তবে তারা হয়তো বিরাটকে ভালোবাসে তবে কিভাবে বিড়ালকে সুন্দরভাবে লালন পালন করতে হবে সে সম্পর্কে হয়তো তারা জানে না। তবে সেই সম্পর্কে যদি আপনিও না জেনে থাকেন তবে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তার কারণ হলো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন বিড়াল পোষার সম্পূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এই আর্টিকেল টি সাজানো হয়েছে সম্পূর্ণ ডিজিটাল বাংলা ৩৬০ এর মাধ্যমে।
বিড়াল পালার নিয়ম
বিড়াল পালার জন্য অবশ্যই বেশ কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে একজন ব্যক্তির। তবে সে ব্যক্তির যদি সেই নিয়ম গুলো না জানা থাকে তাহলে অবশ্যই এ আর্টিকেলটি পড়ে জ্ঞান অর্জন করে তারপর বিড়াল পোষতে পারেন। তবে চলুন আমরা এখনই জেনে নেব সেই নিয়ম গুলো।
***সবার প্রথমে আপনি যদি একটি বিড়াল পোষতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই দুই থেকে তিন মাসের বিড়ালের বাচ্চাকে সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যদি দুই থেকে তিন মাসের বিড়ালের বাচ্চা কে পোষতে থাকেন তাহলে আপনারা দেখতে পাবেন অল্প কিছুদিনের ভিতরেই বিড়াল আপনার পোষা প্রাণী হয়ে গিয়েছে।
***বিড়াল প্রাণীটা যতটাই ছোট আবার একজন মানুষের জন্য এ প্রাণীটি অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ। বিড়াল যে পালতে চায় তার সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন কোন সময় বিড়ালকে খাবার কিংবা পানি খাওয়া থেকে বঞ্চিত রাখো না। আশা করি আমরা এখান থেকে বুঝতে পারতেছি যে বিড়াল কতটা উপকারী একটি প্রাণী।
***আমরা যদি বিড়াল বসতে চাই তাহলে বিড়ালকে অবশ্যই ভালো মানের খাবার খাওয়াতে হবে। তবে বিড়াল পোষার জন্য বেশি খাবারের প্রয়োজন পড়ে না। তবে আপনি যে খাবার গ্রহণ করেন তার থেকে যদি কিছু বাড়তি খাবার রান্না করে তার জন্য আলাদা বাড়িতে রেখে দেন। তাহলে সে দেখবেন সে খাবারগুলো খুব সহজে গ্রহণ করতে পেরেছে। এবং সেই বিড়ালটি দেখবেন অতীত দ্রুতই আপনার পোষা হয়ে গিয়েছে এবং ভালো হয়ে গিয়েছে স্বাস্থ্যর দিক দিয়ে।
বিড়ালের কিছু খাবারের তালিকা সম্পর্কে আপনার জানতে হবে। বিড়াল বেশি পছন্দ করে থাকি ইঁদুর, মাছের কাঁটা, গোস্ত, হার। তবে আপনি যদি বিড়ালকে ছোটবেলা থেকেই ভাত খাওয়াতে পারেন। তাহলে সে বড় হয়েও ভাত খেতে পারবে। তবে আমার মনে হয় ভাত খাওয়ানো টাই বেশি উপকার হয়। তার কারণ হলো যেহেতু আমরা প্রতিদিনই ভাত গ্রহণ করে থাকি তাই বিড়ালের জন্য কিছুটা বাড়তি রান্না করলেই হয়তো তারা একসাথে খেতে পারবে।
***বিড়ালকে অতি এক সপ্তাহ পর পর ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাতে হবে। আমরা যদি একটি বিড়াল কে সুন্দরভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে চাই তাহলে অবশ্যই এই মাধ্যমটি অবলম্বন করতে হবে। যদিও বিড়াল সবসময় পবিত্র থাকে। আসলে এমনটা বলেছেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তবে হাঁটাহাঁটি সময় তার গায়ে অনেক ময়লা পড়ে যায় কিংবা ময়লা লেগে যায় সে ময়লাগুলো অবশ্যই প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ