Join Our Telegram channel! name='keywords'/> লো প্রেসার রোগীদের যে বিষয়গুলোর উপর খুব খেয়াল রাখতে হবে | Ways to exercise in low blood pressure patients

Ticker

10/recent/ticker-posts

Ads

লো প্রেসার রোগীদের যে বিষয়গুলোর উপর খুব খেয়াল রাখতে হবে | Ways to exercise in low blood pressure patients

উচ্চ রক্তচাপ, নিম্ন রক্তচাপ একজন ব্যক্তির জন্য খুব বিপজ্জনক হতে পারে। নিম্ন রক্তচাপ বা উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়। 120mm Hg-এর কম এবং 80mm Hg-এর বেশি রক্তচাপ স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হয়। মানুষের মধ্যে রক্তচাপের সমস্যা খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। তাই এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সবারই জানা উচিত।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি কোনও ব্যক্তির ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, ঝাপসা দৃষ্টির মতো সমস্যা হয়, তাহলে তাকে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে রক্তচাপ পরীক্ষা করানো উচিত। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা আপনাকে স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ দিতে পারেন। নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকরা কিছু জিনিস খাওয়ার পরামর্শ দেন।


লো প্রেসার রোগীদের যে বিষয়গুলোর উপর খুব খেয়াল রাখতে হবে | Ways to exercise in low blood pressure patients


স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খেতে থাকুন- 

সকালের খাবার, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের ফাঁকটা হালকা স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস দিয়ে পূরণ করতে হবে। লো ব্লাড প্রেশারের সমস্যা এড়াতে দিনের বেলায় কিছু না কিছু ছোট অংশে খেতে হবে। তিনবেলা না খেয়ে পাঁচটি ছোট খাবারে ভাগ করলে ভালো হবে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও খুব উপকারী হতে পারে।

লবণের ব্যবহার-

 অতিরিক্ত লবণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তবে সুষম পরিমাণে এটি খেলে তা আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এক চা চামচ লবণ অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সবজি ও ফল দিয়ে ভরা হলে ভালো হবে। আপনি যদি প্রতিদিন ব্যায়াম করেন, তাহলে গ্রীষ্মের মরসুমে এক চিমটি লবণ দিয়ে লেবুপাতা খেতে পারেন। অতিরিক্ত লবণ জল ধরে রাখার পাশাপাশি রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

পানীয়- 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দিনে দুই থেকে তিন লিটার জল পান করার পরামর্শ দেন। আপনি নিম্ন রক্তচাপের ডায়েটে নারকেল জল, বেলের শরবত এবং আম পান্নার মতো জিনিসগুলিও অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এগুলি আপনার শরীরকে তরল ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইট দেবে। ডিহাইড্রেশন নিম্ন রক্তচাপের একটি সাধারণ সমস্যা। এক্ষেত্রে ডালিমের জুসও পান করতে পারেন। এতে উপস্থিত পলিফেনল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নিম্ন রক্তচাপে উপকারী।

ক্যাফেইন- 

চা বা কফির মতো ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়ও কিছু সময়ের জন্য নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। আপনার রক্তচাপ যদি হঠাৎ করে কমে যায়, তাহলে এক কাপ চা বা কফি শরীরের রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটাতে পারে। এটি শুধুমাত্র অল্প সময়ের জন্য তার প্রভাব দেখাতে পারে, কিন্তু খুব দ্রুত।

তুলসী পাতা-‌

 চিকিৎসকরা বলেন, প্রতিদিন সকালে তুলসীর ৫-৬টি পাতা চিবিয়ে খাওয়া উচিত। তুলসী পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন-সি, যা শরীরে রক্তকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত ইউজেনল নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে খুবই সহায়ক।

বাদাম দুধ-

 ৫-৬ টি বাদাম রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পেস্ট তৈরি করে দুধে ফুটিয়ে নিন। প্রতিদিন এই এটি পান করলে আপনার রক্তচাপ কখনই কমবে না। বাদামের দুধে কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে না, তবে এটি ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন এমন প্রত্যেকেরই এটি ব্যবহার করা উচিত।

কিশমিশ- 

কিশমিশ এই সমস্যায় বেশ উপকারী। রোজ সকালে এটি খেলে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা হবে না। এটি নিম্ন রক্তচাপ এবং রক্ত চলাচল উভয়ের জন্যই উপকারী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ