সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো এই পোস্টে একসাথে থাকছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে freelancer দের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বাংলাদেশ নামে এই বিশেষ আইডি কার্ড এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড মূলত যারা প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন কিংবা আগামীতে হতে চলেছেন তারাই পাবেন।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কি? Freelancer ID card Bangladesh
Freelancer ID card হচ্ছে মূলত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রীল্যান্সারদের অনুমোদিত বা স্বীকৃতি প্রধান কারী আইডি কার্ড বা পরিচয় পত্র যারা অন্যান্য পেশায় জড়িত রয়েছেন তাদের কাজের পেশা অনুযায়ী স্বীকৃতি থাকলেও বা অন্যান্য বিজনেস যারা করে যাচ্ছেন তাদের ব্যবসায়িক পরিচয় থাকলেও এতদিন ফ্রিল্যান্সারদের জাতীয় পরিচয় ছিল না যার কারণে অনেক সমস্যায় ভুগতেন ফ্রিল্যান্সাররা এই সকল সমস্যার সমাধান করার জন্যই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র বিশেষভাবে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে Freelancer ID card Bangladesh।
অনেক সমস্যার কথা জানিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন সময় কমেন্ট করে থাকেন যেমন ছেলে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন আবার অনেকে বিয়ে করতে গিয়ে হচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন,ফ্রিল্যান্সারা যে বিভিন্ন দেশে অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ দিয়ে ঘরে বসে বড় কোম্পানির প্রজেক্ট গুলোতে কাজ করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন সারা জীবন এটা অনেকেই বুঝতে পারেন না, যার কারণে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রিল্যান্সারদের এই বিশেষ আইডি কার্ড প্রদান করেছেন এই আইডি কার্ড প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় স্বীকৃতিও ফ্রীল্যান্সারদের দেওয়া হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং আইডি কার্ড যেহেতু বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে সেহেতু এই ফ্রিল্যান্সিং আইডি কার্ড ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সুবিধা গুলো পেয়ে থাকবেন খুব সহজে।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ডের সকল সুবিধা গুলো কি কি?
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড দিয়ে অনেক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা যাবে খুব সহজে যেগুলোর তালিকা নিচে সুন্দরভাবে সাজিয়ে দেওয়া হল।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ডের সর্বপ্রথম যে উল্লেখযোগ্য সুবিধায় রয়েছে সেটা হচ্ছে এটা যেহেতু বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সেহেতু এটার ভ্যালু অনেক বেশি।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড হচ্ছে ডিজিটাল ভার্চুয়াল ভাবে এটা গ্রহণ করা যাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তাই এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড ডিজিটালভাবে ব্যবহার করা যাবে চাইলে পিডিএফ ফাইল এর মাধ্যমে ডাউনলোড করে পরে এটাকে পিন করে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের মত ব্যবহার করা যাবে বিভিন্ন প্রয়োজনে।
এছাড়াও ডিজিটাল ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড দিয়ে বিদেশি কারেন্সি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য ডেবিট কার্ড পেয়ে থাকবেন। সেই ডেবিট কার্ড দিয়ে ফ্রিল্যান্সাররা পাসপোর্ট ছাড়াই বিভিন্ন প্রয়োজনে বিদেশি কারেন্সি অনুযায়ী লেনদেন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বাংলাদেশ- এর Official website যেখানে ফ্রিল্যান্সিং অলারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকবেন যেগুলো দেখে নিতে পারেন
এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড দেখিয়ে সকলকে আপনি যে একজন প্রফেশনাল মানের ফ্রিল্যান্সার সেটি প্রমাণ করতে পারবেন।
এছাড়াও চাকরির বিবরণ এতে ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকবেন।
আগে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেন তারা তাদের ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট প্রোফাইলে ফ্রিল্যান্সারা লেখে রাখতেন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য এখন এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড দেখিয়ে সহজে নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রমাণ করা যাবে এটি হলো বাড়তি জনপ্রিয় অনেক সুবিধা।
যারা ফ্রিল্যান্সিং আইডি কার্ড ধারী রয়েছেন তারা এখন থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড ডেবিট কার্ড ও ব্যাংক লোন গ্রহণ করতে পারবেন এই ফ্রিল্যান্সিং আইডি কার্ড উপস্থাপন করে।
এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড থাকলে পাসপোর্ট সহজে বানানো যাবে ভিসা বিভিন্ন দেশে পেতে সহজ হবে ফ্রিল্যান্সার ছেলেমেয়েদের বাড়ি ভাড়া পেতে অনেক সহজ হবে ছেলেমেয়েদের সহজে স্কুলে ভর্তি করানো যাবে বিয়ে করতে গেলেও এই ফ্রিল্যান্সিং আইডি কার্ড দেখালে ভ্যালু পাওয়া যাবে এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রয়োজনে এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড দেখিয়ে বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থায় সহজেই নিজেকে ভর্তি করানো যাবে।
এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং আইডি কার্ড ধারীরা ইনকামের সার্টিফিকেট সহজে নিতে পারবে।
সবচাইতে বড় যে সুবিধাগুলো ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে পেয়ে থাকবেন এই আইডি কার্ড যারা পাবেন তারা বিদেশ থেকে রেমিটেন্স ব্যাংকের মাধ্যমে আনলে সরকারের পক্ষ থেকে ১০% পর্যন্ত রেমিটেন্স সুবিধা পাবেন জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ । How to get freelancer ID card Bangladesh
আরো আছে বিভিন্ন সময় ফ্রিল্যান্সাররা সমস্যায় পড়লে সরকারি সহযোগিতা পাবে ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কারিরা।
আরো আছে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সুযোগ সুবিধা যারা ফ্রিল্যান্সিং করে এই আইডি কার্ড সংরক্ষণ করবেন তারা বৃদ্ধ বয়সে সরকারি পেনশনের ভাতাও পেয়ে থাকবেন এগুলোর সত্যতা জানতে ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বাংলাদেশ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখতে পারেন
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড এর অসুবিধা গুলো কি কি?
Freelancer ID card Bangladesh এর সুবিধা গুলোর পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে যেগুলোর নিচে তালিকা দেওয়া হলো।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিতে হলে আপনাকে অন্ততপক্ষে ১২ মাসের ভিতরে অর্থাৎ এক বছরের ভিতর ন্যূনতম $1000 ডলার ইনকামের প্রমাণ দিতে হবে সেটা হতে পারে ইউটিউব থেকে ফেসবুক টিক টক ইনস্টাগ্রাম বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে Amazon ফ্রিল্যান্সার ডটকম ফাইবার Up work, people per hour সহ বিভিন্ন মার্কেট প্লেস গুলোর থেকে কাজ করার প্রমাণসমূহ। কোন কোন মার্কেট প্লেসে কাজ করলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনার টাকা পাওয়া যাবে জানতে হলে এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত দেখে নিন।
এছাড়াও ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিতে হলে ১৫০০ টাকা প্রথমে ফি হিসাবে প্রদান করতে হবে এছাড়া প্রতি বছর রিনু করতে হলে ১৫০০ টাকা করে বাংলাদেশ সরকারকে ফি হিসেবে দিতে হবে।
এখানে আরেকটি অসুবিধার বিষয় হচ্ছে যদি একবার যে ইনফরমেশন দিয়ে ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিবেন ১৫০০ টাকা ফি দিয়ে এরপর যদি আপনি কোন কিছু এডিট করতে যান সে ক্ষেত্রেও আপনাকে ১৫০০ টাকা আবার পুনরায় পে করতে হবে।
বাংলাদেশ সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সারদের কোন রকমের বাড়তি ট্যাক্স দিতে হবে না তাহলে বুঝা গেল ২০২৪ সালের জুন মাসের পর থেকে ফ্রিল্যান্সারদের বাংলাদেশ সরকারকে নির্দিষ্ট % হিসাবে ট্যাক্স প্রদান করতে হবে।
তাহলে বুঝা গেল যারা আইডি কার্ড ধারী ফ্রিল্যান্সার তাদের থেকে সরকার ট্যাক্স নিতে পারবে অনেক সহজে।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কখনোই জাতীয় পরিচয় পত্র বা আইডি কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিতে হলে ব্যাংক একাউন্টের তথ্য ও ব্যাংক একাউন্টের ফোন নাম্বার সহ বিভিন্ন তথ্য প্রদান করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নেওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই বৈধভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার প্রমাণসমূহ দেখাতে হবে।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিতে হলে ১২ মাসের ভিতরে সর্বনিম্ন ১০০০ ডলার ইনকামের প্রমাণ দেখাতে হবে।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রমাণ দেখাতে হবে কিভাবে কোন কোন মার্কেট প্লেস থেকে কত টাকা আয় করেন তার বিবরণী।
ফ্রিল্যান্সিং আইডি কার্ড নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার উপায় কি?
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বাংলাদেশ নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করতে হবে। ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বাংলাদেশ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ঠিকানা হলো।
https://freelancers.gov.bd/ এছাড়াও আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে সরাসরি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য সাইন আপ পেজ পেতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন তাহলে নিচে দেখানো স্ক্রিনশটের মত এরকম ইন্টারফেস ওপেন হবে।
যখনই সাইন আপ পেজের সকল তথ্য সমূহ পূরণ করে সাইন অপশনে ক্লিক করবেন এরপরে নিচে দেওয়া এই ছবিটির মত এরকম চলে আসবে যেখানে দেখতে পাবেন Freelancer ID নামে একটি অপশন রয়েছে ওখানে ক্লিক করলেই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নেওয়ার ফর্মটি চলে আসবে যেখানে সকল তথ্যগুলো পূরণ করে নিতে পারবেন ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নেওয়ার জন্য।
ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশ আইডি কার্ড নেওয়ার জন্য যে ইনফর্মেশন গুলো এখানে প্রদান করতে হবে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে।
আপনার আইডি কার্ড অনুযায়ী সঠিক নাম ও জন্ম তারিখ।
এনআইডি কার্ডের নাম্বার ইমেল মোবাইল ফোন নাম্বার সহ এন আইডি কার্ড অনুযায়ী আপনার সঠিক ঠিকানা।
বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে কাজের স্কিল রেটিং এগুলোর প্রুফ দিতে হবে।
এরপর আপনার একটি সেলফি তুলে সেটিকে আপলোড করতে হবে।
এই ইনফরমেশন গুলো দেওয়ার পরে সাবমিট করে দিবেন এরপরে আপনার ইমেইলে তারা একটি ইমেইল পাঠাবে যেখানে ভেরিফাই করার লিঙ্ক থাকবে সেই লিংকে ক্লিক করে ইমেইল ভেরিফাই করে নিবেন। ভেরিফাই করার পরে অবশ্যই আপনাকে এখন পেমেন্ট করতে হবে নূন্যতম ১৫০০ টাকা বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক ট্রান্সফার বা মাস্টার কার্ড ও ভিসা কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। এরপর যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে ৭ দিনের মত সময় লাগতে পারে তারা ভেরিফাই করে আপনার ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড প্রদান করবে।
তবে এই ক্ষেত্রে আপনি যে মার্কেট প্লেসগুলোতে ইনকাম করেন সেখানকার কিছু ভিডিওর মাধ্যমে তাদেরকে পুরো হিসাবে দিতে হতে পারে।
এছাড়াও প্রমাণ হিসেবে তাদেরকে ভিডিও কলের মাধ্যমে ইনকামের প্রমাণ দিতে হতে পারে।
সকল কার্যকলাপ যখন সম্পন্ন হবে এরপর তারা আপনাকে আপনার মোবাইল নাম্বারে এসএমএস এর মাধ্যমে কিংবা আপনার ইমেইলে ইমেইলের মাধ্যমে আপনাকে নিশ্চিত করুন নোটিফিকেশন পাঠাবে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আপনাকে ভার্চুয়াল ডিজিটাল ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড দেওয়া হবে যেটাকে পরবর্তী সময়ে আপনি চাইলে পিডিএফ ফাইলে ডাউনলোড করে পিন করে এনআইডি কার্ডের মত ব্যবহার করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ডের জন্য এপ্লাই করার পূর্বে যে যে যোগ্যতা থাকতে হবে সে সম্পর্কে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করে দেখে নিন এছাড়াও এখানে ক্লিক করার পরে লগইন করার অপশন পেয়ে যাবেন।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ডের সকল তথ্য কারা কারা দেখতে পাবে?
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ডের সকল তথ্য শুধুমাত্র আপনি দেখতে পাবেন যখন একাউন্ট খোলার সময় যে ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন সেটা দিয়ে লগইন করবেন।
তবে আপনি চাইলে ওয়ান টাইম অটবি পাসওয়ার্ড এর মাধ্যমে অন্যদেরকে এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ডের সকল তথ্য দেখাতে পারেন তবে সেটা না দেখানোই ভালো।
যেকোনো সংস্থা লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে আপনার ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ডের সকল তথ্য দেখতে পারবে।
যে সকল কর্মকর্তারা রক্ষণাবেক্ষণ করবে এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড তারা আপনার সকল তথ্য দেখতে পাবে।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কারীদের তথ্য পাবলিকলি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখানো হবে না।
ফ্রিল্যান্সার ডিজিটাল ভার্চুয়াল আইডি কার্ড এ কি কি তথ্য থাকবে?
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ডে এনআইডি কার্ডের মতোই আপনার সকল তথ্য থাকবে এর পাশাপাশি আপনার স্কিল সম্পর্কিত তথ্য আপনি যে freelancer সেই তথ্য এছাড়াও এখানে কিউআর কোড থাকবে যেটা স্ক্রিনিং করার মাধ্যমে সকল তথ্য দেখা যাবে।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: আমি কি অনলাইনে যে কোন মার্কেট প্লেসে কাজ করলে ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড পাব?
উত্তর: অবশ্যই আপনি বৈধ পথে যে কোন ফ্রিল্যান্সিং কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে কাজ করলে আপনি ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিতে পারবেন।
প্রশ্ন: ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিলে কি আমি ব্যাংক লোন ও ক্রেডিট কার্ড পাব?
উত্তর: অবশ্যই আপনি এই সকল সুবিধা গুলো পেয়ে থাকবেন তবে আপনার শুধু ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড থাকলেই হবে না আপনার বাৎসরিক বা মাসিক ইনকামের সঠিক বর্ণনাও এক্ষেত্রে প্রদান করতে হবে।
প্রশ্ন: আমি কি ফিজিক্যাল ভাবে ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিতে পারি?
উত্তর: এখন পর্যন্ত ডিজিটাল ভার্চুয়াল এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নেওয়া যাবে ভবিষ্যতে ফিজিক্যাল ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড দেওয়া হলে তখন নিতে পারবেন।
প্রশ্ন: আমি কিছুদিন ধরে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করেছি আমি কি ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিতে পারবো?
উত্তর: অবশ্যই নিতে পারবেন সর্বশেষ 12 মাসের ভিতরে যদি আপনি নূন্যতম ১০০০ ডলারের ইনকামের প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড পাবেন।
প্রশ্ন: DigitalBangla360 কি ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিয়েছে?
উত্তর: যখন ২০২০ সালে ডিজিটাল ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড এর উদ্বোধন করা হয় ঠিক ঐ সময়েই ডিজিটাল বাংলা ৩৬০ কোম্পানি ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিয়ে নিয়েছে।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড হেল্প লাইন সমূহ
এছাড়াও যদি কোন প্রয়োজনে ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বাংলাদেশ টিমের সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে নিচে দেওয়া এ গুলোর মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বাংলাদেশ অফিসের ঠিকানা:
Freelancer Card Bangladesh 4th Floor, House 1101, Road 6/b, Avenue 7, Mirpur DOHS, Dhaka, 1216
মোবাইল নাম্বার: 01302537288
ইমেইল এড্রেস : support@freelancers.gov.bd
সকল তথ্যগুলো জানতে পেরে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে জানিয়ে কমেন্ট করবেন আর হ্যাঁ বন্ধুদের কাছে আর্টিকেলটির লিংক বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে ভুলবেন না।
আরো পড়ুন: সকল আউটসোর্সিং কাজ শিখতে এখনই ভিজিট করুন
0 মন্তব্যসমূহ