আপনি কি প্রোগ্রামিং শিখতে চান বা ইতিমধ্যে শিখছেন? তাহলে প্রোগ্রামিং করে কীভাবে আয় করা যায় সে সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। প্রোগ্রামিং বর্তমানে সবচেয়ে অধিক চাহিদাসম্পন্ন একটি দক্ষতা, যার কারণে প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে আয়ের রয়েছে অসংখ্য সুযোগ। এই পোস্টে জানবেন একজন প্রোগ্রামার কিভাবে প্রোগ্রামিং করে আয় করতে পারেন। ( digital marketing a to z bangla )
চ্যালেঞ্জ ও কনটেস্ট করে
কোডিং ও প্রোগ্রামিংয়ের জগতে আপনি অভিজ্ঞ হোন বা নতুন, চাইলেই কিন্তু বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এসব চ্যালেঞ্জ ও কনটেস্টে আপনার দক্ষতার পরিমাপের পাশাপাশি মোটা অংকের অর্থ আয়ের একটি সুযোগ থাকে।বর্তমানে ইন্টারনেটে অনেক কোডিং চ্যালেজ ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে কোডিং চ্যালেঞ্জ জিতে বা নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করে পুরস্কার হিসেবে অর্থ পাওয়া যায়। এসব প্রতিযোগিতা থেকে আয়ের পাশাপাশি দ্রুত চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে ও বাস্তব দুনিয়াতে আপনার দক্ষতার পরীক্ষাও হয়ে যায়।
ই-বুক বিক্রি করে
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজে পারদর্শী হোন, তবে আপনার অভিজ্ঞতা ই-বুক আকারে একত্র করে তা অন্যদের শেখার উদ্দেশ্যে সেল করতে পারেন। নতুন ও পুরোনো, সকল ধরনের প্রোগ্রামারের এই ধরনের বই বিভিন্ন প্রয়োজনে দরকার পড়ে। তাই এই ধরনের ই-বুক তৈরী বেশ বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে। যেহেতু আপনি একটি ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করছেন, তাই অবশ্যই আপনার বায়ার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ। এজন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সঠিকভাবে ভালো মানের মার্কেটিং করা যেতে পারে। এমনকি অ্যামাজন এর মত ওয়েবসাইটে ই-বুক বিক্রি করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে
আপওয়ার্ক, ফাইভার এর মত ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত অসংখ্য ধরনের ফ্রিল্যান্সিং জব রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে নিয়মিত আয় করা যায় এমন জবও পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে প্রোগ্রামিং এর কাজ বর্তমানে পাওয়া যায়, তবে ভার্চুয়ালি কাজ পাওয়া এর চেয়ে সহজ হতে পারে। প্রথমত ফেসবুক বা লিংকডইন এর মত প্ল্যাটফর্মে নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে কাজ পেতে পারেন। আবার ডেডিকেটেড ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে গিগ তৈরী করে কাজ পেতে পারেন।
অন্যদের শেখানো
আপনি যদি কোডিং শিখেন তাহলে হয়ত জেনে থাকবেন কোডিং বা প্রোগ্রামিং শেখা কোনো সহজ বিষয় নয়। তাই প্রোগ্রামিং শিখতে ইচ্ছুক অনেকেই অন্য প্রোগ্রামারের কাছ থেকে শিখতে চায়, আর আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ প্রোগ্রামার হোন তবে অন্যদের শেখানো হতে পারে আয়ের একটি মাধ্যম।Udemy এর প্ল্যাটফর্মে যেকেউ ফ্রিতে একাউন্ট খুলে অন্যদের শিখিয়ে, কোর্স তৈরী করে ও তা সেল করে আয় করতে পারে। আবার চাইলে ইউটিউব এর মত প্ল্যাটফর্মেও অন্যদের শিখিয়ে আয়ের পাশাপাশি নিজের পরিচিতি বৃদ্ধি করা সম্ভব।
অ্যাপস তৈরী করে
এন্টারপ্রাইজ অ্যাপস ও এপিআই তৈরীর বিষয়টি সময়সাপেক্ষ হলেও লম্বা সময়ের ব্যবধানে প্যাসিভ ইনকাম এর অসাধারণ একটি উৎস হতে পারে এটি। তবে মনে রাখা ভালো কোনো অ্যাপস বা এপিআই এমন হতে হবে যেনো তা কোনো সমস্যার সমাধান করে। অনেক এপিআই ফ্রি হলেও কিছু এপিআই ব্যবহার করতে পে করতে হয়। আর এই ধরনের টুল থেকে আয় করতে পারেন একজন প্রোগ্রামার।কোনো টুল লঞ্চের পরপর তা থেকে আয় করা যাবে তা ভাবা বোকামি। তাই শুরুতে ফ্রি ট্রায়াল এর মাধ্যমে শুরু করতে পারেন, যেখানে সেবা পছন্দ হলে গ্রাহকরা কিনে নিবে। ডেভলপার হিসেবে কাজ হলো গুরুত্বপূর্ণ টুল তৈরী করা, আপনার কাজ যথেষ্ট প্রয়োজনীয় হলে তা নিজ থেকে বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজ চ্যানেলের মাধ্যমে আয়ের পথ খুলে দিবে।
আরো পড়ুন: অ্যাফিলেট মার্কেটিং ফ্রিতে করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করার বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করে দেখুন
ব্লগিং করে
প্রোগ্রামিং এর পাশাপাশি লিখালিখি যদি আপনার পছন্দের শখ হয়ে থাকে, তাহলে ব্লগিং হতে পারে প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে পরোক্ষভাবে আয়ের একটি উপায়। অনেকভাবে আপনার প্রোগ্রামিং জার্নিকে লেখার মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন। চাইলে কোনো টুল তৈরী করার গল্প নিয়ে ব্লগ লিখতে পারেন। আবার অন্যদের টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারেন।উল্লেখ্য ব্লগ মনেটাইজ করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ বিষয়, তাই একজন প্রোগ্রামার হিসেবে আয় করতে চাইলে অন্যান্য উপায়ের পাশাপাশি এই পথ অনুসরণ করতে পারেন। আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখে আয়ের পাশাপাশি অনলাইনে অন্য প্রোগ্রামারদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে কাজে আসতে পারে ব্লগিং।
ওপেন-সোর্স টুল তৈরী
ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সোর্স কোড যে কেউ দেখতে পারলেও নির্দিষ্ট কিছু উপায়ে ওপেন-সোর্স টুল থেকেও আয় করা যেতে পারে।প্রথমত আপনার টুল ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ফ্রি রাখতে পারেন ও কমার্সিয়াল ব্যবহারের জন্য চার্জ নিতে পারেন। আবার বেসিক ফিচারগুলো বিনামূল্যে রেখে বাড়তি ফিচারের জন্য সাবস্ক্রিপশন চার্জ রাখতে পারেন। আবার টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও প্লাগিন সাপোর্ট এর জন্য আলাদা চার্জ করা যেতে পারে। এতে ব্যবহারকারীগণ ফ্রিতে এসব টুল ব্যবহার করতে পারে ও আপনার আয়ের সম্ভাবনাও খোলা থাকে। এছাড়া কাজের ওপেন-সোর্স টুল তৈরী করলে সেক্ষেত্রে ফান্ডিং এর মত উৎস থেকেও প্রোগ্রামার হিসেবে আয় করতে পারেন।
0 মন্তব্যসমূহ