মাহমুদুল্লাহ হাসান ২০১০ সালে দিনাজপুরের একজন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তার মা সেই সময় একই চাকরি করতো আর সে চাকরি ও তার মা তখন বাদ দিয়ে দেয়। তাদের পক্ষে সংসার চালানোটা অনেকটাই কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তবে মাহমুদুল্লাহ হাসান তখন ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারে অনলাইনের মাধ্যমে তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের ভিতরে। তবে সে এই কাজটি শেখার জন্য একটি কম্পিউটার ক্রয় করার টাকা চেয়েছিল তার পরিবারের কাছে। তবে তখন তার পরিবার তিনবেলা ভাত খেতে ভাত পেত না আবার কিভাবে কম্পিউটার কিনে দেবে।
তবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার আগ্রহ যে মাহমুদুল্লাহ ভিতরে ঢুকেছে সে আগ্রহ আর বাহির হয় নাই। যার কারনে সেই সময় পড়ালেখা বাদ দিয়ে মাহমুদুল্লাহ হাসান দিনাজপুর ছেড়ে ঢাকায় এসে একটি পোশাক কারখানায় কাজে লেগে যায়। আর তার মনে একটি উদ্দেশ্য ছিল যে সে টাকা জমিয়ে একটি কম্পিউটার ক্রয় করে সে সবার প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং কাজ শিখবে। সোজা কথা বলতে গেলে মাহমুদুল্লাহ তার ভিতরে ফ্রিল্যান্সিংকে কিরার হিসেবে বেছে নিয়েছিল। সে দিন রাতে এক করে সে পোশাক কারখানায় কাজ করতে থাকে।
আর সে তখন টাকা জমিয়ে একটি কম্পিউটার ক্রয় করে সে কাজে লেগে যায় এই ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার জন্য। আর সেই মাহমুদুল্লাহ হাসান ২০২২ সালের উনিশে আগস্ট রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এক বড় ফ্রিল্যান্সিং জাতীয় সম্মান বৈঠক। আর মাহমুদুল হাসান সেই ফ্রিল্যান্সিং বৈঠকের ভিতরে এসে সর্বপ্রথম স্থান করেছে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে। তবে তার সম্পর্কে আপনারা যদি আরো সম্পূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই সাথে থাকুন ডিজিটাল বাংলা ৩৬০ এর সাথে।
তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা ছিল
আমাদের প্রায় সকলেরই একটি ইচ্ছা জাগে মনের ভিতর যে বড় হয়ে আমি এই কাজটি করব। আসলে আমাদের একেকজনের ইচ্ছা একেক রকম হয়ে থাকে। আর ঠিক তেমনি একটি ইচ্ছা জেগেছিল মাহমুদুল্লাহ হাসানের মনে। মাহমুদুল্লাহ হাসান বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিল। তবে তার পরিবারের আর্থিক সমস্যার কারণে সে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি কোন ভাবেই। তার কারণ হলো পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন ছিল সে অর্থ কোনভাবেই তার পরিবার তাকে দিতে পারতে ছিল না সেই সময়। যার কারণেই তাকে বাদ দিতে হয় তার পড়ালেখা। সে পড়াশোনা না করার কারণে সেই সময় মাহমুদুল হাসান কোন চাকরি ও খুঁজে পাচ্ছিল না।
অন্য কোন বিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগও পাচ্ছিনা। আর এই মনোবলকে কাজে লাগিয়ে মাহমুদুল হাসান জানতে পারে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব তাও আবার মোবাইলের মাধ্যমে। তবে এর জন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখা অনেকটাই প্রয়োজন। তার কারণ হলো ফ্রিল্যান্সিং কাজ করি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা হয়। আর মাহমুদুল্লাহ হাসান এটাও বুঝেছিল যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য তার একটি কম্পিউটারের প্রয়োজন। আর তখন সে কাজে লেগে যায় এবং ৩১ বছর বয়সে এসে সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে ওঠে। আমরা যদি লক্ষ্য করি ২০২২ সাল আর ২০২৩ সাল এর ভিতরে প্রতিবছরে মাহমুদুল্লাহ হাসানের মোট ইনকাম হয় দুই লাখ ডলার, যেটি বাংলাদেশি টাকায় ২ কোটি টাকারও বেশি প্রায়। হ্যাঁ দুই কোটি টাকারও বেশি সে বাংলাদেশে ঘরে বসে থেকেই ইনকাম করছে।
আরো পড়ুন: সফল ফ্রিল্যান্সারদের গল্প জানতে আরো দেখুন
কিভাবে শুরু করল মাহমুদুল হাসান ফ্রিল্যান্সিং কাজ?
আসলে মাহমুদুল হাসান 2010 সালে যখন পড়াশোনা বাদ দিয়ে দেয়। তখন সে নানান ধরনের চাকরির ইন্টারভিউতে জয়েন্ট হয়। তবে তার পড়াশোনার ডিগ্রী উচ্চমানের ছিল না তাই সে কোন চাকরি পায়নি। সে অনেক চাকরি খোঁজার চেষ্টা করেছিল কিন্তু কোনোভাবেই তার কপালে চাকরি জোটেনি। আবার তার পাশাপাশি তার পরিবারের চলছিল আর্থিক সমস্যা। তবে তার পরিবারে সেই সময় অনেকেই আর্থিক সমস্যা চলতেছিল। তখন সে দিশেহারায় না পড়ে তার বন্ধুর সাথে পরামর্শ নিল যে আমার এ অবস্থায় কি করা উচিত?
তখন তার এক প্রকৃত বন্ধু তাকে এই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানায়। আর ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখে কিভাবে ইনকাম করা যায় আর ফ্রিল্যান্সিং কাজ কোথায় বা শিখায় সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য মাহমুদুল্লাহ হাসানকে জানায় তার প্রকৃত বন্ধু। আর সেই সময় মাহমুদুল হাসান আর কোন উপায় না খুঁজে সে এ ফ্রিল্যান্সিং কাজ কে তার ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিল। যার ফলে আজ তার ইনকাম হচ্ছে প্রতি বছরে দুই কোটি টাকার ও উপরে।
ডিজিটাল বাংলা ৩৬০ অনলাইন ইনকাম ভিত্তিক খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
0 মন্তব্যসমূহ