Join Our Telegram channel! name='keywords'/> বাড়িতে বসে থেকে ডেঙ্গু জ্বর রোগ প্রতিরোধ করার অসাধারণ টেকনিক | Ways to prevent dengue fever

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

বাড়িতে বসে থেকে ডেঙ্গু জ্বর রোগ প্রতিরোধ করার অসাধারণ টেকনিক | Ways to prevent dengue fever

বর্ষায় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব অনেক বেড়ে যায়। এডিস মশাবাহিত ভাইরাসজনিত জ্বর হলো ডেঙ্গু। এ ভাইরাসের চারটি স্ট্রেইন (ডেন-১, ২, ৩ ও ডেন-৪)। এর যে কোনো একটি দিয়ে ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে। আর এ ভাইরাস বহন করে এডিস ইজিপ্টি ও এডিস এলবোপিকটাস প্রজাতির মশা।বর্ষায় এডিস ইজিপ্ট মশা বংশবিস্তার করে। বিশেষ করে ঘরের ভেতরে বা চারপাশের জলাবদ্ধ পানিতে এই মশা বংশবিস্তার করে। এডিস ইজিপ্ট মশা ডেঙ্গু বিস্তারে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভূমিকা রাখে। এ মশার একটি কামড়ই ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য যথেষ্ট।বর্ষা শুরু হতেই বেড়ে যায় মশার উপদ্রব। এর ফলে দ্রুত বাড়তে থাকে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ডেঙ্গুর উপসর্গ হলো- জ্বর, পেশি ব্যথা, শরীর ব্যথা, দুর্বলতা ইত্যাদি। সব মিলিয়ে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়। তাই বর্ষার শুরু থেকেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন থাকুন কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে-


বাড়িতে বসে থেকে ডেঙ্গু জ্বর রোগ প্রতিরোধ করার অসাধারণ টেকনিক | Ways to prevent dengue fever


ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাচার উপায়

জানেন কি আপনার রান্নাঘরেই এমন অনেক কিছু আছে, যা নিয়মিত খেলে ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠতে পারবেন! শাক সবজি, ফল এমনিতেই সবসময় খেতে বলেন ডাক্তারেরা। এই সময় বিশেষ কিছু ফলের রস খেলেও এনার্জি পাবেন।শর্করা, প্রোটিন ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সাধারণ খাবার বন্ধ করা যাবে না। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ঘরে বানানো খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন - ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা যেতে পারে। জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তি পেতে যেসব খাবার খাবার খাবেন-

ড্রাগন ফল

ডেঙ্গু মোকাবিলায় রক্তে প্লাটিলেট বাড়ায় ড্রাগন ফল চিকিৎসকদের মতে, ড্রাগন ফলে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। যা রক্তে অণুচক্রিকা বা প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ডেঙ্গুর চিকিৎসায় এই ফল খুবই কার্যকর। আমাদের অনেক রোগী সুফল পেয়েছেন। এই ফলে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে।

সবজির রস

ডেঙ্গু জ্বরে জ্বরে সবজি প্রতিদিন খাওয়া উচিত। ডেঙ্গুর জ্বরে যদি আক্রান্ত হন, তাহলে নিজের পছন্দমতো সবজির রস করে এই সময় খেতে পারেন। স্বাদ বদলের জন্য অল্প লেবুর রসও দিতে পারেন। লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। সেটা শরীরের ইমিউনিটি ব্যুস্ট করে।

পেঁপে পাতার রস

ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে পেঁপে পাতার রস কতটা উপকারী সেটা আবার অনেকেই জানেন না।‌ এই রস নিয়মিত খেলে জ্বর ধীরে ধীরে কমে যায়, শরীরে প্লেটলেট কাউন্ট বাড়ে, এমনকি ইমিউনিটি ব্যুস্ট ও হয়। বাড়ির আশেপাশে একটা দু’টো পেঁপে গাছ তো থাকেই। তারই পাতা কুচিকুচি করে কেটে ব্লেন্ডারে অল্প জল দিয়ে মিশিয়ে রস তৈরি করতে পারেন। দিনে অন্তত দুবার এটা খাবেন।

হলুদ

হলুদ শরীরে মেটাবলিজম ব্যুস্ট করে। ডাক্তাররা এর গুণাবলির জন্যই গোল্ডেন মিল্ক বা হলুদ মেশানো দুধ খেতে সাজেস্ট করেন। অনেকেই দুধ খেতে পছন্দ করেন না। পানিতে অল্প হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে দ্রুত সুস্থ হবেন।

আমলকির রস

আমলকি ভিটামিন এ ও সি তে ভরপুর। বাজারে সারাবছরই এখন আমলকি পাওয়া যায়। অনেক সময় ভিটামিন সি ট্যাবলেট পাওয়া যায় না বলে, তার বদলে দিনে একটা আমলকি খান। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের ট্রেস কমায়। ইমিউনিটি ব্যুস্ট করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

চিকেন স্যুপ

ফ্লু বা জ্বরের সময় ডাক্তাররা দিনে অন্তত একবার চিকেন স্যুপ খেতে সাজেস্ট করেন। এটা শরীর হাইড্রেটেড রাখে। আবার জ্বরের সময় অনেকেই মুখে খাবারের স্বাদ পান না ঠিকমতো। তাদের চিকেন স্যুপ খেতে বলেন।

নিম পাতার রস

নিমপাতার ঔষধি গুণ নিয়ে করোর মনে একটুও সংশয় নেই। জানেন কি, ডেঙ্গু জ্বরেও সমান উপকারী! এই রস শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করে। দিনের শুরুতেই ডাক্তাররা এটা খেতে বলেন।

হার্বাল টি

বাজারে এখন নানারকম ফ্লেভারের চা পাওয়া যায়। তুলসি, আদা, দারুচিনি, প্রভৃতি সমৃদ্ধ। এগুলো নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যায়। সাধারণত ডেঙ্গু জ্বরের পরে অনেকেই খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই সময় এই ধরণের চা খেলে শরীর মন দুটোই চাঙ্গা থাকে।

ডাবের পানি

ডেঙ্গু জ্বরের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসাবে শরীরে পানির ঘাটতি হয়। তাই এই সময় ডাব ‌বা নারিকেলের পানি খেতে হবে। এতে দেহে পানির ঘাটতিও মেটাবে, আবার পুষ্টিগুণ ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইটে সমৃদ্ধ এই নারিকেলের পানি দৈহিক শক্তিও বাড়াবে।

টক ফল

টকজাতীয় ফল ভিটামিন সি-তে ভরপুর। এই ভিটামিন শ্বেত রক্তকণিকা গঠণে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিশোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই কণিকা। তাই এই সময়ে খাদ্যতালিকায় কিউয়ি, আঙুর, কমলালেবু-সহ বিভিন্ন ধরনের লেবু রাখতেই হবে।

রসুন

রান্নার স্বাদ বাড়াতে হেঁশেলে রসুন রাখতেই হয়। তবে শরীরের রোগপ্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও এই উপাদান দারুণ উপকারী। সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে তাই এই সময়ে ডায়েটে বেশি করে রসুন রাখতে হবে।

বেদানা

প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে বেদানায়। ফলে দেহের শক্তি বাড়ে, অণুচক্রিকার সংখ্যা বাড়াতেও সাহায্য করে এটি।

পানি

ডেঙ্গু হলে শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। যে কারণে এই জ্বরে আক্রান্ত হলে দিনে অন্তত তিন লিটার পানি পান করতে হবে। সেইসঙ্গে খেতে হবে তাজা ফলের রস, আখের রস ইত্যাদি। এতে দ্রুত সুস্থ হওয়া সহজ হবে।

ডেঙ্গু জ্বরে সতর্কতা

চিকিৎসকের মতে, ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামলের সর্বোচ্চ ডোজ হচ্ছে প্রতিদিন চার গ্রাম। কিন্তু কোন ব্যক্তির যদি লিভার, হার্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ