একটা সময় ছিল এক মিনিট কথা বলার জন্য সাত টাকা খরচ করতে হতো যদি সেই যুগটি আবার ফিরে আসে তাহলে আপনাদের কাছে কি রকম লাগবে? ( খরচ কমাতে গিয়ে উল্টো বাড়ল মোবাইল ইন্টারনেটের দাম )
ব্যাপারটা ঠিক ওরকমই হয়েছে যখন বাংলাদেশে থ্রিজি প্রযুক্তি চালু হয় তখন ১ জিবি ইন্টারনেট কেনার জন্য ৩৫০ টাকা ৩০ দিন মেয়াদে নেওয়া যেত যেটা সাধারণ মানুষদের কয় ক্ষমতার অনেক বায়রা ছিল কারণ ১ জিবি ইন্টারনেট দিয়ে তেমন কিছুই হয় না একবার ভেবে দেখুন সেই দিন যদি আবার চলে আসে এই ডিজিটাল এই যুগে তাহলে কষ্টটা কতখানি পাবেন? জি আপনারা ঠিকই বুঝতে পেরেছেন এমনটাই ঘটেছে এই নতুন নিয়মের ফলে। ( কম টাকায় বেশি এমবি কেনার উপায় )
অনেকদিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল বিভিন্ন টিভি মিডিয়ার মাধ্যমে কিংবা পত্র-পত্রিকার সংবাদের মাধ্যমে যে বাংলাদেশের ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম বৃদ্ধি করার বিষয় বা এই প্যাকেজগুলোর নিয়ে বিভিন্ন নতুন নিয়ম চালু হবে সেই বিষয়ে এখন মাত্র 40 টি ইন্টারনেট প্যাকেজ এক একটি কোম্পানি চালু রাখতে পারবে যেটা আগের সংখ্যা ছিল ৯০ টি উপরে আগে ৩ দিন ১০ দিন ১৫ দিন মেয়াদে ইন্টারনেট কিনা যেত কিন্তু সেই নিয়ম আর থাকছে না এখন সাত দিন ও ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড মেয়াদে বাধ্যতামূলক ইন্টারনেট প্যাকেজ ক্রয় করতে হবে যেটা অনেকের কাছে হয়তো বা অনেক ঝামেলার বলে মনে হতে পারে।
যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেন তাদের প্রতিদিনই ৪ থেকে ৫ জিবি বা তারও বেশি ইন্টারনেট প্যাকেজের প্রয়োজন হয় বা ডাটা ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয় তাদের অবস্থাটা একবার ভাবুন তারা কি পরিমান খরচের ভিতরে পড়ে যাবে এই নতুন নিয়মের ফলে আর সাধারণ মানুষ যারা রয়েছেন তারা তো দুর্ভোগে পড়বে তারা তো আর এখন এত দাম দিয়ে কিংবা সাত দিন অথবা এক মাসের বাধ্যতামূলক প্যাকেজ অনেকেই নিতে পারবেনা অর্থাৎ ৩০ দিনের প্যাকেজ নিতে হলে দাম পড়বে আগের চাইতে প্রায় দ্বিগুণের মতো আর সাত দিন করে কিনার মতো সামর্থ্য হয়তোবা অনেকেরই নেই।
আজ ১৫ই অক্টোবর ২০২৩ আজ থেকে এই নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে এখন আপনারা গ্রামীণফোন, banglalink, airtel, রবি, টেলিটক সহ যতগুলো অপারেটর রয়েছে বাংলাদেশে সব অপারেটরের ইন্টারনেট প্যাকেজে এই বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে এখন আপনারা তাদের ম্যানুয়াল ভাবে কোড ডায়াল করে দেখতে পারেন ইন্টারনেট প্যাকেজ অথবা আপনারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের অ্যাপের মাধ্যমে যখন ইন্টারনেট প্যাকেজ চেক করবেন তখন হয়তোবা আপনার চোখ কপালে উঠে যেতে পারে কারণ এতটাই পরিবর্তন আনা হয়েছে আমি নিজে দেখে হতভাগ হয়েছি।
ম্যানুয়াল ভাবে যে কোন অপারেটরের ইন্টারনেট প্যাকেজ চেক করার জন্য ডায়াল করুন *121*3# সাধারণ মানুষদের প্রতিক্রিয়া অলরেডি শুরু হয়ে গেছে এই নতুন নিয়মের ফলে বেশিরভাগ মানুষই সন্তুষ্ট নয় অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন বিভিন্নভাবে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে অবাক হয়েছি এই যুগে এসে কেন এত দাম দিয়ে আমাদের ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনতে হবে এই ওয়াইফাই এর যুগে।
দুঃখটা যেন আমাদের সারা জীবন দুঃখই থেকে গেল আমাদের দুঃখ-কষ্ট মোছার মতো কেউ আর রইল না আপনাদের কাছে কি মনে হয় অবশ্যই এই আর্টিকেলের কমেন্ট বক্সে আপনাদের মতামত লিখে যাবেন এবং শেয়ার করে বন্ধুদের কাছে এই নতুন দুঃখজনক আপডেটের কথা জানাবেন। তবে এই ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম ও মেয়াদ কোন যুক্তিতে পরিবর্তন করা হলো সেটা হয়তোবা আমাদের অজানায় রয়ে গেল।
আসুন আমরা বেশি বেশি এই আর্টিকেলের ভিতরে মতামত জানাই এবং সবার মাঝে শেয়ার করি যাতে সবাই প্রতিবাদ শুরু করে এবং সেই কারণে হয়তোবা ইন্টারনেটের দাম কমালে কমানো হতেও পারে।
তবে সর্বশেষ কিছু কথা বলে আজকের লেখা এখানে শেষ করে দিব আমরা আশা করব বাংলাদেশ সরকার যেন পুনরায় আবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন অর্থাৎ এই ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ ও দামের ক্ষেত্রে যেন সাধারণ মানুষের কথা ভেবে নির্ধারণ করা হয় এটি আমাদের আকুল আবেদন বাংলাদেশ সরকারের বিটিআরসির প্রতি ও বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরদের প্রতি।
0 মন্তব্যসমূহ