সারা পৃথিবী জুড়ে এখন প্রায় ৭৯০ কোটি মানুষের মত রয়েছে এদের ভিতর ৪৯০ কোটির মত মানুষ ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করে থাকে আর বাকি সব মানুষ এখনো ইন্টারনেট সেবার বাইরে রয়েছে এদেরকে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে মূলত এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বা স্টারলিং এর আবির্ভাব হয়েছে এমনটাই জানা গেছে এখন এই ইস্টারলিং বা স্যাটেলাইটের ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে অর্থাৎ এটাতে যেহেতু কোন কেবল ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই কিংবা মোবাইল ফোনের মত সিমের মাধ্যমে ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই অর্থাৎ এটা চলবে হচ্ছে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অর্থাৎ ডিভাইসের মাধ্যমে সেহেতু ইন্টারনেট সেবা যেকোন স্থান থেকে গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারবে এটা হল এই স্টার লিংক এর আলাদা সুযোগ সুবিধা যেটার জন্য এই প্রযুক্তি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কারণ এখন যে যেকোনো মানুষ যেকোন প্রান্ত থেকে ফ্রিল্যান্সিং কাজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে নিতে পারবে যেগুলো এতদিন বিভিন্ন বাদ্য বাতোকো তার কারণে সম্ভব হয়ে ওঠেনি এই স্টার লিংক এর কারণে সেগুলো সম্ভব হইতে যাচ্ছে সময় টিভির প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গেছে। ( আমি কি স্টারলিংক ইন্টারনেট পেতে পারি )
আরো পড়ুন: সকল ডিজিটাল প্রয়োজনীয় সেবা সবগুলো পেতে এখনই ভিজিট করুন এখানে
আপনারা জেনে হয়তো অবাক হবেন এই প্রযুক্তির এই যুগে বা ডিজিটাল এই যুগে এখনো মোবাইল ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই এই ধরনের প্রযুক্তি গুলোর মাধ্যমে এখনো পৃথিবীর সমস্ত জায়গা জুড়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি বা আগামীতেও সম্ভব হয়তো হবে না কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে স্টার লিংক সেবা যেই ইস্টার লিঙ্ক এর কারণে এখন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে যাবে যে কোন স্থানে যেহেতু এটা স্যাটেলাইট থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহার করা হবে সেও তো এখন আর কোন তারের প্রয়োজন নেই কিংবা কোন টাওয়ারেরও প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র ডিভাইস দিয়েই এখন যে কেউ যে কোন স্থান থেকে ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারবে।
বর্তমান সময়ে বিশ্বের প্রথম সারির ধনী ব্যক্তি যার নাম হচ্ছে ইলোনমাস তিনি এই দূর দুরান্ততে থাকা মানুষদের কথা ভেবে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানোর জন্য এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে স্টার লিংক যার নাম দেওয়া হয়েছে এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে তার এই উদ্যোগ গ্রহণ করা জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে এই কোম্পানির কর্ণধার।
তবে স্টার লিংক কোম্পানির উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীর মহাকাশে মোট ৪২ হাজার স্যাটেলাইট স্থাপন করা যেগুলোর মাধ্যমে দূর দূরান্ত মানুষদেরকে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিবে এই লক্ষ্যেই স্টার লিংক কোম্পানি কাজ করে যাচ্ছে এমনটাই জানা গেছে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ মানুষদের থেকে ও গণমাধ্যমগুলোর সংবাদের ভিত্তিতে।
এই স্টারলিংক এর গতি হচ্ছে ১০০ এমবিপিএস থেকে ২০০ এমবিপিএস পর্যন্ত যা অন্যান্য ইন্টারনেট সেবা দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন এই স্টারলিংক এর ইন্টারনেট আমরা কিভাবে ব্যবহার করব? স্টারলিংক এর ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য ডিজিটাল ডিস এন্টেনার মত ছোট্ট একটি ডিভাইস বসাতে হবে ছাদের যে কোন জায়গায় বা ঘরের যে কোন জায়গাতে এরপর এখান থেকে রাউটারের সাথে সংযোগ দেওয়া হবে আর রাউটার থেকে আপনারা মোবাইল ও ল্যাপটপ সহ বিভিন্ন ডিভাইসে ইন্টারনেট কানেক্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন এই হাই গতির ইন্টারনেট সেবা সমূহ।
এই প্রযুক্তি অলরেডি আমেরিকা কানাডা সহ বড় বেশ কিছু দেশগুলোতে দেওয়া শুরু হয়েছে তবে আস্তে আস্তে করে সব দেশেই দেওয়া হবে বলে জানা গেছে এর ভিতর বাংলাদেশও এই প্রযুক্তি এসেছে তবে দামের দিক দিয়ে একটু বেশি বলে মনে হতে পারে আসুন আমরা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত একটু জেনে নেই।
আরো পড়ুন: আপনার বাপ দাদার নামে কতটুকু সম্পত্তি কোন জায়গায় আছে অনলাইনে জানার জন্য এখনই এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত দেখে নিন
প্রথমদিকে এই স্টারলিংক এর ইন্টারনেট সেবা পাওয়ার জন্য প্রথমদিকে স্টারলিং টার্মিনাল কিনতে $499 ডলার খরচ করতে হতো এবং মাসিক ভাড়া হিসাবে গ্রাহক কে $99 ডলার গন্তে হতো তবে অনেকেই ধারণা করতেছে বা অনেক বিশেষজ্ঞরা বলতেছে যখন এই স্টারলিংক এর পরিষেবা বিশ্বব্যাপী আরো ছড়িয়ে পড়বে তখন এর দাম অনেকাংশে কমে যাবে এবং আরো জানা যায় বিশ্বের যে দেশগুলো রয়েছে মধ্যবিত্ত বা গরীব সেই দেশগুলোতে স্টারলিংক সেবা দেওয়ার সময় দামের দিক দিয়ে অনেক কম রাখা হবে আপনার কি মনে হয় বাংলাদেশে স্টানিংকের সার্ভিস সহ মাসিক কত টাকা ব্যয় হতে পারে? জানিয়ে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
তবে আমরা এগুলো থেকে এটা বুঝতে পারলাম ইলন মাসের যে সকল ব্যবসাগুলো অতীতে রয়েছে স্টারলিংক এর ব্যবসা যদি প্রসারিত হয় সারা পৃথিবী জুড়ে তাহলে এই স্টারলিংক এর ব্যবসা হবে ইলন মার্কসের জীবনের সবচাইতে বড় বিজনেস। এছাড়াও আপনারা উইকিপিডিয়ার মাধ্যমে এখানে ক্লিক করে স্টারলিংক এর সম্পর্কে আরও জেনে নিতে পারেন।
0 মন্তব্যসমূহ