Join Our Telegram channel! name='keywords'/> টিকটকে ভাইরাল হতে হলে অবশ্যই ট্রিক্স গুলো জেনে নিন | Learn how to go viral on Tik Tok

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

টিকটকে ভাইরাল হতে হলে অবশ্যই ট্রিক্স গুলো জেনে নিন | Learn how to go viral on Tik Tok

অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের তুলনায় TikTok-এর অর্গানিক রিচ পাওয়াটা একটা সেরা ব্যাপার। এমনকি, প্রায় ৫০% সেরা ব্র্যান্ডের TikTok-এ প্রেসেন্স নেই। তাই, এই সুযোগে আপনি নিজের ব্র্যান্ডের প্রচার আরামসে সারতে পারবেন। আপনি যদি জানতে চান যে, কিভাবে অর্গানিক ওয়েভ তৈরী করা যায় ও কীভাবে TikTok-এ ভাইরাল হওয়া যায়,তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবেই আপনার জন্যে। কারণ, এখানে আমরা আলোচনা করতে চলেছি, আমরা কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো ? এই বিষয় সম্পর্কে।চলুন, প্রথমে আমরা জেনে নিই, টিকটক অ্যালগরিদমের সাথে কিভাবে কাজ করা যেতে পারে, যাতে আপনার ভিডিও ভাইরাল হয়। 


টিকটকে ভাইরাল হতে হলে অবশ্যই ট্রিক্স গুলো জেনে নিন | Learn how to go viral on Tik Tok


কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো ?

এখন আমরা টিকটক ভিডিও ভাইরাল করার ১৯টি সেরা উপায় গুলো এক এক করে জানতে চলেছি।

১. চমকের সাথে ভিডিও শুরু করুন:

Tiktok হল একটা দ্রুতগতির অ্যাপ। এখানে আপনার ভিডিওটা সোয়াইপ করে অন্য ভিডিওতে যাওয়ার আগে আপনাকে দ্রুত অডিয়েন্সদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হয়। শেষ অবধি কোন অ্যাকশন না থাকলে, বেশিরভাগ অডিয়েন্সই ভিডিও স্কিপ করে যায়। প্রথম কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভিডিওর টোন ও বিষয় সেট করে নিতে হয়, যাতে অডিয়েন্সরা বুঝতে পারে যে, তারা কী দেখতে চলেছে।

২. ভিডিওর দৈর্ঘ্য ছোট রাখুন:

যতক্ষণ না আপনি কোনো লম্বা গল্প বলছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত এক মিনিটের বেশি লম্বা কোনো ভিডিও বানাবেন না। এখানে সবসময় আপনার ক্লিপগুলো ছোট রাখার চেষ্টা করুন। Tiktok ভিডিওর দৈর্ঘ্যের তুলনায় অ্যাভারেজ ওয়াচ টাইমের উপর নির্ভর করে কন্টেন্টের গুণমান মূল্যায়ন করে থাকে। আপনার কাছে এমন অডিয়েন্সই বেশি আসবে যারা ১ মিনিট-দৈর্ঘ্যের ভিডিও ৪৮ সেকেন্ড দেখার তুলনায় ১০ সেকেন্ডের ভিডিও ৮ সেকেন্ড অবধি দেখতে পছন্দ করবে। 

৩. নিজের অডিও ব্যবহার করুন:

ফোন ও অ্যাপগুলো আমাদের বলা কথা শোনার ও সেই অডিওর উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার (যেমন আমাদের বিজ্ঞাপন দেখানো) ক্ষমতা আছে। TikTok আপনার কনটেন্ট সঠিক অডিয়েন্সদের কাছে দেখানোর জন্যে আপনার ভিডিওটা কী তা জানতে আপনার দেওয়া সমস্ত টুল ব্যবহার করে। আপনি আপনার ক্যাপশন বা হ্যাশট্যাগগুলোর সাহায্যে এই কাজ করতে পারবেন। তবে, আপনার ভিডিওতে ভয়েসওভার ব্যবহার করে আপনি আরও স্পস্টভাবে বেশি কীওয়ার্ড ও ইনফরমেশন দিতে পারেন,যাতে টিকটক আপনার ভিডিওগুলো সঠিক অডিয়েন্সদের দেখাতে পারে।

৪. ট্রেন্ডিং গান বা সাউন্ড ব্যবহার করুন:

আপনি ভয়েসওভার দিন বা না দিন, আপনার ভিডিওগুলোতে ট্রেন্ডিং মিউজিক যুক্ত করাটা একান্তই জরুরি। আপনি অবশ্যই আপনার নিজের পছন্দের গানগুলো বেছে নিতে পারেন। তবে, TikTok হল একটা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম। এখানে মানুষেরা ট্রেন্ডগুলো ভালো মতোই দেখে। তাই, আপনি যদি বর্তমানের ট্রেন্ডিং গানগুলো ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনাও যথেষ্ট বেড়ে যায়। সর্বদা, ভয়েসওভারের সাথে ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা শান্ত গানের লেয়ার রাখার চেষ্টা করুন। 

৫. গল্প বলুন:

নাচের ভিডিও ভাইরাল হলেও, অনন্য গল্পগুলোর ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে। আসুন, এইবার সত্যিটা জানা যাক যে, আপনি যদি অসামান্য প্রতিভাবান কিংবা হাস্যকরভাবে খারাপ ড্যান্সার না হন,তাহলে আপনার নাচের ভিডিওগুলো এখানে ভাইরাল হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। আমাদের মধ্যে যারা নাচ-গান সম্পর্কে দক্ষ নন, তারা কোনো আকর্ষক গল্প বলার মাধ্যমেও ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এখানে যেকোনো গল্পই বলে যেতে পারে। আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা কিংবা কোনো নীতিকথা ও আরও অন্যান্য গল্প।  

৬. পছন্দের জিনিস, এডভাইস ও টিপস শেয়ার করুন:

অনেক মানুষ আছে যারা TikTok-এ নানান জিনিস শেখাও পছন্দ করে। তাই, আপনার যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা থাকে,তাহলে আপনি সেই দক্ষতার সম্পর্কে আরও জানাতে তথ্যমূলক ভিডিও তৈরি করতে পারেন। কুইক বুলেট পয়েন্ট ভিডিওগুলো এক্ষেত্রে দুর্দান্ত কাজ করে। স্ক্রিনের উপরে টেক্সট ব্যবহারকারীদের মিনি-টেক্সটের মাধ্যমে গাইড করা হয়ে থাকে। একইভাবে, মানুষেরা TikTok-এ কেনাকাটা করতে পছন্দ করে, তাই প্রিয় প্রোডাক্টগুলো শেয়ার করাও ট্র্যাকশন (এবং মনিটাইজেশান) অর্জনের একটা আশ্চর্যজনকভাবে সহজ উপায় হিসেবে কাজ করে।

৭. প্রভাবশালী কল-টু-অ্যাকশন রাখুন:

কল-টু-অ্যাকশন সম্ভবত হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি। এটা কোনো ভিডিওকে ভাইরাল করানোর পাশাপাশি আপনাকে আপনার ফলোয়ার বাড়াতেও সাহায্য করে। যদি, আপনি কেবলমাত্র ২০০০ ফলোয়ার পান, তাহলে কোনো ভিডিওতে ৫ মিলিয়ন ভিউ নিয়ে কি লাভ ? প্রথমত, যখন TikTok অনেক লোককে কোনো ভিডিওতে বেশি করে লাইক, কমেন্ট ও ফলো করতে দেখে,তখন তারা স্বাভাবিকভাবেই ভিডিওটাকে বেশি সংখ্যক লোকের কাছে পাঠানোর চেষ্টা করে। এই কারণে, আপনার ক্যাপশনে কিংবা আপনার ভিডিওর শেষে “Like for next part “, “follow for more” বা “what’s your reaction?”,এর মতো কোনো কল-টু-অ্যাকশন থাকাটা খুবই জরুরি। এর জন্য আপনার অবশ্যই কোনো বাধ্যতামূলক ভিডিও থাকতে হবে। কিন্তু, ভিডিওতে কোনো প্রভাবশালী CTA যোগ করলে ২০০০ নতুন ফলোয়ারদের ২ মিলিয়ন ভিউ ও ৪০,০০০ নতুন ফলোয়ারদের ৯ মিলিয়ন ভিউয়ের মধ্যে পার্থক্য হতে পারে৷ আপনার CTA কমপক্ষে কয়েক সেকেন্ড দীর্ঘ হওয়াটা আবশ্যিক, যাতে পরবর্তী ভিডিওতে যাওয়ার আগে লোকেরা আপনাকে ফলো করার সময় পায়।

৮. মানুষদের রান্ডম কমেন্টের সুযোগ দিন:

সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষেরা ভিডিওতে এলোমেলো জিনিসগুলোর উপর কমেন্ট করতে পছন্দ করে। ধরণ, আপনি ওয়াটার ফিল্টার পাল্টানোর টিউটোরিয়াল দিচ্ছেন, এইবার আপনি কথার মাঝখানে কোনো ভালো চকলেট কেকের কথা তুললেন। মানুষজন এরকম অফবিট কথা শুনতে পছন্দ করে। আর, তারা সামান্য বিবরণ দেখতে পছন্দ করে, যেগুলো ভিডিওর মূল ফোকাস নয়, আর সেগুলোতেই বেশি কমেন্ট করে থাকে। আর, এখানে আপনি যত বেশি কমেন্ট পাবেন তত বেশি আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। সুতরাং, আপনি কমেন্ট করার জন্য লোকেদের যত বেশি রান্ডম ডিটেইলস দেবেন, আপনি তত বেশি কমেন্ট আশা করতে পারবেন। এর, একটা সহজ উপায় হল, আপনি আপনার ভিডিওতে অদ্ভুত কিংবা মজার কোনো তথ্য বলতে পারেন,যেগুলো সম্পর্কে অডিয়েন্স আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে পারে।

৯. কিছু প্রশ্ন অধরাই রাখুন:

কমেন্ট পাওয়ার জন্য এই ধাপটা ফলো করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটা আপনাকে TikTok-এ ভাইরাল হতে সাহায্য করতে পারে। যদি, আপনি কোনো ভিডিও পোস্ট করেন ও আপনি কোনো সুস্পষ্ট প্রশ্ন তৈরী করতে পারেন,যা লোকেদের মনে তৈরী হবেই, তা কখনোই আপনার ভিডিওতে ব্যাখ্যা করবেন না।এটা আপনাকে একগাদা কমেন্ট পেতে সাহায্য করবে ও ভিডিওটাকে ভালোভাবে পারফর্ম করতেও সাহায্য করবে। 

১০. বিতর্কমূলক কিছু করুন:

কমেন্ট ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা যেমন বাড়ায়, তেমনই বিতর্কিত ভিডিও-ও কিন্তু বেশ ভাইরাল হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। মানুষেরা সত্যই ইন্টারনেটের বস্তুর পিছনে সময় খরচ করতে পছন্দ করে। এখানে আপনাকে জেনে শুনে কোনো ভুল করতে হবে না, আপনাকে এমন কোনও বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে হবে, যা নিয়ে নানান মানুষ নানা মতামত পোষণ করে।যেমন- ধরুন রান্নায় কে ভালো বাঙাল বা ঘটী ? কিংবা, স্বাদে কোন মাছ সেরা ইলিশ না চিংড়ি ? আক্ষরিক অর্থে এই ছোট-ছোট বোকা-বোকা জিনিসও অডিয়েন্সদের তর্কে জড়িয়ে তাদের মতামত কমেন্ট করাতে উস্কে দিতে পারে। যা আপনার ভিডিওকে ভাইরাল করে দিতে পারে।

১১. কিছু তুফানী করুন:

যদি আপনার ভিডিও ইসিলি রিলেটেবল, অনুপ্রেরণামূলক, কিংবা ঘৃণ্য এই তিনটি ধরণের মধ্যে একটা হয়- তাহলে আপনি অনিবার্যভাবে এখানে অডিয়েন্সদের কমেন্ট পেয়ে যাবেন।

১২. ভিডিওতে এমন অংশ রাখুন, যা পুনরায় দেখার প্রয়োজন হবে:

এটা শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও, এমন ধরণের ভিডিও থাকার সুবিধা হল এখানে কিছু অংশ প্রথম দেখার সময় অনেকেই একেবারে পড়তে, দেখতে কিংবা বুঝতে পারে না। ধরুন, আপনার ভিডিওতে টেক্সট রয়েছে যেটা দ্রুত চলে যায়, আর সেটা পড়ার জন্যে আপনার অডিয়েন্স সম্ভবত ভিডিওটা পুনরায় দেখে কিংবা ভিডিওটা পস করে। যখন তারা ভিডিও পস করে বা আবার দেখে তখন তারা আপনার ভিডিওর পিছনে অনেকটা সময় দেয়। যে কারণে, Tiktok-এর অ্যালগরিদম বোঝে যে, আপনার ভিডিওটা অনেক বেশি সংখ্যক লোককে দেখানো যেতে পারে।

১৩. ওপেনিং ভিডিও ফ্রেমে ও টেক্সট রাখুন:

প্রথম স্লাইডে টেক্সট দিয়ে আপনার ভিডিও শুরু করলে, FYP-এ অডিয়েন্স সম্ভবত এটা পড়তে কয়েক সেকেন্ড ব্যয় করবে, আর স্বাভাবিকভাবেই টেক্সটবিহীন ভিডিওর থেকে টেক্সট ভিডিওতে আরও বেশি সময় থাকবে। অ্যালগরিদমে এটা শুধুমাত্র অ্যাভারেজ ওয়াচ টাইম-এর জন্যই ভালো নয়, বরং এটা আপনাকে এনগেজমেন্টও এনে দেয়।

১৪. #FYP, #foryou, বা অন্যান্য জেনেরিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করবেন না:

হ্যাশট্যাগগুলো যে সর্বদা কাজে লাগে, তা নয়। তবে, #FYP, #foryou কিংবা এই ধরণের জেনেরিক হ্যাশট্যাগগুলো কোনো কাজেই লাগে না। নিশ ট্যাগ ব্যবহার করতেও পারেন বা নাও করতে পারেন। আপনার যদি কোনো সুপার নিশ ভিডিও থাকে, তাহলে নিশ হ্যাশট্যাগগুলো মাঝেমাঝে টিকটককে আপনার ভিডিওটাকে সঠিক অডিয়েন্সদের কাছে পরিবেশন করতেও পারে। তবে, প্ল্যাটফর্ম জুড়ে আপনার পোস্টে নানান লোকের কাছে আবেদন করার মতো কনটেন্ট থাকে, তাহলে হ্যাশট্যাগ বাদ দিয়ে অ্যালগরিদমকেই কাজ করতে দিন।

১৫. কমেন্টের রিপ্লাই করুন:

কোনো ভিডিওতে কমেন্ট পড়তে থাকলে ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।এই ব্যাপারটা আরও বেশি কার্যকরী হয়, যদি আপনি আপনার ভিডিওতে অডিয়েন্সদের কমেন্টের সাথে যুক্ত হয়ে তাদের কমেন্টের সরাসরি উত্তর দিতে পারেন। তবে, আপনার যদি TikTok-এ ভাইরাল হওয়া কোনো ভিডিও থাকে ও আপনি কমেন্টের উত্তর দিচ্ছেন, তাহলে সেটা সাথে-সাথে না করে, সময় নিয়ে ধীরে-সুস্থে উত্তর দিন, নাহলে আপনি ব্লক হয়ে যেতে পারেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ