ডিজিটাল ব্যাংক বলতে কি বুঝানো হয়?
দেখুন ব্যাংকিং বলতে দুটি ক্যাটাগরির ব্যাংক সম্পর্কে আপনাদেরকে উপরের দিকে ধারণা দেওয়া হয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা টাকা লেনদেন করতে পারেন তবে এই ব্যাংকগুলো রয়েছে নিজস্ব ব্রাঞ্চ নিজস্ব বিভিন্ন স্থানে তাদের এটিএম বুথ ও তাদের ডেবিট কার্ড ক্রেডিট কার্ড চেক বই সহ বিভিন্ন টাকা লেনদেনের মাধ্যম সমূহ তবে ডিজিটাল ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে এইসবের কোনটি থাকবে না শুধুমাত্র একটি হেড অফিস থাকবে অর্থাৎ একটি ডিজিটাল ব্যাংকের মূল অফিস একটি থাকবে দেশের কোথাও আর কোন শাখা থাকবে না সেই ডিজিটাল ব্যাংকের কোন ডেবিট কার্ড ক্রেডিট কার্ড কিংবা চেক এর পাতা কোনটি থাকবে না অর্থাৎ সকল কাজকর্মই হবে অনলাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে মানুষ এই সেবা গ্রহণ করতে পারবে ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল দিয়ে তবে এখানে আরেকটি সুবিধা হচ্ছে এখানে ছোট ছোট ঋণ পাবেন গাহকরা তবে বড় ঋণ নিতে গেলে আগের ব্যাংকগুলো থেকেই নিতে হবে এছাড়াও এই ডিজিটাল ব্যাংকে দিনের ২৪ ঘন্টা সপ্তাহের সাত দিন লেনদেন করা যাবে ।
ডিজিটাল ব্যাংক কিভাবে ব্যবহার করব?
আপনাদের সহজ করে বুঝানোর জন্য বলি যে রকম ইসলামী ব্যাংকের রয়েছে সেলফি অ্যাপ এই অ্যাপের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের সকল লেনদেন সম্পূর্ণ করা যায় তবে এই ব্যাংকে ডিজিটাল ব্যাংক বলা হয় না আবার যেমন বিকাশের রয়েছে বিকাশ অ্যাপ যেটার মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং এর সকল লেনদেন সম্পূর্ণ করা হয় এটাকেও ডিজিটাল ব্যাংক বলা হয় না তবে অনেকটা লেনদেনটা এই ব্যাংকগুলোর মতনই হয়ে থাকব তবে ডিজিটাল ব্যাংক হয়ে থাকবে আপনাদের উদাহরণস্বরূপ বোঝানোর জন্য বলা যেতে পারে যেরকম ইন্টারন্যাশনাল আমেরিকার বা ইউএসএ রয়েছে পেপাল বা পেওনিয়ার এবং ইন্ডিয়াতে রয়েছে পেটিএম এগুলো তে যেভাবে লেনদেন করা হয় এই ব্যাংকগুলোকে বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল ব্যাংকিং সিস্টেম।
আপনারা আমরা যেভাবে করে পেপাল কিংবা পেটিএম ব্যবহার করে থাকি ঠিক সেম ভাবেই আমাদের বাংলাদেশে যেই ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা আসবে সেগুলোকে আমরা এভাবে করে ব্যবহার করতে পারব এক্ষেত্রে আপনারা চাইলে এই ডিজিটাল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ইন্টারনেসনাল মার্কেট প্লেসগুলো থেকে ফ্রিল্যান্সিং করেও টাকা পেমেন্ট নিতে পারবেন এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যাবে পৃথিবীজুড়ে।
বাংলাদেশ সরকারের এই ব্যাংকিং চালু করার ফলে রাজস্ব আয় বাড়বে কারণ অনেক দেশ থেকে এখন ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানো যায় না অনেক দেশের প্রবাসী ভাই ও বোনেরা বাধ্য হয়ে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে থাকেন তারাও এখন থেকে এই ডিজিটাল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা দেশে পাঠাতে পারবেন এটা হল আরেকটি ভালো দিক যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ডিজিটাল বাংলা ৩৬০ পরিবারের পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল এই ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আপনাদের অভিমত ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে এই আর্টিকেলের কমেন্ট বক্সে জানাবেন আর শেয়ার করে দিবেন বন্ধুদের কাছে যাতে সবাই জানতে পারে।।
শেষ কথা
এই ডিজিটাল ব্যাংকিং এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ সরকারের আন্ডারে অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে একটি বিশেষ গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে এই ডিজিটাল ব্যাংকিং এর উপরে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান এই ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের জন্য লাইসেন্স পাওয়ার প্রয়োজনে আবেদন করেছেন এদের মধ্যে বর্তমান সময়ের ব্যাংকিং এর যেই কর্ণধাররা রয়েছেন তারাও আবেদন করেছেন আবার আমরা জানতে পেরেছি বিকাশ নগদ কোম্পানিও এই ডিজিটাল ব্যাংকিং এর জন্য আবেদন করেছেন এই লাইসেন্স যারা পাবেন সেই সকল কোম্পানিগুলো কে সরকারের কাছে জমা রাখতে হবে কমপক্ষে 125 কোটি টাকা করে আর লাইসেন্সের জন্য আবেদন ফ্রি ধরা হয়েছে পাঁচ লক্ষ টাকা অনেকেই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন কারা এই লাইসেন্স পেলে আপনাদের কাছে মনে হবে কোম্পানি ভালো সেবা দিতে পারবে অবশ্যই জানিয়ে কমেন্ট করবেন?
সূত্র বাংলাদেশ গণমাধ্যম
0 মন্তব্যসমূহ