লটকা ফল বিভিন্ন নামে পরিচিত। এই ফলের রং অনেকটাই হলুদ এবং দেখতে গোলাকার ও ছোট আকারের। এটি ফলটি রসালো, এটির স্বাদ একটু টক হয় ও সাথে মিষ্টি। এতে দেখতেও যেমন সুন্দর খেতেও অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ তো রয়েছেই। লটকন বিভিন্ন ঔষধি হিসেবেও কাজ করে। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য অনেক কার্যকারিতা রয়েছে।লটকন সাধারণত বর্ষায় পাওয়া যায়। এবং এটির বাজারে কিছু দিনের জন্য পাওয়া যায়। লটকনের পুষ্টিগুণ ও এর উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। যা আজকের এই পোস্টে তুলে ধরবো লটকনের উপকারিতা সকলেরই জেনে রাখা উচিত।আজকের এই পোস্টে আপনাদের বোঝানোর সুবিধার্থে কয়েকটি বিষয়ে বিভক্ত করে লটকনের উপকারিতা ও অপকারিতা তুলে ধরবো। আশা করা যায় আজকের এই পোস্ট থেকেই আপনি খুব সহজেই লোটকলের উপকারিতা ও অপকারিতা দিকগুলো জেনে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক লটকনের উপকারিতা দিকগুলো।
লটকার পুষ্টিগুণ
লটকা খাওয়ার উপকারিতা
লটকন খাওয়ার বেশ উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের শরীরের ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে। লটকন খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীর সুস্থ ও সবল রাখতে অনেকটাই কার্যকারী। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক লটকন খাওয়ার উপকারিতা।
ক্যান্সারের ঝুকি কমায়–
ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে লটকনে। গবেষকরা বলছেন এসব উপাদান মানবদেহে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
ওজন কমায়–
যাদের অতিরিক্ত মেদ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে লটকন উপকারী ফল। লটকন মেদ কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তায় আছেন তারা লটকন খেতে পারেন। লটকন ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণ–
এই ফলটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কার্যকারী একটি ফল। ডায়াবেটিসের কারণে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে পারেনা। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা এই ফলটি খেতে পারবে। এ ফলে ক্যালরি ও ফ্যাট কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বেশ উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়–
লটকন প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে খেলে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ হয়। লটকন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এতে থাকা ভিটামিন সি যা শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন অসুখ থেকে দূরে রাখে। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে রয়েছে ১.৪২ গ্রাম প্রোটিন ও ০.৪৫ গ্রাম ফ্যাট। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
অধিক পরিমাণে ক্যালরি–
লটকনে অধিক পরিমাণে ১০০ গ্রাম লটকনে ক্যালরির পরিমাণ ৯২। যেখানে ১০০ গ্রাম কাঁঠালে ক্যালরি পাওয়া যায় ৪৬। তাই নিয়মিত লটকন খাওয়ার ফলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সুস্থ থাকে।
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে–
লটকনের প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে যা অ্যানিমিয়া রোগ থেকে দূরে রাখে। অ্যানিমিয়া রোগ মূলত আয়রনের স্বল্পতার কারণে হয়। অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য লটকনের ভূমিকা রয়েছে অনেক। তাই নিয়মিত লটকন খেতে পারলে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
চোখ লাল হওয়া থেকে বাঁচায়–
বিভিন্ন কারণে চোখ লাল হয় তবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায় লটকন খাওয়ার মাধ্যমে। চোখ লাল হওয়া থেকে শুরু করে চুলকানি সারাতেও অনেক কার্যকারী।
ভিটামিন বি সমৃদ্ধ ফল-
ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ সমৃদ্ধ ফল লটকন। লটকনে ভিটামিন বি-১ এর পরিমাণ হল ১০.০৪ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন বি-২ আছে ০.২০ মিলিগ্রাম। বেরিবেরি রোগ থেকে দূরে রাখে লটকন। শারীরিক দূর্বলতা, বুক ধড়ফড় করা, হাত-পায়ে ব্যথা, ঠোঁট এবং পায়ের তালু ফাটা, ঠোঁট ও মুখের ঘা এবং বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যায় দূর করে।
0 মন্তব্যসমূহ