যখন নির্দিষ্ট কোন চুক্তির মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি সম্মলিত ভাবে মুনাফা লাভ করার লক্ষ্যে।বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর সূচনা করে। তখন সেই ব্যবসা কে বলা হবে, অংশীদারি ব্যবসা।আর বাণিজ্য নিয়ম অনুযায়ী কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত থাকতে পারবে।তো এই যুক্ত থাকা কে বাণিজ্যের ভাষায় বলা হয়ে থাকে, অংশীদারি ব্যবসায়।আর আজকের আলোচনায় আমি আপনাকে আরো পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব, অংশীদারি ব্যবসায় কি বা অংশীদারী ব্যবসা বলতে কি বুঝায়।
অংশীদারি ব্যবসায় কি
আমি শুরুতেই আপনাকে বলেছি, যখন কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত থাকবে। এবং সেই প্রতিষ্ঠান কে পরিচালনা করার জন্য যে পরিমাণ বিনিয়োগ এর প্রয়োজন হয়। সে গুলো বিশেষ চুক্তির মাধ্যমে প্রদান করবে। তখন সেই প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা কে বলা হবে, অংশীদারি ব্যবসা। অর্থাৎ একই ব্যবসার মধ্যে অধিক ব্যক্তির অংশীদার রয়েছে। আর আপনি যদি বাণিজ্য নিয়ম এর ক্ষেত্রে চিন্তা করে দেখেন।তাহলে আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন যে, তাদের উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী। নির্দিষ্ট একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে সর্বনিম্ন দুইজন থেকে সর্বোচ্চ ২০ জন এর বেশি ব্যক্তির অংশীদারি থাকলে।সেই ব্যবসা কে অংশীদারি ব্যবসার আওতায় ধরা হবে।তবে এই ধরনের অংশীদারি ব্যবসার মধ্যে যখন একাধিক ব্যক্তি যুক্ত থাকে। তখন উক্ত ব্যবসার অংশীদার হিসেবে প্রমাণপত্র রাখার প্রয়োজন হয়।আর সে জন্য উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে অংশীদার থাকা সকল ব্যক্তিরা। বিশেষ একটি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে নিজেদের অংশীদারিত্বের প্রমাণ রাখে।আর এই ধরনের অংশীদারি ব্যবসার মধ্যে আপনি বিভিন্ন সুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন। শুধু তাই নয় অংশীদারি ব্যবসার সুবিধার পাশাপাশি এমন অনেক অসুবিধা রয়েছে।যে গুলো সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য সমুহ
এতক্ষণের আলোচনা থেকে আমরা অংশীদারি ব্যবসায় কি সে বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবং সেই আলোচনায় আমি আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি।একটি ব্যবসার সাথে একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার কারণে। সেই ধরনের ব্যবসা গুলো কে অংশীদারি ব্যবসায় বলা হবে।তো এবার আপনাকে আমি অংশীদারি ব্যবসায় এর বৈশিষ্ট্য সমূহ জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। অর্থাৎ এই ধরনের অংশীদারি ব্যবসার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।চলুন এবার সেই বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক।অধিক সদস্য সংখ্যাঃ অংশীদারি ব্যবসায় এর মধ্যে অবশ্যই অধিক সদস্য সংখ্যা থাকা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।অর্থাৎ সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি অংশীদার হিসেবে থাকতে হবে।তাহলেই সেই ব্যবসা কিংবা প্রতিষ্ঠান টি অংশীদারিত্বের আওতায় পড়বে। অন্যথায় সেটি একক মালিকানায় পরিচিত হবে।অংশীদারিত্বের সীমাবদ্ধতাঃ একটি অংশীদারী ব্যবসায় এর সদস্য সংখ্যার পরিমাণ সর্বনিম্ন দুইজন থেকে সর্বোচ্চ 20 জন পর্যন্ত হতে হবে।আর এর থেকে কম সদস্য সংখ্যা হলে তা কখনোই অংশীদারি ব্যবসায় এর স্বীকৃতি পাবে না। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অংশীদারি ব্যবসায় এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ জন এর বেশি সদস্য হওয়া যাবে না।চুক্তিপত্রের ব্যবহার; সর্বদাই মনে রাখবেন, অংশীদারি ব্যবসায় এর মধ্যে চুক্তিপত্র হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি সদস্য যখন কোন একটি ব্যবসা এর মধ্যে অংশীদার হবে।তখন তার কাছে অবশ্যই এক ধরনের প্রমাণপত্র থাকতে হবে। আর সেই প্রমাণ পত্রের মাধ্যমে উক্ত ব্যবসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য।এবং আপনার অংশীদারীর সকল বিষয় উল্লেখ থাকবে। তবে চুক্তিপত্র না থাকলে অংশীদারি ব্যবসায় সদস্যর একেবারে মূল্যহীন।
0 মন্তব্যসমূহ