click)
মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয়
(How to earn money with mobile) মোবাইল দিয়ে আপনার হাত খরচের কিছু টাকা কিছু সময় ব্যয় করেই আয় করা সম্ভব। কিন্তু জানিয়ে রাখা ভালো যে এই ইনকাম দীর্ঘস্থায়ী হবে এর কোনো নিশ্চয়তা আপনাকে কেউ দিতে পারবে না। আর এই ইনকামটা একেবারেই নগণ্য।এখন হয়তো বলতে পারেন তাহলে আমার ইনকাম করে লাভটা কি? হ্যাঁ, আপনার প্রশ্ন হওয়া স্বাভাবিক তবে আমি যেই ইনকামের কথা বলছি তা এই নগণ্য নয় বরং আপনার পুরো মাসে খুব সহজেই ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আর এই ইনকামের জন্য তাড়াহুড়োর বিষয়টি একটু দুরেই রাখুন।কেননা আজকে ইনকামের কথা চিন্তা করলেই বা আজকে পোস্ট পড়েই কালকে থেকে ইনকাম করতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে নিয়মিত হতে হবে ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত।আর এই পরিশ্রমের মাধ্যমেই একটা পর্যায়ে আপনার ইনকামটি দীর্ঘস্থায়ী হবে।চলুন জেনে আসি কি সেই প্রক্রিয়াগুলো-
জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম থেকে আয়
অনলাইনে ইনকাম করার জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম। এখান থেকে চাইলে আপনি আর্টিকেল লিখে বা রেফারেল যুক্ত করে ইনকাম করতে পারবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এখানে মিনিমাম 20 টাকা হলেই আপনি টাকা তুলতে পারবেন।জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম থেকে টাকা তোলার মাধ্যম হলো: মোবাইল রিচার্জ, বিকাশ, রকেট, শিওর ক্যাশ এবং নগদ।
Youtube হতে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা আয়
(earn money from youtube with Mobile Phone) ইউটিউব হতে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় কথাটি শুনেই আপনি হয়তো থমকে গেছেন, তাই না? তবে থমকে যাওয়ার কোনো কারণ নেই কারণ আপনি যে কারণে ইউটিউবিং করাকে অসম্ভব ভাবছেন তা মোটেও অসম্ভব নয়।হ্যাঁ, আপনি মোবাইল দিয়েই ইউটিউব চালাতে পারবেন। আর ইউটিউবের প্রাণ যে ভিডিও তাও আপনি এই মোবাইল দিয়েই বানাতে পারবেন।এর জন্য আপনাকে কোনো নামি দামি ক্যামেরা কিনতে হবে না। কিনতে হবে না কোনো ডি এস এল আর ।আপনি জেনে অবাক হবেন যে এখনকার প্রায় সব বিখ্যাত ইউটিউবারই এই মোবাইল দিয়েই তাদের ভিডিও বানাতো শুরুতে। তো আপনিও শুরু করতে পারেন আজকে এখনি।
ভিডিওতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
(earn with affiliation) অনেক ইউটিউবারের ভিডিও ডেস্ক্রিপশনে আপনি অনেক সময় অনেক প্রোডাক্টের নাম ও সাথে একটি লিংক দেখতে পাবেন। এটা মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অর্থাৎ অন্যের প্রোডাক্টের প্রচার প্রচারণা।এর মাধ্যমে কেউ যদি সেই পণ্য কেনে তবে আপনি তা থেকে একটা পার্সেন্ট পাবেন। আর এর মাধ্যমেও ইনকাম করা সম্ভব।
মোবাইলে ব্লগিং করে আয়
(earn from blogging with smartphone) মোবাইলে ব্লগিং করে এখন অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে। আর বিস্মিত হবেন এটা জেনে যে এর মাধ্যমে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম সম্ভব। যার জন্য আপনাকে শুরু করতে হবে একটা পুরো উদ্যম নিয়ে।ব্লগিং মূলত যাকে বোঝায় তা হলো একটি ওয়েবসাইটে কোনো একটি নির্দিষ্ট টপিক বা একাধিক কিছু টপিক নিয়ে লেখালেখি করা।অনেকেই প্রশ্ন করেন যে মোবাইলে কিভাবে ব্লগিং সম্ভব? তাদের জন্য উত্তর এটাই যে আপনি গুগলের ব্লগার ব্যবহার করুন। তাহলে ব্লগিং আপনার জন্য এক শিল্পে পরিণত হবে।ব্লগার পিসি কিংবা ল্যাপটপে যেমন ভালো তেমন মোবাইলেও ফ্রিতেই চালাতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে আয়ের এই বিষয়টা মূলত দুটো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ আপনি দুটো উপায়ে এখান থেকে আয় করতে পারবেন।
ClipClaps অ্যাপ থেকে আয়
হ্যাঁ, ক্লিপক্ল্যাপস অ্যাপটি সমন্ধে আপনি হয়তো শুনে থাকবেন। বর্তমানে অন্যতম ও জনপ্রিয় একটি অ্যাপ এটি আর এর মাধ্যমে মানুষের ইনকাম যে হয় তারও বিভিন্ন প্রমাণ হয়তো আপনি দেখেছেন।এখানে মূল যে কাজটি তা হলো আপনাকে ভিডিও দেখতে হবে ও একটি করে লাইক দিতে হবে। এর জন্য আপনি একটি অ্যামাউন্টের টাকা পাবেন। এছাড়াও অন্যদের রেফার করলে আপনার রেফারেন্সের জন্যও একটা অ্যামাউন্ট তারা আপনাকে দিবে।
রিং আইডি থেকে আয়
ক্লিপ ক্ল্যাপসের মতোই আরেকটি অ্যাপ হলো রিং আইডি । আর সবচেয়ে বড় কথা হলো বাংলাদেশি এই অ্যাপটির তুমুল জনপ্রিয়তা এখানে বিভিন্ন। ধরনের কাজের সন্ধান আপনি পাবেন আর সেই সাথে আপনা্র জন্য থাকছে ভিডিও দেখে আয় করার সুযোগ।হ্যাঁ, ক্লিপ ক্ল্যাপসের মতো এর মাধ্যমেও আপনি ভিডিও দেখে আয় করতে পারেন খুব সহজেই।
শর্ট লিংক ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম
বিট লি (bit.ly) এই লেখাটি কত জায়গায় দেখেছেন একবার ভেবে বলুন তো। সংখ্যাটা হয়তো ধরতেই পারবেন না। কেননা হাজার হাজার বার এই বিট লি এর ব্যবহার আপনার চোখে পড়েছে। আর এই বিটলি কি জানেন?এটি হচ্ছে লিংক শর্টনার যাকে সোজা বাংলায় লিংক ছোট করাকে বোঝায়।বিট লি (bit.ly) এর লিংকে আপনি ক্লিক করলে দেখতে পারবেন যে বিট লি (bit.ly) এর সাথে যে লিংক ছিল তা এক অন্য বড় একটি লিংকে আপনাকে রি-ডাইরেক্ট করেছে। আর এটাই মূলত আপনার লিংক শর্টনারের কাজ। তবে বিট লি (bit.ly) থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন না।কিন্তু এর জন্য আরো জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন- ad.fly , Blv.me ইত্যাদি ওয়েবসাইট। আর ভেবে চমৎকৃত হবেন যে এই কাজটি একে বারেই সহজ। তো এভাবেও নিজের ইনকামটা করতে পারেন ফোন থেকেই।
শেষ কথা,
আসলে একটা কথা ভেবে দেখেন একজনের যদি ল্যাপটপ কিংবা পিসি থাকে সে কিন্তু খুব সহজেই উপরেই কাজগুলো করতে পারবে। তবে আপনার মোবাইল দিয়ে জিনিসটা করা একটু কঠিন হবে। আমি বলছি কঠিন তবে অসম্ভব কিন্তু নয়।আর এই কঠিন কাজটাকে করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে প্রচুর পরিশ্রমের। প্রথম ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত আপনি আপনার মতো কাজ করে যাবেন। এ সময়টাতে আয় কিংবা অত্যাধিক আয় কখনোই আশা করা উচিত নয়।তবে একবার যখন আপনি আপনার কাজটিতে ভালোভাবে গেথে যেতে পারবেন তখন আর আপনাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।আশা করি উপরোক্ত প্রক্রিয়াটি আপনার যথাযথ কাজে আসবে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের ইনকামের টাকার মুখ দেখতে পারবেন। আর এমন গোপন ধরনের ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে হলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ